পূর্ববঙ্গ, বা ইস্ট পাকিস্তান যদি সগৌরবে বাংলাদেশ হতে পারে, তা হলে স্বাধীন ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গ বাংলা হবে না কেন? প্রশ্ন উঠেছিল৷ এবার ক্ষমতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি উদ্যোগী হয়েছেন, রাজ্যটির নাম বদলাতে৷
বিজ্ঞাপন
ক্যালকাটা থেকে কলকাতা হয়েছিল আগেই, এবার ওয়েস্ট বেঙ্গল থেকে বাদ যেতে বসেছে ‘ওয়েস্ট'৷ ভবিষ্যতে শুধুই বেঙ্গল হিসেবে পরিচিত হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ৷ বাংলাতেও রাজ্যের নাম হবে ‘বাংলা', অথবা ‘বঙ্গ'৷ এই মর্মে একটি সিদ্ধান্ত পাস হয়ে গেল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে৷ সিদ্ধান্তটি এরপর রাজ্য বিধানসভার একটি বিশেষ অধিবেশনে অনুমোদিত হবে৷ এবং তারও পরে পরিবর্তিত নামটি যাবে সংসদের অনুমোদনের জন্য৷
ওয়েস্ট বেঙ্গল থেকে ‘ওয়েস্ট' শব্দটি বাদ দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল অনেক আগেই, পূর্বতন বামফ্রন্ট সরকারের আমলে৷ সেটাও কোনো আবেগতাড়িত ভাবনা থেকে নয়, সম্পূর্ণ ব্যবহারিক কারণে৷ বিষয়টা প্রথম উত্থাপন করেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত৷ বলেছিলেন, যখনই জাতীয় স্তরে রাজ্যগুলির কোনো সভা হয়, প্রতিনিধিদের ডাক পড়ে রাজ্যের নামের আদ্যক্ষর ধরে৷ সেই হিসেবে ওয়েস্ট বেঙ্গলের ডাক পড়ে সবার শেষে, যখন সবার বক্তব্য শেষ হয়ে যায় এবং সভা প্রায় ভাঙার মুখে৷ অনেকসময়ই এরকম হয় যে গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয় আলোচনার জন্যে থাকে, কিন্তু সেই আলোচনায় যোগ দেওয়ার লোক পাওয়া যায় না৷
স্থাপত্যের শহর কলকাতা
সেই ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু করে আধুনিক সময় পর্যন্ত বহু বিষয় এবং আঙ্গিকের স্থাপত্য বসেছে কলকাতার পথঘাটে, বাগানে৷ এগুলোর শৈল্পিক গুরুত্ব তো আছেই, অধিকাংশই আবার ঐতিহাসিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
স্বাধীনতার পরে...
একটা সময় কলকাতায় ছড়িয়ে ছিল ব্রিটিশ শাসকদের স্মারক স্থাপত্য৷ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেই সব স্থাপত্য সরিয়ে দিয়ে বসানো হয়েছিল দেশনেতাদের মূর্তি৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
অন্তরালে নির্বাসন
ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড উট্রামের এই মর্মর স্থাপত্য যেমন একসময় থাকত রাজপথে৷ এখন তাকে নির্বাসন দেওয়া হয়েছে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের বাগানে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
বহাল আছেন রানি
ভিক্টোরিয়ার বাগানের ভিতরে থাকা একাধিক স্থাপত্যও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে অন্যত্র৷ তবে নিজের সিংহাসনে বহাল আছেন রানি৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
দেশনেতাদের গুরুত্ব
নতুন স্থাপত্য বসানোর ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি গুরুত্ব পেয়েছেন দেশ নেতারা৷ এটি যেমন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মূর্তি৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
বিখ্যাত ভাস্কর্য
তবে সেই সুবাদে কয়েকজন বিখ্যাত ভাস্করের কাজ অলংকৃত করেছে শহর কলকাতাকে৷ মহাত্মা গান্ধীর এই ভাস্কর্য যেমন বিখ্যাত শিল্পী দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরির তৈরি৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
বামপন্থি পছন্দ
পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থি শাসনের সময় অবশ্য গুরুত্ব পেয়েছেন কমিউনিস্ট বিশ্ব নেতারা৷ এটি যেমন ভিয়েতনামের নেতা হো চি মিনের ভাস্কর্য৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
রাজনৈতিক ভাস্কর্য
পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে, বলাই বাহুল্য, গুরুত্ব পাচ্ছে অন্য ধারার রাজনীতির প্রসঙ্গও৷ একুশে জুলাইয়ের শহিদ স্মরণে এই ভাস্কর্যটি সম্প্রতি বসেছে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
...এবং অরাজনৈতিক
সব ভাস্কর্য অবশ্যই রাজনৈতিক নয়৷ যেমন রবীন্দ্রসদন প্রাঙ্গনে রবীন্দ্রনাথের এই মূর্তিটি কলকাতার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে আছে বহু বছর ধরে৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
সমাজজীবনের প্রসঙ্গ
বাংলার মন্বন্তর নিয়ে অসামান্য ভাস্কর্য সিরিজ করেছিলেন বিখ্যাত ভাস্কর সোমনাথ হোর৷ তারই কিছু স্থান পেয়েছে সংস্কৃতির অঙ্গনেও৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
বাংলার সংস্কৃতি
রামকিঙ্কর বেজের বিখ্যাত ভাস্কর্য কলের বাঁশি, যা আসলে বাংলার গ্রামজীবনের কথা বলেছে, হয়ে উঠেছে বাঙালির সাংস্কৃতিক পরিচয়৷ মূল ভাস্কর্যের প্রতিরূপ এটি৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
10 ছবি1 | 10
সেই বাম সরকারের আমলেই ব্রিটিশদের দেওয়া ক্যালকাটা নাম বদলে করা হয়েছিল কলকাতা, বাংলাভাষীরা ঠিক যেভাবে শহরটার নাম উচ্চারণ করেন৷ এর আগে একইভাবে এবং একই যুক্তিতে বম্বে হয়েছিল মুম্বই, ম্যাড্রাস বা মাদ্রাজ হয়েছিল চেন্নাই এবং ব্যাঙ্গালোর হয়েছিল বেঙ্গালুরু৷ একেবারে হালে ভারের রাজধানী দিল্লির উপকণ্ঠে গুরগাঁওয়ের নাম বদলে হয়েছে গুরুগ্রাম৷ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটির নামও বদলে ফেলার কথা হয়েছিল তখন, যা শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি৷ কিন্তু জন-মানসিকতার একটা আন্দাজ পাওয়া গিয়েছিল তখনই যে পশ্চিমবঙ্গ নামের মধ্যে দেশভাগের, বাংলা দ্বিখণ্ডিত হওয়ার একটা অপ্রিয় ইতিহাস জড়িয়ে আছে, যা এবার বিস্মৃতির বাক্সে ভরে দেওয়ার সময় হয়েছে৷ বলা হয়েছিল, একসময়ে ইস্ট পাকিস্তান, বা পূর্ববঙ্গ যদি স্বাধীনতার পর সগৌরবে বাংলাদেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে, তা হলে পশ্চিমবঙ্গ কেন বঙ্গ, বা বাংলা হবে না!
বিপুল ভোটে জিতে মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেস দ্বিতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরই উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা৷ আইন অনুযায়ী রাজ্যের নাম বদলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ বাংলার কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীরা সবাই সোৎসাহে এই নাম-বদলকে স্বাগত জানাচ্ছেন৷ বর্ষীয়ান সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় যদিও এটাকে নাম বদল বলতে রাজি নন৷ তিনি এটাকে বলেছেন উৎসে ফেরা, ইতিহাসের কাছে ফেরা৷ একসময় পূর্ব ভারতের গোটা অঞ্চলটাই পরিচিত ছিল বঙ্গ, বা বঙ্গদেশ নামে৷ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ভারতের জাতীয় সংগীত ‘জনগণমন অধিনায়ক জয় হে'-তে দ্রাবিড়, উৎকলের পর সেই বঙ্গেরই উল্লেখ পাওয়া যায়৷ কাজেই শীর্ষেন্দুবাবুর কাছে এ আদতে সেই ঐতিহাসিক সত্যেরই পুনরুদ্ধার৷
পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত ‘জয়নগরের মোয়া’
শীত আসছে৷ তাই আবার উচ্চারিত হচ্ছে ‘জয়নগরের মোয়া’র নাম৷ ছবিঘরে ঢুকে জেনে নিন মজাদার এই মোয়া তৈরির বৃত্তান্ত৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
