ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার আবারও গাজায় কয়েক হাজার নতুন বসতি নির্মাণের কথা বলেছেন৷ পাশাপাশি বলেছেন, পশ্চিমতীরকে ইসরায়েল রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত করতে চান তিনি৷
বিজ্ঞাপন
পশ্চিমতীরের একটি এলাকা সফরকালে এ কথা বলেছেন তিনি৷
মঙ্গলবার জেরুসালেম থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে পশ্চিমতীরের শহর মালেহ আদুমিম সফর করছিলেন তিনি৷ সেখানেই ইসরায়েলের বসতি বাড়ানোর ঘোষণা দেন৷ বর্তমানে সেখানে ৪০ হাজার মানুষ বসবাস করছে৷ তার এই ঘোষণার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিন৷ এই ঘোষণা ট্রাম্প প্রশাসনের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল, গত আট মাস ধরে দুই দেশের মধ্যে শান্তি আলোচনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন৷
কেবল নতুন বসতিই নয়, পশ্চিমতীরে নতুন ‘শিল্প এলাকা’ গড়ে তোলারও অঙ্গীকার করেছেন নেতানিয়াহু৷ সেখানকার উন্নয়নের জন্য যা প্রয়োজন তার সব করা হবে এবং পশ্চিমতীরকে ইসরায়েল রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি৷ তবে ঠিক কবে থেকে এই উন্নয়ন কাজ শুরু হবে সে বিষয়ে কিছু জানাননি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী৷
সম্প্রতি নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলছে৷ তাই গণমাধ্যমের রোষের মুখে পড়েছেন তিনি৷ এ অবস্থায় জনসমর্থন আদায়ে গত কয়েক সপ্তাহে তিনটি স্থানে দেয়া বক্তব্যে এই প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন নেতানিয়াহু৷
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা নাবিল শাদ বলেছেন, ‘‘এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য৷ এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি আলোচনা উদ্যোগকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করলেন নেতানিয়াহু৷’’
ইসরায়েল: দেশটি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
ফিলিস্তিনের সঙ্গে এবং সেই কারণে বলতে গেলে প্রায় গোটা মুসলিম বিশ্বের সঙ্গেই ইসরায়েল নামের রাষ্ট্রটির বৈরিতা৷ তবে ইহুদি অধ্যুষিত এ দেশ সম্পর্কে এই তথ্যগুলো কি জানেন? জানলে সত্যিই অবাক হবেন৷
রাষ্ট্র ভাষা কয়টি?
জানেন ইসরায়েলের রাষ্ট্রভাষা ক’টি? দু’টি৷ আধুনিক হিব্রু ভাষা এবং আরবি৷ হিব্রু ভাষার কথা তো সবাই শুনেছেন, কিন্তু ‘আধুনিক হিব্রু’ বলতে ঠিক কী বোঝানো হচ্ছে তা হয়ত অনেকেই বুঝতে পারবেন না৷ এই ভাষাটি গত ১৯ শতকের শেষভাগ পর্যন্তও বিকশিত হয়েছে৷ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আধুনিক হিব্রুর শেকড় প্রাচীন হিব্রু হলেও এখন এ ভাষায় ইংরেজি, স্লাভিচ, আরবি এবং জার্মানসহ অনেকগুলো বিদেশি ভাষার প্রভাব রয়েছে৷
ছবি: Fotolia/Ivan Montero
ইসরায়েলের আয়তন কত?
ছোট্ট দেশ৷ কিন্তু কত ছোট? ইসরায়েলের আয়তনই বা কত? কাজির গরু নাকি গোয়ালে থাকে না, গাছে থাকে৷ ইসরায়েলের ক্ষেত্রে কথাটা একটু অন্যভাবে বলা যায়৷ ইসরায়েলের ভূমি চুক্তিতে থাকে না, বাস্তবে থাকে৷ ১৯৪৯ সালে ইসরায়েল, লেবানন, জর্ডান ও সিরিয়ার মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল সেই চু্ক্তি অনুযায়ী দেশটির আয়তন হওয়ার কথা ২০ হাজার ৭৭০ বর্গ কিলোমিটার৷ কিন্তু ইসরায়েলের আয়তন এখন ২৭ হাজার ৭৯৯ বর্গ কিলোমিটার৷
ইসরায়েলের ‘সবাই’ সেনাসদস্য
ইসরায়েল একমাত্র দেশ যেখানে প্রাপ্ত বয়স্ক সব নাগরিকের জন্যই সেনা প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক৷ সুতরাং দেশটিতে যতজন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক সেনাসদস্যও এক অর্থে ততজন৷ সেনাপ্রশিক্ষণও স্বল্পমেয়াদি হয় না৷ সব প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেকে ৩ বছরের এবং মেয়েকে অন্তত ২ বছরের প্রশিক্ষণ নিতে হয়৷
ছবি: dapd
ইসরায়েলিও ফিলিস্তিনের সমর্থক?
