দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে জার্মানির ক্ষমতায় আছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ সম্প্রতি নানা কারণে তার সম্ভাব্য পদত্যাগের খবর বাতাসে ভাসছে৷ বিশেষ করে তাঁর দল সিডিইউ ও জোটসঙ্গী এসপিডির জনপ্রিয়তার নিম্নগতি আটকাতে আগেই সরে যেতে পারেন তিনি৷
বিজ্ঞাপন
যদি এ গুঞ্জন সত্য হয় তবে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তাঁর অর্জন বা সরকার প্রধান হিসেবে তিনি কী কী অর্জন করতে পারতেন তা আলোচনায় চলে আসবে৷ আলোচনার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠতে পারে, কে হতে যাচ্ছন তার উত্তরাধিকারী?
২০২১ সালে ম্যার্কেলের এবারের মেয়াদ শেষ হবে৷ জোটের একটি বড় অংশ এখনো চায় তিনি ওই মেয়াদ শেষ করেন৷
রাজনীতিতে নাটকীয় পরিবর্তন
ম্যার্কেল ২০০৫ সালে প্রথম ক্ষমতায় আসেন৷ তারপর অনেক সময় গড়িয়েছে, শুধু জার্মানি নয় পুরো বিশ্ব অনেকটা পথ এগিয়েছে৷ কয়েক দশক ধরে একভাবে চলে আসা জার্মানির রাজনীতিতে এসেছে অনেক বৈচিত্র৷
উত্থান হয়েছে চরম ডানপন্থি দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি)৷ এবার প্রতিটি অঙ্গরাজ্য থেকে এএফডি পার্লামেন্টে প্রতিনিধি পাঠাতে পেরেছে৷ এমনকি পূর্বের কয়কটি অঙ্গরাজ্যে তারাই এখন দ্বিতীয় প্রভাবশালী দল৷ পার্লামেন্টেও এএফডি এখন শক্ত বিরোধীদল৷
ঘৃণিত চরিত্র, নাকি পশ্চিমা বিশ্বের ত্রাণকর্তা?
শিল্পীর চোখে ম্যার্কেল
বিশ্বের ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের তালিকা প্রথম সারির একজন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ বুধবার ৬৫ বছর পূর্ণ করেছেন তিনি৷ জন্মদিনে দেখে নিন, কীভাবে শিল্পের তুলিতে ধরা পড়েছেন ম্যার্কেল৷
ছবি: Elizabeth Peyton
বিবর্তন
‘ক্ষমতার পদচিহ্ন‘ নামের সিরিজে আঙ্গেলা ম্যার্কেল, সাবেক চ্যান্সেলর গেরার্ড শ্র্যুডার ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইওশকা ফিশারকে তুলে ধরেছেন আলোকচিত্রী হেরলিন্ডে কোয়েলব্ল ৷ ছবি ও সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে রাজনীতিকদের বিবর্তন তুলে ধরেছেন তিনি৷
ছবি: Herlinde Koelbl
পপ আইকন
ভগ ম্যাগাজিনের জন্য ২০১৭ সালে ম্যার্কেলের এই চিত্রটি এঁকেছেন মার্কিন চিত্রশিল্পী এলিজাবেথ পেইটন৷ যৌবনের ছাপ রাখা ছবিতে তাঁর দৃঢ়তাকে তুলে ধরতে চেয়েছেন শিল্পী৷ ম্যার্কেলের ৩০ বছরের রাজনৈতিক জীবনের কয়েকশ’ ছবি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ছবিটি আঁকা হয়েছে৷
ছবি: Elizabeth Peyton
মানবিকতা
২০১৫ সালে এভাবে টাইম ম্যাগাজিনের পারসন অব দ্য ইয়ার সংখ্যার প্রচ্ছদে স্থান পান আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ ছবির শিল্পী কলিন ডেভিডসন বলেন, ‘‘তাঁকে শান্ত ও নরম মনের মানুষ হিসাবে দেখানো হয়েছে, শরণার্থীদের প্রতি তাঁর মানবিক অবস্থানের কারণে৷’’ সেসময় ইউরোপের ঋণ এবং শরণার্থী সংকটে মানবিকতার হাত প্রসারিত করেছিলেন ম্যার্কেল৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Time Magazine
