ইউরোপের এমন পাঁচজন প্রখ্যাত রক সংগীতশিল্পীর নাম করুন দেখি, যাঁদের সবাই জীবিত আর প্রত্যেকেই ছবি আঁকেন? পাঁচজনের একজন তো বলেন, তিনি আসলে পেশায় চিত্রশিল্পী, যদিও গিটার বাজিয়ে খান৷
বিজ্ঞাপন
পাঁচজন ইউরোপীয় সংগীতশিল্পী; এরা যে ছবিও আঁকেন, তা হয়ত আপনার জানাই ছিল না৷
উডোলিন্ডেনব্যার্গ
আঁকড়ি-বুকড়ি দিয়েই আঁকার শুরু৷ এই সংগীতশিল্পী তার ফ্যানদের অটোগ্রাফ দিতে গিয়ে প্রথম আঁকতে শুরু করেন; পরে তা সত্যিকারের শিল্পকলা হয়ে দাঁড়ায়৷ ছবি দেখলেই বোঝা যাবে, এ শিল্পী জার্মান রক গায়ক উডো লিন্ডেনব্যার্গ ছাড়া আর কেউ হতেই পারেন না৷
১৯৯৫ সাল যাবৎ লিন্ডেনব্যার্গকে বহুবার চিত্রকরের ভূমিকায় দেখা গেছে৷ আয়ারলিক্যর বা ব্লু কুরাসাও কিংবা হুইস্কির মতো পানীয় দিয়ে ছবি এঁকে থাকেন লিন্ডেনব্যার্গ, সঙ্গে পানও চলে! এই না হলে রকস্টার৷
যে সব সংগীতশিল্পী ছবি আঁকেন
03:38
রন উড
সংগীত জগতের বিরাট বড় বড় তারকাদের প্রতিকৃতি: অ্যাক্রিলিক রং দিয়ে স্ল্যাশ-এর ছবি; কিংবা প্যাস্টেল রং দিয়ে জিমি হেনড্রিক্স-এর ছবি৷ যিনি এঁকেছেন, পপ সংগীতের জগতে তিনি নিজেও কিছু কম যান না: তিনি হলেন রোলিং স্টোন গোষ্ঠীর গিটারবাদক রন উড৷ রন উডের বক্তব্য হল, তিনি আসলে একজন চিত্রশিল্পী, যিনি একটু-আধটু বাজিয়েও থাকেন৷ গানবাজনার ক্যারিয়ার শুরু করার আগে তিনি লন্ডনের একটি আর্ট স্কুলে আঁকা শিখেছিলেন – আর সেযাবৎ আঁকা ছাড়েননি৷
রন উড ইতিমধ্যে ইউরোপ, অ্যামেরিকা ও এশিয়ায় চিত্রপ্রদর্শনী করেছেন৷ তাঁর একটি ছবির দাম আট লাখ ইউরো অবধি উঠতে পারে; শুধু আর্ট প্রিন্টগুলোই বিক্রি হয় হাজার হাজার ইউরো মূল্যে৷
ভাগ্যক্রমে নাম বদলেছিল যে পাঁচ ইউরোপীয় ব্যান্ড
পেক্টোরালজ বা দ্য কোয়ারিমেন – এমন কোনো ব্যান্ডের নাম মনে করতে পারেন কি? না পারারই কথা৷ বিপুল জনপ্রিয় কয়েকটি ব্যান্ড পরবর্তীতে তাদের নাম বদলালে ফেলে৷ এতে হারিয়ে যায় তাদের আগের নামগুলো৷
ছবি: Getty Images/K. Winter
দ্য বিটলস
বিটলসের কথা কে না জানে৷ কিন্তু জানেন কি, বিটলসের নাম শুরুতে ছিল দ্য কোয়ারিমেন৷ কারণও ছিল৷ ব্যান্ডের সদস্যরা সবাই কোয়ারি ব্যাংক হাই স্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন৷ স্কুল সংগীত ‘দ্য সং অফ দ্য কোয়ারি’ থেকেই উৎসাহিত হয়ে এমন নামকরণ৷ ১৯৬০ সালে ব্যান্ডটি তাদের ইমেজের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে নাম বদলে ফেলে৷ তবে ‘দ্য বিটলস’ নাম রাখার আগে আরো পাঁচটি নাম চেষ্টা করেন তাঁরা৷
ছবি: Getty Images
রেডিওহেড
রেডিওহেডও গঠিত হয়েছিল স্কুলে৷ অক্সফোর্ডের দক্ষিণে অ্যাবিংডন পাবলিক স্কুলে শুক্রবার করে প্র্যাকটিস করার অনুমতি পেয়েছিলেন এর সদস্যরা৷ তাই ব্যান্ডটির নাম রাখা হয়েছিল ‘‘অন আ ফ্রাইডে’’৷ ১৯৯১ সালে প্রথম রেকর্ড করার সময় ব্যান্ডের নাম পরিবর্তন করতে হয়৷ তখন তাঁরা নাম বদলে রাখেন রেডিওহেড৷
