যে দেশে মানুষের অধিকারেরই ঠিক নেই, সে দেশে আবার প্রাণীর অধিকার! ‘মানুষের অধিকার রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক, করতে হবে' – বলার লোক আছে অনেক৷ অন্য কিংবা বন্য প্রাণীর অধিকারের কথা কে বলে? বললেও অনেকেই হয়ত হাসবেন৷
বিজ্ঞাপন
হাসলে দোষও দেয়া যাবে না৷ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন বলে যে কিছু একটা আছে এ কথা ক'জনই বা জানেন? জানেন যাঁরা, তাঁরা কি এ নিয়ে খুব একটা ভাবেন? কিছু করেন? মনে তো হয় না৷
বাংলাদেশে তো মানুষকেই প্রকাশ্যে, চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে, পিটিয়ে, গুলি করে, এমনকি পায়ুপথে গরম বাতাস ঢুকিয়েও মেরে ফেলা যায়৷ জনতা আর ‘ক্ষমতা'-র টনক নড়লে কখনোসখনো হত্যাকারীর বিচারও হয়৷ কিন্তু অন্য বা বণ্যপ্রাণী হত্যার কি বিচার হয়? কোনো প্রাণী অধিকার কর্মী কি কখনো হত্যার বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামেন? প্রাণীর অধিকারের জন্য তাঁরা কি সময় এবং বিবৃতি ‘ব্যয়' করেন?
প্রাণী অধিকার সংস্থা বা প্রাণী অধিকার কর্মী বলে কি বাংলাদেশে আদৌ আছে কিছু? থাকলেও তাঁদের উপস্থিতি তো কখনো অনুভূত হলো না! মানবাধিকার সংস্থা, মানবাধিকার কর্মীর কথা তো প্রায়ই শুনি, সময় বিশেষে তাঁদের নানা তৎপরতাও দেখি৷ কিন্তু প্রাণী অধিকার সংস্থা বা প্রাণী অধিকার কর্মীর কথা তো কখনো খুব একটা শুনলাম না৷
রাজন হত্যার দিনেই আমরা আরেকটি ‘প্রাণ' হত্যার রোমহর্ষক দৃশ্য দেখেছিলাম৷ চট্টগ্রামে এক প্রবাসী সেদিন এক হরিণ শাবককে খাবার দিয়ে ভুলিয়েভালিয়ে নিকটতম দূরত্বে এনে সহজতম নিশানা বানিয়ে গুলি করে হত্যা করেছিল৷ হত্যাকাণ্ড সম্পন্ন করে মৃত হরিণের পাশে দাঁড়িয়ে সদলবলে ফটোসেশনও সেরেছিল লোকটি৷ পুরো দৃশ্য ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভিডিওচিত্র শেয়ারও করেছিল সেই মানুষ৷ সংবাদপত্রে অবশ্য তার মনুষত্ব নিয়ে যৌক্তিক কারণেই সংশয় প্রকাশ করে শিরোনাম দিয়েছিল, ‘কে পশু?'
