পশ্চিমের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে মরিয়া গাদ্দাফি
২৭ মার্চ ২০১১সবশেষ পরিস্থিতি
লিবিয়ার টেলিভিশন বলছে রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাহিনীর অভিযান আবার শুরু হয়েছে৷ আকাশ থেকে আক্রমণ করা হচ্ছে৷ গাদ্দাফির শহর সিরতে আর বিদ্রোহীদের সদ্য দখল নেয়া শহর আজদাবিয়ার মধ্যবর্তী যে চারশো কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে সেখানে এখন অভিযান চলছে বলে জানাচ্ছেন লিবীয় সরকারের এক মুখপাত্র৷ তিনি বলছেন এই অভিযানে সরকারি সেনা সহ মারা যাচ্ছে সাধারণ জনগণও৷ এদিকে আজদাবিয়ার দখল নেয়ার পর আরেকটি তেল সমৃদ্ধ শহর ব্রেগাও বিদ্রোহীরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে বলে জানাচ্ছে বার্তা সংস্থা এএফপি৷
মিস্রাতা
গাদ্দাফি বাহিনীর হামলায় গত এক সপ্তাহে পশ্চিমের শহর মিস্রাতায় ১১৫ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছেন শহরের এক বাসিন্দা৷ এদিকে এক বিদ্রোহী বলছেন পূর্বাঞ্চলের একের পর এক শহর হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার কারণে গাদ্দাফি চাইছে অন্তত: পশ্চিমাঞ্চলে নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে৷ আর মিস্রাতা হচ্ছে পশ্চিমেরই একটি শহর৷ রাজধানী ত্রিপোলি থেকে যার দূরত্ব মাত্র ২০০ কিলোমিটার৷ তবে ফ্রান্স জানিয়েছে তাদের যুদ্ধবিমান গতকাল শনিবার মিস্রাতার একটি বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে পাঁচটি বিমান ও দুটি হেলিকপ্টার ধ্বংস করে দিয়েছে৷ তার আগে গাদ্দাফি সমর্থকরা ট্যাঙ্ক আর মর্টার নিয়ে মিস্রাতাতে হামলা চালায়৷ অবশ্য পরে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হলে গাদ্দাফি বাহিনীর হামলা থেমে যায় বলে জানিয়েছেন এক বিদ্রোহী৷
নিরীহ মানুষ
লিবিয়ার সরকার যে নিরীহ মানুষের মারা যাওয়ার খবর দিচ্ছে সেটা প্রত্যাখ্যান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রবার্ট গেটস৷ অ্যামেরিকার সিবিএস নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, অভিযানে কোনো নিরীহ মানুষ মারা যায় নি৷ তিনি বলেন, পশ্চিমা অভিযানকে সমালোচিত করতে গাদ্দাফি নিজেই লোক মেরে সেই মৃতদেহগুলো যৌথ বাহিনী যেসব জায়গায় আক্রমণ করেছে সেসব স্থানে ফেলে রাখছেন৷ এদিকে এক বেতার ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন সময়মতো সিদ্ধান্ত নেয়ায় লিবিয়ার বহু সাধারণ জনগণের জীবন বাঁচানো গেছে৷ তিনি বলেন যৌথ বাহিনীর অভিযানের কারণে লিবিয়ার বিমানবাহিনী আক্রমণের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই