1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরমাণু চুক্তি বাতিল হলে রাশিয়ার লাভ

২৩ অক্টোবর ২০১৮

ঠান্ডা যুদ্ধের পরে সোভিয়েত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে হওয়া মাঝারি পাল্লার পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণের চুক্তি আইএনএফ থেকে সরে যাবার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প৷ এ নিয়ে রাশিয়া ও চীনের বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলেছে ডিডাব্লিউ৷

USA, Washington: Trump hält eine Kabinettssitzung im Weißen Haus
ছবি: Reuters/K. Lamarque

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা অভিযোগ করেছেন, পুরো বিশ্বের ওপর কর্তৃত্ব বজায় রাখতে ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি থেকে সরে এসেছে৷ মস্কো চুক্তির কোনো শর্ত ভঙ্গ করেনি বলেও দাবি করেছেন তিনি৷

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অস্ত্র বিস্তার রোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিভাগের উপপরিচালক আন্দ্রেই বেলৌসভ জাতিসংঘের নিরস্ত্রীকরণ কমিটিকে জানান যে,পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ট্রাম্পপ্রশাসনের নতুন ভাবনা নিয়ে তারা ‘বিশেষভাবে শঙ্কিত'৷

তিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র স্বল্প পরিসরে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার যে নীতি গ্রহণ করেছে, তাতে এ অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে বাধা তা-ও ক্ষীণ হয়ে আসবে৷ এতে করে ‘সীমিত আকারের পরমাণু যুদ্ধের শঙ্কা' আবার তৈরি হবে৷

রাশিয়া পরমাণু অস্ত্রের উৎপাদন বাড়িয়ে যাচ্ছে, এ যুক্তিতে ট্রাম্প প্রশাসন তাদের এ ধরনের অস্ত্রের সক্ষমতা বৃদ্ধির যে তত্ত্ব তৈরি করেছে, তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন বেলৌসভ৷ তিনি বলেন, ‘‘রাশিয়ায় এখন পরমাণু অস্ত্রের সমাহার ঐতিহাসিকভাবে সর্বনিম্ন পর্যায়ে আছে৷''

এদিকে, মস্কো থেকে ডয়চে ভেলেকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার সমর ও রাজনীতি বিশ্লেষক পাভেল ফেলগেনহাউয়ার একে এক ‘নতুন ঠান্ডা যুদ্ধ' বলে অভিহিত করেন৷ তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে সরে গেলে আসলে লাভ হবে রাশিয়ার৷

‘‘২০০৭ সালের অক্টোবরে পুটিন জনসমক্ষে বলেছিলেন যে, চুক্তিটি দ্বিপাক্ষিক না রেখে আন্তর্জাতিক না করা হলে রাশিয়া সরে যাবে চুক্তি থেকে৷ কারণ, যে ধরনের মিসাইলের কথা বলা আছে চুক্তিতে, তা রাশিয়া বা যুক্তরাষ্ট্র কারোরই নেই৷ কিন্তু চীনের আছে৷ চীনকে জড়িয়ে ঠিক সেই যুক্তিই এখন যুক্তরাষ্ট্র তুলে এনে চুক্তি থেকে সরে যাবার কথা বলছে,'' ডিডাব্লিউকে বলেন পাভেল৷

পাভেল আরো বলেন, ‘‘এই চুক্তি থেকে সরে গেলে অদূর ভবিষ্যতে লাভটা আসলে রাশিয়ারই৷ রাশিয়া এরই মধ্যে এমন সব ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে এবং বসিয়েছেও৷ আইএনএফ চুক্তি থেকে সরে গেলে সঙ্গে সঙ্গেই তারা এগুলো পরীক্ষা করতে নেমে পড়বে৷ তারা এরই মধ্যে সাবমেরিন, ফ্রিগেট এসবের মধ্যে এই ক্ষেপণাস্ত্র বসিয়েছে৷ কিন্তু চুক্তি উঠে গেলে বসাতে পারবে ট্রাকের মধ্যে, যা অনেক বেশি সাশ্রয়ী হবে এবং লুকিয়ে রাখা সহজ হবে৷''

‘‘যুক্তরাষ্ট্র যতদিনে এসব ক্ষেপণাস্ত্র আবার তৈরি করবে, ততদিনে কয়েক বছর পেরিয়ে যাবে৷ তাই আদতে লাভ হবে রাশিয়ারই,'' বলেন পাভেল৷

চীনের ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই চুক্তিতে উল্লেখ করা মাঝারি পাল্লার৷ তাই তারা চুক্তিতে এলে ৯০ শতাংশ পরমাণু অস্ত্র ধ্বংস করতে হবে, যা তারা কখনোই করবে না বলে মনে করেন এই রাশিয়ান বিশ্লেষক৷

এদিকে, চীনে রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক শি ইংহোং ডয়চে ভেলেকে বলেন, আইএনএফ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে গেলে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এমন অস্ত্র তৈরির এক নতুন প্রতিযোগিতা তৈরি হবে৷

‘‘ যদি যুক্তরাষ্ট্র প্রশান্ত মহাসাগরে মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র স্টেশন তৈরি করে, যেমন গুয়ামে করতে পারে, তাহলে চীনও সেভাবেই তাদের পাল্টা ব্যবস্থা নেয়া শুরু করবে,'' ডিডাব্লিউকে বলেন শি৷

‘‘সব মিলিয়ে এই চুক্তি থেকে সরে যাওয়া মানে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আবারো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়া,'' বলেন তিনি৷

জেডএ/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