1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি'র খোঁজে

আরাফাতুল ইসলাম৫ মার্চ ২০০৮

সেবিট মেলা প্রাঙ্গন, হানোফার: পৃথিবীতে বাড়ছে মানুষ৷ কমছে প্রাকৃতিক সম্পদ৷ ধ্বংস হচ্ছে গাছপালা তথা সবুজ পরিবেশ৷ আর এসবের বিরুপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মানুষের জীবনযাপনের উপর৷ তাহলে উপায় কি? মানুষকেতো অবশ্যই বাঁচতে হবে, আর ঠিক সে জন্যই বাচাঁতে হবে প্রকৃতিকে৷ জার্মানীর সেবিট মেলাতেও

সবার নজর শক্তি বা বিদুত্ সাশ্রয়ের দিকে
সবার নজর শক্তি বা বিদুত্ সাশ্রয়ের দিকেছবি: DW/ Arafatul Islam

�ুরুত্ব পেয়েছে বিষয়টি৷ এজন্য মেলার থিম গ্রিন আইটি, সহজ করে বলতে গেলে পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি৷

পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি তৈরি করতে গিয়ে উদ্ভাবকরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন বিদুত্ সাশ্রয়ের দিকে৷ আর তাই সেবিটের গ্রীন আইটি ভিলেজে গিয়ে দেখা মিললো নতুন এক মনিটরের৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যেটা হয় ব্যবহারকারীরা কম্পিউটার বন্ধ করলেও মনিটরটি বন্ধ করতে ভুলে যায়৷ অথচ মনিটরও কিন্তু কম বিদুত্ খায় না৷ নতুন উদ্ভাবিত মনিটরটি সেক্ষেত্রে বেশ স্মার্ট৷ কম্পিউটার বন্ধ করার সঙ্গে নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে মনিটরটি৷ ফলে বিদুত্ সাশ্রয় হবে অনেক৷ ইউরোপীয়ান প্রতিষ্ঠান ফুজিত্সু-সিমেন্স যৌথভাবে তৈরি করছে এই মনিটর৷ কথা হচ্ছিল ঐ প্রতিষ্ঠানের ইভেন্ট ম্যানেজার মার্ক ওয়েসকেম্প এর সঙ্গে৷ তিনি বললেন, আমরা এমন ধরনের প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে চাচ্ছি যেটা বিদ্যুত্ও সাশ্রয় করবে৷ পরিবেশ বাচাঁনো অবশ্যই জরুরী তবে ব্যবসার দিকটাও দেখতে হবে৷ সুতরাং আমাদের শ্লোগান হচ্ছে ভালো বিশ্বের জন্য ভালো ব্যবসা৷ নতুন উদ্ভাবিত পন্যগুলো কিছুটা দামী৷ তবে যে কেউ বছরখানেকের মধ্যে এর সুফল পেতে শুরু করবে৷

এই মনিটর কিন্তু সহসাই পাওয়া যাবে না এশিয়া'র বাজারে৷ অপেক্ষা করতে হবে অন্তত্ব বছর দুয়েক৷

গ্রিন আইটি ভিলেজে দেখা মিললো ক্লাইমেট সেভারস নামক একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে৷ ইন্টেল, গুগোল, মাইক্রোসফট, এইচপি'র মতো নামজাদা প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তায় তৈরি হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি৷ তাদের লক্ষ্য হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি তৈরিতে পরষ্পরকে সহায়তা করা৷ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি ক্লাইমেট সেভারস এর কমিউনিকেশন ম্যানেজার বারবারা গ্রিমস এর সঙ্গে৷ তিনি বললেন, ক্লাইমেট সেভারস হচ্ছে একটি উদ্যোগ যেটাতে পরিবেশকে বাচাঁতে নামকরা তথ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, এনজিও ইত্যাদিকে একত্রিত করা হয়েছে৷ আমরা প্রযুক্তি পন্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ বিদুত্ সাশ্রয়ের জন্য চেষ্টা করছি৷

গ্রিন আইটি ভিলেজে সিসকো, বিটকমসহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে৷ সবারই লক্ষ্য একটি, পরিবেশ বাচাঁতে হবে, সঙ্গে ব্যবসাও৷ তবে গ্রিন আইটি ভিলেজের এসব আয়োজন কেন যেন পছন্দ হচ্ছিল না মার্কো মাসিক এর৷ জার্মানির মিউনিখ এর এই ব্যবসায়ী বললেন, আমি এখানে এসেছি শুধুমাত্র গ্রিন আইটি দেখার জন্য৷ কারন মিডিয়া বিষয়টিকে খুব গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করছে৷ কিন্তু আমি এখানে এসে খুবই দুর্বল কয়েকটি প্রকল্প দেখলাম৷ ফলে কিছুটা হতাশ হয়েছি৷ অংশগ্রহনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কথা বলেছি৷ আমার মনে হয় এটা নতুন একধরনের ব্যবসা৷ তবে বিদুত্ বা শক্তি সংরক্ষনের কিছু উপায় বের হলো মন্দ কি৷

তার মতো আরো কয়েকজন গ্রিন আইটি ভিলেজ সম্পর্কে কিছুটা বিরুপ মনোভাব পোষন করলেন৷ এটা কি আসলেই পরিবেশ বাচাঁনো নাকি নতুন কোন ব্যবসার ফন্দি তা নিয়ে চিন্তিত অনেকে৷ তবে সমালোচনা যাই থাক, সেবিট এর মাধ্যমে গ্রিন আইটি নামে যে উদ্যোগটা শুরু হলো তা পরিবেশ বাচাঁতে কিছুটা ভুমিকা রাখবে বৈকি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