ইউরোপে থাকার অন্যতম সুবিধা হলো চটজলদি কোনো শহর দেখার সুযোগ৷ উন্মুক্ত সীমা ও আকাশপথে সামান্য দূরত্বের সুযোগ নিয়ে অনেক মানুষ সপ্তাহান্তে চটজলদি প্যারিস, ভিয়েনা, বার্লিন অথবা প্রাগ দেখে আসতে পারেন৷
বিজ্ঞাপন
ইউরোপে বিচিত্র দেশ দেখার সুযোগ
04:38
পিসা শহরের হেলে পড়া টাওয়ারের শোভা দেখার মজা, আমস্টারডাম শহরের খালপথে নৌকায় করে বেড়ানো, বার্লিনের ক্লাবে রাতের আনন্দ নেওয়া অথবা অসলো শহরের নতুন অপেরা ভবন দেখা – ইউরোপের শহরগুলির মধ্যে বৈচিত্রের অভাব নেই৷ এই বৈচিত্র ও বিভিন্ন শহরের মধ্যে সহজেই যাতায়াতের সুবিধার ফলে পর্যটন ক্ষেত্র ফুলে-ফেঁপে উঠছে৷
২০১৬ সালে জার্মানির সবচেয়ে জনপ্রিয় ১০টি পর্যটন স্থান
জার্মানির পর্যটন বোর্ড বিদেশি পর্যটকদের তাঁদের দৃষ্টিতে সেরা পর্যটন স্থান নির্বাচন করতে আহ্বান জানিয়েছিল৷ ছবিঘরে থাকছে শীর্ষ ১০ স্থানের কথা৷ আশ্চর্যের বিষয় এর মধ্যে বার্লিন নেই!
ছবি: Mapics/Fotolia
নম্বর ১০: ড্রেসডেন শহরের পুরনো অংশ
এলবে নদীর পাশে অবস্থিত এই অংশে গেলে রেনেসাঁ, বারোক ও উনবিংশ শতাব্দীতে নির্মিত কয়েকটি ঐতিহাসিক ভবনের দেখা পাওয়া যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নম্বর ৯: কোলন ক্যাথিড্রাল
প্রতিদিন ২০ হাজারের মতো মানুষ এই গির্জা দেখতে যান৷ সাত শ’ বছরেরও বেশি পুরনো কোলন ডোম তৈরিতেও প্রায় একইরকম সময় লেগেছে৷ ১৯৯৬ সালে এটিকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Baeck
নম্বর ৮: উল্ম শহরের গির্জা
এই গির্জার টাওয়ারটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু - ১৬১.৫৩ মিটার৷ ১২৬ বছর আগে এই গির্জার নির্মাণকাজ শেষ হয়৷
ছবি: picture-alliance/Carsten Schmidt
নম্বর ৭: মানহাইমের বারোক শৈলীর প্রাসাদ
এই প্রাসাদের একটি অংশ এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে৷
ছবি: Landesmedienzentrum Baden-Württemberg/ Staatliche Schlösser und Gärten Baden-Württemberg
নম্বর ৬: লেক কন্সটান্স অঞ্চল
জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ার আল্পস পর্বতমালা এলাকায় এই লেকটি অবস্থিত৷
ছবি: Imago/bodenseebilder.de
নম্বর ৫: রথেনবুর্গ অব ডেয়ার টাওবার
জার্মানির বিখ্যাত ‘রোম্যান্টিক রোড’এর অংশ রথেনবুর্গে গেলে এখনও মধ্যযুগের ঐতিহ্যের দেখা পাওয়া যায়৷
ছবি: Fotolia/Frank Merfort
নম্বর ৪: নয়শোয়ানশ্টাইন দুর্গ
প্রতিবছর ১৪ লাখের মতো মানুষ দুর্গটি দেখতে যান৷ ১৮৬৯ সালে এটি তৈরি করেন রাজা দ্বিতীয় লুডভিশ৷
ছবি: picture-alliance
নম্বর ৩: রুস্ট শহরের ইউরোপা পার্ক
প্যারিসের ডিজনিল্যান্ডের পর রুস্ট শহরের এই থিম পার্কটিই ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়৷ জার্মানির সবচেয়ে বড় থিম পার্কও এটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Seeger
নম্বর ২: হাইডেলব্যার্গ ক্যাসেল ও পুরনো শহর
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Wittek
নম্বর ১: হামবুর্গের মিনিয়েচার ওয়ান্ডারল্যান্ড
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘মডেল রেললাইন’ এটি৷ ভিডিও দেখতে উপরে ‘+’ চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: Miniatur Wunderland Hamburg
10 ছবি1 | 10
২০১৭ সালে নতুন ফিলহার্মোনিক অর্কেস্ট্রা ভবন চালু হবার পর জার্মানির উত্তরে হামবুর্গ শহর আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে৷ পর্যটন বিশেষজ্ঞ উলরিশ রাইনহার্ট জানেন, বিভিন্ন শহরে দেখার কী আছে৷ ফাউন্ডেশন ফর ফিউচার স্টাডিজের স্বত্বাধিকারী উলরিশ রাইনহার্ট বলেন, ‘‘গত দশ-পনেরো বছর ধরে ইউরোপের শহরগুলিতে ভ্রমণের প্রবণতা বেড়েই চলেছে৷ প্রতি বছর আরও বেশি মানুষ বড় শহরগুলিতে বেড়াতে যাচ্ছেন৷ শুধু রাজধানী নয়, মাঝারি ও ছোট মাপের শহরগুলিও ইউরোপের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে৷’’
চমকপ্রদ অট্টালিকা, নদীর আকর্ষণ ও রোমাঞ্চকর ইতিহাসের কারণে এখনো পর্যন্ত লন্ডন ও প্যারিস তালিকার শীর্ষে রয়েছে৷ সন্ত্রাসী হামলা বা ব্রেক্সিট নিয়ে দুশ্চিন্তা সত্ত্বেও পর্যটকরা দমে যাবার পাত্র নন৷ সেতুগুলির স্থাপত্যশৈলি কাউকে টানে, নোত্র দাম গির্জার ঘণ্টা কারো মন মাতায়৷
পূর্ব ইউরোপের শহরগুলির জনপ্রিয়তাও বাড়ছে৷ বেলগ্রেড শহরের নতুন সাংস্কৃতিক পরিবেশের আকর্ষণ কম নয়৷ স্থাপত্যশৈলী ও উষ্ণ প্রস্রবণের কারণে বুদাপেস্ট পর্যটকদের মন মাতায়৷ উলরিশ রাইনহার্ট বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে গেডানস্ক থেকে বেলগ্রেড পর্যন্ত অনেক শহর পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়৷ বুদাপেস্ট ও বুখারেস্টও কম যায় না৷ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম সেখানে ঘনঘন যাচ্ছে, কারণ, সেখানে তাদের দারুণ অভিজ্ঞতা হচ্ছে৷ মোটকথা যেখানেই তরুণ প্রজন্ম সক্রিয়, সেখানেই বাকিরা অংশ নিতে ছুটে যাচ্ছে৷’’
জার্মানির যে বিষয়গুলো পর্যটকদের নজর কাড়ে
অন্য সব দেশের মতো জার্মনিতেও রয়েছে নিজস্ব কিছু রীতি-নীতি বা আচার অনুষ্ঠান৷ জার্মানরা সুশৃঙ্খল জাতি হিসেবে পরিচিত৷ তাঁদের এমন কিছু বিষয় রয়েছে যা জার্মানিতে আসা যে কোনো নতুন মানুষকে অবাক করে৷
ছবি: Creativa/Fotolia.com
জার্মানদের পরিবেশ সচেতনতা
কাগজ, শক্ত কাগজের বাক্স, প্লাস্টিক, বাড়ির সাধারণ আবর্জনা, রান্নঘর বা বাগানের আবর্জনা, গ্লাস ইত্যাদি ফেলার জন্য জার্মানরা আলাদা এবং বিভিন্ন ধরণের ডাস্টবিন ব্যবহার করে থাকে৷ পরিবেশ রক্ষা করতে এসব আবর্জনা রিসাইক্লিং বা পুনর্ব্যবহার করার জন্যই এমনটি করা হয়৷ পরিবেশ সম্পর্কে জার্মানদের এতটা সচেতনতা জার্মানিতে নতুন আসা সব মানুষের নজর কাড়ে৷
একে তো রাত, তার ওপর বৃষ্টিও হচ্ছে, রাস্তায় তেমন কোনো গাড়িও চলছে না৷ অথচ এক পথচারী তখনও রাস্তা পার হওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছে, সবুজ ট্রাফিক লাইট না জ্বলা পর্যন্ত তিনি রাস্তা পার হবেন না৷ জার্মানরা আইন-কানুন আর নিয়ম-নীতির প্রতিই এতটাই শ্রদ্ধাশীল৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Rumpenhorst
যার যার তার তার
জার্মানরা রেস্তোরাঁ বা কফি হাউজ যেখানেই একসাথে খেতে যান না কেন, খাওয়া-দাওয়ার পর প্রত্যেকে শুধু নিজের বিলই পরিশোধ করে৷ এটা দেখে অন্য দেশ বা সংস্কৃতি থেকে আসা মানুষ খুবই অবাক হন৷ তাদের বিস্ময় আরো বেড়ে যায় যখন দেখেন যে প্রেমিক-প্রেমিকারাও একই নিয়মে বিল পরিশোধ করছে৷ এ সম্পর্কে জার্মানদের মন্তব্য, ‘ভিন্ন দেশ, ভিন্ন রীতি৷’
ছবি: imago/INSADCO
পোষা প্রাণী
জার্মানিতে শতকরা ২৮জন মানুষ বেড়াল পোষেন আর বাড়িতে কুকুর পোষেন শতকরা ২৩ জন৷ জার্মানির অন্তত ৭০ লাখ মানুষের বাড়িতে কোনো-না-কোনো পোষা প্রাণী রয়েছে৷ তবে বেশিরভাগ মানুষই কিন্তু কুকুরের ভক্ত৷ যদিও সর্বত্র পোষ্য কুকুরের বিষ্ঠা পড়ে থাকে বলে অতি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন জার্মানরা প্রচন্ড বিরক্ত৷
ছবি: Imago
আপনি, না তুমি?
জার্মান ভাষায়ও বাংলার মতো ‘আপনি’ ও ‘তুমি’ সম্মোধন রয়েছে৷ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হলে ‘তুমি’ আর একটু দূরত্ব থাকলে ভদ্রতা করে বা অফিসিয়াল সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘আপনি’ বলে সম্মোধন করা হয়৷
ছবি: Creativa/Fotolia.com
5 ছবি1 | 5
