ইউরোপে থাকার অন্যতম সুবিধা হলো চটজলদি কোনো শহর দেখার সুযোগ৷ উন্মুক্ত সীমা ও আকাশপথে সামান্য দূরত্বের সুযোগ নিয়ে অনেক মানুষ সপ্তাহান্তে চটজলদি প্যারিস, ভিয়েনা, বার্লিন অথবা প্রাগ দেখে আসতে পারেন৷
২০১৭ সালে ফিলহার্মোনিক অর্কেস্ট্রা ভবন চালুর পর জার্মানির হামবুর্গ শহর আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছেছবি: DW/A. Drechsel
বিজ্ঞাপন
ইউরোপে বিচিত্র দেশ দেখার সুযোগ
04:38
This browser does not support the video element.
পিসা শহরের হেলে পড়া টাওয়ারের শোভা দেখার মজা, আমস্টারডাম শহরের খালপথে নৌকায় করে বেড়ানো, বার্লিনের ক্লাবে রাতের আনন্দ নেওয়া অথবা অসলো শহরের নতুন অপেরা ভবন দেখা – ইউরোপের শহরগুলির মধ্যে বৈচিত্রের অভাব নেই৷ এই বৈচিত্র ও বিভিন্ন শহরের মধ্যে সহজেই যাতায়াতের সুবিধার ফলে পর্যটন ক্ষেত্র ফুলে-ফেঁপে উঠছে৷
২০১৬ সালে জার্মানির সবচেয়ে জনপ্রিয় ১০টি পর্যটন স্থান
জার্মানির পর্যটন বোর্ড বিদেশি পর্যটকদের তাঁদের দৃষ্টিতে সেরা পর্যটন স্থান নির্বাচন করতে আহ্বান জানিয়েছিল৷ ছবিঘরে থাকছে শীর্ষ ১০ স্থানের কথা৷ আশ্চর্যের বিষয় এর মধ্যে বার্লিন নেই!
ছবি: Mapics/Fotolia
নম্বর ১০: ড্রেসডেন শহরের পুরনো অংশ
এলবে নদীর পাশে অবস্থিত এই অংশে গেলে রেনেসাঁ, বারোক ও উনবিংশ শতাব্দীতে নির্মিত কয়েকটি ঐতিহাসিক ভবনের দেখা পাওয়া যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নম্বর ৯: কোলন ক্যাথিড্রাল
প্রতিদিন ২০ হাজারের মতো মানুষ এই গির্জা দেখতে যান৷ সাত শ’ বছরেরও বেশি পুরনো কোলন ডোম তৈরিতেও প্রায় একইরকম সময় লেগেছে৷ ১৯৯৬ সালে এটিকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Baeck
নম্বর ৮: উল্ম শহরের গির্জা
এই গির্জার টাওয়ারটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু - ১৬১.৫৩ মিটার৷ ১২৬ বছর আগে এই গির্জার নির্মাণকাজ শেষ হয়৷
ছবি: picture-alliance/Carsten Schmidt
নম্বর ৭: মানহাইমের বারোক শৈলীর প্রাসাদ
এই প্রাসাদের একটি অংশ এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে৷
ছবি: Landesmedienzentrum Baden-Württemberg/ Staatliche Schlösser und Gärten Baden-Württemberg
নম্বর ৬: লেক কন্সটান্স অঞ্চল
জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ার আল্পস পর্বতমালা এলাকায় এই লেকটি অবস্থিত৷
