পশ্চিমবঙ্গে ভোট যত এগোচ্ছে, ততই বাড়ছে, সংঘাত ও সংঘর্ষ। প্রার্থীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। কর্মীরা খুন হচ্ছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মানুষ মারা যাচ্ছেন। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি।
বিজ্ঞাপন
ভারতের বাকি সব রাজ্যে নির্বাচন মোটের উপর শান্তিপূর্ণ থাকে। একসময় ভোটের দিন বা তার আগে-পরে ভয়ঙ্কর গোলমাল হতো বিহার ও উত্তর প্রদেশে। তারাও এখন শুধরে গেছে। ব্যতিক্রম পশ্চিমবঙ্গ। সেখানে রাজনৈতিক সংঘর্ষে মানুষ মরছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মারা যাচ্ছেন। ভোটের দিন বা তার আগে-পরে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়ছে অনেক জায়গায়। রাজনৈতিক শাসানি, ভয় দেখানো, এজেন্টদের বসতে না দেয়ার মতো ঘটনা প্রতিটি পর্বে উঠে আসছে। প্রতিটি পর্বে বিভিন্ন দলের প্রার্থীিরা আক্রান্ত হচ্ছেন। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অভিযোগ। যা অবস্থা তাতে এটা মনে হওয়া অস্বাভাবিক নয় যে, যে রাজনৈতিক দলের যেখানে শক্তি বেশি, তারা সেখানে সংঘাতের রাস্তায় যাচ্ছে।
রাজনৈতিক দলগুলির ব্যবহার নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। শীতলকুচির ঘটনার কথাই ধরা যাক। কোচবিহারের এই এলাকার একটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজন মারা গেছেন। সেখানেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে একজন মারা গেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উত্তরবঙ্গের এক প্রবীণ সাংবাদিক জানিয়েছেন, ''শীতলকুচির প্রার্থীরাও গত দুই দিনে এলাকায় গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করেননি। অবশ্য দুই প্রধান দল বলেছে, তারা যাবে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে মেরুকরণের চেষ্টা, বিভাজনের মরিয়া প্রয়াস।''
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শীতলকুচির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করে বলেছেন, ''মুখ্যমন্ত্রী ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছেন। তিনি কেবল গুলিতে চারজনের মৃত্যুর কথা বলছেন। অথচ, রাজবংশী যুবক আনন্দ বর্মন যে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে গুলিতে মারা গেল তা বলছেন না। কারণ, রাজবংশী যুবক তার ভোটব্যাঙ্ক নয়।''
সোমবার রাণাঘাটের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ''এটা অমিত শাহের চক্রান্ত। এসপি-র সঙ্গে বসে বিজেপি কর্মীরা ওই পরিকল্পনা করেছিল। বিজেপি-ই সেদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গুলি চালাতে প্ররোচিত করেছিল। বিজেপি রাজ্যে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা লাগাতে চাইছে।'' তিনি বলেন, বিজেপি নিজের কর্মীদের খুন করছে। নিজেরাই গাড়ি ভাঙচুর করছে।
পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল, বিজেপি-র প্রতিশ্রুতি
পশ্চিমবঙ্গের জন্য ঢালাও প্রতিশ্রুতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদীর। তৃণমূল ও বিজেপি-র ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতির বন্যা।
ছবি: Syamantak Ghosh/DW
ক্ষমতায় এলেই সিএএ
বিজেপি-র ইস্তেহারের নাম হলো সোনার বাংলা-সংকল্পপত্র ২০২১। সেখানেই বলা হয়েছে, ক্ষমতায় এলেই রাজ্যে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে সিএএ চালু করা হবে। বিজেপি-র এই ঘোষণা নিয়ে বিতর্কও হচ্ছে। কারণ, সিএএ হলো কেন্দ্রীয় আইন। তা চালু করার জন্য রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদনের দরকার হয় না। এমনিতেই তা চালু হবে। বিজেপি-র যুক্তি, মমতা এই আইন চালু করতে চাননি বলে এই প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।
ছবি: DW/P. Samanta
কৃষকদের সহায়তা
নরেন্দ্র মোদীর দলের প্রতিশ্রুতি, কৃষকদের বছরে ১০ হাজার টাকা দেয়া হবে। তাছাড়া গত তিন বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি চালু করেননি। তার বকেয়া ১৮ হাজার টাকা কৃষকদের একবারে দেয়া হবে। তৃণমূল অবশ্য বলছে, দিল্লির সীমানায় কৃষকরা কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। তাদের কথা শুনছে না সরকার।
ছবি: Aditi Mukerji
মেয়েদের সংরক্ষণ
বিজেপি-র প্রতিশ্রুতি সরকারি চাকরিতে মেয়েদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করা হবে। প্রাথমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত মেয়েরা বিনা পয়সায় পড়তে পারবেন।
ছবি: DW/P. Mani
যুবদের চাকরি
বিজেপি-র প্রতিশ্রুতি, প্রতিটি পরিবার থেকে একজন করে যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিটি ব্লকে নেতাজি বিপিও স্থাপন করা হবে।
ছবি: DW/P. Tewari
রবীন্দ্রনাথের নামে
রবীন্দ্রনাথের নামে আন্তর্জাতিক মানের পুরস্কার চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি। তাছাড়া গুরুদেব রুরাল অ্যাডভান্সমেন্ট মিশন চালু করার কথাও বলা হয়েছে। সত্যজিৎ রায়ের নামেও পুরস্কার দেয়ার কথা জানিয়েছে বিজেপি।
ছবি: DW/P. Samanta
তৃণমূলের আশ্বাস
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের প্রতিশ্রুতি, প্রতি বছর পাঁচ লাখ যুবকে চাকরি দেয়া হবে। তফসিলি জাতি ও উপজাতি পরিবারের প্রধান নারী সদস্যকে মাসে হাজার টাকা দেয়া হবে। অন্যরা পাবেন ৫০০ টাকা করে। বিধবারাও মাসে ৫০০ টাকা করে পাবেন। বয়স্করাও।
ছবি: Payel Samanta/DW
বাড়িতে রেশন
দেড় কোটি মানুষকে বাড়িতেই রেশন পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি মমতার। বিজেপি বলছে, সেই পরিকাঠামোই রাজ্যে নেই।
ছবি: Syamantak Ghosh/DW
পাঁচ টাকায়
ছোট-বড় ৫০টি শহরে আড়াই হাজার মা ক্যান্টিন করা হবে। সেখানে পাঁচ টাকায় ডিম-ভাত দেয়া হবে। কলকাতায় এই ক্যান্টিন চালু করা হয়েছে।
ছবি: Sirsha Bandyopadhyay/DW
বাড়ি দেয়া হবে
তৃণমূলের প্রতিশ্রুতি, পাঁচ বছরে পাঁচ লাখ আবাসন ও পঁচিশ লাখ বাড়ি বানিয়ে গরিবদের দেয়া হবে।
ছবি: Syamantak Ghosh/DW
দুয়ারে সরকার
বছরে চার মাস দুয়ারে সরকার প্রকল্প চলবে। সরকার পৌঁছাবে মানুষের কাছে। সব প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন সাধারণ মানুষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দলের প্রতিশ্রুতি।
ছবি: Payel Samanta/DW
10 ছবি1 | 10
রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবার শীতলকুচি নিয়ে আরো মারাত্মক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ''আর যদি বাড়াবাড়ি করে, তা হলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।'' তৃণমূল সোমবার দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে গেছে। তাদের দাবি, দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নিক কমিশন। কারণ, তিনি উস্কানি দিচ্ছেন। তাই দিলীপ ঘোষকে যেন বাকি পর্বে প্রচার করতে না দেয়া হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার এর আগে দলের কর্মীদের কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেটা নিয়ে নির্বাচন কমিশন তাকে নোটিশ দিয়েছে। এ জন্যই বলে পশ্চিমবঙ্গের ভোট একেবারে আলাদা, সেখানে সব অঙ্কই গোলমেলে, অনেক আচরণ নিয়েই প্রশ্ন ওঠে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, পশ্চিমবঙ্গে এমন গোলমাল হবে কেন? প্রবীণ সাংবাদিক ও লেখক শুভাশিস মৈত্র মনে করেন, পশ্চিমবঙ্গের ভোটের সঙ্গে সহিংসতার একটা সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে আছে। ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেছেন, ''একসময় অতিবামেরা ঘোষণা করে সহিংসতার পথ নিয়েছে। অন্য দলগুলি মুখে সহিংসতার কথা বলে না। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে করে। পশ্চিমবঙ্গে এমন একটা জেলা নেই যেখানে গত দুই বছরে কোনো রাজনৈতিক হত্যা হয়নি।'' শুভাশিসের মতে, ''এর একটা কারণ বোধহয় যুবকদের চাকরি না থাকা। অন্যটা হলো, রাজনৈতিক দলগুলি সচেতনভাবে এর বিরোধিতা করে না। রাজনৈতিক দলগুলি নিজেরা না চাইলে, এটা বন্ধ করা সম্ভব নয়।''
পশ্চিমবঙ্গে কীভাবে লড়ছেন মমতা
আগামী ২৭ মার্চ থেকে আট পর্বের বিধানসভা নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। কেমনভাবে লড়ছেন গত দশ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ছবি: Prabhakarmani Tewari/DW
মমতাই প্রথম
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমেই ২৯১টি কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছেন। পাহাড়ের তিনটি আসন ছেড়ে দিয়েছেন শরিক গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে। বিজেপি ও বাম জোট প্রথম দুই দফার প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। এক্ষেত্রে তিনি বাকিদের থেকে এগিয়ে রইলেন।
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
বাদ ৬৪ জন বিধায়ক
এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা। গতবারের ৬৪ জন বিধায়ককে এবার আর প্রার্থী করেননি তৃণমূল-সুপ্রিমো। তাদের কেউ বিজেপি-তে গেছেন। অন্যরা জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন। সবমিলিয়ে গতবারের তুলনায় শতাধিক প্রার্থী বদল করেছেন মমতা। নেতাদের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ থাকলে তাকে আর প্রার্থী করা হয়নি। ৮০ বছরের বেশি বয়সীরা বাদ পড়েছেন। তাই অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ভোটে লড়ছেন না। উপরের ছবিটি বাজেট পেশ করার সময় অমিত মিত্রর।
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
নতুন কেন্দ্রে মমতা
মুখ্যমন্ত্রী নিজে লড়ছেন নতুন কেন্দ্র নন্দীগ্রামে। তার আগের কেন্দ্র ভবানীপুরে নয়। বিজেপি-তে যোগ দেয়া তার একদা লেফটন্যান্ট শুভেন্দু অধিকারীর চ্যালেঞ্জ ভোঁতা করে দিতে তিনি এই সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১০ মার্চ তিনি মনোনয়নপত্র পেশ করবেন। নন্দীগ্রামে ইতিমধ্যে বড়সড় জনসভা করেছেন মমতা।
ছবি: DW
কম মুসলিম প্রার্থী
গতবারের তুলনায় এবার তৃণমূলে মুসলিম প্রার্থীদের সংখ্যা কম। তৃণমূল এবার ৪৭ জন মুসলিম প্রার্থী দিয়েছে। গতবার দিয়েছিল ৫৭ জন। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, হিন্দুরা ক্ষুব্ধ বুঝে মুসলিম প্রার্থী কমিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। পশ্চিমবঙ্গে ৩০ শতাংশ মুসলিম ভোট আছে।
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
প্রচার মমতাময়
