বিরোধী রাজনৈতিক দলের মিছিল হোক বা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান সরকারের ধৈর্যহীনতা স্পষ্ট৷ তার পাশাপাশি ক্রমশই প্রকট হয়ে উঠছে গণতন্ত্রের বিকল্প এক নির্লজ্জ দলতন্ত্র!
বিজ্ঞাপন
২০১১ সালে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস৷ তার পরেও পঞ্চায়েত এবং লোকসভা নির্বাচনে বার বার তৃণমূলকেই সমর্থন জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের ভোটাররা৷ স্পষ্টই বুঝিয়েছেন, ৩৪ বছরের পুরনো এক সরকারকে হটিয়ে যে নতুন রাজনৈতিক দলকে তাঁরা সুযোগ দিয়েছেন, নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি সত্ত্বেও ধৈর্য ধরে সেই সরকারের পাশে তাঁরা থাকতে চান৷ এমনকি সদ্য হওয়া বসিরহাট এবং চৌরঙ্গি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনেও তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট বেড়েছে৷ যদিও বসিরহাট কেন্দ্র সামান্য ভোটের ব্যবধানে বিজেপির দখলে গিয়েছে, কিন্তু মানুষের সমর্থন এখনও কোন দিকে, সেটা বুঝতে রাজনৈতিক পণ্ডিত বা বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই৷
অ্যাসিড সন্ত্রাস!
একটা সময় বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রায়ই আসতো নারীর ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপের খবর৷ এমন বর্বরোচিত হামলা এখনও হয় কিছু দেশে৷ কয়েকটি দেশ ঘুরে জার্মান ফটোগ্রাফার অ্যান-ক্রিস্টিন ভোর্ল-এর তোলা ছবি নিয়ে আজকের ছবিঘর৷
ছবি: DW/M. Griebeler
বাংলাদেশের ফরিদা
ফরিদার স্বামী ছিলেন ড্রাগ এবং জুয়ায় আসক্ত৷ ঋণের দায়ে একসময় বাড়িটাও বিক্রি করে দেয় নেশাগ্রস্ত লোকটি৷ রেগেমেগে ফরিদা বলেছিলেন, এমন স্বামীর সঙ্গে আর ঘর করবেন না৷ সেই রাতেই হলো সর্বনাশ৷ ঘুমন্ত ফরিদার ওপর অ্যাসিড ঢেলে দরজা বন্ধ করে দিল পাষণ্ড স্বামী৷ যন্ত্রণায় চিৎকার করছিলেন ফরিদা৷ প্রতিবেশীরা এসে দরজা ভেঙে উদ্ধার করে তাঁকে৷
ছবি: Ann-Christine Woehrl/Echo Photo Agency
মায়ের স্নেহে, বোনের আদরে...
অ্যাসিডে ঝলসে যাওয়ার সময় ফরিদা ছিলেন ২৪ বছরের তরুণী৷ ১৭টি অস্ত্রোপচারের পর এখন কিছুটা সুস্থ৷ তবে সারা গায়ে রয়েছে দগদগে ঘায়ের চিহ্ন৷ পুড়ে যাওয়া জায়গাগুলোর ত্বক মসৃণ রাখতে প্রতিদিন মালিশ করে দেন মা৷ নিজের কোনো বাড়ি নেই বলে মায়ের সাথেই বোনের বাড়িতে থাকেন ফরিদা৷
ছবি: Ann-Christine Woehrl/Echo Photo Agency
উগান্ডার ফ্লাভিয়া
ফ্লাভিয়ার ওপর এক আগন্তুক অ্যাসিড ছুড়ে মেরেছিল ৫ বছর আগে৷ আজও ফ্লাভিয়া জানেন না, কে, কেন তাঁর ওপর হামলা চালালো৷ বিকৃত চেহারা নিয়ে অনেকদিন ঘরেই ছিলেন৷ বাইরে যেতেন না৷ এক সময় ফ্লাভিয়ার মনে হলো, ‘‘এভাবে ঘরের কোণে পড়ে থাকার মানে হয় না৷ জীবন এগিয়ে চলে৷ আমাকেও বেরোতে হবে৷’’
ছবি: Ann-Christine Woehrl/Echo Photo Agency
আনন্দময় নতুন জীবন
এখন প্রতি সপ্তাহে একবার সালসা নাচতে যায় ফ্লাভিয়া৷ আগের সেই রূপ নেই, তাতে কী, বন্ধুদের কাছে তো রূপের চেয়ে গুণের কদর বেশি! ফ্লাভিয়া খুব ভালো নাচ জানেন৷ তাই একবার শুরু করলে বিশ্রামের সুযোগই পান না৷ এভাবে পরিবার আর বন্ধুদের সহায়তায় আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ফ্লাভিয়া৷
