পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা থামছে না। এবার আলিপুরদুয়ারে এক যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনা সামনে এসেছে।
বিজ্ঞাপন
দিল্লিতে নির্ভয়ার ধর্ষণ ও পৈশাচিকভাবে খুন করার ঘটনার পর আইন সংশোধন করা হয়েছিল। সেই সময় ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রাখা হয়। সেই আইন নিয়ে আলোচনার সময় বিভিন্ন দলের সাংসদদের মত ছিল, এই ধরনের অপরাধ বন্ধ করতে গেলে এই চরম শাস্তি দরকার। এই শাস্তির ভয়েই অপরাধীরা এই ধরনের অপরাধ করতে ভয় পাবে।
তারপর আরজি কর-কাণ্ড হয়েছে। তা নিয়ে কলকাতা-সহ সারা পশ্চিমবঙ্গ, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভারত, ভারত হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সেই ঘটনার প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে। এরপরেও একের পর এক জায়গায় ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা সামনে আসছে। যার শেষ ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারে।
মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারের চা-বাগান এলাকায় এক যুবতীর মৃতদেহ পাওয়া য়ায়। ওই যুবতী দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। তার সঙ্গে একটি যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সম্প্রতি তাদের দূরত্ব তৈরি হয় বলে পরিবারের অভিযোগ। ছেলেটি মেয়েটিকে মারধরও করে। ওই ছেলেটি মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর এক সময় মেয়েটির দেহ চা-বাগান থেকে উদ্ধার হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মেয়েটির গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। মেয়েটির দিদির অভিযোগ, বোনকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। পুলিশ ওই ছেলেটিকে গ্রেপ্তার করেছে।
বীরভূম ও কোচবিহারের ঘটনা
মঙ্গলবার রাতে বীরভূমে একটি মুদির দোকানে একটি নাবালিকা চকোলেট কিনতে আসে। মুদির দোকানের মালিক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। রাতে পুলিশ সেখানে যায়। মালিক তখন পালিয়েছে। পুলিশ তার দাদাকে আটক করে।
আরজি করে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন থেকে মামলার রায়
আরজি করে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করার পাঁচ মাস নয় দিন পর রায় এলো। সঞ্জয় রায় দোষী সাব্যস্ত।
ছবি: Subrata Goswami/DW
আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুন
৯ অগাস্ট ২০২৪: কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উদ্ধার হয়েছিল এক নারী চিকিৎসকের দেহ। অভিযোগ উঠেছিল, ওই চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। ঘটনার পাঁচ মাস নয় দিন পরে ১৮ জানুয়ারি, শনিবার সেই ধর্ষণ-খুনের মামলায় রায় ঘোষণা হলো শিয়ালদহ আদালতে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
সিভিক ভল্যান্টিয়ার গ্রেপ্তার
১০ অগস্ট: ঘটনার তদন্তে নেমেই এক সিভিক ভল্যান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তের ভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। সিবিআইও তদন্ত চালিয়ে ধৃত সিভিক ভল্যান্টিয়ারকেই ‘একমাত্র অভিযুক্ত’ হিসাবে বর্ণনা করে আদালতে চার্জশিট পেশ করে। তার দুই দিন পরেই নিহত ছাত্রীর বাড়িতে পৌঁছে তাঁর বাবা, মায়ের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ছবি: Subrata Goswami/DW
হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত
১৩ অগস্ট: সিবি আই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। পাঁচ দিনের মাথায় সুপ্রিম কোর্ট নিজে থেকে এই বিষয়ে মামলা শুরু করে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
নারীদের রাত দখলের ডাক
১৪ অগস্ট: কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নারীরা রাত দখলের ডাক দেন। নারী ও পুরুষ নির্বিশেষে কাতারে কাতারে মানুষ ‘ন্যায়বিচার’ চেয়ে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে রাস্তায় নামেন। নজিরবিহীন ‘নাগরিক আন্দোলন’ দেখে কলকাতা সহ সারা দেশ।
ছবি: Subrata Goswami/DW
আরজি করে হামলা
১৪ অগস্ট: মধ্যরাতেই দুষ্কৃতী তাণ্ডব চলে আরজি কর হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ে। ভেঙে তছনছ করে ফেলা হয় সরকারি সম্পত্তি সহ আন্দোলনকারীদের অবস্থান মঞ্চ।
