1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরিবেশ সুরক্ষায় ইউরোপের দৃঢ় পদক্ষেপ

১১ ডিসেম্বর ২০২০

২০৩০ সালের মধ্যে ৫৫ ভাগ কার্বন নিঃসরণ কমাতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ ইউরোপীয় কমিশন প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন শুক্রবার টুইট করে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন৷

ছবি: Francisco Seco/AP Photo/picture alliance

১৯৯০ সালে যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ করা হতো, ২০৩০ সাল নাগাদ সেই মাত্রা থেকে ৫৫% কমিয়ে আনা হবে, রাতভর আলোচনার পর শীর্ষ সম্মেলনে শুক্রবার এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন ইইউ নেতারা৷

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা টুইট করে সিদ্ধান্তের বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ইইউ জলবায়ু চুক্তির প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপনের এর চেয়ে ভালো উপায় হতে পারে না!

‘‘২০৩০ সালের মধ্যে ইউরোপ ৫৫% কার্বন নিঃসরণ কমাবে৷ এর মধ্য দিয়ে ২০৫০ সাল নাগাদ আমাদের জলবায়ু নিরপেক্ষ হবার পথ আরো সুগম হলো,’’ বলেন উরসুলা৷ 

সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট শার্ল মিশেলও৷ ‘‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ইউরোপ নেতৃত্ব দিচ্ছে,’’ টুইট করেন মিশেল৷

বৃহস্পতিবার রাতে শুরু হওয়া আলোচনা চলে দশ ঘণ্টার বেশি৷ গেল সেপ্টেম্বরে ৪০ ভাগ কার্বন নিঃসরণ কমাবার প্রস্তাব করা হয়৷ তখন এই জোটের কয়েকটি সদস্যরাষ্ট্র প্রস্তাবের বিরোধিতা করে৷

পোল্যান্ডের নেতৃত্বে মধ্য ইউরোপের জ্বালানি কয়লার ওপর নির্ভরশীল কয়েকটি দেশ এই পরিবর্তনের আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরে৷ সবুজ জ্বালানিতে পরিবর্তনে যে বিপুল বিনিয়োগ দরকার, তার গ্যারান্টি চায় তারা৷ সব পরিস্থিতি বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত ৫৫% কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে একমত হন ইইউ নেতারা৷

এদিকে, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইইউ থেকে একধাপ এগিয়ে ২০৩০ সাল নাগাদ ১৯৯০ সালের চেয়ে ৬৮% কার্বন নিঃসরণ কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন৷

পাঁচ বছর আগে ফ্রান্সের প্যারিসে বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে এই শতকের শেষ নাগাদ পৃথিবীর উষ্ণতা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়৷ প্যারিস চুক্তি বলে পরিচিত সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বছরের শেষ নাগাদ চুক্তির আওতাধীন প্রত্যেক দেশের নিজ নিজ লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত করার কথা৷

জেডএ/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