পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক পালাবদলের পর কলকাতা বিমানবন্দরের গুরুত্ব বাড়ছে
৩ আগস্ট ২০১১এমন হওয়াটাই খুব স্বাভাবিক যে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক, প্রশাসনিক পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে এ রাজ্যের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতাও বাড়তে শুরু করেছে৷ কাতার এয়ারওয়েজ সম্প্রতি তাদের বিমান পরিষেবা শুরু করেছে কলকাতা থেকে সারা বিশ্বের একশোটিরও বেশি গন্তব্যে৷ আর চলতি সপ্তাহের শুরুতেই কলকাতা থেকে সিঙ্গাপুর নিয়মিত উড়ান চালু করল সিল্ক এয়ার৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই প্রাত্যহিক বিমান পরিষেবার উদ্বোধন করতে গিয়ে বললেন, কলকাতার সঙ্গে সিঙ্গাপুরের সম্পর্ক বহুদিনের৷ নতুন করে এই সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত হলে দুদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কেরও নবীকরণ হবে৷ ফলে পশ্চিমবঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে, সুযোগ তৈরি হবে নতুন কর্মসংস্থানের৷
বিদেশি বিমান সংস্থাগুলিকে কলকাতায় স্বাগত জানানোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন যে কলকাতা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণের কাজ এবার যাতে জোরকদমে এগোয়, তার ওপর তিনি কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন৷ যে জরুরি কাজ এতদিন আটকে ছিল বিমানবন্দরের বামপন্থী কর্মী সংগঠনগুলির বাগড়া দেওয়ায়৷ যে কারণে দেশের অন্যান্য বড় শহরের বিমানবন্দরগুলি নতুন সাজে সেজে উঠলেও কলকাতার নেতাজী সুভাষচন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছিল বেহাল দশায়৷ মমতা জানান, আধুনিকীকরণের কাজ যাতে দ্রুত শেষ করা যায়, তার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷
মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছেন যে আগামী বছর, অর্থাৎ ২০১২ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই নতুন চেহারায়, নতুন সুযোগসুবিধে নিয়ে পাওয়া যাবে কলকাতা বিমানবন্দরকে৷ বিদেশি অতিথিদের যে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে গর্ববোধ করবেন বাঙালিরা৷
প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন