একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিএনপির নেতা, পলাতক এম এ জাহিদ হোসেন ওরফে খোকন রাজাকারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১৷ বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষণা করা হয়৷
বিজ্ঞাপন
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালের রায়ে বাংলাদেশের ফরিদপুরের নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র ও বিএনপি নেতা, রাজাকার খোকনের বিরুদ্ধে আনা ১১টির মধ্যে ১০টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানানো হয়৷ এর মধ্যে হত্যা ও গণহত্যার ৬টি অভিযোগের প্রতিটিতে তাঁকে ফাঁসির দণ্ড দেয়া হয়েছে৷ লুণ্ঠন, ধর্ষণ এবং ধর্মান্তরিত করার অভিযোগসহ ৪টি অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে৷ আসামি খোকন বিচার শুরুর আগে থেকেই পলাতক৷
১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে খোকন জামায়াতের প্রার্থীর পক্ষে বৃহত্তর ফরিদপুর এলাকায় প্রচার চালান৷ পঁচাত্তরের পট পরিবর্তনের পর তিনি বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে নগরকান্দা পৌর কমিটির সহ-সভাপতি হন৷ ২০১১ সালে তিনি নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন৷
খোকন রাজাকারের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ:
অভিযোগ ১:
একাত্তরের ২৭শে এপ্রিল ভোর ৬টার দিকে খোকনের নেতৃত্বে তার বড় ভাই জাফর ও সশস্ত্র রাজাকার সদস্যরা নগরকান্দা বনগ্রামে যায়৷ তারা মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই মোল্লা ও নাজিম উদ্দিন মোল্লার বাড়িসহ ছয় বাড়িতে লুটপাট চালায়৷ এছাড়া উমেদ মোল্লা, রতন মোল্লা, হাসেম মোল্লা, মো. ইউনুস মোল্লাসহ ১৯ জনকে আটক করে তারা৷ তাদের মধ্যে সাত্তার মোল্লা ও আজিজ শেখকে নির্যাতনের পরে ছেড়ে দেয়া হলেও বাকি ১৭ জনকে থানায় নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়৷
অভিযোগ ২:
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২৮শে এপ্রিল থেকে ৬ই মের মধ্যে কোনো একদিন পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে আসামি খোকন ও তার নেতৃত্বাধীন রাজাকার বাহিনী জঙ্গুরদি-বাগুটিয়া গ্রামের কানাই লাল মণ্ডল ও আরেকজনের বাড়িতে হামলা চালায়৷ তারা ওই বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে এবং গ্রামের অন্য হিন্দুরা মুসলমান না হলে বাড়িঘর ধ্বংস করে দেশ থেকে বের করে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়৷ এরপর কানাই লালের পরিবারের কাছ থেকে জোর করে ৫ হাজার টাকা এবং জীবন দাসের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নেয় তারা৷
অভিযোগ ৩:
একাত্তরের ১৬ থেকে ২৮শে মের মধ্যে কোনো একদিন আসামি খোকন ও তার ভাইয়ের নেতৃত্বে সশস্ত্র রাজাকাররা একজন মৌলবীসহ জঙ্গুরদি-বাগুটিয়া গ্রামের জীবন দাসের বাড়ি যায়৷ তারা জীবন দাসসহ তার চার ভাইকে জোর করে মুসলিম করে তাদের মুসলিম নাম দেয়৷ পরে বাড়ির ভেতরে ঢুকে নারী সদস্যদেরও তারা ধর্মান্তরিত করে৷
অভিযোগ ৪:
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৭ই মে সকাল ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে খোকন, তার ভাই জাফর ও রাজাকার বাহিনীর সশস্ত্র সদস্যরা চাঁদের হাট গ্রামের বণিকপাড়ায় গিয়ে ১৬/১৭ জন হিন্দুকে হত্যার হুমকি দেয় এবং তাদের কাছ থেকে সোনার গয়না ও নগদ অর্থ কেড়ে নেয়৷ এরপর তাদের বাড়ি ও মন্দিরে আগুন দেয়৷ ওই গ্রামে আশ্রয় নেয়া এক নারীকে ধর্ষণ করেন খোকন৷ অন্য রাজাকার সদস্যরা এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে৷
অভিযোগ ৫:
মুক্তিযুদ্ধের সময় ৩০শে মে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে আসামি খোকন রাজাকারের নেতৃত্বে আতাহার রাজাকার, আইনাল রাজাকার ও আরো কয়েকজন পাকিস্তানি সেনাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে কোদালিয়া গ্রামের শহীদনগরে ঢোকে৷ পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে মিলে তারা বিভিন্ন বাড়িতে লুটপাটের পর আগুন দেয়৷ আশেপাশে লুকিয়ে থাকা নারী ও শিশুসহ ১৬ জনকে গুলি করে হত্যা করে খোকন ও তার সহযোগীরা৷ দেড় বছর বয়সি এক শিশুসহ অন্তত ছয়জন গুরুতর আহত হন৷ পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে যেতে অস্বীকৃতি জানানোয় আলাউদ্দিন নামে এক কিশোরের হাত ভেঙ্গে দেন খোকন৷ এছাড়া কোদালিয়া কওমি মাদ্রাসার কাছে পাকিস্তানি সেনারা আফজাল হোসেন এবং কাছেই পাটক্ষেতে শুকুর শেখ নামে একজনকে খোকন নিজে গুলি করে হত্যা করেন৷
অভিযোগ ৬:
একাত্তরের ৩০শে মে দুপুর দেড়টার দিকে খোকনের নেতৃত্বে পাকিস্তানি সেনাসহ রাজাকাররা ঈশ্বরদী গ্রামে যায় এবং বাড়ি-ঘর ও দোকানপাটে আগুন দেয়৷ গ্রাম ছেড়ে পালাতে থাকা ভীত ও নিরস্ত্র প্রামবাসীকে গুলি করে রাজাকার ও পাকিস্তানি সেনারা৷ এতে সালাম মাতবর, শ্রীমতী খাতুন, লাল মিয়া মাতুব্বর এবং মাজেদ মাতুব্বর নিহত হন৷
অভিযোগ ৭:
একাত্তরের ৩১শে মে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খোকনের নেতৃত্বে রাজাকার সদস্য ও পাকিস্তানি সেনারা কোদালিয়ার শহীদনগর গ্রামের দীঘলিয়া-ঘোড়ানাড়া বিলে যায় দু'দিন আগে ঐ এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধে নিহত পাকিস্তানি সেনাদের লাশ খুঁজতে৷ এ সময় পিজিরউদ্দিন, তার ভাই আফাজ ও তাদের প্রতিবেশী শেখ সাদেকের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়৷ তারা তিনজনই বাড়ির ভেতরে পুড়ে মারা যান৷ একইদিন সকাল ১০টার দিকে বনগ্রামে আবদুল হাই মোল্লা, ইকরাম মোল্লাসহ পাঁচজনের বাড়ি লুট করে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়৷ মেহেরদিয়া গ্রামের আসিরুদ্দিন মাতুব্বরকে মেহেরদিয়া পূর্বপাড়া জামে মসজিদ থেকে বের করে গুলি করে হত্যা করেন খোকন৷ পরে সফিজুদ্দিন মাতুব্বরকেও গুলি করে হত্যা করা হয়৷
অভিযোগ ৮:
একাত্তরের ৩১শে মে খোকনের নেতৃত্বে সশস্ত্র রাজাকার বাহিনী ও পাকিস্তানি সেনারা স্বাধীনতার পক্ষের লোকজন, আওয়ামী লীগের কর্মী ও হিন্দুদের নিশ্চিহ্ন করতে গোয়ালদি গ্রামে যায়৷ প্রাণভয়ে পালাতে থাকা মানুষের দিকে তারা গুলি চালালে রাজেন্দ্রনাথ রায় নামে এক বৃদ্ধ নিহত হন৷ পরিবারের সঙ্গে পালাতে থাকা কিশোর হান্নান মুন্সীর দুই বছরের বোন বুলু খাতুনকে তার মায়ের কোলে গুলি করে হত্যা করেন খোকন ও তার সহযোগীরা৷
অভিযোগ ৯:
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৩১শে মে খোকনের নেতৃত্বে রাজাকার সদস্য ও পাকিস্তানি সেনারা কুড়াপাড়া গ্রামে ঢুকে ছটু খাতুন, সফিজুদ্দিন শেখ, মানিক সরদার, রতন শেখ, জয়নুদ্দিন শেখ ও আবদুল বারেক মোল্লাকে গুলি করে হত্যা করে৷ এ সময় বাড়ি-ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়৷
অভিযোগ ১০:
একাত্তরের ১লা জুন ভোরে আসামি খোকন রাজাকারের নেতৃত্বে আতাহার রাজাকার, আয়নাল রাজাকারসহ অন্যরা এবং পাকিস্তানি সেনারা বাগত ও চুরিয়াচর গ্রামে গিয়ে লুটপাট চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়৷ এ সময় আওয়ামী লীগের সমর্থক মিনি বেগমের বাড়িতে গিয়ে তার বাবা মালেক মাতব্বর, ভাই মোশাররফ মাতব্বর, দাদী, নানী ও আমজাদ মুন্সীকে গুলি করে হত্যা করে৷ এছাড়া রতন মাতব্বর, আইউব আলী ও মঞ্জু রাণীসহ ১০/১৫ জন গ্রামবাসীকে হত্যা করা হয়৷