ইহুদিদের একটি ধর্মীয় সংগঠন জিওনিজম মতবাদ এবং ইসরায়েল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে৷ সংগঠনটির নাম, ‘নেতুরেই কার্টা’ বা ‘নগর রক্ষক’৷ ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই সংগঠনটি ‘ফিলিস্তিনের সমর্থক’ হিসেবে পরিচিত৷
ছবি: picture-alliance/dpa
আইনস্টাইন প্রেসিডেন্ট হননি
নোবেল বিজয়ী জার্মান পদার্থ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদিনিধন বন্ধ করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন৷ ইসরায়েল তাঁর কথা শুধু কৃতজ্ঞচিত্তে মনেই রাখেনি, তাঁকে সম্মানও জানাতে চেয়েছিল প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রস্তাব দিয়ে৷ ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন আইনস্টাইন৷
ছবি: Imago/United Archives International
ঈশ্বরের কাছে চিঠি
ইসরায়েলের মানুষ সত্যি সত্যিই ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে প্রচুর চিঠি লিখে৷ প্রতি বছর জেরুসালেমের ডাক বিভাগ এমন অন্তত হাজার খানেক চিঠি পায় যেখানে প্রাপকের জায়গায় লেখা থাকে ‘ঈশ্বর’!
ছবি: Fotolia/V. Kudryashov
জেরুসালেম যা যা সয়েছে
ইতিহাস বলছে, প্যালেস্টাইনের রাজধানী জেরুসালেমে এ পর্যন্ত ২৩ বার ভয়াবহ আগুন লেগেছে আর বহিঃশক্তির আক্রমণের শিকার হয়েছে ৫২ বার৷ জেরুসলেম দখল এবং পুনরুদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে ৪৪ বার৷
ছবি: DW/S. Legesse
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ নোট
ইসরায়েলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য রয়েছে বিশেষ মুদ্রা৷ ‘ব্রেইল’-এর মতো বর্ণের সহায়তায় কাগুজে নোটগুলোতে লেখা থাকে বলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের কেনাকাটা বা মুদ্রা বিনিময়ে কোনো অসুবিধা হয় না৷ সারা বিশ্বে ইসরায়েল ছাড়া ক্যানাডা, মেক্সিকো, ভারত আর রাশিয়াতেও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য এই বিষেষ ব্যবস্থা রয়েছে৷
ছবি: picture alliance/landov
8 ছবি1 | 8
ফিলিস্তিনের দাবি, ১৯৬৭ সালে যুদ্ধের সময় ইসরায়েল পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেম দখল করে নেয়৷ ইসরায়েলের মানবাধিকার সংস্থা বি'টিসেলেম এর হিসেবে, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেমে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ ইহুদি বাস করছেন৷ ১৯৯৩ সালে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তিতে যে পরিমাণ বসতি থাকার কথা বলা হয়েছিল এখন সেখানে তার প্রায় তিনগুণ বসতি আছে৷
ফিলিস্তিনে জাতীয় ঐক্যের সরকার:
ফাতাহ ও হামাস সমর্থিত ফিলিস্তিনি জাতীয় ঐক্য সরকার গঠনের আলোচনার জন্য গাজা সফর করছেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী রামি হামদাল্লাহ৷ কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, দু'দেশের মধ্যে কোন চুক্তির জন্য এই সরকারে হামাসকে অন্তর্ভুক্ত করতে হলে দলটিকে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে৷
নেতানিয়াহু বলেন, তাঁর সরকার তখনই এই ঐক্য সরকার মেনে নেবে, যদি হামাস রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়, অস্ত্র প্রত্যাহার করে এবং ইরানের সঙ্গে সম্পর্কে ছিন্ন করে৷ ‘‘আমরা কোনো ধরণের ভুয়া ঐক্য সরকার গঠনের জন্য প্রস্তুত নই৷’’ নিজের দল লিকুদ দলের সঙ্গে বৈঠকে একথা বলেন তিনি৷