ছবি: Ann-Christine Woehrl/Echo Photo Agency
ভারতের নীহারি
নীহারির বয়স তখন ১৯৷ একরাতে আত্মহত্যা করার জন্য আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন নিজের শরীরে৷ স্বামীর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন থেকে মুক্তি পাওয়া জরুরি মনে হয়েছিল তখন৷
ছবি: Ann-Christine Woehrl/Echo Photo Agency
নতুন রূপ
যে ঘরটিতে বসে নীহারি তাঁর চুল ঠিক করছেন এটা ছিল বাবা-মায়ের শোবার ঘর৷ এখানেই নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন৷ দেয়াশলাইয়ের বাক্সে একটা কাঠিই ছিল৷ তা দিয়েই আগুন জ্বালিয়েছিলেন শরীরে৷ তবে এখন আর দুর্বল মনের মেয়েটি নেই নীহারি৷ নিজেকে সামলে নিয়ে একটা সংস্থা গড়েছেন৷ সংস্থাটির নাম, ‘পোড়া মেয়েদের রূপ’৷
ছবি: Ann-Christine Woehrl/Echo Photo Agency
পাকিস্তানের নুসরাত
দু-দুবার অ্যাসিড ছোড়া হয়েছে নুসরাতের ওপর৷ প্রথমে স্বামী আর তারপর দেবর৷ ভাগ্যগুণে বেঁচে আছেন নুসরাত৷ ভালোই আছেন এখন৷
ছবি: Ann-Christine Woehrl/Echo Photo Agency
আশার আলো
দু-দুবার অ্যাসিড হামলার শিকার হওয়ায় মাথার অনেকটা চুলও হারিয়েছেন নুসরাত৷ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে মাথার ক্ষতস্থান পুরোপুরি সারিয়ে চুল এবং আগের হেয়ারস্টাইল ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি৷
ছবি: Ann-Christine Woehrl/Echo Photo Agency
বন্ধুদের মাঝে...
নিজের ভাবনা, যন্ত্রণার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে কিংবা গল্প করতে প্রায়ই অ্যাসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন (এএসএফ)-এ যান নুসরাত৷ সেখানে এমন অনেকেই আসেন যাঁদের জীবনও অ্যাসিডে ঝলসে যেতে বসেছিল৷ এখন সকলেই জানেন, তাঁরা আর একা নন৷
ছবি: Ann-Christine Woehrl/Echo Photo Agency
9 ছবি1 | 9
সেখানে বিরোধিতার মুখোমুখি হলেই রাজ্য সরকার কেন বার বার ধৈর্য হারাচ্ছে, কেনই বা স্বেচ্ছাচারীর মতো ব্যবহার করছে, সেটা কিন্তু একটা মনস্তাত্ত্বিক গবেষণার বিষয় হতে পারে৷ অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত ধৈর্যের সুখ্যাতি কোনোদিনই নেই৷ সে টিভি চ্যানেল আয়োজিত ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশ্ন-উত্তরের আসর থেকে মেজাজ হারিয়ে মাঝপথে উঠে আসা থেকে শুরু করে জনসভায় অস্বস্তিকর প্রশ্ন তোলা কৃষককে ‘মাওবাদী' তকমা দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়ে হাজতবাস করানো, অথবা ‘আপত্তিকর' কার্টুন এক সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে পোস্ট করার ‘অপরাধে' এক অধ্যাপককে হেনস্থা করা এবং পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো – সমস্ত ঘটনাই বর্তমান প্রশাসনের পরমতসহিষ্ণুতার অভাবকেই প্রকট করেছে৷
