হারার জন্য পুরস্কার
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪![Fußball WM 2014 Brasilien Symbolbild Halbfinale Brasilien - Deutschland](https://static.dw.com/image/17760124_800.webp)
থাই ফুটবল সমিতির প্রধান হলেন ওরাউয়ি মাকুদি, যিনি আবার ফিফা-র কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যও বটে৷ মানুষটিকে ঘিরে বিতর্ক আছে৷ ওরাউয়ি জানিয়েছেন যে, ম্যাচটি জিতলে প্লেয়ারদের দু'লাখ থাই বাট করে পুরস্কার দেবার পরিকল্পনা করেছিল থাই ফুটবল সমিতি৷ কিন্তু ম্যাচ হারার পরেও, প্লেয়ারদের প্রচেষ্টার কথা ভেবে তাদের সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে মাথাপিছু এক লাখ বাট দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফুটবল সমিতি৷
থাই মহিলা দলের কোচ নুয়েনগ্রুয়েথাই সাথংউইয়েন-ও কিছু কম যান না৷ তিনি তো ম্যাচের আগেই ঘোষণা করেছিলেন যে, মহিলা টিমের কেউ যদি দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে গোল করতে পারে, তাহলে তাকে দশ লাখ বাট (উচ্চারণভেদে বাথ) পুরস্কার দেওয়া হবে৷ তাতেও চমকানোর কিছু নেই, কেননা থাই মহিলা দল যখন গত মে মাসে এশিয়ান কাপে পঞ্চম হয়ে ২০১৫ সালের মহিলা ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য কোয়ালিফাই করে, তখন ওরাউয়ি প্লেয়ারদের মোট দেড় কোটি বাট পুরস্কার দিয়েছিলেন৷
বজ্রাঘাতের ওষুধ মৃগনাভি
রবিবার গ্রুপ এ-র অন্য খেলাটিতে ভারত মালদ্বীপকে হারায় ১৫-০ গোলে৷ কিন্তু এটাই এশীয় মহিলা ফুটবলের আসল চেহারা বলে মনে করার কোনো কারণ নেই, অন্তত যতদিন উত্তর কোরিয়ার ফুটবলাররা রয়েছেন৷ উত্তর কোরিয়ার মহিলা দল তাদের অভিযান শুরু করেছে ভিয়েতনামকে ৫-০ গোলে হারিয়ে৷ মনে রাখতে হবে: এশিয়ান গেমসে মহিলাদের ফুটবলে উত্তর কোরিয়া ২০০২ এবং ২০০৬ সালের চ্যাম্পিয়ন ও ২০১০ সালের রানার-আপ৷
অবশ্য উত্তর কোরিয়া যে এশিয়ান গেমসে খেলতে পারছে, সেটাই একটা আশ্চর্য, কেননা তারা ২০১৫ সালের মহিলা ফুটবল বিশ্বকাপ থেকে বহিষ্কৃত৷ তার কারণ: ২০১১ সালে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে উত্তর কোরিয়ার পাঁচজন মহিলা খেলোয়াড় কয়েকটি নিষিদ্ধকৃত পদার্থের টেস্টে পজিটিভ প্রমাণিত হন৷ সাজা হিসেবে শুধু পরের বিশ্বকাপ থেকে বহিষ্কারই নয়, উত্তর কোরীয় ফুটবল ফেডারেশনের উপর চার লাখ ডলার অর্থদণ্ড এবং দলের ডাক্তারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়৷
ডাক্তার অবশ্য বলেছিলেন, প্লেয়াররা ট্রেনিং-এর সময় বজ্রাঘাতে আহত হলে, তাদের কস্তুরীমৃগ থেকে সংগৃহীত একটি প্রথাগত চীনা দাবাই দিয়ে সুস্থ করা হয়েছিল৷ তাকে যদি কেউ ডোপিং বলতে চান...
এসি/ডিজি (রয়টার্স, এপি)