কই তখনো তো কোনো পশু অধিকার কর্মী বা সংস্থার তৎপরতা দেখা গেল না! সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সব পেশার সাধারণ মানুষের মধ্যে ঘটনাটিতে যথেষ্ট প্রতিক্রিয়া হয়েছিল৷ কিন্তু রাজনের হত্যাকাণ্ডের কারণে হরিণ শাবক তখনো পর্যাপ্ত মনযোগ পায়নি৷
তবে ‘কে পশু?' – প্রশ্নের উত্তর আমরা খুব তাড়াতাড়িই পেয়েছিলাম৷ আমরা বুঝতে পেরেছিলাম, যিনি গুলি করে হরিণশাবকটিকে হত্যা করেছিলেন, মানুষের ভাষা অনুযায়ী তার আচারআচরণ ‘পাশবিক' হলেও, তিনিই আসলে ‘মানুষ'৷ তিনি মানুষ, কারণ, পরিস্থিতি বুঝে ঝটপট বিমানে চেপে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যেতে পেরেছেন৷
যেসব তারকা প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করেন
বিশ্বব্যাপী প্রাণীদের অধিকার নিয়ে কাজ করছে বেশ কিছু সংগঠন৷ তাদের কার্যক্রমে মানুষকে আকৃষ্ট করতে তারকাদের সহায়তা নেয় এসব সংস্থা৷
ছবি: AP
রায়ান গোসলিং
ক্যানাডীয় অভিনেতা ও সংগীত শিল্পী গোসলিং ২০০৩ সালে কেএফসির কাছে একটি চিঠি লিখেছিলেন৷ মুরগি পালন ও জবাইয়ের ক্ষেত্রে আরেকটু মানবিক হতে কেএফসিকে তিনি আহ্বান জানিয়েছিলেন৷ পরবর্তীতে ম্যাকডোনাল্ডসকেও একইরকম বার্তা পাঠান গোসলিং৷
ছবি: picture-alliance/dpa/G. Horcajuelo
এলেন ডিজেনেরাস
মার্কিন এই কমেডিয়ান টেলিভিশনে প্রচারিত তাঁর জনপ্রিয় শো-তে নিয়মিতভাবে প্রাণী অধিকারের বিষয়টি তুলে আনেন৷ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৯ সালে তাঁকে ‘ওমেন অফ দ্য ইয়ার’ খেতাব দেয় প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা বিশ্বের অন্যতম বড় সংগঠন ‘পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অফ অ্যানিমেল’ (পেটা)৷
ছবি: Getty Images/K. Winter
ক্রিস্টেন বেল
মার্কিন অভিনেত্রী ও সংগীত শিল্পী বেল ১১ বছর বয়স থেকেই ভেজিটেরিয়ান৷ পেটা ২০০৬ সালে তাঁকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে যৌনআবেদনময়ী ভেজিটেরিয়ান’-এর খেতাব দেয়৷ প্রাণী অধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনকে তিনি আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকেন৷ মাঝেমধ্যে তাঁদের কার্যক্রমেও অংশ নেন বেল৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Sanchez-Gonzales
কেশা
২৮ বছর বয়সি মার্কিন এই সংগীত শিল্পী সীল, সিংহ ও হাঙরের মতো প্রাণীর অধিকারের জন্য তাঁর জনপ্রিয়তা কাজে লাগাচ্ছেন৷ কসমেটিকস তৈরিতে বিভিন্ন প্রাণী নিধনের বিরুদ্ধেও তিনি সোচ্চার৷ এ ধরনের কাজের জন্য তিনি স্বীকৃতিও পেয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ভিওলা ডেভিস
সার্কাসের হাতিদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করা বাধ্য করে আইন করতে যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ড স্টেটের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন মার্কিন অভিনেত্রী ভিওলা ডেভিস৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
