1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অস্বস্তিতে ভারত

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১২ মার্চ ২০১৩

পরমাণু শক্তি ইস্যুতে ভারতে অস্বস্তি বাড়ছে – বিশেষ করে বেসামরিক পরমাণু প্রকল্পে৷ নতুন যে সব পরমাণু প্রকল্পের কাজ সরকার হাতে নিয়েছে, স্থানীয় মানুষজনের প্রতিবাদ বিক্ষোভে তার কাজ আপাতত স্থগিত৷

ছবি: AP

ভারতে পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে বাড়তে থাকা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক ইউকিয়া আমানোর ৫ দিনের ভারত সফর তাৎপর্যপূর্ণ৷ তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে যে সব নতুন পরমাণু বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ সরকার হাতে নিয়েছে, স্থানীয় লোকজনদের প্রতিবাদ বিক্ষোভে তার কাজ আপাতত স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছে সরকার৷ আমানো ভারতের বিভিন্ন পরমাণু শক্তি দপ্তরের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে পরমাণু কেন্দ্রগুলির নিরাপত্তার নতুন মাপকাঠি এবং অন্যান্য সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করবেন৷ কথা হবে ভারতের বিতর্কিত পরমাণু দায়বদ্ধতা ধারা নিয়ে৷

আন্দোলনকারীদের প্রধান উদ্বেগ নিরাপত্তাছবি: picture-alliance/dpa

পরমাণু সরঞ্জাম সরবরাহকারী দেশগুলি ভারতের ওপর থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেয়ায় আন্তর্জাতিক পরমাণু চুল্লি সরবরাহকারী কোম্পানিগুলি এই ধারা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে৷ চুল্লিতে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ বর্তাবে সরবরাহকারী কোম্পানির ওপর৷ উল্লেখ্য, ভারতে এখন ২০টি পরমাণু চুল্লি চালু আছে৷ আরো ৭টি বসানো হচ্ছে৷ ২০৩২ সাল নাগাদ ভারতে পরমাণু বিদ্যুত উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৩ হাজার মেগাওয়াট৷

প্রতিবাদ আন্দোলন কেন?

কিছু এনজিও-র নেতৃত্বে পরমাণু প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী আশপাশের লোকজনদের বক্তব্য, তাদের প্রধান উদ্বেগ নিরাপত্তা৷ জাপানের ফুকুশিমা পরমাণু কেন্দ্রের দুর্ঘটনা তাদের ভীতি বাড়িয়ে দিয়েছে৷ তামিলনাড়ুর আন্দোলনকারীরা মনে করে, পরমাণু কেন্দ্রের বর্জ্য পদার্থ সমুদ্রের জলে মিশলে উপকূলবর্তী মৎসজীবীদের রুজি-রোজগার মার খাবে৷ মহারাষ্ট্রের আন্দোলনকারীদের মতে, বর্জ্য পদার্থে উপকূলের ম্যানগ্রোভ বা বাদাবন বিনষ্ট হবে৷ জৈব বৈচিত্র্য তথা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে৷ গুজরাটের সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের ক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য৷ এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয় জনস্বার্থ মামলা৷ পশ্চিমবঙ্গের হরিপুরে রাজ্য সরকার পরমাণু কেন্দ্র বসানোর অনুমতি দেয়নি এইসব কারণে৷

পরমাণু অস্ত্রের ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা

পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ সম্মেলনে ভারত তার নীতি স্পষ্ট করেছে৷ যেমন, ভারত কখনই প্রথমে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে না৷ তবে আক্রান্ত হলে পাল্টা আঘাত হানবে দ্বিগুণ শক্তিতে৷ কোনো দেশ যদি ভারতের বিরুদ্ধে জীবাণু ও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে, তাহলে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের অধিকার থাকবে ভারতের৷ পরমাণু অস্ত্রহীন কোন দেশের বিরুদ্ধে ভারত পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে না৷ প্রতিরক্ষার জন্য পরমাণু অস্ত্রের কমান্ড ও কন্ট্রোল থাকবে রাজনৈতিক নেতৃত্বের হাতে৷ পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ নিবারণে ন্যূনতম পরমাণু অস্ত্র মজুত রাখা হবে৷ আন্তর্জাতিক পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ হতে হবে বৈষম্যহীন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