বলাবাহুল্য, হামাস এবং ফাতাহ'র মধ্যে দীর্ঘকাল ধরেই রাজনৈতিক বিরোধ চলছিল৷ ২০০৭ সালে দুই পক্ষের মধ্যকার এই বিরোধ সহিংস রূপ নেয়৷ ২০০৭ সাল থেকে গাজায় এ পর্যন্ত তিনটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে৷ সেই সময় থেকে ইসরায়েল গাজাকে প্রায় অবরুদ্ধ করে দিয়েছে এবং অভিযোগ করে আসছে হামাস একটি জঙ্গি সংগঠন এবং ইরানের সঙ্গে যাদের যোগসূত্র রয়েছে৷
হামাস অস্ত্র ত্যাগ করবে না
এদিকে, ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী সোমবার হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া এবং ইয়েহিয়ে সিনওয়ার এর সঙ্গে বৈঠকের আগে বলেছেন, ‘‘ঐক্যের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব৷’’
ফাতাহ'র নেতৃত্ব ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের হাতে৷ দলটি হামাসের সঙ্গে ঐক্য সরকার গঠন করলে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি আলোচনা সম্ভব হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই গাজা এবং পশ্চিমতীরে নতুন নির্বাচন হতে পারে৷ তবে হামাস নেতা হানিয়াহ মঙ্গলবার বলেছেন, ‘‘গাজা থেকে সামরিক নিয়ন্ত্রণ তুলে নেয়ার ব্যাপারে এখনও তিনি নিশ্চিত নন৷ তার দল কোনো ধরনের অস্ত্র ত্যাগ করবে না, কেননা, নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য তাদের কাছে অস্ত্র রাখতে হবে৷’’ অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ঐক্য সরকারে আসতে হলে হামাসের অস্ত্র পরিত্যাগ করতে হবে৷ তিনি চান, ‘‘এক রাষ্ট্র, এক রাষ্ট্রব্যবস্থা, এক আইন এবং এক অস্ত্র৷’’
এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)
প্রিয় পাঠক, আপনি কিছু বলতে চাইলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে...
৫০ বছরে কত বদলে গেছে জেরুসালেম!
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুসালেম সফর করেছেন৷ ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতে কণ্টকাকীর্ণ একটা ইস্যু হচ্ছে এই শহর৷ ছবিঘরে ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধের সময়কার জেরুসালেমের সঙ্গে ৫০ বছর পরে এখনকার জেরুসালেমের তুলনা...
ছবি: Reuters/R. Zvulun
এখনকার জলপাই পাহাড়
পেছনে দেখা যাচ্ছে, পুরাতন নগর দেয়াল, স্বর্ণ-গম্বুজ মসজিদ, পাথরের গম্বুজ৷ দৃশ্যটি পুরাতন নগরের পূর্ব পাশে পাহাড়ের নীচের৷ এই পাহাড়ের পশ্চিম ও দক্ষিণ ঢালুতে প্রাচীন ইহুদি সমাধি৷ এক সময় এলাকাটি ছিল জলপাই বাগানে ঘেরা৷ তাই নামও হয় জলপাই পাহাড়৷ এটাই এখন পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়ে আসা ইহুদিদের সবচেয়ে প্রাচীণ সমাধি৷
ছবি: Reuters/R. Zvulun
তখনকার জলপাই পাহাড়
এখানে পেছনে যদি পুরাতন অটোমান নগর দেয়াল এবং মসজিদ না থাকতো, তাহলে দর্শকরা হয়ত বুঝতোই না যে, এটা একই জায়গা৷ ১৯৬৭ সালের ৭ জুন এই ছবিটি তোলা হয়৷ ছয় দিনের যুদ্ধ বা আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ চলাকালে এই পাহাড়ের চূড়ায় ছিল একটি ব্রিগ্রেড কমান্ডের ছাউনি৷
ছবি: Government Press Office/REUTERS
