কৃষকদের অবিচল আন্দোলনে বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্রীয় সরকার৷ পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে দীর্ঘ সময় আন্দোলন করে আসা পেশাজীবীরা এখন তাদের সাফল্যে উজ্জীবিত৷
বিজ্ঞাপন
ভারতের কৃষক আন্দোলনে নজর ছিল সারা বিশ্বের৷ সেই আন্দোলন সাফল্য পেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে৷ পশ্চিমবঙ্গেও প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলছে৷ মূলত স্বাস্থ্য ও শিক্ষাক্ষেত্রে আন্দোলন বারবার নজর কেড়েছে৷ এখন নার্সদের প্রতিবাদ চলছে এসএসকেএম হাসপাতালে৷ সমকাজে সমবেতন ও বদলি নীতির প্রতিবাদে গত জুলাই-আগস্টে ১২ দিনের জন্য অনশন আন্দোলন করেন নার্সরা৷ বেতন বৈষম্যসহ বদলির বিরুদ্ধে এই আন্দোলনের দাবিপূরণ এখনো হয়নি৷
প্রথম দফার আন্দোলনের পর তিন মাস কেটে গেলেও রাজ্য দাবিদাওয়া মানেনি বলে নার্স সংগঠনের অভিযোগ৷ তাই তারা ফের আন্দোলনে নেমেছেন৷ শনিবার নার্সদের আন্দোলন ষষ্ঠ দিনে পড়েছে৷ নার্সেস ইউনিটির পক্ষে ভাস্বতী মুখোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘মন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হোক৷ না হলে মন্ত্রী বলুন, মিথ্যে বলেছিলাম৷ রোগী পরিষেবা বজায় রেখেই আন্দোলন চালাচ্ছি৷ কৃষকদের আন্দোলন আমাদের ১০০ শতাংশ উজ্জীবিত করেছে৷ যেভাবে তারা মাটি কামড়ে পড়েছিলেন, তা শিক্ষণীয়৷’’
অংশুমান মিত্র
কৃষক আন্দোলনের সাফল্যে অনমনীয় নেতৃত্বই কৃতিত্বের দাবিদার৷ এমনকি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরেও কৃষকরা লড়াই ছাড়েননি৷ আন্দোলনের নেতা রাকেশ টিকায়েত জানিয়েছেন, সংসদে আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ চলবে৷ এই জেদি মানসিকতা কি পশ্চিমবঙ্গে আন্দোলনকারী নেতৃত্বের মধ্যে দেখা যাচ্ছে? সিংঘুতে উপস্থিত হয়ে কৃষক আন্দোলনের পাশে ছিলেন মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টার এর সম্পাদক চিকিৎসক অংশুমান মিত্র৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘কৃষিজীবীরা টানা অবস্থানে বসে আছেন৷ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের নার্সরা ডিউটি জারি রেখে আন্দোলন করছেন কয়েক বছর ধরে৷ আমাদের স্বাস্থ্য পরিষেবা শুধু জনবিরোধী নয়, কর্মীবিরোধীও বটে৷ কম লোকবলে কাজ করতে হয়৷ তার মধ্যেও দীর্ঘ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া সহজ নয়৷’’
এ রাজ্যেই আছে যুগান্তকারী আন্দোলনের সাম্প্রতিক অতীত৷ সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম বিশ্বের নজর কেড়েছিল৷ রাজনৈতিক বিশ্লেষক ভাস্কর সিংহরায় ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘কৃষকদের উপর কিছু চাপিয়ে দিতে গেলে কী ফল হয়, তার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের ক্ষেত্রে৷ এই আন্দোলনের জেরে বদলে যায় দেশের জমি অধিগ্রহণ আইন৷ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন সেই ধারাতেই সফল হয়েছে৷’’
এই একই একাগ্রতা কি পশ্চিমবঙ্গের সব সরকারবিরোধী আন্দোলনে দেখা যাচ্ছে, প্রশ্ন তুলছেন পর্যবেক্ষকরা৷
শিক্ষকরা বছরভর আন্দোলনে ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছে রাজ্য সরকারকে৷ স্কুল সার্ভিস কমিশনে নিয়োগের দাবিতে হবু শিক্ষকেরা দিনের পর দিন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন৷ শিক্ষক বাছাই প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে মামলা হওয়ায় নিয়োগের ক্ষেত্রে জটিলতা বেড়েছে৷ চলতি সপ্তাহে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ঘোষণা করেছেন, ‘‘আদালতের জট কাটিয়ে আগামী দু মাসে ১৫ হাজার নিয়োগ হবে এসএসসিতে৷’’
রোগী পরিষেবা বজায় রেখেই আন্দোলন চালাচ্ছি৷
লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন স্কুলের পার্শ্বশিক্ষকরাও৷ বিধানসভার গেট টপকে অন্দরে প্রবেশের চেষ্টা থেকে আদিগঙ্গায় সাঁতার কিংবা বিষপান, নানা নাটকীয়তায় ভরা এই আন্দোলন৷ প্রতিবাদের ঝাঁজ আছে যথেষ্ট, কিন্তু সেই অনুযায়ী ফল মিলেছে কি?