পর্যটকরা শুধু রেড ওয়াইন চেখে দেখতে ফ্রান্সের বর্দো শহর যাচ্ছেন না৷ সম্প্রতি সেখানে এক ইন্টারঅ্যাক্টিভ ওয়াইন মিউজিয়াম চালু হয়েছে৷ তার আকর্ষণে আরও পর্যটক আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে৷ অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ভ্রমণ সংক্রান্ত প্রকাশনী ‘লোনলি প্ল্যানেট’ ২০১৭ সালে বর্দো শহরকে ইউরোপের সেরা গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরছে৷ তবে একটি সূত্র অনুযায়ী মার্কিন পর্যটকদের কাছে ইটালির ফ্লোরেন্স শহর সবচেয়ে প্রিয় গন্তব্য৷ ফাউন্ডেশন ফর ফিউচার স্টাডিজ প্রো. উলরিশ রাইনহার্ট বলেন, ‘‘একটি বিশেষ প্রজন্ম ইউরোপের শহরগুলি ভ্রমণ করতে পছন্দ করে৷ বিশেষ করে সন্তানহীন দম্পতিদের জন্য এমন ভ্রমণ বেশ আকর্ষণীয়৷ অনেক বয়স্ক ও কমবয়সিও এই সব শহর দেখতে যাচ্ছেন৷’’
শহর ঘুরে দেখানোর ভিন্ন স্বাদের ট্যুরগুলির জনপ্রিয়তা বাড়ছে৷ যেমন খোলা গাড়িতে বসে বার্লিনের দ্রষ্টব্য স্থানগুলির পাশ দিয়ে চলে যাবার মজাই আলাদা৷ রোম শহরে ভেসপা স্কুটারে চেপে শহরের পুরানো অংশের সরু অলিগলি চষে বেড়ানো যায়৷ বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকে বুদাপেস্ট শহরের ‘উভচর’ বাসের সাইটসিয়িং ট্যুর৷ ড্যানিউব নদী থেকে শহরের পথঘাট দেখা যায় একই যানে চেপে৷ প্রো. রাইনহার্ট বলেন, ‘‘সপ্তাহান্তের বেড়ানোর গন্তব্য হিসেবে শহর-দর্শন বেশি দেখা যায়৷ অর্থাৎ হাতে দুই, বড়জোর তিন রাত সময় থাকে৷ গ্রীষ্মের ছুটির মতো ১০, ১২ বা ১৪ দিন বা আরও বেশি সময় পাওয়া যায় না৷ তাই এমন শহর ভ্রমণ বাড়তি ছুটি হিসেবে ভালো, তবে আসল লম্বা ছুটির বিকল্প নয়৷’’
শহর ভ্রমণ করার সময় পর্যটকরা অনেক কিছু করতে চান৷ মিউজিয়াম দেখা তার মধ্যে পড়ে, যেমন আমস্টারডাম শহরের রাইক মিউজিয়াম৷ অথবা ভিয়েনা শহরের বিখ্যাত নাগরদোলায় চাপার মজাই আলাদা! কোপেনহেগেন শহরে অত্যাধুনিক অ্যাকোয়ারিয়াম-এ প্রায় ২০,০০০ মাছ আছে৷ ইউরোপের উত্তরাঞ্চলে সবচেয়ে বড় অ্যাকোয়ারিয়াম এটি৷ ইউরোপের শহরগুলিতে ভবিষ্যতেও পর্যটকদের ঢল বাড়বে, বই কমবে না৷
সুসানে ডাউস/এসবি
জার্মানির রোম্যান্টিক রোড
মাইন নদী থেকে আল্পস পর্বতমালা অবধি প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পথ: দুর্গ, প্রাসাদ, গির্জা, মঠ, সুন্দর সুন্দর শহর আর অপরূপ প্রকৃতি৷ বছরে দশ লক্ষ পর্যটক যা দেখতে আসেন৷
ছবি: Romantische Straße Touristik AG GbR
ভ্যুরৎসবুর্গ দিয়ে শুরু!
ভ্যুরৎসবুর্গের প্রিন্স-বিশপদের এই ব্যারোক শৈলীর প্রাসাদটি বিশ্ব সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার হিসেবে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে৷ ঠিক এখান থেকেই রোম্যান্টিক রোডের শুরু৷ মাইন নদীর তীরে ঐতিহাসিক শহর আর চারদিকের পাহাড়ে আঙুরক্ষেত মিলে এক অপূর্ব পরিবেশ৷
ছবি: Romantische Straße Touristik AG GbR
যেন পটে আঁকা ছবি: রোটেনবুর্গ
টুরিস্টদের কাছে একটি আদর্শ জার্মান শহর৷ পুরনো জার্মানি বলতে বিদেশিরা যা কিছু ভাবেন বা বোঝেন, তার সব কিছুই পাওয়া যাবে এই রোটেনবুর্গ শহরে৷
ছবি: gemeinfrei/Berthold Werner
বৃত্তাকার শহর ন্যোর্ডলিংগেন
ন্যোর্ডলিংগেনের নগর প্রাকারের দৈর্ঘ্য আড়াই কিলোমিটারের বেশি, এছাড়া গোটা জার্মানিতে একমাত্র এই নগর প্রাকার ধরেই শহরের পুরনো অংশটা পুরোপুরি চক্কর দেওয়া যায়৷ প্রাকারে পাঁচটি তোরণ বসানো আছে, এছাড়া তথাকথিত টিম্বার ফ্রেমিং-এরও কোনো অভাব নেই৷
ছবি: Romantische Straße Touristik AG GbR
নাট্যকার ব্যার্টোল্ট ব্রেশ্ট-এর জন্মের শহর আউগসবুর্গ
আউগসবুর্গের ট্রেডমার্ক হলো পেঁয়াজের আকৃতির গম্বুজে সাজানো পৌর ভবন৷ পৌর ভবনের ভিতরে আছে ‘গোল্ডেন হল’: সব কিছুই আউগসবুর্গের নাগরিকদের এককালীন ক্ষমতা ও সমৃদ্ধির পরিচয় বহন করছে৷
ছবি: Romantische Straße Touristik AG GbR
ফুগেরাই, বিশ্বের প্রাচীনতম দুঃস্থ আবাসন
ফুগার-রা ছিলেন আউগসবুর্গের সবচেয়ে ধনি বণিক তথা মহাজন পরিবার৷ তাঁরা সম্রাটকে যুদ্ধ চালানোর টাকা ধার দিতেন৷ অপরদিকে এই ফুগাররাই বিশ্বের প্রাচীনতম দুঃস্থ আবাসন সৃষ্টি করেন৷ সালটা ছিল ১৫২১, বাড়িভাড়া ছিল এক গুল্ডেন৷ মজার কথা, আজও তাই আছে, অর্থাৎ আজকের ভাড়াও ৮৮ সেন্ট!
ছবি: Romantische Straße Touristik AG GbR
রকোকো শৈলীর গির্জে
বাভারিয়ার ফাফেনভিঙ্কেল এলাকায় বহু সুন্দর সুন্দর গির্জা আছে৷ ভিজকির্শে বা মেঠো গির্জের বিশেষত্ব হলো, ১৭৩৮ সালে নাকি এখানকার কাঠের মূর্তির চোখ থেকে অশ্রু ঝরেছিল৷ সেই থেকে তীর্থযাত্রীদের স্রোত, যে কারণে আরো বড় একটি গির্জে তৈরি করতে হয়৷ সেই রকোকো গির্জাটি আজ ইউনেস্কোর ঘোষিত বিশ্ব সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Hase
নয়শোয়ানস্টাইন ক্যাসল
রোম্যান্টিক বলতে শুধু হৃদয়াবেগ নয়, রোম্যান্টিক বলতে সাহিত্য-শিল্পকলার একটি ধারাকেও বোঝায়৷ সেই ধারার সর্বোৎকৃষ্ট নিদর্শন হলো বাভারিয়ার রাজা দ্বিতীয় লুডভিশ-এর নির্দেশে তৈরি নয়শোয়ানস্টাইন দুর্গ৷ দুর্গটি তৈরি করা হয় দেড়’শ বছর আগে, কিন্তু সে আমলের রোম্যান্টিক প্রবণতা অনুযায়ী মধ্যযুগের নাইটদের দুর্গগুলির অনুকরণে৷ বছরে ১৫ লক্ষ পর্যটক আসেন জার্মানি রোম্যান্টিক রোডের এই চূড়ান্ত অ্যাট্র্যাকশনটিকে দেখতে৷