ফিজিক্স বা পদার্থবিদ্যায় এবার নোবেল পুরস্কার পেলেন তিন বিজ্ঞানী। সুকুরো মানাবে, জর্জিও প্যারিসি এবং ক্লস হ্যাসেলম্যান।
বিজ্ঞাপন
নোবেল কমিটি জানিয়েছে, জটিল ফিজিক্যাল সিস্টেমকে বোঝার ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এই তিন বিজ্ঞানী নোবেল পুরস্কার পেলেন। এর মধ্যে মানাবে এবং হ্যাসেলম্যান পুরস্কার পাচ্ছন বিশ্বের উষ্ণায়ন সম্পর্কে ঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য এবং পৃথিবীর জলবায়ুর মডেলিং ও পরিবর্তনশীলতার পরিমাপ করার জন্য। তারা পুরস্কারের অর্ধেক অর্থ পাবেন। বাকি অর্ধেক পাবেন জর্জিও প্যারিসি।
নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, প্যারিসি এই সম্মান পেয়েছেন পারমাণবিক থেকে গ্রহের প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে আবিষ্কারের জন্য। তিনি একটি অত্যন্ত জটিল প্রাকৃতিক এবং গাণিতিক মডেল তৈরি করেছেন। এই মডেল গণিত, জীববিজ্ঞান, স্নায়ুবিজ্ঞান, মেশিন লার্নিং সহ বিভিন্ন জটিল বিষয়কে বুঝতে সাহায্য করবে।
জটিল বিষয়ের সহজ ব্যাখ্যা
এবার পদার্থবিদ্যায় যারা নোবেল পেয়েছেন, তারা খুব জটিল বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। কিন্তু তারা এই জটিল বিষয়গুলির সহজ ব্যাখ্যা দিয়েছেন, যা আমরা বুঝতে পারি এবং আবহাওয়ার বিষয়টি নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণীও করতে পারি। পদার্থবিদ্যায় নোবেল কমিটির সদস্য ও থিওরেটিক্যাল ফিজিক্সের অধ্যাপক হ্যান্স হ্যানসন বলেছেন, এটাই হলো আসল পদার্থবিদ্যা।
মুসলিম নোবেল বিজয়ীরা
১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হচ্ছে৷ তবে প্রথম মুসলমান নোবেলজয়ীর দেখা পাওয়া যায় ১৯৭৮ সালে৷ এখন পর্যন্ত ১২ জন মুসলিম নোবেল পেয়েছেন৷
ছবি: Getty Images/AFP
আনোয়ার আল-সাদাত, ১৯৭৮
মিশর আর ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি স্থাপনে ১৯৭৮ সালে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল৷ তাই মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার আল-সাদাত ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী মেনাখেম বেগিন নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন৷ ফলে প্রথম মুসলিম নোবেলজয়ী হন আনোয়ার আল-সাদাত৷
ছবি: Getty Images
মোহাম্মদ আব্দুস সালাম, ১৯৭৯
ইলেক্ট্রোউইক তত্ত্বের জন্য পদার্থবিদ্যায় যৌথভাবে নোবেল পান পাকিস্তানের আব্দুস সালাম৷ সঙ্গে ছিলেন স্টিভেন ওয়াইনবার্গ ও শেল্ডন লি গ্ল্যাশো৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নাগিব মাহফুজ, ১৯৮৮
সাহিত্যে নোবেল পাওয়া প্রথম মুসলিম হলেন মিশরের মাহফুজ৷ ৩৪টি উপন্যাস, সাড়ে তিনশ’র বেশি ছোটগল্প, কয়েক ডজন চলচ্চিত্রের গল্প লিখেছেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/Bildarchiv
ইয়াসির আরাফাত, ১৯৯৪
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনায় অবদান রাখায় শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ইয়াসির আরাফাত, শিমন পেরেস ও ইৎশাক রাবিন৷
ছবি: Getty Images
আহমেদ জেওইল, ১৯৯৯
প্রথম মুসলিম রসায়নবিদ হিসেবে নোবেল পান মিশরের জেওইল৷
ছবি: Imago Images/Xinhua/K. Ahmad
শিরিন এবাদি, ২০০৩
গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় অবদানের জন্য শান্তিতে নোবেল পান ইরানের শিরিন এবাদি৷
ছবি: Shirin Ebadi
মোহামেদ এল বারাদেই, ২০০৫
সামরিক কাজে পরমাণু শক্তির ব্যবহার প্রতিরোধ এবং পরমাণু শক্তির নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিতে ভূমিকা রাখায় মিশরের কূটনীতিক মোহামেদ এল বারাদেই ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা আইএইএ-কে শান্তিতে নোবেল দেয়া হয়৷
ছবি: imago stock&people
মুহাম্মদ ইউনূস, ২০০৬
দরিদ্র জনগণের জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের সুযোগ তৈরিতে ভূমিকা রাখায় শান্তিতে নোবেল পান বাংলাদেশের ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংক৷
ছবি: Getty Images/S. Vlasic
ওরহান পামুক, ২০০৬
‘মাই নেম ইজ রেড’ ও ‘স্নো’র মতো উপন্যাসের লেখক তুরস্কের পামুক৷ নোবেল পাওয়া প্রথম তুর্কি নাগরিক তিনি৷
ছবি: picture-alliance/Anadolu Agency/A. CoÅkun
তাওয়াক্কুল কারমান, ২০১১
নারীর নিরাপত্তা ও নারীর অধিকারের জন্য অসহিংস আন্দোলন করায় আরও দুই নারীর সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ইয়েমেনের কারমান৷ নোবেল পাওয়া প্রথম আরব নারী ও একমাত্র ইয়েমেনি নাগরিক তিনি৷
ছবি: dapd
মালালা ইউসুফজাই, ২০১৪
সবচেয়ে কম বয়সি নোবেলজয়ী হচ্ছেন পাকিস্তানের ইউসুফজাই৷ মেয়েদের শিক্ষা প্রসারে ভূমিকা রাখায় এই খেতাব পান তিনি৷
ছবি: picture-alliance/Zuma Press/Pacific Press/L. Roberto Lima
আজিজ সানজার, ২০১৫
ডিএনএ সংশোধন নিয়ে কাজ করায় থমাস লিন্ডাল ও পল মডরিচের সঙ্গে যৌথভাবে রসায়নে নোবেল পান তুরস্কের সানজার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Z.Akyil
12 ছবি1 | 12
তার মতে, পদার্থবিদ্যা মানে শুধু আলোর গতিবেগ বা পৃথিবীর সূর্য প্রদক্ষিণের বিষয় নয়। পদার্থবিদ্যা তত্ত্ব তৈরি করে। তত্ত্বের জটিল ব্যাখ্যা সামনে আনে। এবার যারা নোবেল পেয়েছেন, তারা সেই কাজটিই করেছেন।
মেডিসিনে নোবেল
এবার মেডিসিনে যৌথ ভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ডেভিস জুলিয়াস ও আর্ডেম পাতাপৌতিয়ান। তারা এই সম্মান পেলেন 'রিসেপ্টরস ফর টেম্পারেচার অ্যান্ড টাচ' বিষয়ে তাদের আবিষ্কারের জন্য। সোমবার তাদের নাম ঘোষণা করেন নোবেল কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল থমাস পার্লম্যান।