এখনকার আল-আকসা মসজিদ
রূপালি রঙের গম্বুজ এবং বিশার হলঘর বিশিষ্ট আল-আকসা মসজিদ৷ এটা টেম্পল পাহাড়ে অবস্থিত৷ মুসলমানরা এটাকে ‘হারাম আল শরীফ’ বলে থাকে৷ এটা ইহুদিদেরও সবচেয়ে পবিত্র স্থান৷ এখানে বাইবেলে উল্লেখিত দু’টি উপাসনালয় রয়েছে৷ এটা সুন্নি মুসলমানদের কাছে মক্কা ও মদিনার পর তৃতীয় পবিত্রতম স্থান৷ পুরো পাহাড়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দীর্ঘ বিরোধ রয়েছে৷
ছবি: Reuters/A. Awad
তখনকার আল-আকসা মসজিদ
‘আল-আকসা’ নামের অর্থ সবচেয়ে দূরের মসজিদ৷ এটা জেরুসালেমের সবচেয়ে বড় মসজিদও৷ ১৯৬৭ সালে জেরুসালেম জয়ের পর এই এলাকার উপর ইসরায়েল কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে৷ তখন নেতারা একমত হয়েছিলেন যে, ‘ওয়াকফ’ নামে ইসলাম ধর্মীয় একটি ট্রাস্ট দ্বারা টেম্পল মাউন্ট পরিচালিত হবে৷
ছবি: Reuters/
এখনকার দামেস্ক গেট
ঐতিহাসিক এই গেট ‘দামেস্ক গেট’ নামে পরিচিত৷ কারণ, এই গেট থেকে উত্তরের রাস্তা দামেস্কের দিকে গেছে৷ পূর্ব জেরুসালেম এবং একটি ব্যস্ত আরব বাজারে ঢুকতে এটা ফিলিস্তিনিদের প্রধান প্রবেশদ্বার৷ গত দুই বছরে এটা ফিলিস্তিনিদের আক্রমণের ক্ষেত্র হয়ে উঠছে৷
ছবি: Reuters/R. Zvulun
তখনকার দামেস্ক গেট
আজকে আমরা যে গেট দেখি, এটা ১৫৩৭ সালে অটোমান সুলতান মহামতি সুলেইমান নির্মাণ করেছিলেন, যা ১৯৬৭ সালেও প্রায় একই রকম ছিল৷ পুরাতন শহর এবং এর বিভিন্ন অংশে প্রবেশের দ্বার ৭টি৷
ছবি: Reuters/
এখনকার পুরাতন শহর
জেরুসালেমের প্রাণবন্ত পুরাতন শহর৷ ১৯৮১ সালে ইউনেস্কো এটাকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিয়েছে৷ এটা বিভিন্ন ধর্মের মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান৷ পাথরের গম্বুজ, আল-আকসা মসজিদ, টেম্পল পাহাড়, ইহুদিদের পশ্চিম দেয়াল এবং খ্রিষ্টানদের একটি পবিত্র চার্চ এখানে অবস্থিত৷ ব্যস্ত ও বর্ণময় এই শহর কেনাকাটা, খাবার-দাবার এবং ভ্রমণের জন্য খুবই আকর্ষণীয়৷
ছবি: Reuters/A. Awad
তখনকার পুরাতন শহর
১৯৬৭ সালের জুলাই মাসে এই ছবি নেয়া হয়৷ কিন্তু ৫০ বছর পরেও পুরাতন শহরে একই জিনিস৷ একেবারেই বদলায়নি৷ এই ছবিতে ছেলেরা ‘ব্যাগেল’ নামের তিলের পেস্টি নিয়ে এদিক ওদিক ঘুরছে৷ এই দৃশ্য পুরাতন শহরে এখনো দেখা যায়৷
ছবি: Reuters/Fritz Cohen/Courtesy of Government Press Office
এখনকার পশ্চিম দেয়াল
জেরুজালেমের পুরাতন শহরে অবস্থিত চুনাপাথরের এই প্রাচীণ দেয়ালটি টেম্পল মাউন্টের পশ্চিমের দেয়াল৷ ইহুদিদের নিকট এটা সবচেয়ে পবিত্রতম স্থান৷ তারা এখানে প্রার্থণা করতে আসে৷ কখনো কখনো দেয়ালের ফাটলে চিরকুট রাখতে আসে৷ এখানে পুরুষ-নারীর জন্য পৃথক সেকশন রয়েছে৷ তবে সারা বছরই এটা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে৷ অবশ্য প্রবেশের পূর্বে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা তল্লাশী পার হতে হয়৷
ছবি: Reuters/R. Zvulun
তখনকার পশ্চিম দেয়াল
পশ্চিম দেয়ালের আরেক নাম ‘ওয়েইলিং ওয়াল’ বা ক্রন্দনের দেয়াল৷ অবশ্য ইহুদিরা এটাকে মর্যাদাহানিকর শব্দ হিসাবে বিবেচনা করে৷ তারা এই শব্দ ব্যবহারও করে না৷ প্রার্থণার জন্য দেয়ালের দিকে জড়ো হওয়া এই মানুষদের ছবিটি ১৯৬৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর তোলা হয়েছে৷