পহেলগাম হামলার সন্দেহভাজন দুই অভিযুক্তর বাড়িতে বিস্ফোরণ
২৫ এপ্রিল ২০২৫
পহেলগাম হামলার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযুক্ত আদিল হুসেন ঠোকের ও আসিফ শেখের বাড়ি বিস্ফোরণে উড়ে গেলো।
কাশ্মীরে পহেলগামের হামলার সঙ্গে জড়িতদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে সেনা, আধা সামরিক বাহিনী ও পুলিশ। ছবি: Dar Yasin/picture alliance / ASSOCIATED PRESS
বিজ্ঞাপন
ঠোকেরের বাড়ি অনন্তনাগে এবং আসিফের বাড়ি পুলওয়ামাতে। পহেলগাম হামলার চক্রান্তে তারা জড়িত ছিলএবং তারাই পথ দেখিয়ে লস্কর সন্ত্রাসীদের নিয়ে এসেছিল বলে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযোগ। বৃহস্পতিবার চারজন হামলাকারীর যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল, তার মধ্যে ঠোকের ও আসিফের ছবিও ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, বাকি দুইজন পাকিস্তানের নাগরিক। তাদের সম্পর্কে খবর দিতে পারলে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
আদিল ঠোকের ও আসিফের বাড়িতে বৃহস্পতিবার রাতে বিস্ফোরণ হয়। সেনা সূত্র বলেছে, বাড়িতে বিস্ফোরক ছিল বলে এই বিস্ফোরণ হয়েছে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে আদিল ও আসিফ আটারি সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে যায় এবং লস্কর তাদের প্রশিক্ষণ দেয়। ২০২৪ সালে ,তারা আবার কাশ্মীরে ফিরে আসে। স্থানীয় বলে তারা এই এলাকা খুব ভালোভাবে চেনে।
গতকালই বিহারের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, পহেলগাম হামলার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসবাদী ও তাদের সাহায্যকারীদের চিহ্নিত করে, খুঁজে বের করে শাস্তি দেয়া হবে।
স্তব্ধ পহেলগাম, দোকানপাট বন্ধ, শুনশান রাস্তা
মঙ্গলবার বৈসরনে পর্যটকদের উপর সন্ত্রাসীদের হামলার পর এখন স্তব্ধ পহেলগাম। শোকস্তব্ধ মানুষ।
ছবি: AB Raaouf Ganie/DW
শুনশান রাস্তা
পহেলগামের রাস্তা পুরো শুনশান। রাস্তায় মানুষ নেই। দোকানপাট, হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ। ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে সার সার ট্যাক্সি। রাস্তায় শুধু নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ান ও পুলিশ দাঁড়িয়ে।
ছবি: AB Raaouf Ganie/DW
ভরা পর্যটন মরসুমে
পহেলগামে পর্যটন মরসুম শুরু হয় এপ্রিল থেকে। চলে তিন মাস। বছরের অনেকটা সময় তা থাকে বরফের নিচে। তাই গরমের সময় পহেলগামে পর্যটকদের ভিড়ে পা ফেলা যায় না। এহেন পহেলগামে শুধুই স্তব্ধতা বিরাজ করছে।
ছবি: AB Raaouf Ganie/DW
ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের অবস্থা
ভরা পর্যটনের সময় পহেলগামের ট্যাক্সি স্ট্যান্ডগুলিতে প্রায় আটশ গাড়ি থাকে। সব আগে থেকে ভাড়া হয়ে যায়। মঙ্গলবারের পর অধিকাংশ পর্যটক পহেলগাম ছেড়ে চলে গেছেন। গাড়িগুলো পড়ে আছে। চালকদের, মালিকদের সারা বছরের আয় এই তিন মাসে হয়। তারা পথে বসেছেন।
ছবি: AB Raaouf Ganie/DW
দোকানপাট বন্ধ
সব দোকানপাট বন্ধ। প্রায় সব রেস্তোরাঁও বন্ধ। পর্যটকই তো প্রায় নেই। খাবে কে? বাইরের কর্মীরাও চলে যাচ্ছেন। অথচ ভরা মরসুমের জন্য তারা সবাই প্রচুর মালপত্র কিনে রেখেছেন। ফলে তাদের মাথায় হাত।
ছবি: AB Raaouf Ganie/DW
শূন্য রোস্তোরাঁয়
একটা রোস্তোরাঁয় ভিতরে ঢুকে দেখা গেলো, সাজানো খাবারের জায়গায় শূন্যতা বিরাজ করছে। আয়োজন ছিল। মঙ্গলবারের আগে গমগম করতো এই স্থান। এখন কেউ নেই।
ছবি: AB Raaouf Ganie/DW
বাকি পর্যটকরাও চলে যাচ্ছেন
অল্প কিছু পর্যটক যারা এখনো থেকে গেছেন, তারাও চলে যাচ্ছেন। গাড়ি বা টেম্পো ট্র্যাভেলারের মাথায় জিনিসপত্র বেঁধে রওনা দিচ্ছেন পহেলগাম থেকে।
ছবি: AB Raaouf Ganie/DW
ছবির মতো শহরে
কাশ্মীরের সৌন্দর্যের কথা নতুন করে বলার দরকার নেই। তার মধ্যে পহেলগামের আকর্ষণ পর্য়টকদের কাছে অমোঘ। একটা অমানবিক আক্রমণ সেই পহেলগামকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। ধাক্কা দিয়েছে মানুষকে, মানবতাকে।
ছবি: AB Raaouf Ganie/DW
যা দেখতে পর্যটকরা যান
কাশ্মীরের, পহেলগামের এই দৃশ্য দেখতেই তো পর্যটকরা যান। কাশ্মীরের, পহেলগামের সেই ছবি একইরকম আছে। শুধু মঙ্গলবারের ঘটনায় ধাক্কায় বিপর্যস্ত হয়ে গেছে জনজীবন।
ছবি: AB Raaouf Ganie/DW
বৈসরন এখন
এখানেই এসেছিলেন পর্যটকরা। উপভোগ করছিলেন সৌন্দর্য। তাদের উপর ঠান্ডা মাথায় হামলা করে সন্ত্রাসীরা। রক্তে লাল হয় এই উপত্যকা। এই আঘাত শুধু কয়েকজন পর্যটকের উপর নয়, এই আঘাত মানবতার উপরে। সে জন্য কাশ্মীরের মানুষও গত তিনদিন ধরে সমানে প্রতিবাদ করছেন এই ঘটনার, ক্ষোভপ্রকাশ করছেন, বলছেন এই আঘাত কাশ্মীরিদের উপরেও।
ছবি: AB Raaouf Ganie/DW
9 ছবি1 | 9
বান্দিপুরায় গুলির লড়াই, মৃত এক
কাশ্মীরের বান্দিপুরায় সেনা ও সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে গুলির লড়াইয়ে লস্কর কম্যান্ডার আলতাফ লাল্লি মারা গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আলতাফ দ্য রেসিট্যান্স ফ্রন্টের সঙ্গেও জড়িত ছিল। এই সংগঠনই পহেলগামের হামলার দায় স্বীকার করেছে।
বান্দিপোরায় তল্লাশি চালাচ্ছিল সেনা। তখন সন্ত্রাসীরা গুলি চালাতে শুরু করে। সেই গুলিবিনিময়ে আলতাফের মৃত্যু হয়।