পর্নোগ্রাফিক ওয়েবসাইট নিষিদ্ধের নির্দেশ
২৮ মে ২০১১টিউনিশিয়ায় ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার পর পর্নোগ্রাফিক সাইটগুলো দ্রুত জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে৷ সেদেশের ওয়েবসাইট বিজনেস নিউজ এর তথ্য অনুযায়ী, টিউনিশিয়ায় সবচেয়ে জনপ্রিয় ১০০টি ওয়েবসাইটের মধ্যে সাতটি সাইটই পর্নোগ্রাফি বিষয়ক৷ এগুলোর মধ্যে পাঁচটি আবার সেরা পঞ্চাশটি আলোচিত ওয়েবসাইটের মধ্যে রয়েছে৷
গত সপ্তাহে তিনজন আইনজীবী পর্নোসাইটের জনপ্রিয়তার বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন৷ তাদের দাবি, এসব ওয়েবসাইট তরুণ প্রজন্মের জন্য ক্ষতিকর এবং মুসলিম রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়৷
টিউনিশিয়া'র আদালত পর্নোগ্রাফিক সাইট নিষিদ্ধ করার আদেশ বহাল রাখলে তা হবে টিউনিশিয়ায় সদ্য স্বাধীন ইন্টারনেট যোগাযোগে দ্বিতীয় প্রতিবন্ধকতা৷ গত জানুয়ারি মাসে বেন আলী'র পতনের পর টিউনিশিয়ায় ইন্টারনেট ব্যবস্থা মুক্ত হয়েছিল৷
কিন্তু মে মাসের শুরুতে সামরিক ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক প্রোফাইল নিষিদ্ধ করা হয় সেদেশে৷ এজন্য সুনির্দিষ্ট কোন কারণও উল্লেখ করা হয়নি৷ এই সপ্তাহে সেদেশের এক জুনিয়র মন্ত্রীও পদত্যাগ করেছেন৷ পদত্যাগী মন্ত্রী সেলিম আমামো একজন নামজাদা ব্লগার এবং ইন্টারনেট স্বাধীনতার সমর্থক৷ বেন আলী সরকারের পতনের পর ইয়ুথ মন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি৷
আমামো নতুন করে ইন্টারনেটের উপর নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছেন৷ একইসঙ্গে জানিয়েছেন, সরকারের থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে আরো বেশি কর্মক্ষম মনে করছেন তিনি৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন