রোদের তেজ আমাদের ত্বকের জন্য কতটা ক্ষতিকর? ক্যানসার এড়াতে সূর্যের আলো কি এড়িয়ে চলা উচিত? কিন্তু ভিটামিন ডি উৎপাদনের জন্য সূর্যের আলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷ জার্মানির এক গবেষকদল এ নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছে৷
বিজ্ঞাপন
আবহাওয়া ভালো থাকলে টোমাস ফোগ্ট সাইকেল চালিয়ে কাজে যান৷ সচেতনভাবেই তিনি কিছু সময়ের জন্য সূর্যের আলো সরাসরি উপভোগ করেন৷ অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষার কোনো ব্যবস্থা তিনি নেন না৷ পেশায় তিনি ত্বক বিশেষজ্ঞ ও প্রোফেসর৷ সূর্য এমনকি ত্বকেরও সুরক্ষা দিতে পারে বলে তিনি বিশ্বাস করেন৷ টোমাস ফোগ্ট বলেন, ‘‘সূর্যের আলো পুরোপুরি এড়িয়ে চললে, সানস্ক্রিন লোশন লাগিয়ে ছিটেফোঁটা রশ্মিও ত্বকে প্রবেশ করতে না দিলে এবং ভিটামিন ডি ওষুধ না খেলে এই ভিটামিনের মারাত্মক ঘাটতি দেখা দিতে পারে৷ হাড়গোড়ের উপর তার প্রভাব পড়বে, অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি বাড়বে৷ সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে৷ এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়বে, বিশেষ করে শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, এমনকি ত্বকের ক্যানসারও হতে পারে৷’’
প্রোফেসর ভোগ্ট অনেক বছর ধরে আমাদের স্বাস্থ্যের উপর সূর্যের আলোর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করছেন৷ যে ধরনের ক্যানসার বেশি দেখা যায়, তার মোকাবিলায় -র ইতিবাচক প্রভাব নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই৷ সম্প্রতি ভোগ্ট ও তাঁর গবেষকদল আশ্চর্য এক প্রমাণ পেয়েছেন৷
শরীরের সব তন্তুর মধ্যে ভিটামিন ডি গ্রহণের রিসেপ্টর রয়েছে, যা টিউমার দমন করতে পারে৷ ত্বকের ক্ষেত্রেও সেই নিয়ম খাটে৷ ক্যানসারের রক্ষাকবচ হিসেবে তার ভিটামিন ডি-র প্রয়োজন হয়৷
ক্যানসারের দশ লক্ষণ
ক্যানসারের কিছু লক্ষণ আছে, যা মানুষ নিজের অজান্তেই এড়িয়ে যায়৷ অথচ রোগবালাই শুরুতে ধরা পড়লে চিকিৎসা অনেক সহজ হয়৷ তাই আজ জানাবো ক্যানসারের দশটি লক্ষণের কথা, যেগুলো সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব৷
ছবি: Fotolia/ Alexander Raths
ঘনঘন কাশি
মাঝে মাঝে কাশি হলে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই৷ কিন্তু ঘনঘন কাশি কিংবা কফের সঙ্গে রক্ত বের হলে, উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো ব্যাপার বৈকি! বেশিরভাগ কাশি বিপদের না হলেও কিছুক্ষেত্রে তা ফুসফুসে ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে৷ তাই এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত৷
ছবি: Fotolia/Brenda Carson
অন্ত্রের অভ্যাসে ঘনঘন পরিবর্তন
আপনার অন্ত্রের মধ্যে নড়াচড়া যদি সহজ না হয় এবং মল স্বাভাবিকের চেয়ে বড় কিংবা কোনোভাবে অস্বাভাবিক মনে হয়, তাহলে তা মলাশয়ে ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে৷ তাই এক্ষেত্রেও দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা জরুরি৷
ছবি: Fotolia/Jiri Hera
মূত্রথলির অভ্যাসে পরিবর্তন