ছবি: picture-alliance/PA Wire/D. Jensen
অ্যাবা
১৯৭০ সালে প্রথমবার ব্যান্ডটির চার সুইডিশ সদস্য যখন টিভিতে সংগীত পরিবেশন করেন তখনও তাঁরা নিশ্চিত ছিলেন না ব্যান্ডটির নাম ‘‘ফেস্টফোক’’ রাখবেন নাকি ‘‘পার্টি পিপল’’৷ যখন সদস্যরা তাঁদের প্রথম সিঙ্গলস রেকর্ড করেন তখন এর প্রচ্ছদে নাম দেন বিয়র্ন অ্যান্ড বেনি, অ্যাগনেথা অ্যান্ড অ্যানি৷ তবে সাফল্য বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নাম বদলে সদস্যদের নামের আদ্যোক্ষরগুলো নিয়ে নাম রাখেন অ্যাবা৷
ছবি: picture alliance/dpa
পিঙ্ক ফ্লয়েড
এই নামকরণের আগে ব্যান্ডটি অনেকবার নাম বদলেছে, যেমন, অ্যাবড্যাবস, যার অর্থ স্নায়বিক উদ্বেগ এবং দ্য টি সেট – আশ্চর্যের বিষয় হলেও ইউরোপের অন্যতম জনপ্রিয় এই ব্যান্ড তাদের নাম চায়ের পেয়ালা ও পিরিচ দিয়ে নাম সাজিয়েছিল৷ ব্রিটিশ এই ব্যান্ডটি যখন ১৯৬৫ সালে চূড়ান্তভাবে তাদের নাম পিঙ্ক ফ্লয়েড রাখে তখন অবশ্য কেউ আপত্তি করেনি৷
ছবি: Pink Floyd Music Ltd
কোল্ডপ্লে
নাম বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এই ব্যান্ডটি অনেকবারই প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে৷ ১৯৯৬ সালে পেক্টোরালজের জন্ম হবার কিছুদিন পর ব্যান্ডটি নাম বদলে রাখে স্টারফিশ৷ এরপর ১৯৯৮ সালে ব্যান্ডটির প্রধান গায়ক ক্রিস মার্টিন সৌভাগ্যক্রমে নাম বদলে রাখেন কোল্ডপ্লে৷ নামটি ধার করা হয় ফিলিপ হর্কি নামের এক কবির কবিতার বই থেকে৷ পালাগান ধরনের গানের জন্য পরিচিত ব্যান্ডটির জন্য এই নামটিই সই৷
ছবি: Getty Images/K. Winter
5 ছবি1 | 5
পল ম্যাককার্টনি
পল ম্যাককার্টনি হলেন আদতে বিটল৷ ১১ বছর বয়সে ম্যাককার্টনি নাকি স্কুলের একটি অঙ্কন প্রতিযোগিতায় পুরস্কার লাভ করেছিলেন৷ তবে তাঁর হালের চিত্রকর্মের সমালোচক কিছু কম নয়: ম্যাককার্টনি নাকি আবোল-তাবোল, সস্তার সেন্টিমেন্টের ছবি এঁকে থাকেন, বলে তাদের অভিযোগ৷
রিঙ্গোস্টার
বিটলস গোষ্ঠীর সাবেক ড্রামার রিঙ্গো স্টারের আঁকায় ছবিতে বিশেষ আবেগের স্পর্শ খুঁজে পাওয়া যাবে না৷ তিনি কীভাবে আঁকা শুরু করলেন, সে বিষয়ে রিঙ্গো একবার বলেছিলেন: তিনি নাকি হোটেলের ঘরে বসে বোর হচ্ছিলেন, তাই কম্পিউটারের গ্রাফিক প্রোগ্রাম নিয়ে খেলতে শুরু করেন৷ সেই থেকেই তাঁর আঁকার সূচনা৷ তবে রিঙ্গো নিজের অঙ্কনশিল্পকে বিশেষ গুরুত্ব দেন না – যদিও ছবিগুলো ভালোই বিক্রি হয়৷
বোনো
পিটার ও নেকড়ের গল্প শুধু সের্গেই প্রোকোফিয়েভ-এর সিমফনিতেই নয়; আইরিশ সংগীতশিল্পী গ্যাভিন ফ্রাইডে তা সিডি ও বই হিসেবে বার করেছেন৷ বইটির অলঙ্করণ করেন গ্যাভিনের ছেলেবেলার বন্ধু, ইউটু সংগীত গোষ্ঠীর গায়ক বোনো৷ বোনো তাঁর দুই কন্যা জর্ডান আর ইভ-এর সাহায্য নিয়ে গ্যাভিনের বইটির জন্য ছবি আঁকেন৷ ২০০৩ সালে সেই আদত ছবিগুলি নিলামে তিন লাখ ইউরোর বেশি দাম পায়, যার সবটাই যায় দাতব্যে৷
