একদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হটস্পটে পরিণত হওয়া, অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন৷ এরমধ্যেই রেসিফে শহরে পাঁচ বছরের কৃষ্ণাঙ্গ শিশুর মৃত্যুর ঘটনা সামনে নিয়ে এসেছে দেশটির গভীরে বিদ্যমান বর্ণবাদী আচরণকে৷
বিজ্ঞাপন
ইতিহাসবিদ লারিসা ইবুমি লিখেছেন, ‘‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যখন ব্ল্যাকলাইভসম্যাটার হ্যাশট্যাগ সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, ব্রাজিলে আমরা তখন সমাজের গভীরে জমে থাকা বর্ণবাদের কারণে আরেক কৃষ্ণাঙ্গ শিশুকে হারালাম৷ এই সমাজ কাঠামো এখনও কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের শ্বেতাঙ্গ মালকিনদের অধীনস্থ দাস হিসেবেই মনে করা হয়৷’’
ব্রাজিলের পেরনামবুচো রাজ্যের রাজধানী রেসিফে শহরে ৩ জুন মিগুয়েল সান্তানা দা সিলভা নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়৷ একটি বিলাসবহুল ভবনের পাঁচ তলায় মির্তেস রেনাটা সুজা নামের গৃহকর্মী কাজে যাচ্ছিলেন৷ করোনার লকডাউনে স্কুল বন্ধ থাকায় নিজের পাঁচ বছর বয়সী সন্তানকেও কাজে নিয়ে আসেন তিনি৷
বর্ণবাদ রোখার সাত উপায়
কিছু মানুষের কাজই বিভেদ সৃষ্টি করা, বিদ্বেষ ছড়ানো৷ বর্ণ, ধর্ম, জাতপাত, সংখ্যা, ভাষা বা সংস্কৃতির ভিত্তিতে বর্ণবাদ ছড়ানোর এসব প্রয়াস রুখে দেয়া খুব জরুরি৷ কীভাবে তা সম্ভব? দেখুন সাতটি উপায়...
ছবি: Imago Images/PhotoAlto/F. Cirou
বাকস্বাধীনতার ‘হামলা’ পরিহার
ব্যক্তি থেকে পরিবার, পরিবার থেকে সমাজ, সমাজ থেকে রাষ্ট্র- এভাবে ছোট থেকে খুব বড় পরিসরে বিভিন্ন রূপে থাকে বর্ণবাদ৷ মুখের কথায়ও তা ব্যাপকভাবে ছড়াতে পারে৷ ক্যানাডার অ্যালবার্টা সিভিল লিবার্টিজ রিসার্চ সেন্টার বলছে, মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে ‘ব্যক্তিগত মতামত’ হিসেবে যা কিছু বলা বা লেখার মাধ্যমেও তা ব্যাপক হারে ছড়ায়৷ তাই ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, সংস্কৃতি ইত্যাদির নামে পক্ষপাত বা ঘৃণা প্রকাশ পরিহার করুন৷
ছবি: AP
উদারতায় শ্রেষ্ঠত্ব, অহঙ্কারে নয়
উদারতায় শ্রেষ্ঠত্ব, অহঙ্কারে নয়৷ ধর্ম, জাতপাত, গায়ের রং, উচ্চতা, ভাষা, আঞ্চলিকতা ইত্যাদি দিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করাও বর্ণবাদের নামান্তর৷ যে সমাজ বা রাষ্ট্রে এসব প্রবণতা যত কম, সেই সমাজ বা রাষ্ট্র তত বেশি বর্ণবাদমুক্ত৷
ছবি: Colourbox
অসহিষ্ণুতা ও উগ্রতা বর্জন
কারো মত বা কাজ পছন্দ না হলে তাকে শারীরিক বা মানসিকভাবে আঘাত করার প্রবণতা প্রায় সব সমাজেই দেখা যায়৷ এমন অসহিষ্ণু এবং বিদ্বেষপূর্ণ আচরণে বর্ণবাদ বিস্তৃতি পায়৷ গালাগাল, হুমকি, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা ইত্যাদিও এমন আচরণের অন্তর্ভুক্ত৷
ছবি: Imago/Indiapicture
ভুক্তভোগীর পাশে দাঁড়ান
যে কোনো স্থানে নির্দিষ্ট ব্যক্ত , শ্রেণি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার, অশ্লীলতা কিংবা কুৎসা ছড়ানোর অপপ্রয়াস না রুখলে অপশক্তির সক্রিয়তা বাড়ে৷ ফলে ঘৃণার সঙ্গে সঙ্গে নানা পর্যায়ে বর্ণবাদও বাড়ে৷ মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন প্রতিটি মানুষের উচিত এসব ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীর পাশে দাঁড়ানো৷
