ট্রাম্পের অ্যাটর্নিকে বলা হয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্টকে সারেন্ডার করতে হবে। যদিও ট্রাম্প এর তীব্র সমালোচনা করেছেন।
বিজ্ঞাপন
পর্নস্টার ড্যানিয়েলকে এক লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে বলেছিলেন ট্রাম্প। কারণ, এক যুগ আগে ট্রাম্প তার যৌন নিগ্রহ করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন ড্যানিয়েল। নির্বাচনের আগে এনিয়ে ড্যানিয়েল যাতে আর মুখ না খোলেন, সে জন্যই তাকে ওই টাকা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। কংগ্রেসের সামনে আগেই টেস্টিমোনি দিয়েছিলেন ট্রাম্পের সাবেক আইনজীবী মাইকেল কোহেন। নিউ ইয়র্কের গ্র্যান্ড জুরির সামনেও তিনি বলেছেন, তার অ্যাকাউন্টে ট্রাম্প ওই টাকা দিয়েছিলেন। পরে কোহেন সেই টাকা ড্যানিয়েলের অ্যাকাউন্টে ফেলেন।
টাকার বিনিময়ে পর্ন তারকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গোপন রাখার দায়ে গ্রেপ্তারও হতে পারেন তিনি৷ তাতে ধাক্কা খেতে পারে আবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবার স্বপ্ন৷ ডনাল্ড ট্রাম্প এমন পরিস্থিতিতেই শুরু করলেন নির্বাচনি প্রচার৷
ছবি: Evan Vucci/AP/picture alliance
প্রথম নির্বাচনি সমাবেশে ট্রাম্প
সাবেক পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ছিল তার এবং সেই সম্পর্ক গোপন রাখার জন্য স্টর্মিকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছিলেন- এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে ডনাল্ড ট্রাম্প হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট৷ অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে৷ এমন সময়েই ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে প্রচারে নেমে পড়েছেন ট্রাম্প৷
ছবি: Leah Millis/REUTERS
টেড নুজেন্টের গান
টেক্সাসের ওয়াকোতে ট্রাম্পের এ সভায় রক তারকা টেড নুজেন্টও ছিলেন৷ ওপরের ছবিতে ট্রাম্পের সভায় সংগীত পরিবেশনরত নুজেন্ট৷
ছবি: Leah Millis/REUTERS
‘ট্রাম্পকে ভোট দিয়ে অ্যামেরিকাকে আবার মহান করুন’
ট্রাম্পের সভায় ভাষণ দিচ্ছেন রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং ডানপন্থি কন্সপিরেসি থিওরিস্ট মার্জাররি টেলর গ্রিন৷ পোডিয়ামের সামনে লেখা রয়েছে ট্রাম্পকে ভোট দিয়ে অ্যামেরিকাকে আবার ‘মহান’ করার আহ্বান৷
ছবি: Go Nakamura/REUTERS
ট্রাম্পের জন্য অশ্রু
ট্রাম্প আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হবেন- এ আনন্দে এক সমর্থকের কান্না৷
ছবি: Leah Millis/REUTERS
ব্র্যাগের বিরুদ্ধে ক্ষোভ
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রথমে গোপনে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তুলেছিলেন নিউ ইউয়র্কের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ৷ ব্র্যাগের অভিযোগ সেই টাকা ট্রাম্প স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে দিয়েছিলেন যৌন সম্পর্কের বিষয়টি গোপন রাখতে৷ অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প, আরো বলেছেন ব্র্যাগ মিথ্যাবাদী৷ শনিবারের সভায় ট্রাম্পের অনেক সমর্থকই ব্র্যাগের গ্রেপ্তার দাবি করেন৷ ওপরের ছবিতে সেরকমই একজন৷
ছবি: Leah Millis/REUTERS
সমর্থকদের উচ্ছ্বাস
টেক্সাসের ওয়াকোয় ট্রাম্পের নির্বাচনি সমাবেশে ট্রাম্পের দুই উচ্ছ্বসিত সমর্থক৷
ছবি: Go Nakamura/REUTERS
প্রিয় নেতার ছবি তোলা
ডনাল্ড ট্রাম্প আবার নির্বাচনে প্রার্থী হবেন- এ খবরে তার সমর্থকরা উচ্ছ্বসিত৷ ওয়াকোয় ট্রাম্প যখন ভাষণ দিচ্ছেন, তিন সমর্থক তখন তার ছবি তোলায় ব্যস্ত৷
ছবি: Go Nakamura/REUTERS
হৃদয়ে ট্রাম্প
নিজেকে আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করার পর প্রথম জনসভায় ভাষণ দিচ্ছেন ট্রাম্প৷ লাভ সাইন দেখিয়ে তার প্রতি ভালোবাসার কথা জানাচ্ছেন এক সমর্থক৷
ছবি: Leah Millis/REUTERS
সভা শুরুর আগে...
