1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইসরায়েল

পশ্চিম তীরে চার ইসরায়েলির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অ্যামেরিকার

২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ ওই চার ইসরায়েলির বিরুদ্ধে।

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের আর্মার্ড গাড়ি
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সেনাছবি: Nasser Ishtayeh/SOPA Images/ZUMA Press Wire/picture alliance

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার একটি প্রশাসনিক নির্দেশে সই করেছেন। যেখানে পশ্চিম তীরে চার ইসরায়েলি নাগরিকের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অভিযোগ, ওই চার ব্যক্তি পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের উপর অত্যাচার চালিয়েছেন। যদিও ওই চার ব্যক্তির নাম সে সময় জনসমক্ষে আনা হয়নি। পরে তা জানানো হবে বলে বলা হয়েছে। বাইডেনের অর্ডারে বলা হয়েছে, 'কিছু কিছু ব্যক্তির জন্য পশ্চিম তীরে মানুষকে উদ্বাস্তু হতে হচ্ছে। তাদের সম্পত্তি, জমি, বাড়ি নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি ক্রমশ উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে। এর ফলে ওই জায়গার শান্তি, শৃঙ্খলা, স্থায়িত্ব নষ্ট হচ্ছে।'

বাইডেন তার বার্তায় আরো একটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। রাজনৈতিকভাবে দুই দেশের ভাবনার বিষয়টি উসকে দিয়েছেন তিনি। যেখানে ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হবে। দুই জায়গার স্বাধীনতা, নিরাপত্তার বিষয়ে ভাবা হবে।

অ্যামেরিকার ওই নিষেধাজ্ঞার ফলে ওই চার ব্যক্তির মার্কিন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হবে। তাদের ভিসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হবে।

নেতানিয়াহুর প্রতিক্রিয়া

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু অ্যামেরিকার এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি নন। তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েল একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। তার নিজস্ব আইন আছে। কোনো নাগরিক আইনের খেলাপ করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা আছে। এবং আইনভঙ্গকারীদের ইসরায়েল নিয়মিত শাস্তি দিয়ে থাকে। ফলে অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। বস্তুত, বাইডেনের অর্ডারটিকে অতিরিক্ত বলে দেখানোর চেষ্টা করেছেন নেতানিয়াহু।

নেতানিয়াহুর আরো বক্তব্য, পশ্চিম তীরে অধিকাংশ নাগরিক আইন মেনে চলে। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সঙ্গেই সকলে সহমত নয়। জাতিসংঘ এবং অ্যামেরিকার বক্তব্য, পশ্চিম তীর তৈরিই করা হয়েছে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের থাকার জন্য। ভবিষ্যতে ফিলিস্তিন আলাদা রাজনৈতিক পরিচয় পেলে পশ্চিম তীর তাদের জায়গা হবে। ফলে সেখানে ইসরায়েলি নাগরিকদের ঢুকে পড়া অনুচিত। কিন্তু গত কয়েক বছরে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি বেড়েছে। এবং তার জেরেই সেখানে আক্রমণ প্রতি আক্রমণও বেড়েছে।

ইরানের সামরিক পরিকাঠামোয় যে কোনো সময় আক্রমণ

সিবিএস নিউজের দাবি, ইরাকে ইরানের মদতপুষ্ট গোষ্ঠীগুলির পরিকাঠামোর উপর হামলার সবুজ সংকেত দিয়ে দিয়েছেন জো বাইডেন। বস্তুত, ইরাকের ওই সামরিক পরিকাঠামোগুলিকে ইরানের পরিকাঠামো বলেই উল্লেখ করা হয়েছে ওই সংবাদে।

ইরাকের পর সিরিয়াতেও একইভাবে আক্রমণ চালানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বস্তুত, সিরিয়া এবং জর্ডান সীমান্তে মার্কিন ঘাঁটিতে সম্প্রতি আক্রমণ চালিয়েছে ইরানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। যার জেরে বেশ কয়েকজন মার্কিন সেনার মৃত্যু হয়েছে। বহু সেনা আহত। তারই জবাবে এই হামলা চালানো হতে পারে। বাইডেন আগেই জানিয়েছিলেন, ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে যাবে না অ্যামেরিকা। কিন্তু বিভিন্ন স্তরে ইরানের মদতপুষ্ট গোষ্ঠীগুলিকে জবাব দেওয়া হবে। সেই পরিকল্পনাতেই বাইডেন সবুজ সংকেত দিয়েছেন বলে খবরে প্রকাশ।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