অবসাদ
ডাচ শিল্পী এরিক ফন লিশাউটের তুলিতে এভাবে ধরা দিয়েছেন অবসাদগ্রস্ত ও বিষন্ন ম্যার্কেল৷ বন শহরের সমসায়মিক চিত্রকর্মের সংগ্রহশালা সংগ্রহ করেছে এ চিত্রটি৷ ফন লিশাউট বলেছেন, প্রতিকৃতিটি আঁকতে মাত্র এক ঘন্টা সময় নিলেও লাল লিপিস্টিকে অন্যরকমভাবে ফুটে উঠেছেন জার্মান চ্যান্সেলর৷
ছবি: Erik van Lieshout
জর্জ ডাব্লিউ বুশের তুলিতে
কেবল প্রখ্যাত শিল্পীদের নয়, শখের বশে চিত্রকরদের তুলিতে ধরা পড়েছেন ম্যার্কেল৷ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ তুলিতে যে ত্রিশ বিশ্বনেতার ছবি এঁকেছেন, তাঁদের একজন ম্যার্কেল৷
ছবি: picture-alliance/dpa/L. W. Smith
রাজনীতির দেয়ালচিত্র
দক্ষিণ অ্যামেরিকার রাজনৈতিক বক্তব্য সম্বলিত ম্যুরালটি এঁকেছেন ইটালিয়ান শিল্পী ইয়ুপিতারফাব৷ চিত্রটিতে গ্রীসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাসের সঙ্গে অন্তরঙ্গ হতে দেখা যায় ম্যার্কেলকে৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/G. Georgiou
রম্যচিত্র
আর্ট জাদুঘরের সংগ্রহশালার অন্যতম অনুষঙ্গ রাজনৈতিক রম্যচিত্র৷ এই ছবিতে উলঙ্গ ম্যার্কেলে কোলে উঠে পড়েছেন নেপোলিয়ান হ্যাট পড়া সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট সারকোজি৷ এঁকেছেন ব্রিটিশ শিল্পী ও রম্যলেখক কায়া মার৷
ছবি: picture-alliance/Photoshot/B. Strenske
সংলাপ
বুলেগিরার স্টারো জেলেজারে গ্রামে এই দেয়ালচিত্রটি এঁকেছেন চারুকলার শিক্ষার্থীরা৷ স্থানীয় বাসিন্দাদের ছবি দিয়ে দেয়ালচিত্রটির সূচনা হলেও পরে ম্যার্কেলের মতো রাজনীতিকদের সেখানে অন্তর্ভূক্ত করা হয়৷ সাধারণ মানুষের সঙ্গে ম্যার্কেলের সংলাপ দেখানো হয় তাতে৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/H. Rusev
প্রতিবাদ
প্রতিবাদী অনেক ভাস্কর্যে বিকৃতভাবে ম্যার্কেল উপস্থাপন করা হয়েছে ম্যার্কেলকে৷ ‘ইউরোপিয়ান সিটিজেনশিপ‘ শিরোনামের ভাস্কর্যে ম্যার্কেলকে তুলে ধরা হয়েছিল মুণ্ডুহীন৷ উপরের ছবিটি ‘ট্রানজিট‘ নামক ইনস্টলেশনের, যেখানে দুই হাজার ৬০০ জনের একজন ম্যার্কেল৷
ছবি: Courtesy Georg Korner
হিপস্টার
‘হিপস্টোরি’ নামের সিরিজে ক্ষমতাবান ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তরুন হিপস্টার হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা চালিয়েছেন ইসরায়েলি ইলুস্ট্রেটর আমিত শিমোনি৷ হাওয়াইয়ান শার্ট পড়া ট্রাম্প আর উঁচু খোপার ওবামার সঙ্গে ম্যার্কেল আছে সেখানে৷ কালো হ্যাট আর লিপিস্টিক পড়া ম্যার্কেলকে এভাবে হিপস্টার বানিয়েছেন শিমোনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Kappeler
ব্যঙ্গচিত্র
কুঁচকানো চোখ আর মুখসমেত ম্যার্কেলের ছবিও কম আঁকা হয়নি৷ জার্মানির বাইরের বহু গণমাধ্যমেও এমন সব চিত্রায়ন দেশ ছাড়িয়ে তাঁর বিশ্বনেতা হওয়ার প্রমাণ বহন করে৷
11 ছবি1 | 11