অভিযোগ ১১:
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১ জুলাই থেকে ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে কোনো একদিন খোকন রাজাকারের নেতৃত্বে আতাহার রাজাকার ও আয়নাল রাজাকারসহ অন্যরা পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে নিয়ে জঙ্গুরদিয়া-বাগুটিয়া গ্রামে কানাইলাল মণ্ডলের বাড়িতে যায়৷ কানাইলাল তাদের আসতে দেখে পাশের পাটক্ষেতে আত্মগোপনের চেষ্টা করেন৷ কিন্তু খোকন রাজাকার সেখান থেকে তাকে ধরে এনে গুলি করে৷
আরো যারা পলাতক
রাষ্ট্রপক্ষ ও তদন্ত সংস্থা জানিয়েছে, নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র হিসেবে শপথ নেয়ার পরপরই দেশ দেশ ছেড়ে যান খোকন৷ সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, তিনি সুইডেনে আছেন৷
এ নিয়ে আসামির অনুপস্থিতিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের তৃতীয় কোনো মামলার রায় হলো৷ ট্রাইব্যুনালে আসামির অনুপস্থিতিতে প্রথম বিচার ও রায় হয় জামায়াতের সাবেক নেতা আবুল কালাম আযাদের বিরুদ্ধে৷ গত বছরের ২১ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনাল পলাতক আবুল কালাম আযাদকে ফাঁসির আদেশ দেন৷ এরপর গত বছরের ৩রা নভেম্বর একাত্তরের দুই আলবদর নেতা চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল৷ বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যার দায়ে দণ্ডিত এই দুজন মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ার পরপরই বিদেশে পালিয়ে যান৷
রায়েরঅপেক্ষায় আরো তিন মামলা
ট্রাইব্যুনাল-১-এ আরও দুটি মামলা রায়ের অপেক্ষায় আছে৷ এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা মো. মোবারক হোসেনের মামলার কার্যক্রম শেষ হয় ২রা জুন ৷ আর জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের মামলার কার্যক্রম শেষ হয় ১৮ই সেপ্টেম্বর৷
ট্রাইব্যুনাল-২-এ রায়ের অপেক্ষায় আছে একটি মামলা৷ ২০শে আগস্ট এই ট্রাইব্যুনালে সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী এবং জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের মামলার কার্যক্রম শেষ হয়৷
জার্মানিতে শাহবাগের ঢেউ
শাহবাগের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে জার্মানির বিভিন্ন শহরে আয়োজন করা হয়েছে এবং হচ্ছে প্রতিবাদ সমাবেশ৷ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে জার্মানি প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত এসব প্রতিবাদের খবর ছবিসহ যোগ করা হয়েছে এই ছবিঘরে৷
ছবি: Sams ul Arefin
‘যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই’
শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে যে জনসমুদ্র গর্জে ঘটেছে, তার ঢেউ আছড়ে পড়ছে গোটা দুনিয়ায়৷ জার্মানি বাদ থাকবে কেন? একের পর এক শহরে আয়োজন করা হচ্ছে সমাবেশ, মানববন্ধন৷ দাবি একটাই, ‘যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই’৷
ছবি: DW/A. Islam
বনে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি, জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি
কনকনে শীত৷ তার তোয়াক্কা না করেই গত ১৯শে ফেব্রুয়ারি জার্মানির বন শহরে জাতিসংঘের কার্যালয়ের সামনে সমবেত তাঁরা৷ তাঁদের কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, অধ্যাপক, ছাত্র, কেউবা হোটেল-রেস্তোরাঁয় কাজ ফেলে আসা বাংলাদেশি৷ বন শহরের নানা প্রান্ত থেকে তাঁরা ছুটে এসেছেন সারা বিশ্বে একটা দাবিকে ছড়িয়ে দিতে, ‘‘একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই৷''