ছবি: Imago/bodenseebilder.de
নম্বর ৫: রথেনবুর্গ অব ডেয়ার টাওবার
জার্মানির বিখ্যাত ‘রোম্যান্টিক রোড’এর অংশ রথেনবুর্গে গেলে এখনও মধ্যযুগের ঐতিহ্যের দেখা পাওয়া যায়৷
ছবি: Fotolia/Frank Merfort
নম্বর ৪: নয়শোয়ানশ্টাইন দুর্গ
প্রতিবছর ১৪ লাখের মতো মানুষ দুর্গটি দেখতে যান৷ ১৮৬৯ সালে এটি তৈরি করেন রাজা দ্বিতীয় লুডভিশ৷
ছবি: picture-alliance
নম্বর ৩: রুস্ট শহরের ইউরোপা পার্ক
প্যারিসের ডিজনিল্যান্ডের পর রুস্ট শহরের এই থিম পার্কটিই ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়৷ জার্মানির সবচেয়ে বড় থিম পার্কও এটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Seeger
নম্বর ২: হাইডেলব্যার্গ ক্যাসেল ও পুরনো শহর
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Wittek
নম্বর ১: হামবুর্গের মিনিয়েচার ওয়ান্ডারল্যান্ড
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘মডেল রেললাইন’ এটি৷ ভিডিও দেখতে উপরে ‘+’ চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: Miniatur Wunderland Hamburg
10 ছবি1 | 10
২০১৭ সালে নতুন ফিলহার্মোনিক অর্কেস্ট্রা ভবন চালু হবার পর জার্মানির উত্তরে হামবুর্গ শহর আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে৷ পর্যটন বিশেষজ্ঞ উলরিশ রাইনহার্ট জানেন, বিভিন্ন শহরে দেখার কী আছে৷ ফাউন্ডেশন ফর ফিউচার স্টাডিজের স্বত্বাধিকারী উলরিশ রাইনহার্ট বলেন, ‘‘গত দশ-পনেরো বছর ধরে ইউরোপের শহরগুলিতে ভ্রমণের প্রবণতা বেড়েই চলেছে৷ প্রতি বছর আরও বেশি মানুষ বড় শহরগুলিতে বেড়াতে যাচ্ছেন৷ শুধু রাজধানী নয়, মাঝারি ও ছোট মাপের শহরগুলিও ইউরোপের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে৷’’
চমকপ্রদ অট্টালিকা, নদীর আকর্ষণ ও রোমাঞ্চকর ইতিহাসের কারণে এখনো পর্যন্ত লন্ডন ও প্যারিস তালিকার শীর্ষে রয়েছে৷ সন্ত্রাসী হামলা বা ব্রেক্সিট নিয়ে দুশ্চিন্তা সত্ত্বেও পর্যটকরা দমে যাবার পাত্র নন৷ সেতুগুলির স্থাপত্যশৈলি কাউকে টানে, নোত্র দাম গির্জার ঘণ্টা কারো মন মাতায়৷
পূর্ব ইউরোপের শহরগুলির জনপ্রিয়তাও বাড়ছে৷ বেলগ্রেড শহরের নতুন সাংস্কৃতিক পরিবেশের আকর্ষণ কম নয়৷ স্থাপত্যশৈলী ও উষ্ণ প্রস্রবণের কারণে বুদাপেস্ট পর্যটকদের মন মাতায়৷ উলরিশ রাইনহার্ট বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে গেডানস্ক থেকে বেলগ্রেড পর্যন্ত অনেক শহর পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়৷ বুদাপেস্ট ও বুখারেস্টও কম যায় না৷ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম সেখানে ঘনঘন যাচ্ছে, কারণ, সেখানে তাদের দারুণ অভিজ্ঞতা হচ্ছে৷ মোটকথা যেখানেই তরুণ প্রজন্ম সক্রিয়, সেখানেই বাকিরা অংশ নিতে ছুটে যাচ্ছে৷’’