তৃণমূলের প্রচার মমতাময়। মুখ্যমন্ত্রী সবকটি কেন্দ্রে প্রচারে যাবেন। জনসভা করবেন। পদযাত্রাও। ইতিমধ্যে কলকাতা ও শিলিগুড়িতে পদযাত্রা করে ফলেছেন। তাই নন্দীগ্রামে তিনি বেশি সময় দিতে পারবেন না, তা আগেই জানিয়ে এসেছেন। সেখানে তার ভোটের দায়িত্বে পূর্ণেন্দু বসু।
ছবি: DW/Sirsho Bandopadhyay
আক্রমণাত্মক প্রচার
বিজেপি-র প্রধান দুই নেতা নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ যে অভিযোগ করবেন, তার জবাব দেয়ার কৌশল নিয়েছেন মমতা ও তার ভোট-কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। বিজেপি এবার প্রচারে অভিষেককে টার্গেট করেছে। মমতা তার জবাব দিয়েছেন। পাল্টা টেনে এনেছেন অমিত শাহের ছেলে জয় শাহের প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রীকেও আক্রমণ করেছেন।
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
প্রচারের ভাষা
আক্রমণ করতে গিয়ে অনেক সময়ই ভাষার উপর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না তৃণমূল নেতাদের। মোদী-শাহকে হোঁদলকুতকুত ও কিম্ভূতকিমাকার বলেছেন তৃণমূল নেত্রী। এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করা নিয়ে আপত্তিও উঠেছে।
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
আমল দিচ্ছে না তৃণমূল
অনেকে প্রার্থী হতে পারেননি। অনেকে বাদ পড়েছেন। তা নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ তুঙ্গে। আরাবুল ইসলাম, সোনালি গুহরা প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছেন। তবে এই ক্ষোভ আমল দিতে চাইছেন না মমতা। তিনি এখন নেমে পড়েছেন ভোটের ময়দানে। শুধু একটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আবার জিতলে তিনি বিধান পরিষদ বানাবেন। বেশ কিছু নেতাকে বিধান পরিষদের সদস্য করা হবে।
ছবি: Getty Images/D. Sarkar
পিকে-র কৌশল
তৃণমূলের ভোট কৌশল তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে প্রশান্ত কিশোর বা পিকে-র। তিনি একদিকে সামাজিক মাধ্যমে তৃণমূলকে খুবই সক্রিয় করেছেন। অন্যদিকে কীভাবে বিজেপি-র প্রচারের জবাব দিতে হবে, তার পরামর্শ দিচ্ছেন। প্রার্থীদের বিষয়ে একের পর এক সমীক্ষা করেছেন। দুর্নীতি ও অন্য অভিযোগ নিয়ে মানুষের ক্ষোভ কমানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন।
ছবি: Hindustan Times/Imago Images
কঠিন লড়াই
এবার কঠিন লড়াইয়ের মুখে মমতা। তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে বিজেপি। ফলে পশ্চিমবঙ্গের এবারের ভোট খুবই চিত্তাকর্ষক হবে। মমতার সামনেও লড়াই রীতিমতো কঠিন।
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
10 ছবি1 | 10
সাংবাদিক চন্দ্রিল ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন. ''এখন এই হত্যাগুলিকে টি২০ ম্যাচের মতো মনে হয়। একপক্ষ মারলে অন্যপক্ষ প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। এটা ভয়ঙ্কর প্রবণতা। আর দীর্ঘদিন ধরে এটা চলছে।''
শুভাশিসের মতে, যারা এই রাজনৈতক হিংসায় মারা যায়, তারা প্রায় সবাই গরিব মানুষ। যারা ২১ জুলাই মমতার মিছিলে মারা গেছিলেন, তারা কেউ মাছ বিক্রি করতেন, কেউ সামান্য কাজ করতেন। এখনও একই ঘটনা ঘটছে। খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আর রাজনৈতিক দলগুলি সচেতনভাবে এটা থামাবার চেষ্টা করছে না। ইস্তাহারেও তারা রাজনৈতিক সহিংসতা থামাবার কথা বলে না। শুভাশিস মনে করেন, ''নির্বাচনের প্রথম চার পর্বে দেখা গেছে, সাধারণ মানুষ লাঠি, রড নিয়ে সহিংসতা করছেন। তার মানে এই সহিংসতার সঙ্গে সাধারণ মানুষকেও ধীরে ধীরে জড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। যেটা মারাত্মক ঘটনা।''