শিক্ষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা, শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের মইদুল ইসলাম সহ এই নজরকাড়া সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীরা সরাসরি যোগ দিতে চলেছেন শাসক দল তৃণমূলে৷ ঘটনাচক্রে মইদুল ও বিষপানকারী পাঁচ শিক্ষিকার এই সিদ্ধান্ত সামনে এসেছে শুক্রবার, কৃষি আইন প্রত্যাহারের দিনেই৷ এতে কি এ রাজ্যে আন্দোলনের নেতৃত্ব বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে না? শিক্ষক নেতা কিঙ্কর অধিকারী ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়া কারো ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত৷ কিন্তু যারা প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে বিষপানের মতো পদক্ষেপ করলেন, এমন কী ঘটল যে তারা সরাসরি শাসক শিবিরে নাম লেখালেন? ভোটের আগে এদের কেউ কেউ সরকারবিরোধী ভূমিকা নিয়েছেন৷ এখন আবার ক্ষমতার দিকে ঢলে পড়েছেন৷'' অংশুমানের ভাষায়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে অনেক আন্দোলন হচ্ছে যা রাজনৈতিক দলের মদতপুষ্ট৷ ফলে ক্ষমতার ভাগ নেওয়ার লোভ থাকবেই৷ তবে তাতে সব আন্দোলনের উপরই প্রশ্নচিহ্ন বসবে না৷’’
কলকাতার ব্রিজ: ভাঙছে চাঙড়, গজাচ্ছে বটগাছ, বাড়ছে ফাটল
তিন বছর আগে ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট সেতু। বিশেষজ্ঞ কমিটি বলেছিল, ২০টি ব্রিজ সারানো দরকার। কিছু সারানো হয়েছে। কলকাতার সেতু ঘুরে দেখে ডিডাব্লিউ-র বিশেষ ছবিঘর।
ছবি: Subrata Goswami/DW
মা উড়ালপুলে বটগাছ
বাইপাসে পার্ক সার্কাস কানেকটরের উপর তৈরি হয়েছে এই সেতু। কলকাতা তথা রাজ্যের দীর্ঘতম উড়ালপুল। দশ কিলোমিটার লম্বা এই উড়ালপুলের গায়ে দেখা গেল বটগাছের চারা গজিয়ে গেছে। যা সেতুর ক্ষতি করতে পারে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
উল্টোডাঙা সেতুতে ফাটল
আট বছর আগে ভেঙে পড়েছিল এই ব্রিজের একাংশ। বহুদিন বন্ধ ছিল উড়ালপুলের একাংশ। তারপর সারানো হয়েছে। হাইটবার লাগানো হয়েছে। বড় গাড়ি উঠতে দেয়া হয় না। এই ব্রিজেও ফাটল চোখে পড়েছে। বৃহস্পতিবার মেরামতির জন্য উড়ালপুল বন্ধ ছিল।
ছবি: Subrata Goswami/DW
বিজন সেতুর বেহাল স্থিতি
কসবায় এই সেতুটির অবস্থা বছর পাঁচেক আগে বেশ খারাপ ছিল। তারপর সারাই হয়েছে। সিমেন্ট ও রঙের প্রলেপ পড়েছিল। কিন্তু আবার এই সেতুর অবস্থা খারাপ হচ্ছে। বেরিয়ে পড়ছে কংক্রিটের কঙ্কাল।
ছবি: Subrata Goswami/DW
সোনারপুর রেল ওভারব্রিজ
ব্রিজের শুরুতে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করা গাড়ি রাখে। ব্রিজের নীচে মাছের আড়ত। বেশ নোংরা। এর ফলে ব্রিজের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট।
