1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবুল হোসেনের পদত্যাগ

২৩ জুলাই ২০১২

পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ পেতেই তাঁকে সরানো হল বলে ধারণা৷ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান বলেন, ‘এটি একটি সুখবর৷ সরকার এখন বিশ্ব ব্যাংকের ওপর ঋণের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে পারবে৷'

ছবি: dapd

পদ্মা সেতু প্রকল্পে মোট খরচ ধরা হয়েছে ২৯০ কোটি মার্কিন ডলার৷ এর মধ্যে বিশ্ব ব্যাংকের দেয়ার কথা ছিল ১২০ কোটি ডলার৷ তবে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শেষ পর্যন্ত বিশ্ব ব্যাংক এই ঋণ বাতিল করে৷ আর সে কারণে অন্যান্য দাতারাও পিছটান দেয়৷

পদ্মা সেতু প্রকল্পের রূপায়ন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছেছবি: DW/Swapan

পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তোলে গত বছর৷ তাদের অভিযোগ ক্যানাডার প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভালিনকে পরামর্শক নিয়োগ দিতে ঐ প্রতিষ্ঠানের কাছে শতকরা ১০ ভাগ কমিশন চেয়েছেন তখনকার যোগোযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনসহ যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা৷ সরকার এরপর যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে তাঁর মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়৷ কিন্তু তাতেও তুষ্ট হতে পারেনি বিশ্ব ব্যাংক৷ তারা ঋণ স্থগিত করে ৪টি শর্ত দেয়৷ যার একটি হল সৈয়দ আবুল হোসেনকে মন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেয়া৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকার পদ্মা সেতু প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি হয়নি দাবি করে সৈয়দ আবুল হোসেনকে মন্ত্রী পদে বহাল রাখে৷ আর তারই প্রতিক্রিয়ায় শেষ পর্যন্ত গত মাসে পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংক তার ১২৯ কোটি মার্কন ডলার ঋণ বাতিল করে৷

এরপর সরকার প্রকাশ্যে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের কথা বললেও বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে যোযোগাযোগ অব্যাহত রাখে৷ আর এই যোগাযোগের মূল দায়িত্ব পালন করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত৷ তিনি কয়েকিদন ধরেই বলে আসছিলেন যে, সরকার বিশ্ব ব্যাংকের ৪টি শর্ত পূরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে৷ যার আভাস পাওয়া যায় আজ সকালে৷ সকালে তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ না দেয়ায়, তাঁর পদত্যাগের গুজব ছড়িয়ে পড়ে৷ বিকেলে সেই গুজব সত্য হয়৷ সৈয়দ আবুল হোসেন বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর পদত্যাগ পত্র জমা দেন৷ পদত্যাগের বিষয়টি তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন৷

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, ‘‘বিশ্ব ব্যাংকের ৪টি শর্তই পূরণ হল৷ এখন আমররা পদ্মা সেতু নিয়ে এগিয়ে যেতে পারব৷''

সৈয়দ আবুল হোসেনের এই পদত্যাগের বিষয়টি গত ৮ মাস ধরে ঝুলে ছিল৷ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এটি একটি সুখবর৷ সরকার এখন বিশ্ব ব্যাংকের ওপর পদ্মা সেতুর ঋণ আদায়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে পারবে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