1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরিত্যক্ত ধ্বংসস্তূপের ছবি তোলেন যিনি

৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ফটোগ্রাফারদের বিষয়ের অভাব নেই৷ যেমন জার্মানির এক আলোকচিত্রী পেশা জীবনে নিসর্গের ছবি তুললেও ধ্বংসস্তূপ ও পরিত্যক্ত জায়গাই তাঁর বিশেষ পছন্দের বিষয়৷ লুপ্তপ্রায় এই চিহ্নগুলিকে তিনি অমর করে তুলছেন৷

Euromaxx
ছবি: DW

আদিকাল ধরে ধ্বংসস্তূপ ও পরিত্যক্ত জায়গা মানুষকে বিশেষভাবে আকর্ষণ করে৷ এমন সব জায়গা সেখানকার এককালের বাসিন্দা ও তাদের পরিণতি সম্পর্কে জল্পনাকল্পনা তরান্বিত করে৷ স্টেফান হেফেলে তাঁর বন্ধু ফেলিক্স রোসার-এর সঙ্গে এমন সব জায়গায় গিয়ে সেখানকার অতীত সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন৷ স্টেফান বলেন, ‘‘এখানে নিখুঁতভাবে দেখা যাচ্ছে, যে ছাদ ভেঙে পড়েছে, জানালাগুলি ভেঙে দেওয়া হয়েছে৷ দেওয়ালের প্লাস্টার ঝরে পড়ছে৷ সবকিছুই ভঙ্গুর৷ মোটিফ হিসেবে দারুণ৷''

এককালে সেখানে ছুটি কাটানোর কেন্দ্র ছিল৷ ১৯২০-র দশকে সেটি তৈরি হয়েছিল৷ এখনো যেন শিশুদের কলকাকলি শুনতে পাওয়া যায়৷ ১৯৭০-এর দশকের শেষ পর্যন্ত তারা সেখানে ছুটি কাটিয়েছে৷ নিজের সৃষ্টিকর্ম সম্পর্কে স্টেফান হেফেলে বলেন, ‘‘আমি আমার ছবির মধ্যে এমন জায়গা সম্পর্কে নিজের অনুভূতির প্রতিফলন ঘটাতে চাই৷ মনে ভয় আসে, গা শিরশির করে, বুক ধুকপুক করে, অ্যাড্রিনালিন চাগিয়ে ওঠে৷ আলো ও ছায়ার মাধ্যমে আমি ঠিক সেই অনুভূতি ফুটিয়ে তুলতে চাই৷ আমার তোলা ছবির মধ্যেই তা যেন টের পাওয়া যায়৷ সবকিছু স্পষ্ট দেখা গেলে চলবে না. নিসর্গের ছবির মতো এ ক্ষেত্রেও একটা আমেজ যেন থাকে৷'' 

ধ্বংসস্তূপের আলোকচিত্রী

03:39

This browser does not support the video element.

স্টেফান পেশায় ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফার৷ সারা দুনিয়া চষে বেড়াচ্ছেন৷ কখনো অ্যামেরিকার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, কখনো বা হাওয়াই দ্বীপের ঘন জঙ্গলের ছবি তোলেন তিনি৷ তাঁর অনেক সৃষ্টিকর্ম পুরস্কার পেয়েছে৷ বিশ্বের অন্যতম নেতৃস্থানীয় ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফার হিসেবে তাঁকে গণ্য করা হয়৷

শৈশব থেকেই পরিত্যক্ত বাড়িঘর তাঁকে আকর্ষণ করো৷ একটি বইয়ে তারই কিছু ঝলক দেখা যায়৷ এককালের সাজানো ভিলা, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বাংকার, আড়ালে চলে যাওয়া চ্যাপেল অথবা বহু দশক আগে বাতিল কোনো কারখানার ছবি সেই বইয়ের পাতায় শোভা পাচ্ছে৷

কৌতূহলি মানুষদের দূরে রাখতে অতীতের ছুটি কাটানোর কেন্দ্রের মতো পরিত্যক্ত জায়গার অবস্থান তিনি গোপন রাখেন৷ তাছাড়া এমন সব জায়গা সাধারণত ভঙ্গুর হওয়ার কারণে মানুষের জন্য বিপজ্জনক৷ সে সব জায়গায় পৌঁছানোও বেশ কঠিন কাজ৷ সে কারণে স্টেফান কখনো একা এমন সব জায়গায় যান না৷ 

তবে সঠিক মোটিফ খোঁজার কাজ মোটেই সহজ নয়৷ স্টেফান হেফেলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্যাটেলাইটের তোলা ছবি তন্নতন্ন করে খোঁজেন৷ এমনই একটি সম্ভাব্য গন্তব্য দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দেখা যাচ্ছে, জায়গাটি পরিত্যক্ত৷ এমনকি ছাদও অবশিষ্ট নেই৷ এমন জায়গার সন্ধান সহজেই পাওয়া যায়৷ কঠিন জায়গাগুলির হদিশ পেতে হলে প্রাসঙ্গিক ব্লগ পড়তে হয়৷ সেখানে ছাদ অক্ষত আছে, ভিতরে এখনো সবকিছু সুন্দর৷ নতুন করে কিছুই পাওয়ার সম্ভাবনা নেই৷ অনেক সময় পাশ দিয়ে যাবার সময় কাকতালীয়ভাবে এমন জায়গা চোখে পড়ে৷''

ব্ল্যাক ফরেস্টের ফ্যাশন

02:21

This browser does not support the video element.

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যে সব বিস্মৃত জায়গা হারিয়ে যাচ্ছে, স্টেফান হেফেলে সেগুলি নথিভুক্ত করছেন৷ এভাবে তিনি পরিত্যক্ত জায়গাগুলিকে স্মৃতিসৌধ করে তুলছেন৷

ক্রিস্টিয়ান ভাইবেসান/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