ছবি: Imago/E. Biba
রুখে দিন সাইবার দুনিয়ার বর্ণবাদ
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও চিকিৎসা শাস্ত্র বিষয়ক তথ্যের উৎস সায়েন্সডাইরেক্ট ডটকম দশ বছরের এক গবেষণা শেষে বলেছে, ইন্টারনেটের প্রসারের ফলে সাইবার দুনিয়ায় বর্ণবাদী তৎপরতা ব্য্যাপকহারে বেড়েছে৷ ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীগতভাবে চালানো হচ্ছে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরণের বর্ণবাদী প্রচার৷ যে কোনো সমাজে বর্ণবাদ রুখতে সাইবার দুনিয়ায় মানবিকতার প্রসার জরুরি৷
ছবি: picture-alliance/imageBROKER/J. Tack
প্রমান রাখুন, কর্তৃপক্ষকে জানান
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানিকর যে কোনো বক্তব্যের প্রমাণ রেখে দেয়া উচিত৷ অনেক সময় সম্মান এবং নিরাপত্তার স্বার্থে সাইবার অপরাধ দমন বিভাগকে প্রমাণসহ বিষয়টি জানানো জরুরি হয়ে পড়ে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/MAXAPP/R. Brunel
সংঘাত নয় সমর্থন চান
সব দেশের সব মানুষের সুখে শান্তিতে থাকার অধিকার আছে৷ কারো বর্ণবাদী আচরণে শান্তি বিঘ্নিত হলেও সংঘাতে না যাওয়া ভালো৷ সংঘাতে অনেক সময় সমস্যা বাড়ে৷ তাছাড়া সংখ্যা বা শক্তিতে পিছিয়ে থাকাদেরই বেশি টার্গেট করে বর্ণবাদীরা৷ সেক্ষেত্রে প্রতিকার বা আত্মরক্ষার জন্য ‘প্রতিবেশীদের’ সমর্থন বা সহযোগিতা চান৷
ছবি: picture-alliance/E.Topcu
7 ছবি1 | 7
এরপর সুজা তার চাকরিদাতা সারি গাসপার কর্তে রেয়ালের কথামতো ছেলেকে অ্যাপার্টমেন্টটিতে বসিয়ে রেখে কুকুরকে নিয়ে হাঁটতে বের হন৷ কিন্তু এর পরপরই মিগুয়েল মায়ের পিছু নিতে চাইলে রেয়াল শিশুটিকে একাই লিফটে তুলে দেন৷
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে শিশুটি লিফটে নয় তলায় উঠে যায়, তারপর একটি জানালা দিয়ে ব্যালকনিতে বের হয়ে একসময় নীচে পড়ে যায়৷ সুজার চাকরিদাতার বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে৷ এরই মধ্যে ৩,৪৫০ ইউরো (প্রায় সোয়া তিল লাখ টাকা) সমমানের অর্থের বিনিময়ে জামিন পেয়ে গেছেন রেয়াল৷
ব্রাজিলের টেলিভিশন চ্যানেল গ্লোবোকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মিগুয়েলের মা সুজা জানিয়েছেন, ‘‘আমার চাকরিদাতা প্রায়ই তার সন্তানদের আমার ওপর ভরসা করে ছেড়ে যান৷ দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমি যখন আমার সন্তানকে তার ভরসায় রেখে এলাম তার সে ধৈর্যটুকু হলো না৷’’
মিগুয়েল মির্তেস রেনাটা সুজার একমাত্র সন্তান৷ এই ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে৷ এমনকি রাজনীতিবিদরাও #জাস্টিসাপোরমিগুয়েল হ্যাশট্যাগ দিয়ে এর ঘটনার বিচার ও শাস্তি দাবি করছেন৷ মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি অনলাইন পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন প্রায় সাত লাখ মানুষ৷
পপ গায়ক ইজা ইনস্টাগ্রামে তার ২৫ লাখ ফলোয়ারের সঙ্গে এ বিষয়ে নিজের মন্তব্য শেয়ার করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে মাগুয়েলের গল্পটি একটি বাস্তব ট্র্যাজেডি৷ মা মির্তেসকে যখন অসহনীয় যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে, তখন তার বস টাকা দিয়ে জামিন নিয়ে বাড়িতে গেছেন৷ এর উলটো ঘটনা ঘটলে কী হতো?''