জার্মানির যে বিষয়গুলো পর্যটকদের নজর কাড়ে
অন্য সব দেশের মতো জার্মনিতেও রয়েছে নিজস্ব কিছু রীতি-নীতি বা আচার অনুষ্ঠান৷ জার্মানরা সুশৃঙ্খল জাতি হিসেবে পরিচিত৷ তাঁদের এমন কিছু বিষয় রয়েছে যা জার্মানিতে আসা যে কোনো নতুন মানুষকে অবাক করে৷
ছবি: Creativa/Fotolia.com
জার্মানদের পরিবেশ সচেতনতা
কাগজ, শক্ত কাগজের বাক্স, প্লাস্টিক, বাড়ির সাধারণ আবর্জনা, রান্নঘর বা বাগানের আবর্জনা, গ্লাস ইত্যাদি ফেলার জন্য জার্মানরা আলাদা এবং বিভিন্ন ধরণের ডাস্টবিন ব্যবহার করে থাকে৷ পরিবেশ রক্ষা করতে এসব আবর্জনা রিসাইক্লিং বা পুনর্ব্যবহার করার জন্যই এমনটি করা হয়৷ পরিবেশ সম্পর্কে জার্মানদের এতটা সচেতনতা জার্মানিতে নতুন আসা সব মানুষের নজর কাড়ে৷
একে তো রাত, তার ওপর বৃষ্টিও হচ্ছে, রাস্তায় তেমন কোনো গাড়িও চলছে না৷ অথচ এক পথচারী তখনও রাস্তা পার হওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছে, সবুজ ট্রাফিক লাইট না জ্বলা পর্যন্ত তিনি রাস্তা পার হবেন না৷ জার্মানরা আইন-কানুন আর নিয়ম-নীতির প্রতিই এতটাই শ্রদ্ধাশীল৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Rumpenhorst
যার যার তার তার
জার্মানরা রেস্তোরাঁ বা কফি হাউজ যেখানেই একসাথে খেতে যান না কেন, খাওয়া-দাওয়ার পর প্রত্যেকে শুধু নিজের বিলই পরিশোধ করে৷ এটা দেখে অন্য দেশ বা সংস্কৃতি থেকে আসা মানুষ খুবই অবাক হন৷ তাদের বিস্ময় আরো বেড়ে যায় যখন দেখেন যে প্রেমিক-প্রেমিকারাও একই নিয়মে বিল পরিশোধ করছে৷ এ সম্পর্কে জার্মানদের মন্তব্য, ‘ভিন্ন দেশ, ভিন্ন রীতি৷’
ছবি: imago/INSADCO
পোষা প্রাণী
জার্মানিতে শতকরা ২৮জন মানুষ বেড়াল পোষেন আর বাড়িতে কুকুর পোষেন শতকরা ২৩ জন৷ জার্মানির অন্তত ৭০ লাখ মানুষের বাড়িতে কোনো-না-কোনো পোষা প্রাণী রয়েছে৷ তবে বেশিরভাগ মানুষই কিন্তু কুকুরের ভক্ত৷ যদিও সর্বত্র পোষ্য কুকুরের বিষ্ঠা পড়ে থাকে বলে অতি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন জার্মানরা প্রচন্ড বিরক্ত৷
ছবি: Imago
আপনি, না তুমি?