ছবি: Subrata Goswami/DW
শিয়ালদহ ফ্লাইওভার
সরকারি নাম বিদ্যাপতি সেতু। ব্রিজের নীচে বিশাল বাজার। কোনো গাড়ি চলে না। ১৯৭৮ সালে তৈরি এই ব্রিজ মেট্রো রেলের সুড়ঙ্গ তৈরির জন্য চারদিন বন্ধ রাখা হয়েছিল। আগে এখানে ট্রাম চলতো। তাও এখন বন্ধ। ট্রামনাইলে পিচ ঢালা হয়েছে। কিন্তু এর ফলে লোহার পাত গরম হয়ে ব্রিজে ফাটল ধরার আশঙ্কা আছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
হাওড়া ব্রিজে গুটখার ক্ষত
কলকাতার বিখ্যাত ল্যান্ডমার্ক। এই সেতুও গুটখার (পান মশলা) থুতুর নির্যাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। কিছুদিন আগে বিশেষ কেমিক্যাল লাগানো হয়েছিল। এবার এই সেতু সারাবার পরিকল্পনা করেছে সরকার।
ছবি: Subrata Goswami/DW
নতুন মাঝেরহাট ব্রিজ
ভেঙে পড়া সেতুর জায়গায় তৈরি হয়েছে নতুন সেতু। তার নাম দেয়া হয়েছে জয় হিন্দ ব্রিজ। ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সেতুর উদ্বোধন করেন। দুই বছর তিন মাস বন্ধ থাকার পর আবার চালু হয় মাঝেরহাট সেতু। নতুন ব্রিজ। তাই বাসিন্দারা এখন আশ্বস্ত। এই সেতুতে অতিরিক্ত ভার পড়লে সেন্সরের মাধ্যমে বার্তা পৌঁছে যাবে লালবাজার পুলিশ কন্ট্রোল রুমে। প্রচুর ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
করুণাময়ী ব্রিজের মেরামত
মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার পর দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জের কাছে করুণাময়ী ব্রিজের একাংশ ভেঙে যায়। ২০২০ সালে পরীক্ষার জন্য চারদিন বন্ধ রাখা হয় এই সেতু। তারপর তা সারানো হয়। কিন্তু এখন সেই ব্রিজের নীচে গাছ গজিয়েছে দেখা গেল। চারপাশে জঞ্জাল।
ছবি: Subrata Goswami/DW
সারানো হয়েছে অরবিন্দ সেতু
মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর নজর পড়ে এই ব্রিজের দিকে। মেরামতি হয়। কিন্তু তারপরেও ব্রিজের হাল পুরোপুরি ফেরানো যায়নি। ভারী যানবাহন নিষিদ্ধ। তাই ব্রিজে রয়েছে হাইটবার।
ছবি: Subrata Goswami/DW
চিংড়িহাটা ফ্লাইওভার নিয়ে আশঙ্কা
লকডাউনের সময় করা এক সমীক্ষায় এই সেতুটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই চিন্তা এখনো রয়েছে। এই সেতুর থামের অবস্থান নিয়েও সমস্যা আছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
ছবি: Subrata Goswami/DW
কালীঘাট ব্রিজের হাল