ডেমি মুর
সার্কাসের হাতিদের প্রশিক্ষণে অঙ্কুশ ব্যবহারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে প্রাণীদের প্রতি তাঁর অনুভূতির জানান দেন ডেমি মুর৷
ছবি: Getty Images
পল ম্যাকার্টনি
নিজেদের পালিত একটি ভেড়াকে জবাইয়ের পর নিজেদের প্লেটে মাংস হিসাবে রূপান্তরিত হতে দেখে ভেজিটেরিয়ান হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিটলসখ্যাত পল ও তাঁর স্ত্রী লিন্ডা ম্যাকার্টনি৷ সেই থেকে এই দম্পতি পেটা সহ অন্য আরেকটি প্রাণী অধিকার বিষয়ক সংগঠনকে সহায়তা করে থাকে৷ তাঁরা বলেন, ‘‘যদি কসাইখানাগুলোর দেয়াল কাচের হতো তাহলে সবাই ভেজিটেরিয়ান হয়ে যেত৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Scheidemann
প্যামেলা অ্যান্ডারসন
বেওয়াচখ্যাত অভিনেত্রী প্যামেলা অ্যান্ডারসন পেটা-র হয়ে অনেকগুলো কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন৷ যেমন ২০০৩ সালে তিনি পেটা-র ‘পশুর চামড়া দিয়ে তৈরি পোশাক পরার পরিবর্তে আমি নগ্ন হয়ে থাকব’ কর্মসূচিতে অংশ নেন৷ ২০০১ সালে তিনি কেএফসি-র বিরুদ্ধে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘প্রতিবছর কেএফসি সাড়ে সাতশ মিলিয়ন মুরগির সঙ্গে যা করে তা গ্রহণযোগ্য নয়৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa
বলিউড তারকারাও সোচ্চার
বেশ কয়েকজন বলিউড তারকাও প্রাণী অধিকারের পক্ষে বিভিন্ন সময়ে তাঁদের অবস্থান জানিয়েছেন৷ এঁদের মধ্যে আছেন হেমা মালিনি, মাধুরী দীক্ষিত, জন আব্রাহাম, সেলিনা জেটলি, শিল্পা শেঠী, অর্জুন রামপাল ও শাহেদ কাপুর৷
ছবি: UNI
9 ছবি1 | 9
‘অমানবিক' কাজ করে মানুষই তো পারে এভাবে গা ঢাকা দিতে৷ পশু কি পারে এমন? পশু, সে যত ভয়ংকর, যত হিংস্রই হোক, সে পর্দার আড়ালে মুখ ঢাকতে পারে না, স্বভাব লুকাতে পারে না, তারা ‘ফাঁদ' চিনতে, ‘টোপ' বুঝতে ভুল করে৷ বড় আত্মঘাতী ভুল৷ মানুষকে বিশ্বাস করা, মানুষের কাছে আসা, বাধ্য হয়ে মনুষ্যসমাজে থাকা অনেক সময়, সেই ভুলেরই খেশারত৷
আইন তাকে বাঁচাতে পারে না৷ পশু হত্যার বিচারের দাবি নিভৃতে, বিদ্রুপে হাসে৷ নিরীহ হরিনশাবকেরা হিংস্র মানুষকে হয়ত কটাক্ষ করে, মরার পরেও হয়ত তারা আমাদের নিয়ে হাসে!
হরিন, কুকুর, বিড়াল, বাঘ বা এখনো টিকে থাকা অন্য কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব বিলীন করে দিতে প্রতিদিন কত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে, তার হিসেব রাখারও কেউ নেই৷ নির্বিচারে চলছে পশু হত্যা৷ খবরের কাগজে অনেক সময়ই দেখি এমন দৃষ্টান্ত৷
জার্মানিতে একদিন লোকালয়ের এক নির্জন রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে বাঁধা পেয়েছিলাম৷ একজন আমাকে এসে বলেছিল, ‘‘আস্তে হাঁটুন, প্লিজ৷ দয়া করে হাঁটার সময় রাস্তার দিকে নজর রাখুন৷ আপনার অসতর্কতার জন্য পায়ের নীচে পড়ে কোনো ব্যাঙ হয়ত মারা যাবে৷''
