1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরিবেশবান্ধব ব্যবসা

শার্লটা লোমাস/এপিবি২৪ মে ২০১৫

প্যারিসে চলছে বিজনেস অ্যান্ড ক্লাইমেট সম্মেলন৷ ডয়চে ভেলেকে ইউএনএপসিসিসি-র নিক নাটাল জানিয়েছেন নতুন জলবায়ু চুক্তি নিয়ে তার প্রত্যাশার কথা৷

Deutschland Förderturm Steinkohlebergbau
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Weihrauch

ডয়চে ভেলে: প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনের প্রায় দুইশ দিন বাকি৷ জলবায়ু চুক্তিতে পৌঁছানোর ব্যাপারে আপনি কতটা আশাবাদী?

আমি ডিসেম্বরে প্যারিসে হতে যাওয়া চুক্তি নিয়ে আশাবাদী৷ বর্তমানে এখানে ৪০টি দেশের প্রতিনিধি আছে, আলোচনা চলছে৷ এই আলোচনা থেকে অনেক পরিকল্পনা বেরিয়ে আসছে, যা ডিসেম্বরের সম্মেলনে চুক্তি সম্পাদনে সাহায্য করবে৷ এছাড়া ডিসেম্বরের আগে দফায় দফায় বেশ কিছু বৈঠকের কথা রয়েছে এই সম্মেলন নিয়ে৷

ডয়চে ভেলে: সাম্প্রতিক দুটি গবেষণায় দেখা গেছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলো যদি পর্যাপ্ত পদক্ষেপ না নেয়, তবে ২০৫০ সাল নাগাদ বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২ ডিগ্রির বেশি বেড়ে যাবে৷ জলবায়ু সম্মেলনে এসব গবেষণার ফলাফল কী ভূমিকা রাখবে?

এটা অজানা কোন বিষয় নয়৷ বেশ কিছুদিন ধরেই আমরা এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে আসছি৷ তাই এটা বলা বাহুল্য যে প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে চুক্তিতে পৌঁছানো ছাড়া কোন বিকল্প পথ নেই৷ ধনী দেশগুলো বলে থাকে যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ হচ্ছে, তারা সবুজ গাছ লাগিয়ে তা পুষিয়ে দেযার চেষ্টা করবেন৷ কিন্তু বিষয়টা হচ্ছে এটা তো খুব অল্প সমযে সম্ভব না৷ তাই অন্য চিন্তা করতেই হবে৷

নিক নাটালছবি: Nick Nuttall

ডয়চে ভেলে: এই লক্ষ্য পূরণে আর কী কী পদক্ষেপ নেয়া উচিত? ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কী ভূমিকা হতে পারে?

এটা বলতেই হবে প্যারিসে যাই হোক না কেন একদিনে সবকিছু পালটে যাবে না৷ তারপরও আমরা আশা করি একটা সমাধানের রাস্তা খুঁজে পাবো আমরা৷ আর সেভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবো৷

একটা বিষয় পরিষ্কার যে দেশের সরকার একা এই লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে না, এই ক্ষমতা তাদের নেই৷ এজন্য কোম্পানিগুলোর ভূমিকা অনেক বড়৷ তাই এই বিষয়ে রাষ্ট্রীয় এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একধরনের সেতুবন্ধন রচনা করতে হবে৷

ডয়চে ভেলে: প্যারিসে বর্তমানে যে ব্যবসা সম্মেলন চলছে, সেটা জলবায়ু সম্মেলনের আলোচনা প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে কতটা ভূমিকা রাখবে?

জলবায়ু সম্মেলনকে কেন্দ্র করে এ বছর বেশ কিছু বড় ইভেন্ট বা আয়োজন চলছে বিশ্ব জুড়ে৷ যেমন জি-৭, জি-টোয়েন্টিতে জলবায়ু পরিবর্তন বিষযটি প্রাধান্য পাচ্ছে৷ এছাড়া আরো কিছু সম্মেলন হয়েছে৷ এছাড়া গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে ইউনিলিভার-এর মত বেশ কিছু বড় কোম্পানির প্রতিনিধিরা আলোচনায় জানিয়েছিলেন তাদের কথা৷ তারাও চান জলবায়ু বান্ধব বিশ্ব৷

ডয়চে ভেলে: ডিসেম্বরের জলবায়ু সম্মেলনে এই ব্যবসা সম্প্রদায়ের কাছ থেকে আপনার প্রত্যাশা কী?

লিমায় গত জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে একটা উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল লিমা টু প্যারিস অ্যাকশন অ্যাজেন্ডা৷ তখনই ঠিক করা হয়েছিল প্যারিসের ছোট ছোট শহর থেকে বড় বড় ব্যবসা সমৃদ্ধ শহরগুলোতে এই উদ্যোগকে যাতে ছড়িয়ে দেয়া যায়৷ তাই আমরা আশা করছি ডিসেম্বরের সম্মেলনে অনেক কোম্পানি অংশগ্রহণ করবে৷ তাদের মধ্য থেকে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহার এবং শূন্য কার্বন নিঃসরণের প্রস্তাব আসবে বলে আশা করছেন তিনি৷

নিক নাটাল বর্তমানে জার্মানির বন শহরে আছেন, যেখানে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন নিয়ে কাজ করছেন৷ ২০০১ সালে এখানে যোগ দেয়ার আগ পর্যন্ত প্রযুক্তি ও পরিবেশ নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য বেশ কিছু পুরস্কার জিতেছেন তিনি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