1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দোষী সাব্যস্ত লালুপ্রসাদ

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১ অক্টোবর ২০১৩

বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও সাংসদ লালুপ্রসাদসহ ৪৫ জনকে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী বলে রায় দিয়েছে রাঁচির বিশেষ আদালত৷ শাস্তি ঘোষণা করা হবে বৃহস্পতিবার, যার মেয়াদ ২-৭ বছর হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে তাঁকে সাংসদ পদ হারাতে হবে৷

Rashtriya Janata Dal (RJD) leader Lalu Prasad Yadav displays the draft of the government's version of the Lokpal Bill, an anti-corruption watchdog, outside the parliament house in New Delhi, India, Thursday, Dec. 22, 2011. India's government has introduced a bill in Parliament to create an anti-corruption watchdog, but activists say the exclusion of the country's top investigative agency from its purview weakens the legislation. Anti-corruption activist Anna Hazare says he will hold a three-day fast next week because the government did not accept his proposed bill, which would have included the Central Bureau of Investigation. (AP Photo/ Manish Swarup)
ছবি: AP

প্রায় ১৭ বছর পর গবাদি পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন রেলমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রীয় জনতাদলের সর্বময় কর্তা ও বর্তমান সাংসদ লালুপ্রসাদসহ ৪৫ জনকে দোষী বলে রায় দেয় রাঁচির কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর বিশেষ আদালত৷ সাজা ঘোষণা করা হবে ৩রা অক্টোবর৷ সাজা হিসেবে দোষীদের দুই থেকে সাত বছর জেল হতে পারে৷ এই সাজার ওপর নির্ভর করছে ৬৬ বছর বয়সি লালুপ্রসাদের সাংসদ তথা রাজনৈতিক ভবিষ্যত৷

সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায় অনুসারে সাজা যদি দু'বছর বা তার বেশি হয় তাহলে লালুপ্রসাদকে তাঁর সাংসদ পদ খোয়াতে হবে এবং আগামী ছয় বছর আর কোনো নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না তিনি৷ শীর্ষ আদালতের এই রায় খারিজ করে দিতে মনমোহন সিং সরকার বিশেষ সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে তড়িঘড়ি অর্ডিন্যান্স পাস করলে রাষ্ট্রপতি তা আটকে দেন৷ কংগ্রেস তরুণ সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী পর্যন্ত এই অর্ডিন্যান্সকে বাজে কাগজের ঝুড়িতে ফেলে দেবার কথা বলেন৷ কংগ্রেসের একাংশ মনে করেন, সাজাপ্রাপ্ত সদস্যদের বাঁচানোর অর্থ গণতন্ত্রের সর্বনাশ ডেকে আনা৷

অর্ডিন্যান্স সম্পর্কে দলের সহ-সভাপতির যদি এই অবস্থান হয়, তাহলে সরকার কেন এই অর্ডিন্যান্স আনতে গেলেন? পর্যবেক্ষকদের ধারণা, লালুপ্রসাদকে বাঁচাতেই৷ কারণ লালুপ্রসাদ কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বিশ্বাসভাজন এবং ঘনিষ্ট৷ বিপদে আপদে সংসদের ভেতরে-বাইরে দলের চারজন সাংসদ নিয়ে আরজেডি প্রধান সর্বদাই সরকারের পাশে থেকেছেন৷ লালুপ্রসাদের আরজেডি দলের ভবিষ্যত অনিশ্চিতের মুখে পড়ায় বিহার ও ঝাড়খন্ডে কংগ্রেস আঁতাতের ওপর কী প্রভাব পড়বে? হয়ত নতুন আঁতাতের সম্ভাবনা বিহারের শাসকদল নীতীশ কুমারের সংযুক্ত জনতা দলের সঙ্গে৷ লালুপ্রসাদের প্রতিদ্বন্দ্বী মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার হালে মোদী ইস্যু নিয়ে বিজেপি-জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে৷ ২০১৪ সালের সংসদীয় ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনৈতিক করমর্দন সম্ভাবনা নিয়ে তাই রাজনৈতিক অলিন্দে জোর জল্পনা৷

শাস্তি ঘোষণা হবে বৃহস্পতিবার, যার মেয়াদ ২-৭ বছর হতে পারে, সেক্ষেত্রে তাঁকে সাংসদ পদ হারাতে হবেছবি: AP

কী হয়েছিল এই কেলেঙ্কারিতে? ১৯৯৬ সালে অবিভক্ত বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন লালুপ্রসাদ ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে গবাদি পশুর খাদ্য ও ওষুধ-পত্র কেনার নামে ভুয়ো বিল দিয়ে বেআইনিভাবে চাঁইবাসা সরকারি ট্রেজারি থেকে প্রায় ৩৮ লাখ টাকা তুলে সেই টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে৷ সমগ্র দুর্নীতি কাণ্ডে প্রায় ৯৫০ কোটি টাকা জড়িত৷ পাটনা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু কোরে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো ৯৭ সালে গ্রেপ্তার করে লালুপ্রসাদকে৷ হাজতে যাবার আগে তাঁর উত্তরাধিকারী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসিয়ে যান তিনি তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবীকে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও৷ কারণ ক্ষমতার হাল স্ত্রীর হাতে দিয়ে জেলখানার ভেতরে বসেই তিনি কলকাঠি নাড়তে পারতেন৷ পরে অবশ্য তিনি জামিন পান৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