1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পশ্চিমবঙ্গে ত্রাণের চাল দুর্নীতির পেটে

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
৪ মে ২০২০

করোনা লকডাউনের কারণে সরকারি বণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে যে চাল–গম বিলি হচ্ছে, তাতে অনিয়মের অভিযোগ উঠছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়৷

ছবি: DW/Prabhakar

লকডাউনে অবরুদ্ধ গরিব, শ্রমজীবী পরিবারগুলোর জন্য কেন্দ্র সরকার চাল, ডাল পাঠাচ্ছে৷ রাজ্য সরকারও একই খাদ্যসাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে৷ কিন্তু সেই সাহায্য মানুষের হাতে পৌঁছচ্ছে না৷ পৌঁছলেও তা পরিমাণে কম, গুণগত মানেও খারাপ৷ সরকারি বণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে ত্রাণ বিলির ক্ষেত্রে এমন বহু অভিযোগ নিয়ে মানুষের ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়৷ রাজ্যে বিরোধী বিজেপি এবং কংগ্রেস ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে সরাসরি৷ সরকারের বক্তব্য, বিষয়টা নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে বিরোধীরা৷

রাজ্যের বিজেপি নেতা, দুর্মুখ বলে পরিচিত সায়ন্ত্বন বসু প্রশ্ন তুললেন, ‘‘মানুষ কী করে পাবে!কারণ ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমটাই তো পুরো গোলমাল হয়ে গেছে, না? একটা চাল, ধরা যাক পাঁচ কেজির বস্তা, সাধারণ মানুষের জন্য৷ সেটা তো মাঝপথেই তৃণমূল অফিসে চলে যাচ্ছে, খোলা বাজারে চলে যাচ্ছে৷ (মানুষ)পাচ্ছে তো দু'কেজি!’’

সেটা কি কেন্দ্র সরকারকে জানাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব?সায়ন্ত্বন বসুর জবাব, ‘‘জানিয়ে কী হবে! সর্ষের মধ্যেই যদি ভূত থাকে, সরকার যদি তার রাজনৈতিক দলকে, নিজের দলকে কন্ট্রোল না করতে পারে, তার নিজের দলের নেতাদের কন্ট্রোল না করতে পারে, তা হলে কী করে কী করবেন!’’

‘সর্ষের মধ্যেই যদি ভূত থাকে...’

This browser does not support the audio element.

তা হলে কেন্দ্র যে খাদ্য–সাহায্য দিচ্ছে, রাজ্য যা দিচ্ছে, সেটা লোকের কাছে পৌঁছবে কী করে?বিজেপি নেতার বক্তব্য, ‘‘পৌঁছচ্ছে না তো!আমি বলছি তো, মাঝপথে সেটা বিভিন্ন জায়গায় বিলি–বণ্টন, ডিস্ট্রিবিউশন, চড়া দামে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে৷ একা রেশন ডিলারদের দোষ দিয়ে লাভ নেই৷ তৃণমূলের লোকাল লিডারদের প্রচণ্ড প্রেশার থাকে৷ এখান থেকে তৃণমূল যদি পয়সা তোলা টার্গেট করে, যে আমি এত পয়সা তুলব, ভোটের খরচ আছে, চিট ফান্ড বন্ধ হয়ে গেছে— তা হলে এখন কী হবে!কেন্দ্র তো এফসিআই থেকে চালটা পাঠিয়ে খালাস৷ কেন্দ্রের চালটা যখন এফসিআই থেকে ডিলার নিয়ে যাচ্ছে, মাঝপথে সেটা হয় লুট হচ্ছে, নয় অন্যভাবে বিক্রি হচ্ছে৷’’

মাঝপথে সাহায্যের চাল বিক্রি হয়ে যাওয়া, ভাল চাল বদলে খারাপ চাল দিয়ে দেওয়া, বা সরাসরি শাসকদলের নেতা কর্মীদের হাতে পৌঁছে যাওয়ার অভিযোগ বিরোধী দল কংগ্রেসও তুলেছে৷ পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি,

সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীর সাফ কথা, ‘‘বাংলার মানুষ যেন তাঁদের অধিকার পান৷ কোনও দয়া নয়৷ খাদ্য সুরক্ষায় তাঁরা পাঁচ কিলো চাল, গম পান৷ করোনার জন্য কেন্দ্র আরও পাঁচ কিলো চাল, এক কিলো ডাল দেবে বলেছে৷ রাজ্য সরকার বলেছে, তারাও পাঁচ কিলো চাল দেবে৷ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের লোক তা পাচ্ছে না কেন? পশ্চিমবঙ্গের সব চেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত হলো রেশন দপ্তর৷ কেন্দ্র স্বর্ণ চাল দিচ্ছে৷ আমাদের কাছে খবর, তা মাঝরাস্তায় পাল্টে যাচ্ছে৷ সবাই জানেন, বাংলার রেশন মন্ত্রীর আরেকটা নাম টেন পার্সেন্ট মন্ত্রী৷ টেন পার্সেন্ট না পেলে উনি কাজ করেন না৷ কথায় কথায় কংগ্রেসের ওপর দোষ দেবেন না৷ রেশন না পেলে মানুষ প্রতিবাদ করবে না?’’

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