ছবি: Subrata Goswami/DW
লালবাজার অভিযান
২ সেপ্টেম্বর: কলকাতা পুলিশ কমিশনারের ইস্তফা চেয়ে মিছিল করে লালবাজার অভিযান জুনিয়র ডাক্তারদের। লালবাজারের দু-শো মিটার আগেই ব্যারিকেড করে আটকে দেওয়া হয় তাদের। সেখানেই অবস্থান শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। অবস্থান তার পরের দিন পর্যন্ত চলে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
পুলিশ কমিশনারের কাছে
৩ সেপ্টেম্বর: জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দল কলকাতা পুলিশের তৎকালীন কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে দেখা করেন। দাবিসনদ-সমেত তার হাতে তুলে দেন একটি ‘প্রতীকী শিরদাঁড়া’।
ছবি: Subrata Goswami/DW
জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান শুরু
১০ সেপ্টেম্বর: সলটলেকের স্বাস্থ্যভবনের সামনে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবস্থান শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকের জন্য তাদের নবান্নে ডাকেন। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি ছিল, বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং করতে হবে। লাইভ স্ট্রিমিং না হওয়ায় সেই বৈঠক ভেস্তে যায়।
ছবি: Subrata Goswami/DW
জুনিয়র ডাক্তারদের মঞ্চে
১৪ সেপ্টেম্বর: হঠাৎ করেই সবাইকে চমকে দিয়ে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান মঞ্চে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ছবি: Subrata Goswami/DW
সন্দীপ ঘোষ গ্রেপ্তার
১৪ সেপ্টেম্বরে: ধর্ষণ-খুনের ওই মামলায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিতে না পারায় সন্দীপ এবং অভিজিৎ দু’জনেই জামিন পান। অভিজিতের জেলমুক্তি হলেও সন্দীপ এখনও জেল হেফাজতে রয়েছেন।
ছবি: Subrata Goswami/DW
সরানো হলে পুলিশ কমিশনারকে
১৪ সেপ্টেম্বর, দুই দিনের ব্যর্থ চেষ্টার পর মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠক হয়। সরাসরি সম্প্রচার ছাড়াই এই বৈঠকে রাজি হন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সেখানে খানিক ‘পিছু হটে’ সরকার। সরানো হয় পুলিশ কমিশনার বিনীতকে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
কর্মবিরতি উঠলো
২০ সেপ্টেম্বর: স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান তুলে কর্মবিরতি আংশিক প্রত্যাহার করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা।
ছবি: Subrata Goswami/DW
আমরণ অনমশন শুরু
৫ অক্টোবর: ধর্মতলার মোড়ে আমরণ অনশন শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সাত জুনিয়র ডাক্তারের পাশাপাশি বহু মানুষ অনশন মঞ্চে এসে প্রতীকী অনশনে অংশ নেন। ১৯ অক্টোবর অনশন মঞ্চে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ আসেন এবং আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ফোনে কথা বলান। ২১ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দুই ঘণ্টার বৈঠকের পর ১৭ দিনের দীর্ঘ অনশনের অবসানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ছবি: Subrata Goswami/DW
সিবিআইের চার্জশিট
৭ অক্টোবর: ধর্ষণ ও খুনের মামলায় আদালতে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। কলকাতা পুলিশ যে পথে তদন্ত শুরু করেছিল, সিবিআইও সেই পথে হেঁটেই একজনকেই অভিযুক্ত হিসেবে দাড় করায়। ৪ নভেম্বর ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে চার্জ গঠিত হয় এবং ১১ নভেম্বর থেকে শিয়ালদহ আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
ছবি: Subrata Goswami/DW
বিচার শুরু
১১ নভেম্বর: আরজি কর মামলায় মোট ৫০ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে শিয়ালদহ আদালতে। সেই তালিকায় রয়েছেন নিহত চিকিৎসকের পিতা, সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার, কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী অফিসার, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং নিহতের কয়েক জন সহপাঠী।
ছবি: Subrata Goswami/DW
রায় দিলেন বিচারক