‘অভিশপ্ত উচ্চশ্রেণী’
ব়্যাপার, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট জয়েস ফার্নান্দেস ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘‘অভিশপ্ত অভিজাত শ্বেতাঙ্গ ও অধঃপতিত উচ্চশ্রেণীর কারণে একটি তাজা প্রাণ ঝরে গেলো৷ এরা আমাদের পূর্বপুরুষদের দাস বানানোর টাকায় সবকিছু কিনে ফেলতে চায়৷’’
মঞ্চে ‘প্রেতা রারা’ বা ‘বিরল কালো’ নামে পারফর্ম করেন ফার্নান্দেস৷ ব্রাজিলের কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের মধ্যে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়৷ ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনিও গৃহকর্মী ছিলেন৷ এরপর তিনি ‘এউ, ইমপ্রেগাদা ডমেস্টিকা’ (আমি গৃহকর্মী) নামে ফেসবুক পেজ ও একই নামে বই প্রকাশ করে বেশ দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন৷ তারপর থেকে নারী অধিকার ও বর্ণবাদসহ নানা ইস্যুতে টেলিভিশন অনুষ্ঠানের নিয়মিত মুখ হয়ে উঠেছেন ফার্নান্দেস৷
দেশটির গৃহকর্মীদের সংগঠন ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ডমেস্টিক ওয়ার্কার্স এ ঘটনায় চাকরিদাতা কর্তে রেয়ালের অবহেলাকেই দায়ী করেছে৷ এক বিবৃতিতিে সংগঠনটি জানায়, ‘‘কৃষ্ণাঙ্গ ব্রাজিলিয়ানদের কী দৃষ্টিতে দেখা হয় এই ঘটনা তার অন্যতম উদাহরণ৷ দাসপ্রথার পরম্পরা এবং বর্ণবাদ থেকে যে আমাদের দেশ বের হয়ে আসতে পারেনি, এটিই তার প্রমাণ৷’’
২০১৩ সালের ১ জুন দেশটিতে গৃহকর্মীদের অন্য কর্মজীবীদের সমমর্যাদা দিয়ে আইন পাস হয়৷ এর আগ পর্যন্ত গৃহকর্মীদের দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরিজীবী মনে করা হতো৷ তাদের তখন ওভারটাইম বা ছাঁটাইয়ে ক্ষতিপূরণের কোনো অধিকার ছিলো না৷
কিন্তু আইন পাস হলেও বাস্তবে গৃহকর্মীদের প্রতি ব্যাপক বৈষম্যের অভিযোগ রয়েছে৷ করোনা মহামারিতে এ সংকট আরো তীব্র আকার ধারণ করেছে৷ রিও ডি জেনেইরোর প্রথম করোনায় মৃত্যু হয় এক ৬৩ বছর বয়সী গৃহকর্মী ক্লেওনিস গনসালভেসের৷ তার চাকরিদাতা ইটালিতে ছুটি কাটাতে গিয়ে মার্চ মাসে করোনা আক্রান্ত হন৷ কিন্তু সে তথ্য গৃহকর্মীর কাছে গোপন রাখা হয়৷ ১৯ মার্চ এক হাসপাতালে মারা যান গনসালভেস৷
মিগুয়েলের মৃত্যুর ঘটনার পর এমন নানা তথ্য এখন প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে৷
আস্ত্রিদ প্রাঙ্গে/এডিকে
কৃষ্ণাঙ্গদের উপর পুলিশি নির্যাতনের ৮ ঘটনা
পুলিশি নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে৷ ছবিঘরে গত ছয় বছরে কৃষ্ণাঙ্গদের উপর পুলিশি নির্যাতনের আটটি ঘটনার উল্লেখ থাকছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/O. Haj Kadour
২৫ মে, ২০২০, মিনেপোলিস
জাল টাকা ব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা ৪৬ বছর বয়সি জর্জ ফ্লয়েডকে রাস্তায় ফেলে তাঁর গলায হাঁটু দিয়ে চাপা দিয়ে রেখেছিলেন মিনেপোলিসের পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক শভিন৷ এতে ফ্লয়েডের মৃত্যু হলে শভিনসহ চার পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়৷ এছাড়া শভেনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/S. Maturen
১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, আর্লিংটন
গাড়িতে নিবন্ধনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া ট্যাগ থাকার কারণে ও’শে টেরিকে আটক করেছিলেন টেক্সাসের পুলিশ কর্মকর্তারা৷ এরপর একজন অফিসার গাড়িতে মারিজুয়ানার গন্ধ পেয়ে তদন্ত করতে চাইলে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন টেরি৷ এই সময় পুলিশ কর্মকর্তা বাও ট্রান গাড়িতে গুলি করলে টেরি গুলিবিদ্ধ হন৷ পরে হাসপাতালে মারা যান৷ এই ঘটনায় বাও ট্রানকে বরখাস্ত করা হয়৷