ছবি: DW/A. Chakraborty
কোলোন ক্যাথিড্রালের সামনে শাহবাগ সমাবেশ
জার্মানির অন্যান্য শহরের মতো বন শহরের কাছেই কোলোনে গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি বেলা তিনটেয় সমবেত হন সেই বাঙালিরা, যাদের মন রাজীবের হত্যাকাণ্ডে ক্ষুব্ধ, ভারাক্রান্ত, কিন্তু কণ্ঠে শাহবাগের সোচ্চার দাবি৷ সংগঠকদের মধ্যে অন্যতম, কোলোন ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস'র আইটিটি প্রতিষ্ঠানের গবেষক এবিএম ফিরোজ ডয়চে ভেলেকে বলেন, রাজীবের হত্যাকাণ্ড তাঁদের আরো অনুপ্রাণিত করেছে৷
ছবি: Firoz
মিউনিখে প্রতিবাদ
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মিউনিখে বসবাসরত বাংলাদেশিরা ম্যুনশনার ফ্রাইহাইটে সমবেত হন৷ উদ্দেশ্য শাহবাগের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ৷ এসময় তাঁরা রাজাকারদের মৃত্যুদণ্ড এবং জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবি জানান৷
ছবি: M. Rahman
প্রতিবাদ ম্যোনশেনগ্লাডবাখে
জার্মানির ম্যোনশেনগ্লাডবাখ শহরে ১৩ই ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন একদল বাংলাদেশি শিক্ষার্থী৷ এই সমাবেশ থেকে কাদের মোল্লা এবং অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড প্রদানের দাবি জানানো হয়েছে৷
ছবি: Rajib Ahmed
এসেন ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ
জার্মানিতে বর্তমানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা দেড় হাজারের মতো৷ বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মসূদ মান্নান জানিয়েছেন এই তথ্য৷ এই শিক্ষার্থীরা ছড়িয়ে আছেন বিভিন্ন শহরে৷ গত ১০ই ফেব্রুয়ারি ডুইসবুর্গ-এসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এসেন ক্যাম্পাসে একটি সমাবেশের আয়োজন করে শিক্ষার্থী, পেশাজীবীরা৷
ছবি: Sams ul Arefin
‘একাত্মতা ঘোষণা করছি’
ডুইসবুর্গ-এসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এসেন ক্যাম্পাসে আয়োজিত সমাবেশের অন্যতম আয়োজক শামস-উল-আরেফিন৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘যুদ্ধাপরাধী, রাজাকারদের পূর্ণাঙ্গ শাস্তির দাবিতে এক সপ্তাহ আগে ঢাকার শাহবাগে যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, তার সঙ্গে আমরা জার্মানিতে বসবাসরত বাংলাদেশিরা একাত্মতা ঘোষণা করছি৷’’
ছবি: Sams ul Arefin
সমাবেশ ফ্রাঙ্কফুর্টে
ফ্রাঙ্কফুর্টে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি আয়োজিত সমাবেশের ছবি আমরা পাইনি৷ তবে এই আয়োজন সম্পর্কে ফেসবুকে রয়েছে বিস্তর তথ্য৷ আয়োজকরা সেখানে লিখেছেন, ‘ঐকান্তিক ইচ্ছা আর কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে চলার মানসিকতায় উদ্বুদ্ধ হতে পারলে আমরা বিশ্বাস করি ঘৃণা আর প্রতিরোধের আগুন সবখানে, সবসময়েই জ্বালিয়ে দেওয়া সম্ভব৷’
ছবি: Sams ul Arefin
পেছনের কাজ
প্রতিবাদ জানাতে প্রয়োজন হয় লিফলেট, ব্যানার, পোস্টার৷ জার্মানিতে বাংলা ভাষায় সেসব কি আর সহজে মেলে? শিক্ষার্থীরা তাই নিজেরাই নেমে পড়লেন কলম, পেন্সিল, তুলি নিয়ে৷ ছবিতে মুঠোফোন থেকে দেখে দেখে কাগজে রাজাকারের প্রতিকৃতি আঁকছেন এক আন্দোলনকারী৷
ছবি: Adnan Sadeque
আরো প্রতিবাদ কর্মসূচি
