পশ্চিমবঙ্গে বদলার রাজনীতি নাকি বদলের!
৩০ আগস্ট ২০১১দেখা যাচ্ছে, সমস্যার পাহাড়ের পাশাপাশি প্রত্যাশার পাহাড়টাও মাথাচাড়া দিচ্ছে৷
একশোদিনের অল্প কিছু বেশি পেরিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নব্য শাসন৷ তাতে যা যা দেখা যাচ্ছে, তার মধ্যে সবচেয়ে প্রথমে অভাব, তারপরেই অভিযোগ৷ তার সঙ্গেই আবার সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক বদলার দিকগুলি৷ বাম জমানার প্রাক্তন মন্ত্রী আর নেতাদের একজন দুইজন করে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত হতে দেখা যাচ্ছে৷ দেখা যাচ্ছে, তামাদি হয়ে পড়া মামলাকে টেনে সামনে আনার একটা প্রচেষ্টা৷ যে বিষয়টিকে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে ব্যাখ্যা করেছেন৷
স্বভাবতই এর জবাব দিতে ভোলেন নি তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর জবাব, আইন আইনের কাজ করবে৷ এবং বাংলাকে তিনি দেশের এক নম্বর রাজ্য বানাতে চান উন্নয়নের দিক থেকে৷
যা চোখে দেখা যাচ্ছে, তা হল মানুষের প্রত্যাশার পারদের ঊর্ধ্বমুখে যাত্রা৷ মানবাধিকার কর্মী সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন ডয়চে ভেলেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে তাঁর মতামত জানালেন৷ তাঁর মতে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কিছুটা বদলার রাজনীতিতে পশ্চিমবঙ্গ সেভাবে অভ্যস্ত ছিল না যে তা নয়৷ ছয় আর সাতের দশকের শেষে তেমন ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন তাঁরা৷ আর রাজনৈতিক পট - পরিবর্তনের সুফলটুকুকে যদি তৃণমূল স্তরে না নিয়ে যাওয়া যায়, তাহলে আখেরে কোন লাভ নেই৷ যে লাভের হাত ধরতে না পারলে উন্নয়ন আসতে পারবে না৷ সেক্ষেত্রে বিগত ৩৪ বছরের মতই এখনও সেই অধরাই থেকে যাবে সার্বিক উন্নয়ন৷
সৌভিকের মতে, সময় এখনও চলে যায়নি৷ তার জন্য অপেক্ষাটি জরুরি৷ আর রাজ্যের মানুষের সচেতনতাও এখন আগের অনুপাতে অনেকখানি বেড়েছে৷ তাই, শুধুই কথা বলা বা প্রতিশ্রুতিতে তাঁদের ভোলানো সহজ নয়৷ কাজের কোন বিকল্প নেই৷ সেটাকেই সঠিক মাত্রায় করতে পারলে, এ বিষয়ে আর কোন নতুন বিতর্ক দানা বাঁধার পথ থাকবে না৷
প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