ওয়াকো রিজিওনাল এয়ারপোর্ট এলাকায় প্রথম নির্বাচনি সভা শুরুর আগে ডনাল্ড ট্রাম্প৷
ছবি: Evan Vucci/AP/picture alliance
9 ছবি1 | 9
গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে স্টরমি ড্যানিয়েলের অভিযোগ নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক হয়েছিল। ট্রাম্প তাকে টাকা দিয়ে চুপ করাতে চাইছেন, এই অভিযোগ তখনই উঠেছিল। পরে নিউ ইয়র্কের গ্র্যান্ড জুরি মামলাটি দেখতে শুরু করে। বৃহস্পতিবার সেই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ট্রাম্পকে। পরিভাষায় যাকে ইনডিক্টমেন্ট বলে। ৭৬ বছরের ট্রাম্প অ্যামেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট যার ফৌজদারি মামলায় ইনডিক্টমেন্ট হলো।
ম্যানহাটান ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ বলেছেন, ''ট্রাম্পের অ্যাটর্নিকে যোগাযোগ করা হয়েছে। ট্রাম্পকে আদালতের সামনে সারেন্ডার করতে হবে।'' তবে ইনডিক্টমেন্টে ট্রাম্পকে ঠিক কী শাস্তি দেওয়া হয়েছে, কোন কোন চার্জ তার উপর লাগানো হয়েছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। চার্জ এবং শাস্তি ঘোষণার জন্য আরেকটি দিন নেওয়া হবে।
এমন যে কিছু হতে চলেছে, তা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। নিজের তৈরি করা সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে গত ১৮ মার্চ তিনি লিখেছিলেন, যে কোনো দিন তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।
এদিন ইনডিক্টমেন্টের পর সরাসরি ব্র্যাগকে আক্রমণ করেছেন ট্রাম্প। বলেছেন, জো বাইডেনের অন্যায় রাজনীতির রাস্তা ধরেই এগিয়েছেন ব্র্যাগ। সংকীর্ণ রাজনীতির শিকার তিনি। এদিন ফের ট্রাম্প জানিয়েছেন, যে অভিযোগ তার বিরুদ্ধে করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ট্রাম্পের বক্তব্য, ২০২৪ সালে তিনি যাতে নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারেন, তার জন্যই এই চক্রান্ত। এটি প্রমাণ করে, বাইডেনের মতো বামপন্থি সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা কী ধরনের রাজনীতি করেন।
ট্রাম্পের ইনডিক্টমেন্ট নিয়ে খুশি নয় রিপাবলিকানরা। সেনেটর টেড ক্রুজ বলেছেন, ''বিচার বিভাগকে রাজনীতি কীভাবে প্রভাবিত করছে, এই রায় তা প্রমাণ করে।''
কংগ্রেসের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এই ইনডিক্টমেন্ট একটা দাগ তৈরি করে দিল। এই কাজ মেনে নেওয়া যায় না।