1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পর্তুগালের সেরা ফুটবলার কে?

১০ অক্টোবর ২০১৩

গত শতাব্দীর ষাটের দশকের অবিসংবাদী ‘গ্রেট' ইউসেবিও, নাকি হালের ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো? দেশের হয়ে গোল করার তালিকায় গত মাসেই রোনাল্ডো ইউসেবিও-কে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে গেছেন৷ কিন্তু বিতর্ক থামেনি৷

Spain's team players defend their goal as Portugal's Cristiano Ronaldo (C) takes a free kick during their Euro 2012 semi-final soccer match at the Donbass Arena in Donetsk, June 27, 2012. REUTERS/Alessandro Bianchi (UKRAINE - Tags: SPORT SOCCER)
ছবি: Reuters

রোনাল্ডো বনাম ইউসেবিও বিতর্কটা সবচেয়ে বেশি যার গায়ে লেগেছে, তিনি হলেন ইউসেবিও স্বয়ং৷ ষাটের দশকে বেনফিকা লিসাবনের এই প্লেয়ারটিকে বিশ্বের ফুটবলমোদীরা একডাকে চিনতেন৷ ইউসেবিও বলেছেন, তিনি রোনাল্ডোর চাইতে অনেক কম ম্যাচ খেলে তাঁর গোলগুলো করেছিলেন৷ কাজেই তুলনাটা তাঁর কাছে অন্যায় মনে হয়েছে৷

ইউসেবিও মাত্র ৬০টি ম্যাচ খেলে ৪১টি গোল করেছিলেন৷ সে ক্ষেত্রে ৪৩টি গোল করতে রোনাল্ডো-কে ১০৬টি আন্তর্জাতিক খেলায় নামতে হয়েছে৷ গতমাসে উত্তর আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে পর্তুগাল জেতে ৪-২ গোলে, যার মধ্যে ছিল রোনাল্ডোর হ্যাট্রিক৷ সেই হ্যাট্রিকের কল্যাণেই রোনাল্ডো গোলের হিসেবে ইউসেবিও-কে ছাড়িয়ে যেতে পারেন৷

গতমাসে উত্তর আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে পর্তুগাল জেতে ৪-২ গোলে, যার মধ্যে ছিল রোনাল্ডোর হ্যাট্রিকছবি: Getty Images

‘স্বাভাবিক' না ‘ঐতিহাসিক'?

সেই কৃতিত্বের পর রোনাল্ডো বলেছেন: ‘‘স্কোরারদের তালিকায় ইউসেবিও-কে ছাড়িয়ে যাওয়াটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার এবং কালে ঘটতো ঠিকই৷ তবুও আমি এ ব্যাপারে গর্বিত৷'' এমনকি পর্তুগালের হয়ে নিজের হ্যাট্রিক সম্পর্কেও রোনাল্ডোর উক্তি: ‘‘এটা একটা ঐতিহাসিক ব্যাপার৷'' এই শুক্রবারে আবার রোনাল্ডো স্বদেশেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোয়ালিফায়ারে তাঁর গোলের ট্যালি আরো বাড়ানোর সুযোগ পাবেন৷

বলতে কি, পর্তুগালের হয়ে গোল-করিয়েদের তালিকায় যিনি সর্বোচ্চ স্থানে, সেই পাউলেতা-কে ধরে ফেলতে রোনাল্ডোর আর মাত্র চারটি গোল বাকি৷ ওদিকে পর্তুগালের জার্সি গায়ে চাপিয়ে আর ২১টি ম্যাচ খেললেই রোনাল্ডো বর্তমান রেকর্ডধারী লুইস ফিগো-কে ধরে ফেলবেন৷ পাউলেতা বিনয়ী লোক: আগে থেকেই বলে বসে আছেন যে, তিনি নিজেকে ইউসেবিও, রোনাল্ডো কিংবা ফিগো-র সমকক্ষ বলে মনে করেন না৷ অবশ্য একটু অঙ্ক করলেই বোঝা যাবে যে, গোল রেট অর্থাৎ ম্যাচ প্রতি গোলের হিসেবে তালিকাটা দাঁড়ায়: ইউসেবিও (শূন্য দশমিক ছয়), পাউলেতা (শূন্য দশমিক পাঁচ) এবং রোনাল্ডো (শূন্য দশমিক চার)৷

৭১ বছর বয়সি ইউসেবিও বলেছেন, ২৮ বছর বয়সি রোনাল্ডোকে তাঁর চেয়ে কম কষ্ট করতে হয়েছে বলে তাঁর বিশ্বাসছবি: AP

ব্ল্যাক প্যান্থার

পেলে-র ব্ল্যাক পার্ল-এর মতো ইউসেবিও পরিচিত ছিলেন ‘ব্ল্যাক প্যান্থার' নামে৷ ৭১ বছর বয়সি ইউসেবিও বলেছেন, ২৮ বছর বয়সি রোনাল্ডোকে তাঁর চেয়ে কম কষ্ট করতে হয়েছে বলে তাঁর বিশ্বাস: ‘‘আমি কোনোদিন লিশটেনস্টাইন বা আজারবাইজানের বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পাইনি৷'' বলতে কি, রোনাল্ডোর আমলে পর্তুগাল অনেক বেশি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলেছে৷ রোনাল্ডো একাই এ ধরনের পাঁচটি বড় টুর্নামেন্টে দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছেন, যেখানে ইউসেবিও শুধুমাত্র ইংল্যান্ডে ১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পান – এবং টুর্নামেন্টের টপ স্কোরার হন৷ সেই বিশ্বকাপে পর্তুগাল হয় তৃতীয়, যা কিনা পর্তুগালের পক্ষে সর্বোচ্চ৷

সাবেক মহারথী আর হালের মহারথীর মধ্যে তুলনাটা নানাভাবে করা যেতে পারে৷ রোনাল্ডো স্বয়ং স্পোর্টিং লিসবন ক্লাবের ইয়ুথ অ্যাকাডেমি থেকে বেরিয়েছেন৷ ইউসেবিও-র আমলে আজ যাকে বলা হয় ‘ফুটবল বিজ্ঞান', তার অতটা অগ্রগতি ঘটেনি৷ ইউসেবিও বৈজ্ঞানিক মতে প্রস্তুতি, জিম কিংবা অ্যাকাডেমির মুখ দেখেননি৷ তাঁর যা ছিল, তা হল কাঁচা প্রতিভা – বলেন ব্ল্যাক প্যান্থারের ভক্তরা৷ এমনকি আজকের হাই-টেক, ভাল্কানাইজ্ড বল পায়ে পেলে ইউসেবিও আগের চেয়ে দ্বিগুণ গোল করতেন, এই হল ভক্তদের অভিমত৷

আবার এই বিতর্কে একদল মধ্যমপন্থি আছেন, যারা বলেন: ইউসেবিও আর রোনাল্ডো বস্তুত একই ধরনের প্লেয়ার৷ দু'জনেরই খেলা গতি, শক্তি এবং লক্ষ্যভেদের ক্ষমতার উপর নির্ভর৷ টেকনিকের দিক দিয়েও দু'জনের অনেক সাদৃশ্য আছে৷ দু'জনেই সুযোগসন্ধানী এবং প্রয়োজন পড়লে হঠাৎ বিস্ফোরণের মতো দৌড় শুরু করতে পারেন৷

এসি / এসবি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