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছে এই ব্রিজ। মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর জরুরি ভিত্তিতে এই সেতু মেরামতের নির্দেশ দেয়া হয়। মেরামত হয়েছে। পণ্যবাহী গাড়ি নিষিদ্ধ। হাইটবার লাগানো হয়েছে। নীল-সাদা রঙ দিয়েও এই সেতুর জীর্ণতা ঢাকা পড়ছে না।
ছবি: Subrata Goswami/DW
টালিগঞ্জ ব্রিজের অবস্থা ভালো নয়
১৯৩২ সালে তৈরি হয় এই সেতু। ব্রিজের নীচ দিয়ে বইছে আদিগঙ্গা। ব্রিজের উপরে ফুটপাথ জুড়ে বাজার বসে। ৮৯ বছর বয়সি এই ব্রিজের অবস্থা ভালো নয়।
ছবি: Subrata Goswami/DW
ঢাকুরিয়া ব্রিজ ও ইঁদুর
ঢাকুরিয়া ব্রিজের নীচে ইঁদুরবাহিনী চার ফুট মতো গর্ত করে ফেলেছিল। আপাতত পরিস্থিতি সামাল দেয়া গেছে। তবে পুরসভা, সহ একাধিক সংস্থা মনে করছে, জোড়াতালি দিয়ে আপাতত বিপদ কাটানোর চেষ্টা হয়েছে ঠিকই, ভবিষ্যতে সমস্যা আবার বড় হয়ে দেখা দিতে পারে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
আম্বেডকর সেতুর অবস্থা
ইস্টার্ন বাইপাসের পাশে আম্বেডকর সেতু। এই বছরের গোড়ার দিকে তিনদিন বন্ধ রেখে সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়েছে। কাছে কিছু মার্বেলের গুদাম আছে। তাই ভারী যানবাহন চলাচল করে। জরুরি ভিত্তিতে কিছু কাজ করা হয়েছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
নাগেরবাজার ফ্লাইওভারের সমস্যা
সরকারি নাম রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব সেতু। বাম আমলে কাজ শুরু হয়েছিল। তবে ২০১২-তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করেন। ব্রিজের নিকাশি ব্যবস্থা ভালো নয়। উপর থেকে নীচে জল পড়ে সমস্যার সৃষ্টি করে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
বেলগাছিয়া রেল ওভারব্রিজ
এই রেল ওভারব্রিজের নীচে দুইটি স্টেশন। কলকাতা এবং টালা চক্ররেল স্টেশন। এই ব্রিজের উপর দিয়ে ট্রাম চলত। পিচের অবস্থা বালো নয়। ফাটল, গর্ত ভর্তি।
ছবি: Subrata Goswami/DW
বাঘাযতীন রেল ওভারব্রিজের হাল
খুবই খারাপ অবস্থায় ছিল এই রেলওভারব্রিজ। ২০১৭ সালে ব্রিজের একটা চাঙড় ভেঙে পড়ে। তারপর এই ব্রিজ সারানোর কাজ শুরু হয়।
ছবি: Subrata Goswami/DW
কামালগাজি উড়ালপুলের অবস্থা ভালো
পাঁচ বছর আগে তৈরি হয়েছে এই উড়ালপুল। ৮৪ কোটি টাকা খরচ করে। এখনো অবস্থা ভালো আছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
দ্বিতীয় হুগলি সেতুর অবস্থা ভালো
সরকারি নাম বিদ্যাসাগর সেতু। বেশি পরিচিত দ্বিতীয় হুগলি সেতু নামে। বছর তিরিশেকের এই সেতুর অবস্থা যথেষ্ট ভালো।
ছবি: Subrata Goswami/DW
শতবর্ষ পেরনো সুইং ব্রিজ
খিদিরপুর সুইং ব্রিজের বয়স একশ পার হয়েছে। ব্রিজটি জাহাজ এলে আড়াআড়িভাবে ঘুরে যেতে পারে। তাই এর নাম সুইং ব্রিজ। বয়স হলেও ভালো অবস্থায় আছে এই ব্রিজ।