1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুফি ঘরানায় বড়দিনের গান

দেবারতি গুহ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫

যিশুখ্রিষ্ট আর হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মদিন এবার একই দিনে৷ মানে বড়দিন আর ঈদ-ই মিলাদুন্নবী হয়েছে একাকার৷ কেউ কেউ একে হয়ত বিরল ঘটনা বলবেন, কিন্তু এটা আন্তঃধর্মীয় সম্প্রতি, পরধর্ম সহিষ্ণুতার একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত নয় কি?

Beirut Weihnachten Karneval
ছবি: picture-alliance/dpa/N. Mounzer

আমি তো বলবো ‘অবশ্যই'৷ যদিও নেহাতই বর্ষচক্রের পরিক্রমায় আজ বড়দিন আর ঈদ-ই মিলাদুন্নবী এক সঙ্গে পালন করছে বিশ্বের অন্যতম প্রধান দুটি ধর্মের মানুষ৷ কিন্তু এটা এমন একটা সময় ঘটলো, যখন ধর্মের নামে, ধর্মকে মুখোশ বানিয়ে চলেছে মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব, হত্যা, বারে বারে মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে জঙ্গিবাদ৷

অথচ নিজের যে ধর্মের প্রতি বিশ্বাস অথবা অবিশ্বাস থাকুক না কেন, অন্যের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া কথাই বলেছিলেন যিশু৷ আর ইসলাম শব্দের একটি অর্থও শান্তি৷ তাই অন্যের ধর্মের প্রতি সহিষ্ণুতাকেই বারবার শ্রেয় মনে হয়েছে, মনে হয়েছে মানুষ, মানবতা, মানবিকতার প্রতি আস্থাই পরম ‘ধর্ম'৷

‘সবার উপর মানুষ সত্য, তাহার উপর নাই' – এই ভিডিও-টিতেও যেন ঠিক সেই কথাটাই উঠে এসেছে৷ বড়দিনের গানগুলোকে সুফি ঘরানায় পরিবেশন করা হয়েছে এখানে৷ মোমবাতির আলোয়, সংগীতের মূর্ছনায় সৃষ্টি হয়েছে এক মহাজাগতিক পরিবেশ৷

ভিডিও-টা দেখলে তাই আপনিও আপ্লুত হবেন৷ এত হাহাকার, ত্রাস আর বৈরিতার মধ্যে খুঁজে পাবেন শান্তির নীড়, যেন দেখতে পাবেন আশার আলো৷ আমার মতো আপনারও মনে হবে – না, এই ঘন তামসেও আলোর দেখা পাওয়া যায়, একটু চেষ্টা করলেই৷ এখনও যে সবটা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়নি, মানবিকতা যায়নি হারিয়ে৷

প্রসঙ্গত, যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন ২৫শে ডিসেম্বরকে বড়দিন বা ক্রিস্টমাস ডে হিসাবে পালন করে থাকেন খ্রিষ্টানরা৷ ইসলাম ধর্মে তিনিই হযরত ঈসা (আ.) নামে পরিচিত৷ আর হিজরি সালের রবিউল আওয়াল মাসের ১২ তারিখ (৫৭০ খ্রিষ্টাব্দ) হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মদিনকে ঈদ-ই মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে আসছেন বিশ্বের মুসলমানরা৷

ভিডিও-টা দেখে কেমন লাগলো? জানান নীচের মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