1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরীক্ষা থেকে মুক্তি পাচ্ছে শিশুরা

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
১৬ জানুয়ারি ২০২০

প্রাথমিকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা থাকবে না৷ আর কমানো হবে বইয়ের বোঝা৷ প্রাথমিকে তিনটি এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে সব শিক্ষার্থী ১০ বিষয় পড়বে৷

Bangladesch Lehrbuchverteilungsfestival in Mymensingh
ছবি: bdnews24

বাংলাদেশে স্কুলে শিশুদের পরীক্ষা ও পড়াশোনার চাপ কমাতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞরা৷ এই বিষয়ে এবার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার৷ যার প্রেক্ষিতে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা তুলে দেয়া হচ্ছে৷ ষষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত সবার জন্য থাকবে একই বই৷ বিভাগ বেছে নিতে হবে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে৷ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ন চন্দ্র সাহা ডয়চে ভেলেকে এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘‘আরো কিছু প্রস্তাব নিয়ে আমরা কাজ করছি৷ ধাপে ধাপে এগুলো বাস্তবায়ন হবে৷ কিছু চূড়ান্ত হয়েছে৷ বাকিগুলো শেষ পর্যন্ত কিভাবে চূড়ান্ত হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না৷  এনিয়ে  একাধিক বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে৷ এটা চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করবেন প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী৷''

পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রাথমিকে তৃতীয় শেণি পর্যন্ত কোনো পাশ-ফেল থাকবে না, থাকবে না কোন বার্ষিক পরীক্ষাও৷ তবে একটি মূল্যায়ন পদ্ধতি থাকবে৷ যা প্রতিদিন ধারাবাহিকভাবে নেয়া হবে৷ শিক্ষকেরা নিজেরাই মূল্যায়ন করবেন৷ শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে হবে চতুর্থ এবং পঞ্চম শেণিতে৷একই সঙ্গে বইয়ের সংখ্যা কমিয়ে এমন ব্যবস্থা করা হবে যে ছাত্ররা ক্লাসেই শিখবে৷ এজন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে৷

নারায়ন চন্দ্র সাহা

This browser does not support the audio element.

ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সবাই একই ধরনের বই পড়বে৷ সায়েন্স, আর্টস ও কমার্স ভাগ থাকবে না৷ মাধ্যমিকের পরীক্ষা হবে দশম শ্রেণির সিলেবাসে৷

অধ্যাপক নারায়ন চন্দ্র সাহা বলেন,‘‘প্রি পাইমারি থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত যোগ্যতাভিত্তিক কারিকুলাম নিয়ে আমরা কাজ করছি৷ ষষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত সবার জন্য একই বই থাকবে৷ বিভাগের প্রশ্ন আসবে উচ্চ মাধ্যমিকে৷ আর একাদশ শ্রেণিতে একটি পাবলিক পরীক্ষা এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে আরেকটি পাবালিক পরীক্ষা নিয়েও কাজ হচ্ছে৷''

২০২১ সাল থেকে প্রাথমিকে প্রথম শেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা তুলে দেয়ার কাজ চলছে বলে পাঠ্যপুস্তক বোর্ড চেয়ারম্যান জানান৷ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এই পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷ তিনি চান শিশুদের ওপর থেকে বইয়ের বোঝা এবং পরীক্ষার চাপ কমানো হোক৷ 

এ কে এম রিয়াজুল হাসান

This browser does not support the audio element.

নারায়ন চন্দ্র সাহা জানান,‘‘২০২১ সাল থেকে ষষ্ঠ শেণিতে সবাইকে ১০টি বই দেয়া হবে৷ ২০২৫ সালে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত এই ব্যবস্থা কার্যকর হয়ে যাবে৷'' 

এখন ষষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ১২ থেকে ১৪টি বই পড়তে হয়৷ নতুন নিয়মে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, সামাজিক বিজ্ঞান, জীবন ও জীবিকা, ধর্ম, স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি এই ১০টি বই পড়তে হবে৷ বইগুলোর বিষয় এমনভাবে নির্বাচন করা হয়েছে যাতে একাদশ শ্রেণিতে যে যার পছন্দমত বিভাগ বেছে নিতে পারে৷

প্রাথমিকেও বইয়ের সংখ্যা কমানোর কাজ চলছে৷ এখন গড়ে ছয়টি বই পড়তে হয়৷ নারায়ন চন্দ্র সাহা বলেন, ‘‘প্রাথমিকে বই কমিয়ে টিচার্স গাইড করা হবে৷ ওই গাইড অনুয়ায়ী শিক্ষকরা ক্লাসে পড়াবেন৷ কিন্তু ছাত্রদের কোনো বই থাকবে না৷''

এনসিটিবির সদস্য অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘প্রাথমিকে মাত্র তিনটি বই থাকবে, বাংলা , ইংরেজি ও গনিত৷ আর অন্য যেসব বিষয় আছে তা অ্যাকটিভ লার্নিং-এর আওচায় চলে যাবে৷ শিশুরা খেলা ও কাজের মাধ্যমে শিখবে৷ শিক্ষকরা গাইড হিসেবে কাজ করবেন৷ তাদের জন্য নির্দেশিকা থাকবে৷''

তিনি আরো জানান, ‘‘২০২১ সালে প্রথম শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতির মাধ্যমে পরীক্ষা তুলে দেয়া হবে এবং ‘ফেল' বলতে কিছু থাকবে না৷ প্রতিদিনের মূল্যায়নে কোনো শিক্ষার্থী যদি দুর্বল হয় তাকে বিশেষ যত্নের মাধ্যমে তুলে আনার দায়িত্ব শিক্ষকের৷''

চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রেণিতে মূল্যায়ন ও পরীক্ষা দুটোই থাকবে আংশিক ভাবে৷ দেশের ১০০টি স্কুলে এই বছরের প্রথম চার মাস অ্যাকটিক লার্নিং-এর পাইলট প্রকল্প পরিচালনা করা হয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