1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাঁচটা পর্যন্ত ভোট পড়লো ৬২ শতাংশ, কাশ্মীরে প্রায় ৩৬ শতাংশ

১৩ মে ২০২৪

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ পর্বে বেলা পাঁচটা পর্যন্ত ৬২ শতাংশ ভোট পড়লো। কাশ্মীরের শ্রীনগরে ভোট পড়েছে প্রায় ৩৬ শতাংশ।

শ্রীনগর লোকসভা কেন্দ্রের ছবি। সকাল থেকেই সেখানে লম্বা লাইন ছিল।
কাশ্মীরে ভোটের লম্বা লাইন। ছবি: Sharafat Ali/REUTERS

নয়টি রাজ্যের মধ্য়ে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে ভোট পড়েছে ৭৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ। অশান্তির দিক থেকেও পশ্চিমবঙ্গ এক নম্বরে। 

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন এবং ৩৭০ ধারা বিলোপের পর এই প্রথম কাশ্মীর উপত্যকায় ভোট হলো। ফলে পুরো দেশের নজর ছিল সেই দিকে। কাশ্মীরে ভোট শান্তিতে হয়েছে। কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। অনেক কেন্দ্রেই সকাল থেকে মানুষ লাইন দিয়ে ভোট দিয়েছেন। এদিন ভোট ছিল শ্রীনগরে।  বেশ কয়েকটি জায়গায় ভালো ভোট হয়েছে। আবার কিছু জায়গায় ভোটদানের হার ছিল বেশ কম। তবে ২০১৯-এর তুলনায় অনেক বেশি ভোট পড়েছে কাশ্মীরে। 

২০১৯ সালে শ্রীনগরে ভোট পড়েছিল ১৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং ২০১৪ সালে ২৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এবার প্রথম ঘণ্টাতেই শ্রীনগরে ভোট পড়ে প্রায় ১৫ শতাংশ। শেষপর্যন্ত ২০১৪ ও ২০১৯-এর ভোটের হারকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছে ২০২৪-এর ভোট। 

মধ্যপ্রদেশে ভোট পড়েছে ৬৮ শতাংশ, ছত্তিশগড়ে ৬৩ দশমিক ১৪ শতাংশ, উত্তরপ্রদেশে ৫৬ দশমিক ৩৫ ও বিহারে ৫৪ দশমিক ১৪ শতাংশ। 

এদিন মোট ৯৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হলো। 

পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি

পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে রোববার রাতে এক তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন।  বোমা মারার পর তাকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

তৃণমূল অভিযোগ করেছে, সিপিএমের কর্মীরা এই খুন করেছে। আর সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই খুন হয়েছে।

মৃত কর্মীর পরিবারের পক্ষ থেকে টিভি চ্যানেলগুলিতে বলা হয়েছে, বিরোধীরা এর সঙ্গে জড়িত নয়। ওখানে একটাই দল আছে, তা হলো তৃণমূল

মন্তেশ্বরে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের কনভয়ের উপর আক্রমণ হয়েছে। গাড়ির কাচ ভেঙে দেয়া হয়েছে। রেহাই পায়নি সংবাদমাধ্যমের গাড়িও। দিলীপের একজন নিরাপত্তারক্ষীর মাথায় ইটের আঘাত লেগেছে। 

দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তৃণমূল কর্মীরা তার গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে, গো ব্যাক স্লোগান দেয়। 

দিলীপের অভিযোগ, বিজেপি এজেন্টকে এখানে মেরে বের করে দেয়া হয়। তারপর তিনি গেলে তাকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। 

এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি হয়েছে। বেলডাঙ্গায় কংগ্রেস এজেন্টকে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। কৃষ্ণনগরের কালীগঞ্জে তৃণমূল ও সিপিএম কর্মীদের মধ্যে ক্যাম্প অফিসে বসা নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে।

নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় রোববার রাতে ও সোমবার সকালে বোমাবাজি হয়েছে।  সিউড়িতে বিজেপি-র অস্থায়ী শিবির ভাঙচুর হয়েছে। রানিগঞ্জ ও খয়রাশোলেও অশান্তি হয়েছে।

