1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘পুলিশের ব্যর্থতায় ১০ খুন’

হারুন উর রশী স্বপন, ঢাকা১৭ জুন ২০১৪

মিরপুরের পল্লবী এলাকার কালশী বিহারি পল্লীতে ১০ জনকে হত্যার ঘটনায় পুলিশের ব্যর্থতা দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল৷

বিহারি পল্লীতে চলছে শোকের মাতম (ফাইল ছবি)ছবি: Reuters

এদিকে বিহারি পল্লীতে এখনো চলছে শোকের মাতম৷ শোকার্ত বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন স্থানীয় সাংসদ ইলিয়াস মোল্লার ইঙ্গিতেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে৷

সোমবার দুপুরে মিরপুর বিহারি ক্যাম্পে আগুনে পোড়া ঘরবাড়ি পরিদর্শন ও নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন সুলতানা কামাল৷ এরপর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘বাংলাদেশে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের৷ কালশীর এই নৃশংস ঘটনায় প্রমাণ করে সরকার আটকেপড়া পাকিস্তানিদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে৷''

তিনি বলেন, ‘‘পুলিশের ব্যর্থতায় এই ঘটনা ঘটেছে৷ অথচ পুলিশ এবং এই বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই তদন্তের কাজ পরিচালনা করছেন৷ যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারাই যদি তদন্ত কাজ পরিচালনা করে তাহলে কী ভাবে সঠিক তদন্ত হবে?''

ছবি: Reuters

সুলতানা কামাল নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য যেসব পুলিশ সদস্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাদের বাদ দিয়ে তদন্ত কাজ পরিচালনার দাবি জানান৷

সুলতানা কামাল বলেন, ‘‘এই হতাহতের ঘটনায় স্থানীয় সাংসদ ইন্ধন দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে৷ তিনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত না থাকলে তাঁকেই এর প্রমাণ দিতে হবে৷''

চলছে প্রতিবাদ আর শোক

কালশীতে সংঘর্ষে ও প্রতিপক্ষের দেয়া আগুনে ১০ জন নিহত হওয়ার তিনদিন পরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি৷ চলছে শোকের মাতম আর প্রতিবাদ৷ যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য৷

সোমবার সরেজমিন বিহারি পল্লিতে গেলে দেখা যায় হত্যাকাণ্ডের বিচার ও প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত আছে৷ বিক্ষুব্ধরা সড়কও অবরোধ করেন৷

তারা অভিযোগ করেন, ‘‘বিহারি ক্যাম্পের জমি দখল ও ইলিয়াস মোল্লার কথায় অপর বস্তিতে বিদ্যুৎ না দেয়ায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে৷''

ছবি: Reuters

স্ট্র্যানডেড পাকিস্তানিজ জেনারেল রিপেট্রিয়েশন কমিটি – এসজেআরসি-র সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী অভিযোগ করেন, ‘‘শনিবার ভোরে স্থানীয় সাংসদ ইলিয়াস মোল্লার নির্দেশে পুলিশের সহযোগিতায় পল্লবী থানা যুবলীগের কয়েক নেতার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা এই হত্যাকাণ্ড ও লুটপাট চালিয়েছে৷''

আর এসজেআরসি প্রধান আব্দুল জব্বার খান অভিযোগ করেন, ‘কী ভাবে বিহারিদের উচ্ছেদ করা যায় তার ষড়যন্ত্র অনেক আগে থেকেই করা হচ্ছে৷ এটি তার একটি নমুনা মাত্র৷ বিহারীদের উচ্ছেদ করে জমি দখল করা হচ্ছে প্রধান টার্গেট৷''

এদিকে ওয়েলফেয়ার মিশন অব বিহারিজ-এর সভাপতি মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘‘বিহারিদের উৎখাত করতে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এই হামলা চালানো হয়েছে৷ আর এতে সরকার দলীয় নেতা-কর্মীদের পূর্ণ সহযোগিতা করেছে পুলিশ৷ এই হত্যার জন্য শুধু ইলিয়াস মোল্লা নয়, এর জন্য পুলিশও দায়ী৷''

এই ঘটনায় মোট ৬টি মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে তিন হাজার৷ আর গ্রেফতার করা হয়েছে সাতজনকে৷ তবে গ্রেফতারকৃত সাতজনই বিহারি৷

তবে বিহারি ক্যাম্পের ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের পল্লবী জোনের অতিরিক্ত সহকারী কমিশনার মঈনুল হাসান৷ স্থানীয় সাংসদ ইলিয়াস মোল্লা বিহারী পল্লির ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘তদন্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে৷ তদন্তে কারো নাম পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷''

তবে চেষ্টা করেও সাংসদ ইলিয়াস মোল্লার বক্তব্য জানা যায়নি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