১৮ জানুয়ারি: শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বান দাস রায় দিলেন। খুন এবং ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হলো সঞ্জয় রায়কে। আদালতে বিচারক অনির্বাণ দাস সঞ্জয়কে বলেন, আপনার বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ। আপনার অপরাধ প্রমাণিত। দোষী সাব্যস্ত করা হলো। এই অপরাধে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড এবং সর্বনিম্ন সাজা যাবজ্জীবন কারাবাস। সোমবার সাজা ঘোষণা করা হবে। সঞ্জয় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বলেন, তিনি নির্দোষ, তাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
ছবি: Subrata Goswami/DW
16 ছবি1 | 16
পরের দিন স্থানীয় মানুষ রাস্তা অবরোধ করে। পুলিশ পরে অভিযুক্তকে ধরে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষাও হয়েছে।
কোচবিহারে একটি ছয় বছরের বাচ্চা মেয়েকে এক নাবালক ধর্ষণ করে। তারপর মেয়েটি চিৎকার করলে সে পালায়। দুইদিন পলাতক থাকার পর পুলিশ তাকে ধরে।
'মুখ্যমন্ত্রী মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন'
কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর অভিযোগ, ''পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র ধর্ষণ, খুন হচ্ছে। উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম সব জায়গায় নারীর নির্যাাতিতা হচ্ছে। তৃণমূলের আমলে প্রতিদিন মেয়েদের জন্য মৃত্যু বা ধর্ষণ অপেক্ষা করছে।''
আরজি কর প্রসঙ্গে অধীর বলেছেন, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় পুলিশ ও প্রশাসনের কাছ থেকে গ্যারান্টি পেয়েছেন, এই মামলায় তারা যা করার করে দিয়েছে, আর কিছু হওয়ার নয়। মুখ্যমন্ত্রী হাইকোর্টে যাচ্ছেন, অথচ তিনি জানেন, ঠিকভাবে তদন্ত তিনি করেননি, পুলিশ করেনি। একটা গাছকে গোড়া থেকে কেটে দিয়ে উপর থেকে জল ঢালার চেষ্টা করছে।''
অধীর বলেছেন, ''মুখ্যমন্ত্রী অপরাধীর ফাঁসির শাস্তি দাবি করে মানুষকে বোকা বানাবার চেষ্টা করছেন। শাস্তি দিতে হলে তদন্ত করতে হতো। আপনি তো তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করেছেন। এই পুলিশ গোয়ালপোখরে ৪৮ ঘণ্টায় অপরাধীদের ধরে ফেলে। তারা আরজি করে কিছু করতে পারলো না?''
নেপথ্যের কারণ
প্রবীণ সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ''আরজি কর-কাণ্ডের অপরাধী সঞ্জয় রায় একটা রাজনৈতিক ব্যবস্থার অঙ্গ। অপরাধাদের যে রাজনীতিকরণ হয়েছে, সেখান থেকে তারা শক্তি পাচ্ছে। তার জেরে তারা বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে। সঞ্জয় রায় আরজি কর কাণ্ডের দিন যখন রাতে বেশ কিছুটা দূর থেকে হাসপাতালে এসেছে, তখন ১২ বার ট্রাফিক সিগন্যাল ভঙ্গ করেছে। বোঝা যাচ্ছে, সে বেপরোয়া, ট্রাফিক আইনের পরোয়া করতো না।''
শুভাশিস মনে করেন, ''এই অপরাধগুলো চেনা পরিবেশে হচ্ছে। কাজের জায়গা, বাড়ি, পাড়ার চেনা পরিবেশে। সেটাও একদিকে যেমন চিন্তার কথা, তেমনই অপরাধীদের বেপরোয়া মনোভাবের পরিচায়ক। এগুলো রাজনীতি, বাণিজ্যজগত, অপরাোধীদের যোগের কথাটা মনে করিয়ে দিচ্ছে।''
সাংবাদিক দীপ্তেন্দ্র রায়চৌধুরী মনে করেন, ''আরজি করে নারী চিকিৎসককে হত্যা হলো একটি প্রাতিষ্ঠানিক হত্যা। এর সঙ্গে অনেক মানুষ জড়িত ছিল। বাকিদের আড়াল করার চেষ্টাও একটা প্রাতিষ্ঠানিক চেষ্টা।'' তিনি মনে করছেন, প্রাতিষ্ঠানিক সমর্থনটা হলো অপরাধীদের জোরের জায়গা।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর চিঠি
গত বছর ২৫ অগাস্ট কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে প্রশ্ন তুলেছিলেন, ''পশ্চিমবঙ্গে ৪৮ হাজার ছয়শ ধর্ষণ ও পকসোর অধীনে মামলা বকেয়া আছে, তারপরও কেন ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশ্যাল কোর্ট করা হচ্ছে না?'' পকসো মানে শিশু ও নাবালকদের যৌন নির্যাতন থেকে রক্ষা করার আইন।
পশ্চিমবঙ্গে ২০টি পকসো আদালতসহ ১২৩টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত একটি কোর্টও চালু হয়নি।
মন্ত্রী লিখেছিলেন, ''২০২৩ সালের ৬ জুন পশ্চিমবঙ্গ সরকার চিঠি দিয়ে জানায়, তারা ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট শুরু করতে দায়বদ্ধ। ২০২৪ সালের ৩০ জুনের হিসাব, পশ্চিমবঙ্গে ১৭টি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত চালু করার কথা ছিল। তার মধ্যে ছয়টি পকসো আদালতচালু হয়েছে। আরো ১১টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালুর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।''