আন্টিয়ে বিন্ডার/এসি
বিশ্বের দামি কিছু শিল্পকর্ম
বিখ্যাত শিল্পীদের আঁকা ছবি ও ভাষ্কর্যের জন্য সংগ্রাহকরা বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে থাকেন – ৪০ কোটি ডলারের বেশি দাম ওঠাও আশ্চর্যের কিছু নয়৷ দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: picture alliance/ZUMAPRESS/R.Tang
সালভাদর মুন্ডি
লিওনার্দো দা ভিঞ্চির আঁকা ২০টি অক্ষত ছবির একটি এটি৷ ধারণা করা হয়, ১৫০০ সালে এ ছবিটি আঁকা হয়৷ ১৯৫৮ সালে ছবিটিকে অনুলিপি ভেবে নিলামে মাত্র ৬০ মার্কিন ডলারে এটি বিক্রি হয়৷ যিশুখ্রিষ্টের এ ছবিটি ২০১৭ সালে ১০ কোটি মার্কিন ডলারে বিক্রি হবে ধারণা করা হলেও অজ্ঞাত এক ক্রেতা ৪৫ কোটি ডলার দিয়ে কেনেন এটি৷
ছবি: picture alliance/ZUMAPRESS/R.Tang
ইন্টারচেঞ্জ
ডাচ-অ্যামেরিকান শিল্পী উইলেম ডে কুনিং-এর আঁকা ইন্টারচেঞ্জ নামে একটি তৈলচিত্র ২০১৫ সালে ৩০ কোটি ডলারে বিক্রি হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
তাস খেলায় মগ্ন
উত্তর অভিব্যাক্তিবাদ ঘরানার ফরাসি শিল্পী পল সেজানের আঁকা এ ছবিটির নাম ‘দ্যা কার্ড প্লেয়ার’৷ ২০১১ সালে ২৫ কোটি ডলারে ছবিটি বিক্রি হয়৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
‘যখন তুমি বিয়ে করবে’
এ ছবিটি আঁকা হয়েছিল ১৮৯২ সালে৷ শিল্পী ফ্রান্সের পল গগাঁ৷ ‘হোয়েন উইল ইউ মেরি’ শিরোনামের এ ছবিটির দাম ২১ কোটি ডলার৷
ছবি: picture-alliance/akg-images/E. Lessing
‘নাম্বার ১৭এ’
অ্যামেরিকান শিল্পী জ্যাকসন পোলোকের আঁকা ‘নাম্বার ১৭এ’ নামের একটি চিত্রকর্ম ২০১৫ সালে ২০ কোটি ডলারে বিক্রি হয়৷ উপরের ছবিটি পোলোকের আঁকা, যার নাম নাম্বার ৭৷
ছবি: picture-alliance/dpa
‘বিয়ের ছবি’
নেদারল্যান্ডসের বিখ্যাত মার্টেন ও ওপইয়েন এর ১৬৩৪ সালের অনুষ্ঠিত বিয়ের ছবি এটি৷ চিত্রকর ডাচ শিল্পী রেমব্রান্ট হারমেনসুন ফান রিন৷ ২০১৫ সালে বিক্রি হওয়া এ ছবিটির দাম পড়েছে ১৮ কোটি ডলার৷
ছবি: gemeinfrei/DW Montage
আলজিয়ার্সের মহিলারা
লেডি অব আলজিয়ার্স শিরোনামে ছবিটি স্পেনের জগদ্বিখ্যাত চিত্রকর পাবলো পিকাসোর ১৯৫৫ সালে আঁকা৷ নিলামে ছবিটির দাম উঠে ১৭ কোটি ৯৪ লাখ ডলারে৷
ছবি: Reuters
‘ন্যু কুশে’
ইটালির চিত্রকর আমেদেও মোদিগলিয়ানি এই ছবিটি আঁকেন ১৯১৭ সালে, তার মৃত্যুর তিন বছর আগে৷ ১৭কোটি চার লাখ ডলারে ২০১৫ সালে বিক্রি হয় ছবিটি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
‘মাস্টারপিস’
অ্যামেরিকান পপ আর্টিস্ট রয় লিচটেনস্টাইনের ১৯৬২ সালে একেছিলেন বিখ্যাত এ ছবিটি৷ ২০১৭ সালে ১৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারে ছবিটি বিক্রি হয়৷
ছবি: Dan Kitwood/Getty Images