কণকচূড় ধানের খই
জয়নগরের মোয়ার অন্যতম প্রধান উপাদান কণকচূড় ধানের খই, যা এখনও প্রথাগত পদ্ধতিতেই ঝাড়াই-বাছাই করা হয়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
খেজুরের রসে মোয়া
মোয়ার দ্বিতীয় উপাদান হলো ‘নলেন গুড়’, যা অত্যন্ত যত্ন নিয়ে খেজুরের রস জাল দিয়ে তৈরি করতে হয়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
‘শিউলি’
খেজুর গাছ কেটে রস সংগ্রহ করেন যাঁরা, তাঁদের চলতি কথায় বলা হয় ‘শিউলি’ - এঁরা গাছ বাইতে ওস্তাদ৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
‘নলেন গুড়’
খেজুর গাছের মাথার দিকে, গুঁড়ির গায়ে চিরে দিয়ে, তার তলায় বাঁধা হয় মাটির হাঁড়ি - সরু নল দিয়ে রস এসে জমা হয় হাঁড়িতে৷ এই নলের কারণেই নাম ‘নলেন গুড়’৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
গাছের গায়ের দাগ
খেজুর গাছের গায়ে কাটার দাগ পরিষ্কার দেখতে পাওয়া যায় - যে গাছের গায়ে যত বেশি দাগ, ধরে নিতে হবে, সেই গাছের রস তত বেশি মিষ্টি৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
জ্বালানি কাঠের ঢিমে আঁচের মোয়া
গুড় জাল দেওয়ার জন্য দরকার হয় কাঠের ঢিমে আঁচ - সেই জ্বালানি কাঠ শীতকাল শুরু হওয়ার আগেই মজুত রাখতে হয়৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
মোয়ার মণ্ড
নলেন গুড়ের সঙ্গে কণকচূড় ধানের খই মিশিয়ে, ঘন করে পাক দিয়ে তৈরি হয় জয়নগরের মোয়ার মণ্ড৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
ঘি মেখে তৈরি মোয়া
গাওয়া ঘি দু হাতে মেখে, গোল গোল করে পাকিয়ে তৈরি করা হয় মোয়া৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
ক্ষীরের মোয়া
স্বাদ বাড়ানোর জন্য তার সঙ্গে যুক্ত হয় খোয়া ক্ষীর, কাজুবাদাম, কিশমিশ৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
সর্বত্র পাওয়া যায় এই মোয়া
কখনও হাঁড়িতে, কখনও রঙচঙে প্যাকেটে ভরে জয়নগরের মোয়া চলে যায় রাজ্যের সর্বত্র৷
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
10 ছবি1 | 10
একা শীর্ষেন্দু নন, কবি শঙ্খ ঘোষ, সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার, নবনীতা দেব সেন, বাণী বসু, শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, নাট্য নির্দেশক বিভাস চক্রবর্তীর মতো অনেকেই এই নাম বদলের সিদ্ধান্তে সহমত৷ আবার কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বা গায়ক-নির্দেশক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় মনে করছেন, যা হবে, তা যেন সবার মতামত যাচাই করে তবেই হয়৷ নীরেন্দ্রনাথ বলেছেন বিশিষ্টজনের মত নিতে, অনিন্দ্য প্রস্তাব দিয়েছেন গণভোটের৷ আবার সাহিত্যিক স্বপ্নময় চক্রবর্তী স্পষ্টই জানিয়েছেন, তিনি এই নাম বদলের বিপক্ষে৷ কারণ পশ্চিমবঙ্গ নামের সঙ্গে যে দেশভাগের স্মৃতি, ঐতিহাসিক কারণেই তা বাঁচিয়ে রাখা দরকার বলে তাঁর অভিমত৷
তবে নামের আদ্যক্ষরের হিসেবে সভায় ডাক পড়লে, ওয়েস্ট বেঙ্গলের থেকে বেঙ্গলের সুবিধে যে অনেক বেশি, সে ব্যাপারে সবাই একমত৷
রাজনৈতিকভাবে অবশ্য এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা হচ্ছে৷ সমালোচনায় সরব হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরি, কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইঞা, প্রাক্তন সি পি এম সাংসদ, দৌড়বীর জ্যোতির্ময়ী শিকদার এবং বিজেপির জর্জ বেকার৷ এঁদের সবার যুক্তি অবশ্য একটাই৷ এতদিন ধরে যা চলছে চলতেই পারত৷ খামোকা নাম বদলের কোনো দরকার আছে কি?