ছবি: Getty Images
১৯ জুন, ২০১৮, পিটসবার্গ
১৭ বছর বয়সি অ্যান্টোন রোজসহ তিনজন একটি গাড়িতে ছিলেন৷ গাড়িটি একটি গোলাগুলির ঘটনা সঙ্গে জড়িত ছিল বলে সন্দেহ করেছিল পুলিশ৷ এই অবস্থায় গাড়ির চালককে হাতকড়া পরানো হয়৷ আর গ্রেপ্তার আটকাতে অ্যান্টোন রোজ পালিয়ে যেতে চাইলে গুলি চালান পুলিশ কর্মকর্তা মাইকেল রসফেল্ড৷ এই ঘটনায় মামলা হলেও রায়ে নির্দোষ প্রমাণিত হন রসফেল্ড৷
ছবি: Reuters/J. Altdorfer
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ওকলাহোমা
রাস্তার মাঝখানে পড়ে থাকা গাড়ির চালক টেরেন্স ক্রুচারকে গুলি করেছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা বেটি শেলবি৷ মামলার সাক্ষ্য দিতে গিয়ে শেলবি দাবি করেন, ক্রুচার তার গাড়ির কাছে এগিয়ে গেলে ভয় পান তিনি৷ কারণ তার মনে হয়েছিল, বন্দুক নিতে ক্রুচার গাড়ির দিকে এগোচ্ছেন৷ তাই নিজের প্রাণ বাঁচাতে গুলি চালান বলে দাবি করেন শেলবি৷ আদালত তাকে হত্যা মামলা থেকে রেহাই দিয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
৬ জুলাই, ২০১৬ মিনেসোটা
লাইসেন্স ও নিবন্ধন পরীক্ষা করে দেখতে ফিল্যান্ডো ক্যাস্টিলের গাড়ি থামিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা জেরনিমো ইয়ানেস৷ এই সময় ইয়ানেস তার কাছে অস্ত্র থাকার কথা জানিয়ে হাত বাড়ালে গুলি চালান ইয়ানেস৷ এতে ক্যাস্টিল মারা যান৷ তবে তার সঙ্গে থাকা পার্টনার ডায়মন্ড রেনল্ডসের দাবি, ক্যাস্টিল নথি বের করার জন্য হাত বাড়িয়েছিলেন৷ মামলাটি তিন মিলিয়ন ডলারে মীমাংসা হয়েছিল৷
ছবি: picture alliance/AP Images/S.Takushi
২০ অক্টোবর, ২০১৫, শিকাগো
পুলিশ কর্মকর্তা জেসন ফান ডাইকের গুলিতে প্রাণ হারান লেকান ম্যাকডোনাল্ড৷ তার কাছে একটি তিন ইঞ্চি ছুরি ছিল৷ পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, ডাইক ম্যাকডোনাল্ডকে ছুরি ফেলে দিতে বললে তিনি তা করেননি৷ পরে জানা যায়, ম্যাকডোনাল্ডকে ১৬ বার গুলি করা হয়৷ এই ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তা ডাইককে ছয় বছর নয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়৷ এছাড়া ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার সঙ্গে পুলিশ সদস্য়সহ ১৬ জন জড়িত ছিল বলে জানান প্রধান পুলিশ পরিদর্শক৷
ছবি: Reuters/Chicago Tribune/A. Perez
১২ এপ্রিল, ২০১৫, বাল্টিমোর
পকেটে ছুরি থাকায় ২৫ বছরের ফ্রেডি গ্রেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ এইসময় পুলিশ ভ্যানে কোমায় চলে গেলে তাকে একটি ট্রমা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়৷ সেখানেই তার মৃত্যু হয়৷ মেরুদণ্ডে আঘাতজনিত কারণে তিনি মারা যান৷ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিচার শুরু হলেও কারও শাস্তি হয়নি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/J.L. Magana
৯ আগস্ট, ২০১৪, মিসৌরি
নিজেদের মধ্যে সংঘাতের এক পর্যায়ে পুলিশ কর্মকর্তা ড্যারেন উইলসনের গুলিতে প্রাণ হারান ১৮ বছরের মাইকেল ব্রাউন৷ এই ঘটনায় গ্র্যান্ড জুরি উইলসনকে অভিযুক্ত না করলে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল৷ পরে উইলসন পদত্যাগ করেন৷ এছাড়া ব্রাউনের পরিবারও মীমাংসায় বসেছিল৷