টানেনবুশের সেই ব্যাঙরাজ্যে আমি সেদিন থমকে দাঁড়িয়েছিলাম৷ ব্যাঙদের বাঁচিয়ে রাখতে বাকি সময়টা খুব সাবধানেই সেদিন পথ চলেছি৷ এখানে কিছু পথ ব্যাঙের জন্যও কত নিরাপদ৷ আর আমাদের দেশে? সেদিনও শাহবাগ এলাকাতেই পৃথক দু'টি দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল দুই কিশোরীর৷ অনেকেই বললেন, ওদের মৃত্যু দুর্ঘটনা ছিল না, হত্যাকাণ্ডের শিকার তারা৷ বেপরোয়া, বেসামাল চালকদের ‘হত্যাকারী' বলার পক্ষে অনেক যুক্তিও দেখানো যাবে৷ কিন্তু কোনো চালকের শাস্তি দাবি করে লাভ হবে না৷ দেশব্যপী ধর্মঘট হবে৷ মন্ত্রী বলবেন, গরু-ছাগলের ছবি সম্বলিত চিহ্ন বুঝতে পারাই দক্ষ চালক হওয়ার জন্য যথেষ্ট৷ সুতরাং ‘দক্ষ' চালক, তাদের উপযুক্ত মন্ত্রী এবং সেই হিসেবে যেমনটি হওয়ার কথা সেরকম রাস্তাঘাটে মানুষ নামে প্রাণটা হাতে নিয়ে৷ আর পশু? ওদের তো হাত নেই, তাই মানুষের হাতে-পায়েই তারা সঁপে দেয় প্রাণ৷ প্রাণ গেলে কেউ বিচার চায় না, পায়ও না৷
অথচ প্রাণী হত্যার বিচার ভারতেও হয়৷ অনেক বছর আগে থেকেই হয়ে আসছে৷ সালমান খান, সাইফ আলী খানসহ অনেকেরই এ অভিযোগে আদালতে গিয়ে কাঠগড়ায়ও দাঁড়াতে হয়৷
বাংলাদেশও কাঠগড়াতেই দাঁড়িয়ে আছে৷ পশুদের আদালতের কাঠগড়ায় আমরা সবাই হত্যাকারী অথবা হত্যায় প্রশ্রয়দানকারী৷ পশুরা আমাদের বিচার করতে পারে না৷ কাঠগড়ায় দাঁড়ানো একটি জাতির উদ্দেশ্যে তারা শুধু বিদ্রুপের হাসি হাসে৷
বন্ধু, আপনি কি আশীষ চক্রবর্ত্তীর সঙ্গে একমত? জানান নীচের মন্তব্যের ঘরে৷
কুকুরও আমাদেরই মতো প্রাণী
কুকুর জার্মানদের কাছে বেশ আদরের৷ অনেক জার্মানই শখ করে বাড়িতে বিভিন্ন জাতের কুকুর পোষেন৷ তবে জার্মানির হাইডেলব্যার্গের একটি সামাজিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান-এর সমীক্ষায় দেখা গেছে, জার্মানিতে কুকুর পোষেন বিত্তবান লোকেরা৷
ছবি: AP
রোদ দেখে কুকুরও আনন্দিত
কুকুর যে খুবই প্রভুভক্ত গৃহপালিত পশু তা আমাদের সকলেরই জানা৷ তবে কুকুর শুধু গৃহপালিত পশু নয়, জার্মানিতে কুকুরকে প্রাণী হিসেবেই ভাবা হয়৷ আর তারই কিছু নমুনা দেখা যাক আজকের এই ছবিঘরে ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বিত্তবানেরাই কুকুর পোষেন
অনেক জার্মানই শখ করে বাড়িতে বিভিন্ন জাতের কুকুর পোষেন৷ তবে জার্মানির হাইডেলব্যার্গের একটি সামাজিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান-এর সমীক্ষায় দেখা গেছে, জার্মানিতে কুকুর পোষেন বিত্তবান লোকেরা৷ এই চকচকে বিশাল কুকুরটির ওজন ১১১ কেজি৷ মাসে ৫০ কেজি খাবার খায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
কুকুরের সেলুন
কুকুরকে চুল কাটার জন্য সেলুনে নিয়ে যাওয়া হয়৷ যেন যেখানে সেখানে চুল না পড়ে যায় এবং ওকে দেখতেও যেন কুকুরের মালিকের মতোই ফিটফাট মনে হয়৷ এদেশে কখনো রাস্তায় কুকুরকে মালিক ছাড়া দেখা যায়না৷ গৃহপালিত কুকুর পথচারী বা বা অন্য কাউকে কামড় দেয়না৷
ছবি: picture-alliance/dpa
কুকুরও দেশের জন্য কাজ করে