জার্মানির ফ্রাইবুর্গ, মিউনিখ, উল্ম, বার্লিন, ব্রেমেনে প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজন করা হচ্ছে বা হবে৷ এব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য আমাদের কাছে নেই৷ তবে প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজকরা চাইলে ‘Arafatul.Islam@dw.de’ ঠিকানায় ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য পাঠাতে পারেন৷
একাত্তরে ‘মিরপুরের কসাই’ খ্যাত জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি বৃহস্পতিবার রাতে কার্যকর করা হয়েছে৷ বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোন যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হলো৷ মোল্লার ফাঁসি নিয়ে তৈরি আমাদের বিশেষ ছবিঘর৷
ছবি: AP
অবশেষে ফাঁসি
৪৮ ঘণ্টা ধরে নানা নাটকীয় পরিস্থিতির পর ১২ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার রাতে আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হয়৷ এর আগে মঙ্গলবার রাতে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের উদ্যোগ নেওয়া হলেও শেষ মুহূর্তে বিচারকের নির্দেশে তা স্থগিত হয়৷ মোল্লাকে এভাবে ফাঁসি না দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন, জার্মানি সহ অন্যান্যরা৷
ছবি: picture-alliance/AA
শেষ দেখা
বৃহস্পতিবার ফাঁসির রায় কার্যকরের কিছুক্ষণ আগে কাদের মোল্লার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তার পরিবারের সদস্যরা৷ এসময় জেলগেটে কাদের মোল্লার ছেলে হাসান জামিল বলেন, ‘‘ইসলামী আন্দোলন করার কারণেই আমার পিতাকে ফাঁসির দণ্ড দেয়া হয়েছে৷’’
ছবি: Reuters
গ্রেপ্তার, দম্ভোক্তি
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০০৮ সালে ঢাকার একটি থানায় দায়ের করা মামলায় ২০১০ সালের জুলাইয়ে গ্রেপ্তার হন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লা৷ পরবর্তীতে কারাগারে দাঁড়িয়ে তাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘বাংলাদেশ হয়েছে বলে অনেকের মাতব্বরি বেড়ে গেছে৷’’
ছবি: Reuters
যত অভিযোগ
কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মোট ৬টি অপরাধ বিবেচনায় নেয়া হয়৷ এগুলো হলো পল্লবি এলাকার গণহত্যা, কবি মেহেরুননিসা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা, সাংবাদিক খন্দকার আবু তালিব হত্যা, কেরানীগঞ্জের ভাটার চর ও ভাওয়াল খানবাড়ি হত্যাকাণ্ড, আলুব্দি গণহত্যা এবং মিরপুরের হযরত আলি পরিবারে গণহত্যা৷ এর সঙ্গে লুটতরাজ, ধর্ষণ এবং ধ্বংসযজ্ঞের অভিযোগও আছে৷ (ফাইল ফটো)
ছবি: Archiv Rowshan Jahan Shathi
প্রথমে যাবজ্জীবন, পরে মৃত্যুদণ্ড
ছয়টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটিতে কাদের মোল্লার অপরাধ প্রমাণিত হয়৷ এর প্রেক্ষিতে ফেব্রুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে৷ সেসময় কাদের মোল্লা আদালত থেকে বের হওয়ার সময় ‘বিজয় চিহ্ন’ দেখান৷ এতে সারাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়৷ পরবর্তীতে আপিলের ভিত্তিতে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় সর্বোচ্চ আদালত৷
ছবি: Strdel/AFP/Getty Images
দাফন সম্পন্ন
বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর মাইক্রোবাসে করে কাদের মোল্লার মরদেহ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের করা হয়৷ বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম লিখেছে, ‘‘স্থানীয় সময় রাত ৪টার দিকে ফরিদুপরের আমিরাবাদ গ্রামে লাশ পৌঁছানোর পর জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হয়।’’
ছবি: Mustafiz Mamun
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া
