1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পর্যটনের অবহেলিত গন্তব্য জার্মানির ড্রেসডেন

২২ জুন ২০২৩

জার্মানিতে বেড়ানোর জায়গা হিসেবে মিউনিখ বা বাভেরিয়া যতটা পরিচিত, ড্রেসডেন ততটা পরিচিত নয়৷ অথচ সেই শহর ও সংলগ্ন এলাকায় পর্যটকরা অনেক কিছু দেখার সুযোগ পেতে পারেন৷

ড্রেসডেন (ফাইল ফটো)
ড্রেসডেন (ফাইল ফটো)ছবি: elxeneize/Zoonar/picture alliance

লোনলি প্ল্যানেট নামের ভ্রমণের বইয়ের প্রকাশক ২০২৩ সালে ড্রেসডেন শহরকে অন্যতম সেরা ভ্রমণের গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরছে৷ ড্রেসডেন শহরের আকর্ষণ চিরকালই জানা ছিল৷ এর ছয়টা কারণ তুলে ধরা যাক৷

উঁচু জায়গা থেকে ড্রেসডেন শহরের দৃশ্য সত্যি মুগ্ধ করার মতো৷ যেমন এলবে নদীর এক প্রান্ত থেকে বারোক যুগের বিখ্যাত ওল্ড টাউন খুব সুন্দর লাগে৷ অষ্টাদশ শতাব্দীর ইটালীয় শিল্পী কানালেতোর আঁকা ছবির সুবাদে সেই দৃশ্যকে ‘কানালেতো ভিউ' বলা হয়৷

‘চার্ট অফ আওয়ার লেডি' দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল৷ দুই জার্মানির পুনরেকত্রীকরনের পর গোটা বিশ্ব থেকে চাঁদার অর্থ ব্যয় করে সেই গির্জা পুনর্গঠন করা হয়৷ আজ এই উপাসনালয়টি পুনর্মিলনের প্রতীক হয়ে উঠেছে৷ সোম থেকে শুক্রবার দুপুর ১২টা নাগাদ গির্জার অরগ্যানের সুন্দর সুর শোনা যায়৷ তারপর সেই ভবন ঘুরে দেখতে বিনামূল্যের গাইডেড ট্যুর তো আছেই৷

বেশ কয়েকটি চমকপ্রদ ভবন ও সবুজ বাগানভরা সুইঙার প্রাসাদের কমপ্লেক্স ঘুরে দেখার জন্য অবশ্যই হাতে সময় রাখা উচিত, যা বারোক যুগের অসাধারণ শিল্পকীর্তি হিসেবে পরিচিত৷ সেটি ড্রেসডেন শহরের অন্যতম বিখ্যাত দ্রষ্টব্য৷

সেখানেই ‘ওল্ড মাস্টার্স' চিত্রশিল্পীদের গ্যালারি রয়েছে৷ কয়েকশো বছরের পুরানো প্রায় ৭০০ পেন্টিং সেখানে শোভা পাচ্ছে৷ সেগুলির মধ্যে কানালেতোর বিখ্যাত ড্রেসডেন স্কাইলাইনের ছবিও রয়েছে৷ রাফায়েলের সিস্টিন ম্যাডোনাও সেই সংগ্রহের অংশ৷ সেখানকার দুই দেবদূতকে গোটা বিশ্বের অসংখ্য পোস্টার ও পোস্টকার্ডে দেখা যায়৷

জার্মানির আরেক সুন্দর শহর ড্রেসডেন

04:07

This browser does not support the video element.

রয়েল প্যালেস ও সেখানকার ‘গ্রিন ভল্ট'-ও আবশ্যক গন্তব্যের মধ্যে পড়ে৷ স্যাক্সনির রাজাদের চেম্বার হিসেবে সেই ভল্টের মধ্যে দুর্লভ অলংকারের অসাধারণ সংগ্রহ রয়েছে৷ ২০১৯ সালে অভাবনীয় ডাকাতির সময় কিছু সামগ্রী চুরি হয়েছিল৷ সৌভাগ্যবশত, চোরাই মালের অংশবিশেষ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে৷

নিউ টাউন এলাকা না দেখলে ড্রেসডেন ভ্রমণ অসম্পূর্ণ থেকে যাবে, যদিও জায়গাটির নাম কিছুটা বিভ্রান্তির কারণ হতে পারে৷ বিশাল এক অগ্নিকাণ্ডের পর অষ্টাদশ শতাব্দীতে সেই এলাকা তৈরি করা হয়েছিল৷ আজ অনেক তরুণ-তরুণী সেখানে বাস করেন৷ অসংখ্য দোকান, ক্যাফে ও শিল্পীদের সমারোহ জায়গাটিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে৷ ড্রেসডেন শহরের বহুমুখী আকর্ষণের কারণ স্পষ্ট৷

অবশেষে স্যাক্সনির সুইজারল্যান্ডের উল্লেখ না করলেই নয়৷ ড্রেসডেনে এলে এলবে নদীর উপর স্টিমবোট ক্রুজে ঘোরার মজাই আলাদা৷ নৌকায় বসেই ঊনবিংশ শতাব্দীর লশভিৎস সেতু পেরিয়ে যাওয়া যায়, যা ‘ব্লু ওয়ান্ডার' নামে পরিচিত৷ কয়েক কিলোমিটার পরেই স্যাক্সনির সুইজারল্যান্ড বলে পরিচিত অঞ্চল চোখে পড়বে৷ চুনাপাথরের সেই পাহাড় হাইকার ও ক্লাইম্বারদের কাছে বেশ জনপ্রিয়৷

এত কিছু করার আছে, যে একঘেয়েমীর কোনো অবকাশই নেই৷

আন্দ্রেয়াস কিয়র্শহফ/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