জার্মান ভাষায়ও বাংলার মতো ‘আপনি’ ও ‘তুমি’ সম্মোধন রয়েছে৷ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হলে ‘তুমি’ আর একটু দূরত্ব থাকলে ভদ্রতা করে বা অফিসিয়াল সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘আপনি’ বলে সম্মোধন করা হয়৷
ছবি: Creativa/Fotolia.com
5 ছবি1 | 5
পর্যটকরা শুধু রেড ওয়াইন চেখে দেখতে ফ্রান্সের বর্দো শহর যাচ্ছেন না৷ সম্প্রতি সেখানে এক ইন্টারঅ্যাক্টিভ ওয়াইন মিউজিয়াম চালু হয়েছে৷ তার আকর্ষণে আরও পর্যটক আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে৷ অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রকাশনী ‘লোনলি প্ল্যানেট’ ২০১৭ সালে বর্দো শহরকে ইউরোপের সেরা গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরছে৷ তবে একটি সূত্র অনুযায়ী মার্কিন পর্যটকদের কাছে ইটালির ফ্লোরেন্স শহর সবচেয়ে প্রিয় গন্তব্য৷ ফাউন্ডেশন ফর ফিউচার স্টাডিজ প্রো. উলরিশ রাইনহার্ট বলেন, ‘‘একটি বিশেষ প্রজন্ম ইউরোপের শহরগুলি ভ্রমণ করতে পছন্দ করে৷ বিশেষ করে সন্তানহীন দম্পতিদের জন্য এমন ভ্রমণ বেশ আকর্ষণীয়৷ অনেক বয়স্ক ও কমবয়সিও এই সব শহর দেখতে যাচ্ছেন৷’’
শহর ঘুরে দেখানোর ভিন্ন স্বাদের ট্যুরগুলির জনপ্রিয়তা বাড়ছে৷ যেমন খোলা গাড়িতে বসে বার্লিনের দ্রষ্টব্য স্থানগুলির পাশ দিয়ে চলে যাবার মজাই আলাদা৷ রোম শহরে ভেসপা স্কুটারে চেপে শহরের পুরানো অংশের সরু অলিগলি চষে বেড়ানো যায়৷ বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকে বুদাপেস্ট শহরের ‘উভচর’ বাসের সাইটসিয়িং ট্যুর৷ ড্যানিউব নদী থেকে শহরের পথঘাট দেখা যায় একই যানে চেপে৷ প্রো. রাইনহার্ট বলেন, ‘‘সপ্তাহান্তের বেড়ানোর গন্তব্য হিসেবে শহর-দর্শন বেশি দেখা যায়৷ অর্থাৎ হাতে দুই, বড়জোর তিন রাত সময় থাকে৷ গ্রীষ্মের ছুটির মতো ১০, ১২ বা ১৪ দিন বা আরও বেশি সময় পাওয়া যায় না৷ তাই এমন শহর ভ্রমণ বাড়তি ছুটি হিসেবে ভালো, তবে আসল লম্বা ছুটির বিকল্প নয়৷’’
শহর ভ্রমণ করার সময় পর্যটকরা অনেক কিছু করতে চান৷ মিউজিয়াম দেখা তার মধ্যে পড়ে, যেমন আমস্টারডাম শহরের রাইক মিউজিয়াম৷ অথবা ভিয়েনা শহরের বিখ্যাত নাগরদোলায় চাপার মজাই আলাদা! কোপেনহেগেন শহরে অত্যাধুনিক অ্যাকোয়ারিয়াম-এ প্রায় ২০,০০০ মাছ আছে৷ ইউরোপের উত্তরাঞ্চলে সবচেয়ে বড় অ্যাকোয়ারিয়াম এটি৷ ইউরোপের শহরগুলিতে ভবিষ্যতেও পর্যটকদের ঢল বাড়বে, বই কমবে না৷
সুসানে ডাউস/এসবি
জার্মানির রোম্যান্টিক রোড
মাইন নদী থেকে আল্পস পর্বতমালা অবধি প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পথ: দুর্গ, প্রাসাদ, গির্জা, মঠ, সুন্দর সুন্দর শহর আর অপরূপ প্রকৃতি৷ বছরে দশ লক্ষ পর্যটক যা দেখতে আসেন৷
ছবি: Romantische Straße Touristik AG GbR
ভ্যুরৎসবুর্গ দিয়ে শুরু!