যদি কারো মূত্র বা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত আসে, তাহলে তা মূত্রথলি বা কিডনির ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে৷ আবার মূত্রনালীতে সংক্রমণের কারণেও এটা হতে পারে৷ তাই সন্দেহ থাকলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই শ্রেয়৷
ছবি: imago/eyevisto
ঘনঘন অপ্রত্যাশিত ব্যথা
অধিকাংশ ব্যথাই ক্যানসারের লক্ষণ নয়, তবে ঘনঘন ব্যথা হলে তা চিন্তার বিষয়৷ তবে ক্রমাগত মাথাব্যথা হলে আবার এটা ভাবার কারণ নেই যে, কারো বুঝি ব্রেইন ক্যানসার হয়েছে৷ কিন্তু বুকে ক্রমাগত এবং নিয়মিত ব্যথা ফুসফুসের ক্যানসার কিংবা তলপেটে ক্রমাগত ব্যথা ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে৷
ছবি: Fotolia/Adam Gregor
আঁচিল বা তিলের আকৃতিতে পরিবর্তন
সব আঁচিল বা তিলের সঙ্গে টিউমারের সম্পর্ক নেই৷ তবে কোনো আঁচিল বা তিলের আকৃতি ক্রমাগত পরিবর্তন হতে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই ভালো৷
ছবি: Fotolia/ Alexander Raths
ক্ষতস্থান না শুকালে
আপনার শরীরে কোনো ক্ষত যদি তিন সপ্তাহেও না শুকায়, তাহলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ থাকতে পারে৷ এ ধরনের পরিস্থিতিতে তাই দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Karl-Josef Hildenbrand
অপ্রত্যাশিত রক্তপাত
মাসিকের সময় ছাড়া অন্য সময়ে যোনি থেকে রক্তপাত সার্ভিকাল ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে৷ আর মলদ্বার থেকে রক্তপাতও কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে৷
ছবি: Fotolia/absolutimages
অপ্রত্যাশিতভাবে ওজন কমা
অনেকেই ওজন কমানোর জন্য নানারকম চেষ্টা করেন৷ কিন্তু যদি কোনোরকম চেষ্টা ছাড়াই কারো ওজন ক্রমাগত কমতে থাকে, তাহলে সেটা বিপদের লক্ষণ৷
ছবি: Fotolia/rico287
অপ্রত্যাশিত স্ফীতি
শরীরের কোথাও কোনো অপ্রত্যাশিত স্ফীতি বা কোনো ফোলা স্থানের আকার পরিবর্তন হতে থাকলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন৷ মেয়েদের স্তনের মধ্যে কোনো অস্বাভাবিক মাংসপিণ্ডের উপস্থিতিও কিন্তু ক্যানসারের লক্ষণ৷
ছবি: picture alliance/CHROMORANGE
ঘনঘন গিলতে সমস্যা হলে
এটা দু’ধরনের ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে৷ ঘাড় এবং খাদ্যনালীর ক্যানসার৷ তাই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান৷ দ্রষ্টব্য: ছবিঘরটি তৈরিতে ‘‘ওম্যান’স হেল্থ’’ ম্যাগাজিন থেকে তথ্য সহায়তা নেয়া হয়েছে৷
ছবি: Fotolia/Dasha Petrenko
10 ছবি1 | 10
ত্বকের স্বাস্থ্য অক্ষত রাখতে ভিটামিন ডি-র অভাব অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে৷ অথচ জার্মানিতে এই সমস্যা অত্যন্ত প্রকট৷ প্রোফেসর ফোগ্ট ও তাঁর সহকর্মীরা সতর্ক করে দিয়েছেন, যে জার্মানির মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষের ভিটামিন ডি নিয়ে সমস্যা নেই৷ কারণ শীতপ্রধান দেশ হিসেবে একমাত্র গ্রীষ্মেই এখানে সূর্যের আলো শরীরে ভিটামিন ডি সৃষ্টি করতে পারে৷
একমাত্র পুকুরের তৈলাক্ত মাছ যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন ডি-র জোগান দিতে পারে৷ তবে সম্পূর্ণ চাহিদা পূরণ করার ক্ষমতা মাছেরও নেই৷ গবেষকদলও সে বিষয়ে সচেতন৷ ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট সেই ঘাটতি পূরণ করতে পারে বটে, তবে শুধু ট্যাবলেট খেলে কাজ হয় না৷ এ ক্ষেত্রে ত্বকেরও নিজস্ব ভূমিকা রয়েছে৷ নিয়মিত, হালকা রোদ পোয়ানো তাই সবচেয়ে ভালো উপায়৷ টোমাস ফোগ্ট বলেন, ‘‘ভিটামিন ডি ট্যাবলেটের তুলনায় অনেক ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি ভিটামিন ডি-র গুণাগুণ যে বেশি, তার অনেক ইঙ্গিত পাওয়া যায়৷ যেমন সেটি আরও বেশি সময় ধরে রক্তের মধ্যে অক্ষত থাকে৷ আরেকটি সুবিধা হলো এ ক্ষেত্রে ওভারডোজের আশঙ্কা নেই৷’’
সে কারণে টোমাস ফোগ্ট নির্দিষ্ট মাত্রায় রোদ পোয়ানোর পরামর্শ দেন৷ কিন্তু এর অর্থ কী? টোমাস ফোগ্ট জানান, ‘‘আমার পরামর্শ হলো, সপ্তাহে নিয়মিত বেশ কয়েকবার রোদ পোয়ানো উচিত৷ যেমন মুখ, বগল ও শরীরের ভাঁজের জায়গাগুলি কম সময়ের জন্য সূর্যের আলোর সামনে উন্মুক্ত করা ভালো৷ তবে নিজস্ব সুরক্ষার সময়সীমা অতিক্রান্ত করলে চলবে না৷ দুপুর ১২টার গনগনে রোদ এড়িয়ে সকাল ও দুপুরের দিকে এটা করা উচিত৷’’
কিছুক্ষণ রোদের ছোঁয়া পেলেই ভিটামিন ডি উৎপাদন প্রক্রিয়া তরান্বিত হয়৷ একই সঙ্গে ত্বক নিজস্ব প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে৷ কর্নিয়ার পিগমেন্ট আরও পুরু হয়ে যায়৷ তা সত্ত্বেও সাবধান থাকতে হবে, কারণ ত্বকের সহনশীলতার সীমা রয়েছে৷ বিশেষ করে ভরদুপুরের অতি বেগুনি রশ্মি ত্বকের জন্য বিপজ্জনক৷ ত্বক বিশেষজ্ঞ হিসেবে টোমাস ফোগ্ট বলেন, ‘‘ত্বকের ধরনের উপর প্রত্যেক মানুষের সহনশীলতার মাত্রা নির্ভর করে৷ যথেষ্ট ভিটামিন ডি উৎপাদনের জন্য কত পরিমাণ রোদ পোয়াতে হবে, তা জানতে হয়৷ মনে সন্দেহ থাকলে তা পরিমাপ করা যায়, সান বার্ন এড়িয়ে চলতে হয়৷ জীবনধারা এমনভাবে স্থির করতে হবে, যা স্বাস্থ্যের জন্য সহনীয় এবং ক্যানসারের সুরক্ষা দিতে পারে৷’’
মোটকথা ত্বক বাঁচাতে সূর্যের আলো পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়া সঠিক পথ নয়৷ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে রোদের উত্তাপ না নিয়ে পরিমিতভাবে সূর্যের আলো উপভোগ করলে জীবনযাত্রা সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর হবে৷
পাট্রিসিয়া মেৎস/এসবি
স্তন ক্যানসার থেকে সাবধান!
ক্যানসারের কথা শুনলে কে ভয় না পায়? আর তা যদি তাঁর নারীত্বের প্রতীক, সুন্দর, সডৌল স্তনটিতে হয়, তাহলে ভয়ের মাত্রা আরো বেড়ে যায়৷ দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি যে অন্যান্য ক্যানসারের চেয়ে স্তন ক্যানসারেই মারা যায় সবচেয়ে বেশি নারী৷
ছবি: picture-alliance/dpa
জার্মান ক্যানসার সোসাইটির তথ্য
জার্মান ক্যানসার সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, জার্মানিতে প্রতি বছর প্রায় ৭০ হাজার নারীর স্তন ক্যানসার নির্ণয় করা হয়, যার মধ্যে মারা যায় ১৭ হাজার৷ নারীদের অন্যান্য ক্যানসারের মধ্যে স্তন ক্যানসারেই হয় সবচেয়ে বেশি নারী৷ এতে মানুষ মারা গেলেও, এ ক্যানসার খুব মারাত্বক নয়৷ কারণ সময় মতো ধরা পড়লে এ রোগ প্রতিরোধ সম্ভব৷
ছবি: Fotolia/S. Bähren
স্তন ক্যানসারের লক্ষণ
স্তনের চামড়ায় ভাজ, লাল হওয়া বা কুচকে যাওয়া, স্তনবৃন্ত ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়া কিংবা বৃন্ত থেকে রস ক্ষরণ হওয়া – স্তনে এ ধরনের কোনো পরিবর্তন দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যাওয়া দরকার৷ তবে সব টিউমার বা পরিবর্তনই যে ক্যানসারে রূপ নেয়, তা কিন্তু নয়!