কিন্তু এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে শাসনের নামে যা ঘটছে, তা আদ্যন্ত স্বেচ্ছাচার এবং চূড়ান্ত ধৈর্যহীনতার প্রকাশ৷ আর তার পাশাপাশি লজ্জাজনকভাবে প্রমাণ হচ্ছে, গণতান্ত্রিক রীতি নীতি অস্বীকার করে এক দলতন্ত্র মানুষের উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা৷ যে রাজনৈতিক অধিকার ক্ষমতাসীন দলকে, তাদের শ্রমিক বা ছাত্র সংগঠনগুলোকে অবাধে দেওয়া হচ্ছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সেই মৌলিক অধিকারই হরণ করা হচ্ছে নানা ছল-ছুতোয়৷ এ ব্যাপারে কোনো আপত্তি, কোনো সমালোচনায় কান দেওয়ার দরকার মনে করছে না প্রশাসন বরং এক ধরনের পক্ষপাতদুষ্ট অরাজকতা কায়েম হচ্ছে সারা রাজ্য জুড়ে৷ মাত্র কিছুদিন আগের ঘটনা, বিরোধী বামপন্থিদের একটি বিক্ষোভ জমায়েত বানচাল করতে যে পার্কে সভা হওয়ার কথা ছিল, তার ফটকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল! এই মানসিকতারই কুৎসিততম চেহারা দেখা গেল সদ্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর মধ্যরাতে পুলিশি নির্যাতনের ঘটনায়৷
পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত ‘জয়নগরের মোয়া’
শীত আসছে৷ তাই আবার উচ্চারিত হচ্ছে ‘জয়নগরের মোয়া’র নাম৷ ছবিঘরে ঢুকে জেনে নিন মজাদার এই মোয়া তৈরির বৃত্তান্ত৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
কণকচূড় ধানের খই
জয়নগরের মোয়ার অন্যতম প্রধান উপাদান কণকচূড় ধানের খই, যা এখনও প্রথাগত পদ্ধতিতেই ঝাড়াই-বাছাই করা হয়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
খেজুরের রসে মোয়া
মোয়ার দ্বিতীয় উপাদান হলো ‘নলেন গুড়’, যা অত্যন্ত যত্ন নিয়ে খেজুরের রস জাল দিয়ে তৈরি করতে হয়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
‘শিউলি’
খেজুর গাছ কেটে রস সংগ্রহ করেন যাঁরা, তাঁদের চলতি কথায় বলা হয় ‘শিউলি’ - এঁরা গাছ বাইতে ওস্তাদ৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
‘নলেন গুড়’
খেজুর গাছের মাথার দিকে, গুঁড়ির গায়ে চিরে দিয়ে, তার তলায় বাঁধা হয় মাটির হাঁড়ি - সরু নল দিয়ে রস এসে জমা হয় হাঁড়িতে৷ এই নলের কারণেই নাম ‘নলেন গুড়’৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
গাছের গায়ের দাগ
খেজুর গাছের গায়ে কাটার দাগ পরিষ্কার দেখতে পাওয়া যায় - যে গাছের গায়ে যত বেশি দাগ, ধরে নিতে হবে, সেই গাছের রস তত বেশি মিষ্টি৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
জ্বালানি কাঠের ঢিমে আঁচের মোয়া
গুড় জাল দেওয়ার জন্য দরকার হয় কাঠের ঢিমে আঁচ - সেই জ্বালানি কাঠ শীতকাল শুরু হওয়ার আগেই মজুত রাখতে হয়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
মোয়ার মণ্ড
নলেন গুড়ের সঙ্গে কণকচূড় ধানের খই মিশিয়ে, ঘন করে পাক দিয়ে তৈরি হয় জয়নগরের মোয়ার মণ্ড৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
ঘি মেখে তৈরি মোয়া
গাওয়া ঘি দু হাতে মেখে, গোল গোল করে পাকিয়ে তৈরি করা হয় মোয়া৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
ক্ষীরের মোয়া
স্বাদ বাড়ানোর জন্য তার সঙ্গে যুক্ত হয় খোয়া ক্ষীর, কাজুবাদাম, কিশমিশ৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
সর্বত্র পাওয়া যায় এই মোয়া
কখনও হাঁড়িতে, কখনও রঙচঙে প্যাকেটে ভরে জয়নগরের মোয়া চলে যায় রাজ্যের সর্বত্র৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
10 ছবি1 | 10
অথচ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কোনো ইস্যুতে ছাত্রদের আন্দোলন, কর্তৃপক্ষকে ঘেরাও, ইত্যাদি চিরাচরিত ধারাগুলো যে রাজ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে, এমন নয়! বরং শাসকদলের নিজেদের যে ছাত্র সংগঠন, সেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সাম্প্রতিক অতীতেই এরকম একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ধরনা-ঘেরাও-বিক্ষোভ চালিয়ে গেছে বিনা বাধায়৷ কিন্তু সেই একই কাজ করতে গিয়ে কার্যত চোরের মার খেতে হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের৷ মাঝরাতে, আলো নিভিয়ে অন্ধকার করে নিরস্ত্র ছাত্র এবং ছাত্রীদেরও তুমুল পেটালেন দাঙ্গা দমনের তালিম পাওয়া পুলিশ-কম্যান্ডোরা!
এবং তার পরও আক্রমণ বন্ধ হলো না! নিরুত্তাপ, অনুতাপহীন প্রশাসনের হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার, দাবি করলেন ছাত্ররা সশস্ত্র ছিল, ছাত্ররাই পুলিশকর্মীদের ওপর হামলা করেছিল, পুলিশ বরং অনেক সংবেদনশীল ছিল, কিন্তু এ ছাড়া কিছু করার ছিল না৷ যিনি ঘেরাওমুক্ত হতে পুলিশ ডেকেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই উপাচার্যও ব্যস্ত হয়ে পড়লেন প্রমাণ করতে যে পুলিশ না ডাকলে তাঁর জীবনসংশয় হতে পারত সেই রাতে৷ এবং এই ত্রিফলা আক্রমণের তৃতীয় ফলাটি হলো, যাদবপুরের আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের নামে কুৎসা করা যে তারা সবাই আসলে মাদকাসক্ত, অবৈধ যৌনাচারে অভ্যস্ত এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাহীন!
হয়ত বাহুল্য, তবু বলে রাখা প্রয়োজন, যাদবপুর কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়৷ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সারদা কেলেঙ্কারির সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে এবং তাতে একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতার জড়িত থাকার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে৷ ক্ষুব্ধ তৃণমূলের মহিলা শাখা এর বিরুদ্ধে কলকাতার সিবিআই দপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছে৷ প্রশাসনের চোখে সেটা বৈধ৷ কিন্তু সারদায় প্রতারিত আমানতকারীরা দোষীদের শাস্তির দাবিতে যে মিছিল করবেন, সেটা আইন-শৃঙ্খলা নষ্ট করতে পারে বলে তড়িঘড়ি ১৪৪ ধারা জারি করে জমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষিত হলো ওই দপ্তরেরই লাগোয়া দুটি রাস্তায়!
প্রশ্নটা উঠছে এখানেই৷ যে অধিকার নিজেকে দিতে কার্পণ্য নেই, অন্যের থেকে সেই অধিকার হরণ করার যুক্তি কী! শুধু তারা বিরুদ্ধমত বলেই! এই বিকৃত গণতন্ত্রে বিশ্বাস রাখলে অবশ্য যে কোনো শাসকগোষ্ঠীর সর্বদা সন্ত্রস্ত থাকাই স্বাভাবিক৷ সমস্ত স্বৈরাচারী সর্বক্ষণ এই রোগেই ভোগেন, বলছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিসচেতন মানুষ৷