ভ্যুরৎসবুর্গের প্রিন্স-বিশপদের এই ব্যারোক শৈলীর প্রাসাদটি বিশ্ব সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে৷ ঠিক এখান থেকেই রোম্যান্টিক রোডের শুরু৷ মাইন নদীর তীরে ঐতিহাসিক শহর আর চারদিকের পাহাড়ে আঙুরক্ষেত মিলে এক অপূর্ব পরিবেশ৷
ছবি: Romantische Straße Touristik AG GbR
যেন পটে আঁকা ছবি: রোটেনবুর্গ
টুরিস্টদের কাছে একটি আদর্শ জার্মান শহর৷ পুরনো জার্মানি বলতে বিদেশিরা যা কিছু ভাবেন বা বোঝেন, তার সব কিছুই পাওয়া যাবে এই রোটেনবুর্গ শহরে৷
ছবি: gemeinfrei/Berthold Werner
বৃত্তাকার শহর ন্যোর্ডলিংগেন
ন্যোর্ডলিংগেনের নগর প্রাকারের দৈর্ঘ্য আড়াই কিলোমিটারের বেশি, এছাড়া গোটা জার্মানিতে একমাত্র এই নগর প্রাকার ধরেই শহরের পুরনো অংশটা পুরোপুরি চক্কর দেওয়া যায়৷ প্রাকারে পাঁচটি তোরণ বসানো আছে, এছাড়া তথাকথিত টিম্বার ফ্রেমিং-এরও কোনো অভাব নেই৷
ছবি: Romantische Straße Touristik AG GbR
নাট্যকার ব্যার্টোল্ট ব্রেশ্ট-এর জন্মের শহর আউগসবুর্গ
আউগসবুর্গের ট্রেডমার্ক হলো পেঁয়াজের আকৃতির গম্বুজে সাজানো পৌর ভবন৷ পৌর ভবনের ভিতরে আছে ‘গোল্ডেন হল’: সব কিছুই আউগসবুর্গের নাগরিকদের এককালীন ক্ষমতা ও সমৃদ্ধির পরিচয় বহন করছে৷
ছবি: Romantische Straße Touristik AG GbR
ফুগেরাই, বিশ্বের প্রাচীনতম দুঃস্থ আবাসন
ফুগার-রা ছিলেন আউগসবুর্গের সবচেয়ে ধনি বণিক তথা মহাজন পরিবার৷ তাঁরা সম্রাটকে যুদ্ধ চালানোর টাকা ধার দিতেন৷ অপরদিকে এই ফুগাররাই বিশ্বের প্রাচীনতম দুঃস্থ আবাসন সৃষ্টি করেন৷ সালটা ছিল ১৫২১, বাড়িভাড়া ছিল এক গুল্ডেন৷ মজার কথা, আজও তাই আছে, অর্থাৎ আজকের ভাড়াও ৮৮ সেন্ট!
ছবি: Romantische Straße Touristik AG GbR
রকোকো শৈলীর গির্জে
বাভারিয়ার ফাফেনভিঙ্কেল এলাকায় বহু সুন্দর সুন্দর গির্জা আছে৷ ভিজকির্শে বা মেঠো গির্জের বিশেষত্ব হলো, ১৭৩৮ সালে নাকি এখানকার কাঠের মূর্তির চোখ থেকে অশ্রু ঝরেছিল৷ সেই থেকে তীর্থযাত্রীদের স্রোত, যে কারণে আরো বড় একটি গির্জে তৈরি করতে হয়৷ সেই রকোকো গির্জাটি আজ ইউনেস্কোর ঘোষিত বিশ্ব সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Hase
নয়শোয়ানস্টাইন ক্যাসল
রোম্যান্টিক বলতে শুধু হৃদয়াবেগ নয়, রোম্যান্টিক বলতে সাহিত্য-শিল্পকলার একটি ধারাকেও বোঝায়৷ সেই ধারার সর্বোৎকৃষ্ট নিদর্শন হলো বাভারিয়ার রাজা দ্বিতীয় লুডভিশ-এর নির্দেশে তৈরি নয়শোয়ানস্টাইন দুর্গ৷ দুর্গটি তৈরি করা হয় দেড়’শ বছর আগে, কিন্তু সে আমলের রোম্যান্টিক প্রবণতা অনুযায়ী মধ্যযুগের নাইটদের দুর্গগুলির অনুকরণে৷ বছরে ১৫ লক্ষ পর্যটক আসেন জার্মানি রোম্যান্টিক রোডের এই চূড়ান্ত অ্যাট্র্যাকশনটিকে দেখতে৷