ছবি: Getty Images/J. Sullivan
মেমোগ্রাফি
‘মেমোগ্রাফি’ এমন একটি পরীক্ষা যাতে স্তনে একেবারে ক্ষুদ্র গিট, চাকা বা মাংসপিণ্ডের উপস্থিতি ধরা পড়ে৷ তাই সময়মতো মেমোগ্রাফি করানো প্রয়োজন৷ বিশেষকরে ৫০-এর ঊর্ধে যাঁদের বয়স, তাঁদের ক্ষেত্রে অবশ্যই এটা নিয়মিত করাতে হবে৷ তাছাড়া প্রত্যেক নারীরই বছরে অন্তত একবার স্ত্রী বিশেষজ্ঞের কাছে স্তন ও জরায়ু পরীক্ষা করানো উচিত৷
ছবি: Colourbox
নিজেই পরীক্ষা করুন
৩০ বছর বয়সের পর থেকে প্রত্যেক নারীর নিজেরই নিজের স্তন পরীক্ষা করা উচিত৷ এই পরীক্ষা করতে হবে ‘পিরিয়ড’ বা মাসিক হওয়ার ঠিক পরে, অর্থাৎ মাসে অন্তত একবার৷ স্তনের ওপর থেকে নীচে, নীচ থেকে ওপরে এবং এপাশ থেকে ওপাশ – নানাভাবে স্তন দুটি টিপে পরীক্ষা করতে হবে৷ বোঝার চেষ্টা করতে হবে স্তনের ভেতর শক্ত কিছু আছে কিনা৷ তবে স্তনে গিট, চাকা বা টিউমার আছে কিনা তা বোঝার জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়াই স্রেয়৷
ছবি: Fotolia/Forgiss
স্তন ক্যানসার রোধে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
হলিউডের ‘আইকনিক’ অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মা মারা যান স্তন ক্যানসারে৷ সেই জিন রয়েছে অ্যাঞ্জেলিনার শরীরে৷ আর সেজন্যই অ্যাঞ্জেলিনা স্তন ক্যানসারকে প্রতিরোধ করতে ‘মাস্টেকটমি’ বা স্তনব্যবচ্ছেদ করিয়েছেন৷ শুধু তাই নয়, অন্য মহিলাদের সচেতন করতে জানিয়েছেন তাঁর নিজের অভিজ্ঞতার কথাও৷
ছবি: Reuters/D. Moloshok
ক্যানসারের জিন
স্তন ক্যানসার হওয়ার নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই৷ তবে কারুর পরিবারে মা, খালা, ফুপু বা দাদি-নানির স্তন ক্যানসার থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ এমনটা হলে সেক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতার প্রয়োজন৷ অর্থাৎ খামখেয়ালি না করে নিয়মিত ডাক্তারি চেকাআপ করানো আর পাশাপাশি শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম এবং শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার৷ছবিতে মায়ের সাথে অ্যাঞ্জেলিনা৷
ছবি: Reuters
ক্যানসার নির্ণয়ে মেমোগ্রাফিই সবচেয়ে ভালো পন্থা
‘‘গবেষকরা সবসময়ই ব্রেস্ট ক্যানসারের নতুন নতুন জিন খুঁজে পাচ্ছেন৷ তাই এর চিকিৎসাও নির্ভর করে স্তনের টিউমারের ধরণের ওপর৷ মেমোগ্রাফি ব্রেস্ট ক্যানসার নির্ণয় করার জন্য সবচেয়ে ভালো পন্থা৷ তবে স্তন ক্যানসারের চিকিৎসা শুরু করার আগে অবশ্যই দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়া প্রয়োজন৷’’ বলেন জার্মানির অন্যতম ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডা. কার্ল হাইৎস ম্যুলার৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়...
প্রকৃতি নারীদের স্তনযুগল উপহার দিয়েছে, যাতে তাঁরা শিশুদের দুধ পান করাতে পারেন৷ তাই অনেকের কাছেই স্তন নারীত্বের প্রতীক৷ তবে এই নারীত্ব ধরে রাখতে প্রয়োজন সচেতনতার৷ জার্মান ক্যানসার সমিতির করা এক সমীক্ষা থেকে জানা যায়, প্রতিদিন আধঘণ্টা ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাবার, ধূমপান না করা, শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ইত্যাদি করলে শতকরা ২০ থেকে ২৫ ভাগ ক্যানসারের ঝুঁকি কমে৷
ছবি: lunamarina/Fotolia.com
পুরুষদেরও কিন্তু স্তন ক্যানসার হয়!
পুরুষরা মনে করেন যে, স্তন ক্যানসার কেবল নারীদেরই হয়৷ তাই তারা এ ব্যাপারে মোটেই সচেতন নন৷ পুরুষদেরও স্তন ক্যানসার হয়, যদিও তা তুলনামূলকভাবে নারীদের চেয়ে অনেক কম৷ তাই পুরুষদেরও নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করানো উচিত৷