আঙ্গেলা ম্যার্কেল পশ্চিমা বিশ্বের সামাজিক ও রাজনৈতিক চিন্তাধারায় বড় ধরণের পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন৷ বিষয়টা শুধু এমন নয় যে, এক সময়ের পুরুষতান্ত্রিক একটি দলের প্রধান হয়ে নারী হিসেবে তিনি বড় কিছু করে ফেলেছেন৷ এমনকি তিনি নিজেকে নারীবাদীও মনে করেন না৷
তবে এটা ঠিক, ১৪ বছর ধরে জার্মানির মত দেশে ক্ষমতার কেন্দ্রে তার অবস্থান নারীদের জন্য দারুণ এক অনুপ্রেরণা৷ বিশেষ করে রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ ও গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে৷ যদিও একই সঙ্গে তিনি সমাজ ও রাজনীতিতে নারীদের এগিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা বাধাও বটে৷ কারণ, তিনি পার্লামেন্টে নারী কোটার বিরুদ্ধে৷
তার মতে, ‘‘কোটা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু অবশ্যই প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত সমতা৷'' অথচ তার দল সিডিইউ পার্লামেন্টে নারী কোটার দাবি জানিয়েছে৷
চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের সবচেয়ে বেশি আলোচিত সমালোচিত সিদ্ধান্ত হলো ২০১৫ সালে শরণার্থীদের জন্য জার্মানির দরজা খুলে দেওয়া৷পার্লামেন্টের বক্তব্যও এক্ষেত্রে শোনা হয়নি৷ অবশ্য ম্যার্কেলের জীবনী লেখক রাল্ফ বোম্যান অনেক দৃষ্টান্ত দিয়ে বলেছেন, সিদ্ধান্ত নিতে চ্যান্সেলর ভিন্নমতের গুরুত্ব দেন৷
ম্যার্কেলের সিদ্ধান্তে ইউরোপে বিশেষ করে জার্মানিতে আশ্রয় পাওয়া শরণার্থীরা যেকোনো অপরাধে জড়িয়ে পড়লে তার দায় ম্যার্কেলকে নিতে হচ্ছে৷ বিশেষ করে এএফডি এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সরব৷
শরণার্থীদের প্রবেশ করতে দেওয়ার কারণে কারো কারো কাছে ম্যার্কেল ঘৃণিত ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন৷ একই সঙ্গে কেউ কেউ তাকে পশ্চিমা বিশ্বের ত্রাণকর্তা বলছেন৷ ওই বছর টাইমস ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তি হয়েছিলেন ম্যার্কেল৷ অন্যদিকে নিজ দেশে তার বিরুদ্ধে ‘চলে যাও ম্যার্কেল' প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তায় বিক্ষোভ হয়েছে৷
দলের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়লেও ম্যার্কেল এখনো জার্মানির সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনীতিকদের একজন৷ যদিও দিন দিন তিনি মঞ্চের পেছনে চলে যাচ্ছেন৷ নির্বাচনী প্রচার থেকে শুরু করে দৈনন্দিন রাজনীতিতে তার উপস্থিতি কমতে শুরু করেছে৷ সাধারণত বৈদেশিক নানা অনুষ্ঠানে এখন তাঁকে দেখতে পাওয়া যায়৷
ম্যার্কেল নিজেও তাঁর নানা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে চরম বিতর্কের বিষয়েসচেতন৷ তবে যত বিতর্কই থাকুক, দীর্ঘ ১৪ বছরে তিনি অর্থনীতিক সংকট, ইউরো সংকট, ইউক্রেইন সংকট বা শরণার্থী সংকটের মত সংকটময় পরিস্থিতিতে দেশকে সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে গেছেন৷ গুরুতর ওইসব পরিস্থিতিতে তিনি দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট হতে দেননি৷ একইসঙ্গে দলকে আরো বেশি উদার ও উন্মুক্ত করেছেন৷
