1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্ষতি ৬০০ কোটি টাকা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩

তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে পাঁচ দিনে বন্ধ রাখা হয় প্রায় এক হাজার কারখানা৷ ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি গার্মেন্টস৷ যাতে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়৷ বিশ্লেষকদের মতে, ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা না করা হলে জটিলতা বাড়বে৷

Garment workers clash with locals, who they believe are supporting the garment factory owners, during a protest in Dhaka September 23, 2013. More than 100 Bangladeshi garment factories were forced to shut on Monday as thousands of workers protested to demand a $100 a month minimum wage and about 50 people were injured in clashes, police and witnesses said. REUTERS/Andrew Biraj (BANGLADESH - Tags: CIVIL UNREST BUSINESS TEXTILE)
ছবি: Reuters

গত ২১শে সেপ্টেম্বর ঢাকায় শ্রমিক সমাবেশের দিন থেকে ঢাকা এবং তার আশেপাশের গার্মেন্টসগুলোতে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে শুরু হয় শ্রমিক বিক্ষোভ৷ শ্রমিকদের কাজ বন্ধ রাখার পাশাপাশি ভাঙচুরের কারণে বিভিন্ন এলাকায় কারখানা বন্ধ করে দেন মালিকেরা৷ বিজিএমইএ জানায়, ২১শে সেপ্টেম্বর সমাবেশের জন্য ছুটি দেয়া হয় প্রায় দুই হাজার পোশাক কারখানায়৷ বিক্ষোভের কারণে ২২শে সেপ্টেম্বর ১৪০টি, ২৩শে সেপ্টেম্বর ৫৫০টি, ২৪শে সেপ্টেম্বর ৯০টি, ২৫শে সেপ্টেম্বর ১৬০টি এবং ২৬শে সেপ্টেম্বর অন্ততপক্ষে ৪০টি গার্মেন্টস বন্ধ রাখা হয়৷

বিজিএমইএ-র সহসভাপতি এস এ মান্নান কচি ডয়চে ভেলেকে জানান, এর ফলে তাত্‍ক্ষণিকভাবে মোট ৬০০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন বন্ধ রাখা পোশাক কারখানার মালিকরা৷ তিনি জানান, যদি এ অবস্থা অব্যাহত থাকে তাতে ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে৷ পোশাক সরবারাহ ঠিক সময়ে করতে না পারলে ক্রেতারাও নেবে মুখ ফিরিয়ে৷

পোশাক শ্রমিকরা বলেছেন যে, তাঁরা কাজ করতে চান৷ তবে তাঁদেরও ভালো থাকার ব্যবস্থা করতে হবেছবি: picture-alliance/dpa

ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ইকতেদার আহমেদ বলেন, তাজরীন ফ্যাশানস-এ আগুন এবং রানা প্লাজা ধসের পর এমনিতেই বাংলাদেশের পোশাক শিল্প চাপের মুখে আছে৷ তারপর যদি এই শ্রমিক অসন্তোষ অব্যাহত থাকে তাহলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প আরো বড় ধরণের ভাবমূর্তির সংকটে পড়বে৷ তাতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে৷ তিনি বলেন, এটা কোনো জেদের ব্যাপার নয়৷ শ্রমিককে তার ন্যায্য মজুরি দিতে হবে৷ তাই শ্রমিক অসন্তোষ এড়াতে যত দ্রুত সম্ভব যৌক্তিক ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করা উচিত৷

তিনি অবশ্য একথাও বলেন যে, এ জন্য শ্রমিকদেরও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে৷ ভাঙচুর করে শিল্পের ক্ষতি ছাড়া কোনো লাভ নেই৷ তাই নিয়মতান্ত্রিক পথেই শ্রমিকদের দাবি দাওয়া আদায় করতে হবে৷

গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, মালিকদের দায়িত্বহীনতার কারণেই শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়েছে৷ পোশাক শিল্পের কোনো ক্ষতি শ্রমিকরা চান না৷ তবে মালিকদের মনে রাখতে হবে যে শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি না দিলে তাঁরা ঠিকমতো কাজ করতে পারবেন না৷ তাই তিনিও দ্রুত ন্যূনতম মজুরি ঘোষণার অনুরোধ করেন৷

বিজিএমইএ-র সহসভাপতি এস এ মান্নান কচি ডয়চে ভেলেকে জানান, এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে৷ পোশাক সরবারাহ ঠিক সময়ে করতে না পারলে ক্রেতারাও নেবে মুখ ফিরিয়েছবি: STRDEL/AFP/Getty Images

এদিকে, টানা পাঁচ দিন শ্রমিক অসন্তোষের পর শুক্রবার ছুটির দিনে কোথায় কোথাও পোশাক কারখানায় কাজ হয়েছে৷ ভাঙচুরেরও কোনো খবর পাওয়া যায়নি৷ পোশাক শিল্প এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷ পোশাক শ্রমিকরা বলেছেন যে, তাঁরা কাজ করতে চান৷ তবে তাঁদেরও ভালো থাকার ব্যবস্থা করতে হবে৷ ওদিকে, কয়েকজন মালিক দাবি করেছেন ন্যূনতম মজুরি ৮,০০০ টাকা করা হলে তাঁদের হয় শ্রমিক ছাঁটাই করতে হবে অথবা ক্রেতাদের বেশি দাম দিতে হবে৷

উল্লেখ্য, মালিকরা ন্যূনতম মজুরি মাত্র ৬০০ টাকা বাড়িয়ে ৩,৬০০ টাকা করার কথা বলছেন৷ অথচ ৩,০০০ টাকা ন্যূনতম মজুরি করা হয়েছিল সেই ২০১০ সালে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