ডিডাব্লিউর প্রতিনিধি স্যমন্তক ঘোষ ছিলেন বর্ধমান দুর্গাপুরে, সেখানে রাজ্য বিজেপি-র সাবেক সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ এবং সিপিএম প্রার্থী সুকৃতি ঘোষের লড়াই। 

স্যমন্তক জানাচ্ছেন, তিন প্রার্থীই সকাল থেকে বিভিন্ন বুথে ঘুরছেন। দিলীপ বর্ধমান শহর থেকে ঘোরা শুরু করেছেন এবং কীর্তি দুর্গাপুর থেকে। সেখানে বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তির খবর এসেছে। তবে পরের দিকে দিলীপকে একাধিক জায়গায় তৃণমূলের বাধার মুখে পড়তে হয়। ।

কাশ্মীরে ভোট

কাশ্মীরের শ্রীনগর কেন্দ্রে সোমবার ভোটগ্রহণ হচ্ছে। টিভি১৮ জানাচ্ছে, সকাল সাতটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের বাইরে লম্বা লাইন দেখা গেছে।

ডিডাব্লিউ উর্দুর প্রতিনিধি সালাউদ্দিন জৈন জানিয়েছেন, কাশ্মীরে গতকাল প্রবল ঠান্ডা ছিল। সোমবারও ভেশ  ভালো ঠান্ডা রয়েছে।  সম্ভবত ঠান্ডার কারণে শ্রীনগর শহরে সকাল সকাল খুব বেশি মানুষ ভোট দিতে আসেননি। তবে গ্রামের দিকে সকাল থেকেই লম্বা লাইন পড়ে গেছে। ভোটকেন্দ্রগুলিতে রীতিমতো ভিড় রয়েছে। 

কাশ্মীরে মানুষের মধ্যে ভোট দেয়ার উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। ছবি: Sharafat Ali/REUTERS

সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, সোমবার ভোটের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই হাইওয়েতে গাড়ির সংখ্যা কম। প্রচুর নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। এমনিতেই কাশ্মীরে প্রচুর সংখ্যায় পুলিশ, আধা সামরিক বাহিনী, সেনা মোতায়েন করা থাকে। ভোটের জন্য সেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো বাড়ানো হয়েছে। 

২০১৯ সালের পর এবং ৩৭০ ধারা বিলোপের পর এই প্রথম নির্বাচন হচ্ছে কাশ্মীরে।

শ্রীনগরে ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রার্থী হলেন আগা রুহুল্লাহ। তাকে সমর্থন করছে কংগ্রেস এবং আওয়ামি ন্যাশনাল কনফারেন্স। রুহল্লাহ ৩৭০ ধারা বিলোপের তীব্র বিরোধী।

পিডিপি প্রার্থী করেছে দলের .যুব নেতা ওয়াহিদ পাররাকে।  এছাড়া সাবেক শিক্ষামন্ত্রী আলতাফ বুখারির আপনা দল প্রার্থী করেছে মোহাম্মদ আসরাফ মিরকে।

উপত্যকার তিনটি আসনে প্রার্থী দেয়নি বিজেপি।

দক্ষিণ ভারতে ভোট শেষ হচ্ছে

সোমবারই দক্ষিণ ভারতে ভোটগ্রহণ শেষ হয়ে যাচ্ছে। প্রথম তিন পর্বে কেরালা, তামিলনাড়ু, কর্ণাটকে ভোট হয়েছে। এদিন তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রে হলো।  ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশে বিধানসভারও ভোট হচ্ছে।

অন্ধ্রে ওয়াইএসআরসিপি ও ওড়িশায় বিজেডি ক্ষমতায় আছে। এই দুই দলের সঙ্গে বিজেপি-র কোনো জোট হয়নি। তবে গত পাঁচ বছর লোকসভায় দুই দলই বিজেপি-কে ইস্যু-ভিত্তিক সমর্থন করে গেছে।

গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী

সোমবারের ভোটে ভাগ্যনির্ধারণ হয়ে যাবে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, এআইএমআইএম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়েইসি, বিদায়ী লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী, তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান, মহুয়া মৈত্র, কীর্তি আজাদ, বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রে মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