পশ্চিমা ব্লুস সঙ্গীত জগতের এক অনন্য ব্যক্তিত্ব লী হুকার
২৬ আগস্ট ২০১০জন লী হুকারের ব্যাতিক্রমধর্মী গিটার পরিবেশনা এবং সেই সাথে তাঁর স্বতঃস্ফূর্ত ও প্রাণবন্ত সঙ্গীত মুগ্ধ করেছিল অসংখ্য ব্লুস সঙ্গীতানূরাগিদের এবং সঙ্গীত ব্যাবসায়ীদের৷ তাঁর একশোরও বেশি অ্যালবাম বেরিয়েছে বাজারে৷
জন লী হুকারের জন্ম ১৯১৭ সালে, মিসিসিপির কোয়াহোমা কাউন্টিতে৷ জন লীর যখন খুব অল্প বয়স, তখন তাঁর মা-বাবার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়৷ মা আবার বিয়ে করেন৷ জন লীর বিপিতা ছিলেন ব্লুস সঙ্গীত শিল্পী৷ আর তাঁর কাছেই গিটারে হুকারের প্রথম হাতেখড়ি৷ ১৫ বছর বয়সে তিনি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান৷ তিরিশের দশক কাটিয়েছেন মেমফিস, টেনেসিতে৷ ছোটখাটো কাজ আর গিটার বাজিয়ে জীবন চলেছে তাঁর৷ ১৯৪৮ সালে এসে পৌঁছোন ব্লুস সঙ্গীতের তীর্থস্থান ডিট্রোয়টে৷ সেখানে তখন, ব্লুস সঙ্গীতে পিয়নোই ছিল মুখ্য বাদ্যযন্ত্র৷ হুকার ডিট্রোয়টের কিছু ক্লাবে গিটারের সঙ্গে ব্লুস সঙ্গীত পরিবেশনার সুযোগ পান এবং খুব অল্প সময়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন৷ চুক্তিবদ্ধ হোন মডার্ন রেকর্ডস-এর মালিক বিহারি ভাতৃদ্বয়ের সাথে৷ ঠিক সে সময়ই তিনি কেনেন তাঁর প্রথম ইলেক্ট্রিক গিটার৷ শুরু হয় সাফল্যের অগ্রযাত্রা৷
রক, জ্যাজ, সৌল - সঙ্গীতের বিভন্ন অঙ্গনে তাঁর ছিল পদচারনা৷ প্রায় নিরক্ষর সত্বেও লী হুকার ছিলেন একজন উঁচু মানের গীতিকার ও সুরকার৷ অসংখ্য সঙ্গীত রচনা করেছিলেন তিনি৷ একাধিক প্রজন্মের বহু খ্যাতিমান সঙ্গীত শিল্পী কণ্ঠ মিলিয়েছেন তাঁর সাথে৷ ১৯৮৯ সালে তাঁর অ্যালবাম ‘দ্যা হীলার'-এ তাঁর সাথে যোগ দেন বিশ্বখ্যাত রক সঙ্গীত তারকা সানতানা এবং দু'জনই জয় করেন গ্র্যামি ৷
অসংখ্য সম্মানায় ভূষিত হয়েছেন এই কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী৷ দু'হাজার এক সালে ইউরোপ সফরের কিছুদিন আগেই অসুস্থ পড়েন তিনি৷ ২১শে জুন আর ঘুম থেকে জেগে ওঠেননি জন লী হুকার৷ ইটালির বিখ্যাত সৌল সঙ্গীত তারকা সুখেরো'র সাথে গেয়েছিলেন তাঁর শেষ গান ‘আই লে ডাউন উইথ অ্যান এঞ্জেল'৷
প্রতিবেদন: মারুফ আহমদ
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