1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরিবেশবান্ধব শহর হতে চায় ম্যানিলা

৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১

ফিলিপাইন্সের ম্যানিলার পাসিগ এলাকার কয়েকজন পিয়ন তাদের কাজে ইলেকট্রিক মোটর সাইকেল ব্যবহার করছেন৷ কারণ, পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে পরিচিত হতে চায় ম্যানিলা৷ তাই জাতিসংঘ ও সরকারের অর্থায়নে সেখানে একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে৷

ম্যানিলার রাস্তায় ইলেকট্রিক মোটর সাইকেল
ম্যানিলার রাস্তায় ইলেকট্রিক মোটর সাইকেল (বামে)ছবি: DW

ম্যানিলায় এক কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ বাস করেন৷ অনেকদিন ধরেই শহরের অন্যতম এক সমস্য়া বায়ুদূষণ৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, দেশটিতে বায়ুদূষণজনিত মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি৷

প্রতিদিন সকালে যানজট পেরিয়ে চিঠি বিলি করেন আলবার্ট লাজাদা৷ তবে তিনি শহরের অল্প কয়েকজনের মধ্যে একজন যিনি ইলেকট্রিক মোটর সাইকেল চালান৷ সে কারণে তিনি নীরবে এবং কোনো দূষণ না ছড়িয়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে পারেন৷

ম্যানিলার ইলেকট্রিক মোটর সাইকেল

03:21

This browser does not support the video element.

আলবার্ট লাজাদা বলেন, ‘‘মেট্রো ম্যানিলার পাসিগ এলাকায় আমি সবসময় ইলেকট্রিক মোটর সাইকেল ব্যবহার করি৷ এতে শব্দ হয় না এবং এটা বায়ু দূষিতও করে না৷ জ্বালানি খরচও বেচে যায়৷ আমার আশেপাশে থাকা অন্য মোটর সাইকেল থেকে অনেক শব্দ হয়৷ নিজের মোটর সাইকেলে চড়তে আমার খুব ভালো লাগে৷ মানসিক চাপ অনেক কম হয়৷’’

জাতিসংঘ ও ফিলিপাইন্সের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের যৌথ অর্থায়নে পরিচালিত এক প্রকল্পের আওতায় কয়েকজন পিয়নকে ইলেকট্রিক মোটর সাইকেল দেয়া হয়েছে৷ এমন প্রায় ৩০টি মোটর সাইকেল আছে৷

পরিবেশবান্ধব শহর হিসেবে পরিচিত হতে চায় ম্যানিলা৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট ইনিশিয়েটিভের অর্থায়নে বিশ্বের দশটি শহরে ইলেকট্রোমোবিলিটি কর্মসূচি চলছে৷

তবে এটা সহজ নয়৷ পাসিগের মেয়র ভিকো সত্তো বলছেন, পরিবর্তন খুব তাড়াতাড়ি প্রয়োজন৷ ‘‘জলবায়ু পরিবর্তন আর বায়ুদূষণ বিশ্বের দুটি বড় সমস্যা৷ ম্যানিলা মেট্রোপলিটন এলাকায় অবস্থিত পাসিগেও বায়ুদূষণ একটি বড় সমস্যা৷ সম্প্রতি আমরা গ্রিনহাউস নির্গমনের পরিমাণ যাচাই করে জানতে পেরেছি যে, এখানকার বায়ুদূষণ উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়েছে৷  ভবিষ্যতে এর পরিমাণ কমাতে আমাদের যা যা প্রয়োজন, করতে হবে৷’’

নাসিমার পরিবেশবান্ধব কলম

03:11

This browser does not support the video element.

ইলেকট্রোমোবিলিটি কর্মসূচি থেকে লাভবান হতে চায় তোজো মোটর্স৷ গত সাত বছর ধরে তারা এই ‘জিপনি’র মতো ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরি করছে৷ বর্তমানে তারা সব মোটর পার্টস চীন থেকে আমদানি করছে৷

তোজো মোটর্সের ইভান কুইন বলেন, ‘‘লক্ষ্য হলো, স্থানীয় ক্রেতাদের জন্য স্থানীয়ভাবে গাড়ি তৈরি করা৷ আমরা চাই, গণপরিবহণ ও ব্যক্তিমালিকানাধীন পরিবহণ হিসেবে ফিলিপাইন্সের নাগরিকরা ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবহার করুক৷’’

তবে এখনও তারা ফিলিপাইন্স সরকার আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাহায্যের উপর নির্ভরশীল৷ তাছাড়া এখনো দেশটিতে ইলেকট্রোমোবিলিটি সেভাবে গড়ে ওঠেনি৷

তোজো মোটর্সের প্রকৌশলী জোসে বিয়েনভেনিদো ম্যানুয়েল বিওনা বলেন, ‘‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ইলেকট্রিক ব্যাটারি৷ এটি ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা ও এর আকার, এই দুইয়ের মধ্যে একটা ভালো সমন্বয় বের করতে হবে৷’’

এই মুহূর্তে ফিলিপাইন্সে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য খুব কম লোকই ইলেকট্রিক গাড়ি কিনছেন৷

ইউলিয়া হেনরিশমান, ইনকি নাকপিল/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