1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরমাণু সম্মেলন

২৭ মার্চ ২০১২

পরমাণু নিরাপত্তা বিষয়ক দু’দিনের সম্মেলন শেষ হলো দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সৌলে৷ ঠিক এই অঞ্চলেই এই মুহূর্তে পরমাণু সংকটের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি৷ বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান একারণে বেশ আতঙ্কে ভুগছে৷

U.S. President Barack Obama looks along the border between North and South Korea at Observation Post Ouellette along the DMZ outside Seoul, March 25, 2012. Obama is in South Korea to attend the 2012 Nuclear Security Summit. REUTERS/Larry Downing (SOUTH KOREA - Tags: POLITICS MILITARY TPX IMAGES OF THE DAY)
উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে ওবামাছবি: AP

সমস্যা উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে৷ কিম জং ইল'এর মৃত্যুর পর তাঁর তরুণ পুত্র কিম জং উন যখন ক্ষমতা গ্রহণ করলেন, তখন অনেকেই আশা করেছিলেন যে সেদেশ পরমাণু কর্মসূচি পুরোপুরি বর্জন করতে চলেছে৷ ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে এই মর্মে একটি বোঝাপড়াও হয়েছে৷ কিন্তু তারপর এল স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনার খবর৷ মহান নেতা কিম জং ইল'এর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেদেশ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জানালো পিয়ং ইয়ং৷ আগামী মাসেই উৎক্ষেপণ করা হবে এই স্যাটেলাইট, যার কাজ হবে আবহাওয়ার পূর্বাভাষ দেওয়া৷ কিন্তু প্রায় সবারই সন্দেহ, এই অভিযানের আসল উদ্দেশ্য হলো দূর পাল্লার রকেট পরীক্ষা করা৷ কারণ যে রকেট স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করতে পারে, তা পরমাণু বোমা সহ ক্ষেপণাস্ত্র বহন করে বহু দূরে গিয়ে আঘাতও হানতে পারে৷ সেক্ষেত্রে অ্যামেরিকার ভূখণ্ডও উত্তর কোরিয়ার আওতায় চলে যাবে৷

সৌলে পরমাণু নিরাপত্তা সম্মেলনে এই বিষয়টি নিয়েই সোচ্চার হয়ে উঠেছে জাপান৷ আলোচ্যসূচি থেকে সরে এসে মঙ্গলবার সেদেশ উত্তর কোরিয়ার কড়া সমালোচনা করেছে৷

পরমাণু নিরাপত্তা বিষয়ক সম্মেলনের একাংশছবি: Reuters

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সম্মেলনে সন্ত্রাসবাদীদের হাতে পরমাণু অস্ত্র চলে যাওয়ার আশঙ্কা নিয়ে চিন্তিত৷ সম্মেলনের শেষে চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রেও ভুল হাতে পরমাণু উপকরণ চলে যাওয়ার সম্ভাবনা বন্ধ করার ডাক দেওয়া হয়েছে৷ তবে এই লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপ সম্পর্কে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেন নি উপস্থিত নেতারা৷

উত্তর কোরিয়া ছাড়াও ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচির বিষয়টিও সম্মেলনে উঠে এসেছে৷ আলোচ্যসূচিতে অবশ্য আলাদা করে এই দুই দেশের উল্লেখ ছিল না৷ দুই দেশের কোনো প্রতিনিধিকেও সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয় নি৷ উত্তর কোরিয়া গত সপ্তাহেই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, সম্মেলনে আলাদা করে সেদেশের উল্লেখ করলে তা প্ররোচনা হিসেবে বিবেচনা করা হবে৷

সম্মেলনের ফলাফল নিয়ে খুশি নন অনেক বিশেষজ্ঞ৷ তাদের মতে, আলোচনা ছাড়া সেখানে কিছুই হয় নি৷ কোনো সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন নেতারা৷ আগামী বছর নেদারল্যান্ডস'এ এই সম্মেলনের পর ভবিষ্যতে হয়তো এই কাঠামোই আর থাকবে না বলে মনে করছেন অনেকে৷ ক্ষমতায় আসার পর ওবামাই ওয়াশিংটনে এই উদ্যোগ শুরু করেছিলেন৷ তিনি নিজে অবশ্য মনে করেন, পারস্পরিক সমন্বয়ের ফলে বিশ্ব আগের তুলনায় অনেক নিরাপদ হয়ে গেছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