রাজনীতির মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বীদের সুকৌশলে কাবু করা বা হটিয়ে দেয়ার কাজটি খুব ভালো পারতেন তিনি৷ প্রতিপক্ষ দলের লোকেরা তো আছেই, নিজ দলেরও প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষেত্রে এই কৌশল অবলম্বন করতেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷
ছবি: picture-alliance/dpa/ANP/R. De Waal
কোলকেই পেছনে ফেলে
সিডিইউ নেতা সাবেক চ্যান্সেলর হেলমুট কোল হাতে ধরে ম্যার্কেলকে মন্ত্রিসভায় পদ দেন, ম্যার্কেলের উত্থানে ভুমিকা রাখেন৷ ১৯৯৮ সালে চ্যান্সেলর পদ হারানোর পর দলের তহবিল নিয়ে একটি ঘটনা দু’জনকে মুখোমুখি দাঁড় করায়৷ তখন ম্যার্কেল সাহস করে বলেন যে, কোলকে ছাড়াই সিডিইউ’র এগিয়ে যাওয়া উচিত৷ দল ম্যার্কেলের পক্ষেই দাঁড়ায়৷ কোলকে ছাড়াই এগিয়ে যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Altwein
হটে গেলেন গ্যুন্টার হ্যারমান ও্যটিঙার
রাজনীতিতে পথ থেকে সরিয়ে দেয়া মানে কিন্তু সবসময় জোর খাটানো নয়৷ যেমনটি তিনি করেছেন বাডেন-ভুর্টেমব্যার্গ রাজ্যের সিডিইউ নেতা গুন্টার ওয়েটিঙ্গারের সঙ্গে৷ দলে তাঁর এই সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীকে ২০১০ সালেই তিনি ইউরোপিয়ান কমিশনে বড় চাকরি দিয়ে পাঠিয়ে দেন, যদিও ইউরোপের রাজনীতিতে ওয়েটিঙ্গারের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Seeger
হারিয়ে গেলেন রোল্যান্ড কখ
দালাই লামার সঙ্গে বন্ধুত্বের জন্য কখ অনেকের কাছেই পরিচিত ছিলেন৷ তিনি সরকারের দ্বৈত নাগরিকত্বের পরিকল্পনার বিরুদ্ধেও চালিয়েছেন প্রচারণা৷ হেসে রাজ্যে দলের ম্যার্কেলবিরোধী অংশের একজন বলেই তাঁকে গণ্য করা হতো৷ কখ এ-ও ভেবেছিলেন যে, বার্লিন থেকে চাকরির জন্য তাঁকে ডাকা হবে৷ তাঁর কোনো ভাবনাই হালে পানি পায়নি৷ বরং নিজেই মিলিয়ে গিয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ – দুর্ভাগা প্রেসিডেন্ট
লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ৷ জনপ্রিয়তার কারণে ২০০৫ সালের নির্বাচনে সিডিইউ থেকে চ্যান্সেলর পদের জন্য অন্যতম প্রতিযোগী ছিলেন৷ কিন্তু পরে আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে সমর্থন দেন৷ অবশ্য প্রেসিডেন্ট পদের প্রশ্ন এলে তিনি ম্যার্কেলের প্রথম পছন্দ ছিলেন না৷ হর্স্ট ক্যোলারের হঠাৎ পদত্যাগের পর তিনি নির্বাচিত হন৷ অবশ্য পরে দুর্নীতির দায়ে সেই চাকরিও হারাতে হয়৷ মামলাও খেতে হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস – ক্ষমতার লড়াইয়ে পরাজয়
সাবেক ইউরোপীয় ও জার্মান সংসদ সদস্য ফ্রিডরিশ ২০০০ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত সিডিইউ/সিএসইউ পার্লামেন্টারি গ্রুপের চেয়ারম্যান ছিলেন৷ কিন্তু সিডিইউ নেতা ম্যার্কেল তাঁকে হটিয়ে চেয়ারম্যান হন, যা তিন বছর পর চ্যান্সেলর পদের জন্য লড়তে তাঁকে সহায়তা করে৷