লুসিয়ান ফ্রয়েডের তিনটি প্রতিকৃতি
আইরিশ চিত্রকর ফ্রান্সিস বেকন এই তিন খণ্ডের ছবিটি আঁকেন ১৯৬৯ সালে৷ ছবিতে যার আলেখ্য, তিনি হলেন ব্রিটিশ চিত্রকর লুসিয়ান ফ্রয়েড, পক্ষান্তরে মনস্তত্বের জনক সিগমুন্ড ফ্রয়েডের পৌত্র৷ ২০১৩ সালে ক্রিস্টি’স-এর নিলামে ছবিটির দাম ওঠে ১৪ কোটি ২৪ লাখ মার্কিন ডলার৷ রয়েছে মার্কিন শিল্পকলা সংগ্রাহক এলেইন ওয়াইনের সংগ্রহে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অঙ্গুলিনির্দেশ
সুইস ভাস্কর আলবের্তো জাকোমেত্তির সৃষ্টি এই মানুষ-সমান ব্রোঞ্জ মূর্তিটি নিউ ইয়র্কে ক্রিস্টি’স-এ নিলাম করা হয় ২০১৫ সালে, কেনেন স্টিভ কোহেন নামের এক হেজফান্ড ম্যানেজার৷ মূর্তিটি আজ বিশ্বের সবচেয়ে দামি ক্রয়যোগ্য ভাস্কর্য বলে গণ্য৷ এটি বিক্রি হয়েছেল ১৪ কোটি ১৩ লাখ মার্কিন ডলারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/V. Hatfield/Christies
সোনার আডেলে
অস্ট্রিয়ার চিত্রকর গুস্তাফ ক্লিম্ট আডেলে ব্লখ-বাউয়ারের এই প্রতিকৃতিটি আঁকেন ১৯০৭ সালে৷ ম্যানহ্যাটানের ‘নয়ে গ্যালেরি’ নামের সংগ্রহশালার জন্য ২০০৬ সালে ছবিটি কেনেন মার্কিন ব্যবসায়ী রোনাল্ড লডার৷ ছবিটি ১৩ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারে কেনার ব্যবস্থা করে ক্রিস্টি’স সংস্থা৷
ছবি: AUSSCHNITT: picture-alliance/Heritage Images
চিৎকার
নরওয়েজীয় চিত্রকর এডভার্ড মুঞ্চ ‘চিৎকার’ ছবিটি এঁকেছেন একাধিক বার ৷ দা ভিঞ্চির মোনালিসা ও ফান গখ-এর সূর্যমুখি ফুলের পরেই মুঞ্চের এই ছবিটিকে বিশ্বের খ্যাততম চিত্রকর্ম বলে গণ্য করা হয়৷ ছবিটির প্যাস্টেল রঙে আঁকা এই সংস্করণ নিলাম করা হয় ২০১২ সালে, নিউ ইয়র্কের সথেবি সংস্থায়৷ মার্কিন শিল্পপতি লিয়ন ব্ল্যাক ১১ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলারে কিনেন এটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নগ্নমূর্তি, সবুজ পাতা, আবক্ষ
পাবলো পিকাসো এই তেলরঙের ছবিটি এঁকেছিলেন মাত্র একদিনে – দিনটা ছিল ৮ই মার্চ, ১৯৩২৷ প্রায় অজ্ঞাত ছবিটি নিউ ইয়র্কের নিলামে বিক্রি হয় ১০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যে, কেনেন এক অজ্ঞাত ক্রেতা৷ ব্যক্তিগত মালিকানায় থাকলেও, ছবিটি লন্ডনের টেট মডার্ন গ্যালারিকে ধার দেওয়া হয়েছে ২০১১ সালে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
রুপোলি গাড়ি দুর্ঘটনা
মার্কিন চিত্রকর অ্যান্ডি ওয়ারহল ১৯৬৩ সালে এই সিল্ক স্ক্রিন প্রিন্টটি সৃষ্টি করেন – যার বিষয়বস্তু হল একটি গাড়ি দুর্ঘটনা৷ ২০ বছর ধরে ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকার পর ২০১৩ সালে সথেবি-তে ছবিটি নিলাম করা হয়৷ ক্রেতা অজ্ঞাতই থাকেন; তবে ছবিটি পপ আর্ট শিল্পী ওয়ারহলের সবচেয়ে দামী ছবি বলে গণ্য করা হয়৷