বাংলার গর্ব পোড়ামাটির সম্পদ
পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার ছোট শহর বিষ্ণুপুর বিখ্যাত তার অসাধারণ টেরাকোটা বা পোড়া মাটির ভাস্কর্যের জন্য, যা দেখা যায় মূলত নানা ধরনের পট আর পুতুলে এবং মন্দিরের গায়ের কারুকার্যে৷
ছবি: DW/S.Bandopadhyay
লাল মাটির সরানে
পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া – এই জেলাগুলো পরিচিত তার লাল মাটির জন্য৷ ল্যাটেরাইট গোত্রের এই লাল মাটি পুড়িয়েই হয় বিষ্ণুপুরের বিশ্ববিখ্যাত টেরাকোটার কাজ৷
ছবি: DW/S.Bandopadhyay
নিজস্ব স্থাপত্যরীতি
বিষ্ণুপুরের টেরাকোটা মন্দিরের কিছু নিজস্বতা আছে৷ যেমন মূল মন্দিরের সামনে, মন্দিরের আদলেই একটি ছোট আকারের তুলসীমঞ্চ৷ বাংলার স্থাপত্যশেলীর নিদর্শন এগুলিও৷
ছবি: DW/S.Bandopadhyay
সময়ের আঁচড়
সব মন্দিরের গায়ের রিলিফের কাজই যে যথাযথভাবে সংরক্ষিত করা গেছে, তা নয়৷ কোনো কোনো মন্দির জীর্ণ হয়েছে সময়ের আঁচড়েও৷
ছবি: DW/S.Bandopadhyay
তবু অনন্য
তবু বাংলার নিজস্ব স্থাপত্যরীতির অনন্য নিদর্শন হয়ে আছে এইসব টেরাকোটা মন্দির৷ যেমন এই বাংলা চালা, যে নকশা উঠে এসেছে গ্রামবাংলার খড়ের চাল থেকেই৷
ছবি: DW/S.Bandopadhyay
ইসলামি প্রভাব
সুলতানি আমলে ইঁটের খিলান আর গম্বুজ তৈরির যে স্থাপত্যরীতি, তার প্রভাবও স্পষ্ট বিষ্ণুপুরের মন্দিরের খিলানের কাজে৷
ছবি: DW/S.Bandopadhyay
স্থাপত্য দক্ষতা
১৭ এবং ১৮ শতকে এইসব পোড়ামাটির মন্দির যাঁরা তৈরি করেছিলেন, সেই স্থপতিরা যে কী অসামান্য দক্ষতার অধিকারী ছিলেন, তা বোঝা যায় ক্ষয় ধরা ইটের পাঁজার দিকে তাকালেও৷
ছবি: DW/S.Bandopadhyay
পোড়ামাটির শিল্প
শুধু স্থাপত্যরীতিই নয়, বিষ্ণুপুরের মন্দির প্রসিদ্ধ তার গায়ের পোড়ামাটির টালির কারুকাজের জন্যেও৷ পুরাণের কাহিনি থেকে যুদ্ধবিগ্রহের ইতিহাস, শিকারের গল্প – সবই বলা হয়েছে তাতে৷
ছবি: DW/S.Bandopadhyay
জাতীয় সম্পদ
এমনই চমৎকারিত্ব পোড়ামাটির টালির এই রিলিফের কাজের, ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ বিভাগ সবকটি মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছে নিজেদের হাতে৷
ছবি: DW/S.Bandopadhyay
কৃষ্ণের জীবন
বিষ্ণুপুরের এসব মন্দির তৈরি করিয়েছিলেন মল্ল রাজারা৷ তাঁরা ছিলেন বৈষ্ণব৷ তাই মন্দিরের কারুকাজে কৃষ্ণজীবনের প্রাধান্য৷
ছবি: DW/S.Bandopadhyay
আন্তর্জাতিক পরিচিতি
টেরাকোটার মন্দির আন্তর্জাতিক পরিচিতি এনে দিয়েছে বিষ্ণুপুরকে, বাংলার শিল্পকে৷ বিশ্বের দরবারে বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতির অন্যতম প্রতীক হয়ে উঠেছে এই টেরাকোটা শিল্প৷