জার্মানির একটি শহরে ছুরি নিয়ে হামলা চালান এক ব্যক্তি। আহত হয়েছেন চারজন। সকলকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
জার্মান শহর ওবারহাউসেনে ছুরি নিয়ে হামলা চালালেন এক ব্যক্তি। ঘটনায় চারজন জখম হয়েছেন। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সকলকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আক্রমণকারীও আহত হয়েছেন। তাঁকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জার্মানিতে পুলিশের ওপর হামলা
করোনাকালে জার্মানিতে যুবকদের তাণ্ডব এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা বাড়ছে। প্রথমে স্টুটগার্ট, তারপর ফ্রাঙ্কফুর্টে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। দুই শহরেই পুলিশ আক্রান্ত হয়েছে। আক্রমণকারী যুবকরা মূলত অভিবাসী।
ছবি: picture-alliance/dpa/Julian Rettig
স্টুটগার্টের হাঙ্গামা
কয়েকশ যুবক গিয়ে দোকান ভাঙচুর করে। জিনিস লুঠ করে। রাস্তায় ফেলে। তারপর পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। দোকানের ভাঙা কাচে ভরে যায় রাস্তা।
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Rumpenhorst
ফ্রাঙ্কফুর্টেও সংঘর্ষ
ফ্রাঙ্কফুর্টের ছবিটাও আলাদা ছিল না। এখানে যুবকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোতল ছোড়ে। আশপাশের লোকেরা যুবকদের থামানো দূরের কথা, বরং তাদের উৎসাহিত করছিলেন।
ছবি: picture-alliance/dpa/Hit Radio FFH
ফ্রান্সের সঙ্গে তুলনা
স্টুটগার্ট ও ফ্রাঙ্কফুর্টে যা হয়েছে তার সঙ্গে ফ্রান্সের তুলনা করা হচ্ছে। ফ্রান্সের শহরতলিতেও একই ঘটনা ঘটেছে। জার্মানির মতো সেখানেও অভিবাসী যুবকরা দাঙ্গা করেছেন, পুলিশকে আক্রমণ করেছেন। জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ থেকে সহিংসতা হয়েছে।
ছবি: Getty Images/AFP/A. C. Poujoulat
করোনাকালে কেন
বিতর্কটা জার্মানিতে শুরু হয়ে গিয়েছে। করেনাকালের কড়াকড়ি, ঘরবন্দি থাকতে বাধ্য হওয়া, ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা ও হতাশার বহিঃপ্রকাশ কি এই হামলা? কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, করোনার সময়ে হতাশা আসা স্বাভাবিক। কিন্তু শুধু সে জন্যই এই হাঙ্গামা সেটা বলা অতি সরলীকরণ হবে। কারা হাঙ্গামা করছে, কেন করছে, সেটাও বুঝতে হবে।
ছবি: picture-alliance/dpa/Hit Radio FFH
কেন অভিবাসীরা
জার্মানি ও ফ্রান্সে হাঙ্গামা ও পুলিশকে আক্রমণের সঙ্গে জড়িত মূলত অভিবাসীরা। যে প্রশ্নটা উঠছে, তা হলো, এটা কি নিছক আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা, না কি সমস্যাটা অভিবাসীদের? নানা কারণে কি তাঁদের মধ্যে সহিংসতার প্রবণতা বাড়ছে? বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে একমত নন।
ছবি: picture-alliance/dpa/Julian Rettig
5 ছবি1 | 5
বৃহস্পতিবার জার্মান সময় সন্ধে সাতটা নাগাদ পশ্চিম জার্মানির ওবারহাউসেনে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, একটি ছুরি নিয়ে আচমকাই ওই ব্যক্তি চড়াও হন। ছুরি নিয়ে তিনি আক্রমণ করেন চারজনকে। সকলেই কম বেশি আহত হন সেই ঘটনায়। আক্রমণকারীর সঙ্গে আহতদের হাতাহাতিও হয়। তাতে আক্রমণকারীও আহত হন। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। আক্রমণকারীকে আহত অবস্থাতেই গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতদেরও দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়।
প্রাথমিক ভাবে হামলার কারণ বুঝতে পারেনি পুলিশ। রাতের দিকে, পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, সম্ভবত পারিবারিক গোলযোগের কারণেই ওই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটির সঙ্গে চরমপন্থীদের বা জঙ্গি গোষ্ঠীর কোনো সংযোগ এখনো পর্যন্ত পাইনি পুলিশ।
গোটা এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে মাঝ রাত পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেন্সিক দল।