কাদের মোল্লার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সৃষ্টি হওয়া শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চে আবারো ভিড় করেছেন অসংখ্য মানুষ৷ মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার পর সেখানে উপস্থিত জনতা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে৷
ছবি: Reuters
‘‘জাতি আজ কলঙ্ক মুক্ত হলো’’
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার ডয়চে ভেলেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘‘জাতি আজ কলঙ্ক মুক্ত হলো৷ ৪২ বছর পরে হলেও একজন যুদ্ধাপরাধীর দণ্ড কার্যকর হলো৷’’ তিনি আশা করেন, সব যুদ্ধাপরাধীর দণ্ডই কার্যকর হবে৷
ছবি: privat
জার্মানির প্রতিক্রিয়া
এর আগে, বৃহস্পতিবার জার্মানির মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার মার্কুস ল্যোনিং এক বিবৃতিতে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর না করতে বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন৷ তিনি বলেছিলেন, জার্মানি নীতিগতভাবে মৃত্যুদণ্ড সমর্থন করে না৷ তাই ফাঁসির পরিবর্তে কারাদণ্ড দেবার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি৷
ছবি: dapd
ট্রাইব্যুনাল নিয়ে বিতর্ক
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০১০ সালে ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করে৷ তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল বিএনপি মনে করে, সরকার বিরোধী দলকে দুর্বল করতে এই ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করেছে৷ আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এই ট্রাইব্যুনাল নিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷
ছবি: AP
10 ছবি1 | 10
কাদের মোল্লার ফাঁসি পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসিতে ঝোলা কাদের মোল্লাকে ইসলামপন্থিরা বলছেন ‘শহিদ৷’ এই শহিদের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিভিন্ন জেলায় চলছে সহিংসতা৷ মোল্লার ফাঁসি পরবর্তী চব্বিশ ঘণ্টা নিয়ে আমাদের বিশেষ ছবিঘর৷
ছবি: AP
ইসলামপন্থিদের কাছে ‘শহিদ’
জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা কাদের মোল্লাকে মনে করছেন একজন ‘শহিদ৷’ যিনি ‘‘ইসলামি আন্দোলন করার কারণে’’ ফাঁসির দড়িতে ঝুলেছেন৷ এই ‘শহিদের’ মৃত্যুতে তাই শুক্রবার বিভিন্ন জেলায় গায়েবানা জানাজার আয়োজন করে জামায়াত-শিবির৷ মোল্লার জন্য পাকিস্তানেও গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ ছবিটি সেখানকার৷
ছবি: Rizwan Tabassum/AFP/Getty Images
অনেকের কাছে ‘মিরপুরের কসাই’
তবে বাংলাদেশে অনেকেই কাদের মোল্লাকে মনে করেন ‘মিরপুরের কসাই,’ যিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন৷ ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে আনা মানবতাবিরোধী ছয়টি অভিযোগের পাঁচটি প্রমাণিত হয়েছে৷ ফলে তাকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত দশটা এক মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কার্যকর হয়৷
ছবি: Mustafiz Mamun
মোল্লার পরিবার আক্রান্ত
জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর ঢাকার মগবাজারে তার পরিবারের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে৷ কাদের মোল্লার ছেলে হাসান জামিল বাংলাদেশের একাধিক সংবাদপত্রের কাছে দাবি করেন, ‘‘কিছু ছাত্রলীগের নেতা পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালায়৷’’ এসময় মোল্লা পরিবারের কয়েক সদস্যকে পুলিশ থানায় নিয়ে যায়৷
ছবি: Getty Images/Afp/Munir Uz Zaman
ফরিদপুরে শেষ ঠিকানা
বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর মাইক্রোবাসে করে কাদের মোল্লার মরদেহ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের করা হয়৷ বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম লিখেছে, ‘‘স্থানীয় সময় রাত ৪টার দিকে ফরিদপুরের আমিরাবাদ গ্রামে লাশ পৌঁছানোর পর জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হয়৷’’
ছবি: Mustafiz Mamun
ফাঁসির রায় উদযাপন
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে কাদের মোল্লার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার শাহবাগে সমবেত হন অসংখ্য মানুষ৷ তাদের আন্দোলনের ফলে পরবর্তীতে আইন সংশোধন করে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়৷ সেই আপিলে মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত হয় মোল্লার৷ রায় কার্যকরের পর স্বাভাবিকভাবেই তাই শাহবাগে আনন্দ মিছিল দেখা গেছে৷
ছবি: Mustafiz Mamun
ব্যাপক সহিংসতা
এদিকে, শুক্রবার বাংলাদেশে সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে পাঁচ ব্যক্তি৷ রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সড়ক অবরোধ করে, সেতু ভেঙে, গাড়ি পুড়িয়ে চালানো হচ্ছে নাশকতা৷ এমতাবস্থায় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷
ছবি: DW/M. Mamun
তবে সাঈদীর মতো নয়
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ শাহেদুল আনাম খান এবং শরীফ এ কাফি অবশ্য ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘জামায়াত তার সহিংস তত্পরতা নিয়ে কতদূর এগোতে পারবে তাও দেখার বিষয় আছে৷ কারণ সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর তারা যে মাত্রায় সহিংসতা চালাতে সক্ষম হয়েছিল এবার এখন পর্যন্ত তারা সেই মাত্রায় যেতে পারেনি৷ এর কারণ আগের অভিজ্ঞতা থেকে সরকার পূর্ব-প্রস্তুতি নিয়েছে৷’’ তবে এই প্রস্তুতি যথেষ্ট নয় বলেই মনে করেন এই দুই বিশেষজ্ঞ৷
ছবি: DW/M. Mamun
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
জামায়াত নেতা কাদের মোল্লাকে ফাঁসি না দিতে বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করেছিল জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন৷ তবে মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়টি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়৷
ছবি: Reuters
মৃত্যুদণ্ড সমর্থন করে না জার্মানি
বৃহস্পতিবার জার্মানির মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার মার্কুস ল্যোনিং এক বিবৃতিতে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর না করতে বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন৷ তিনি বলেছিলেন, ‘‘জার্মানি নীতিগতভাবে মৃত্যুদণ্ড সমর্থন করে না৷’’ তাই ফাঁসির পরিবর্তে কারাদণ্ড দেবার অনুরোধ জানিয়েছিলেন তিনি৷
ছবি: dapd
ট্রাইব্যুনাল নিয়ে বিতর্ক
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ২০১০ সালে ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করে৷ তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল বিএনপি মনে করে, সরকার বিরোধী দলকে দুর্বল করতে এই ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করেছে৷ আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এই ট্রাইব্যুনাল নিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