কুকুর যে শুধু পরিবারের সাথেই থাকে, তাদের সঙ্গ দেয় তা নয়৷ ট্রেনিংপ্রাপ্ত কুকুরও আছে, যেগুলো অবৈধভাবে টাকার নোট পাচারকারীদের ধরিয়ে দিতে সরকারকে সাহায্য করে৷ এই ছবিটি ফ্রাংকফুর্ট বিমানবন্দরেররই একটি দৃশ্য, যাতে পাঁচশো টাকার নোট পাচারকারী ধরা পড়েছে, বুদ্ধিমান কুকুরটির সাহায্যে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
কুকুর পালুন/ফিট থাকুন
বাইরে যে আবহাওয়াই থাকুক না কেন, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে কুকুরকে দিনে কয়েকবার বাড়ির বাইরে নিয়ে যেতে হয়৷ এদেশে অতিরিক্ত ওজনের মানুষদের ওজন কমানোর জন্য অনেক সময় ডাক্তাররাও কুকুর পোষার পরামর্শ দিয়ে থাকেন৷ তখন তাকে কুকুরের জন্য হলেও বাইরে বের হতেই হবে, হাঁটতে হবে৷
ছবি: Maksim Nelioubin
কুকুরেও চাই বিনোদন
নিজে যে শুধু গরম পোশাক পরেন তাই নয়, প্রচণ্ড শীতের সময় প্রিয় কুকুরটিরও যেন কষ্ট না হয় তাই ওকেও গরম পোশাক পরিয়ে নিয়ে যান গাড়িতে করে হাওয়া খেতে৷ ঠিক যেন পরিবারের একজন সদস্য৷
ছবি: picture-alliance/dpa/dpaweb
কুকুরের রেস্তোরাঁ
কুকুরের মন-মেজাজ ভালো রাখতে মাঝে মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয় ওদেরই জন্য তৈরি বিশেষ রেস্তোরাঁতে৷ যেখানে কুকুর নিজের খাবার নিজেই পছন্দ করতে পারে তার ব্যবস্থা রয়েছে৷ কুকুরের জন্য আলাদা রেস্তোরাঁ, হোটেল, স্কুল, সেলুন, দোকান, গোরস্থান সবই রয়েছে৷
ছবি: picutre-alliance/dpa
মা আর সন্তান
মা বলে কথা! আদর করে মুখে তুলে খাওয়াতেই যেন আনন্দ৷ নিঃসন্তান এই মাকে কুকুরটিই দিয়েছে সন্তানের ভালোবাসা৷ মা’কে কিছুক্ষণ না দেখলেই অস্থির হয়ে পড়ে৷ মা বাইরে থেকে ফিরে এলে লাফিয়ে কোলে ওঠে নয় তো লেজ নেড়ে তার আনন্দ প্রকাশ করে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নিয়মিত ডাক্তারের চেম্বারে
কুকুরকে চেকআপের জন্য নিয়মিত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়৷ রাস্তায় কোন কুকুর কখনো কোন পথচারীকে কামড় দিয়েছে, একথা সহজে শোনা যায়না৷ কুকুর সেভাবেই ট্রেনিংপ্রাপ্ত৷ কুকুরে জন্যও রয়েছে স্বাস্থ্যবীমা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
কুকুরের খেলনার দোকান
কুকুরের খেলনা বা ব্যবহারযোগ্য জিনিসের দোকান৷ এখানে প্রায় বেশিরভাগ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরেই কুকুর বা বেড়ালের টিনজাত খাবারের জন্য আলাদা বিভাগ রয়েছে৷
ছবি: DW/V.Weitz
গর্বিত মা
তিন জাতের তিন কুকুরের গর্বিত পালক মা৷ এই কুকুরগুলোই তার গর্ব৷ শুধু তাই নয়, মা মহিলাটি গর্ব করে বলেন ওরা শুধু তার সন্তান নয়, তাঁর বডিগার্ডও বটে৷ কারণ তাঁর বিশাল বাড়িতে এই তিন সন্তানদের নিয়েই থাকেন তিনি৷ বাড়ির দেয়ালে ওদের ছবি টাঙানো৷ হাতব্যাগেও থাকে ওদেরই ছবি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
একই পরিবারের সদস্য
একটি সাধারণ কুকুরের মূল্য কিন্তু ২০০ ইউরোর কম নয়৷ তবে কুকুরের জাত বুঝে কয়েক হাজার ইউরোও হতে পারে৷ তাছাড়া একটি কুকুরের জন্য মাসে যে পরিমাণ টাকা খরচ করা হয়, সে টাকায় সহজেই একটি বাচ্চাও বড় হতে পারে৷ আর এরা ঠিক যেন ৬টি সন্তান ! একইসাথে বেড়ে উঠছে৷