ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে এই আলোচনা বন্ধ ছিল। পাঁচ বছর পর আলোচনা আবার হলো।
বিজ্ঞাপন
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, অ্যামেরিকা-ফিলিস্তিন ইকনমিক ডায়লগ (ইউএসপিইডি) আবার হলো। তারা একটি বিবৃতিতে বলেছে, ''অংশগ্রহণকারীরা এই বিষয়ে একমত হয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক ও আর্থিক সম্পর্ক আবার চালু করা দরকার। দুই তরফই আরো বেশি করে সহযোগিতা করার অঙ্গিকার নিয়েছে।''
অ্যামেরিকার তরফে আলোচনায় ছিলেন অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি লেমপার্ট। তিনি ফিলিস্তিনের কর্মকর্তাদের বলছেন, ''জো বাইডেন সরকার চায় ফিলিস্তিনে স্বাধীনতা, নিরাপত্তা থাকুক এবং ফিলিস্তিন সমৃদ্ধির পথে চলুক।''
তিনি জানিয়েছেন, ''ফিলিস্তিনের আর্থিক বৃদ্ধি হলে তার প্রভাব রাজনীতিতেও পড়বে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হবে। ইসরায়েলের পাশাপাশি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রও সুরক্ষিত থাকবে।''
ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের আবার অর্থসাহায্য অ্যামেরিকার
বন্ধ করে দিয়েছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। বাইডেন আবার ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য অর্থসাহায্যের ঘোষণা করলেন। ক্ষুব্ধ ইসরায়েল।
ছবি: Majdi Fathi/NurPhoto/picture alliance
বাইডেনের সিদ্ধান্ত
ফিলিস্তিনিদের জন্য ২৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের অর্থসাহায্য দেয়ার কথা ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি এই সাহায্য দেবেন ইউএন এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস ইন দ্য নিয়ার ইস্ট বা ইউএনআরডাব্লিউএ-কে।
ছবি: Evan Vucci/AP Photo/picture alliance
বন্ধ করেন ট্রাম্প
ফিলিস্তিনিদের আগে অ্যামেরিকা অর্থসাহায্য করত। কিন্তু ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ২০১৮ সালে তা বন্ধ করে দেন।
ছবি: Octavio Jones/REUTERS
নিরাপত্তা ও স্থায়িত্বের জন্য
মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিংকেন বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, এই অর্থ দিয়ে এলাকার স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। তাছাড়া যাদের খুব বেশি করে সাহায্য দরকার, তাদেরকে সাহায্য দেয়া হবে।
ছবি: Majdi Fathi/NurPhoto/picture alliance
৫৭ লাখ উদ্বাস্তুকে সাহায্য
ইউএনআরডাব্লিউএ প্রতি বছর ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক, গাজা স্ট্রিপ এবং মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে থাকা ৫৭ লাখ ফিলিস্তিনিকে সাহায্য করে।
ছবি: imago/photothek/T. Imo
ক্ষুব্ধ ইসরায়েল
বাইডেনের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ইসরায়েল। তাদের প্রতিক্রিয়া, তথাকথিত উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের এজেন্সির থাকারই দরকার নেই। অ্যামেরিকায় নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, বাইডেন প্রশাসনের সিদ্ধান্তে তিনি হতাশ এবং তাদের এই নিয়ে যথেষ্ট আপত্তি রয়েছে।
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Issa
ফিলিস্তিনের প্রতিক্রিয়া
ফিলিস্তিন জানিয়েছে, তারা খুবই আগ্রহভরে ত্রাণসাহায্যের প্রত্যাশা করছে। তারা অ্যামেরিকার সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক চালুরও অপেক্ষায় আছে। ফিলিস্তিনিরা এমন এক রাষ্ট্র চান, যার রাজধানী হবে জেরুসালেম।
ছবি: Abed Rahim Khatib/AA/picture alliance
6 ছবি1 | 6
অ্যামেরিকা ও ফিলিস্তিনের সম্পর্ক
ইউএসপিইডি-র বৈঠক শেষবার হয়েছিল ২০১৬ সালের মে মাসে। তারপর ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হন। তিনি পুরোপুরি ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ান। দূতাবাস জেরুসালেম থেকে তেল আভিভে নিয়ে আসা হয়।
অবশ্য ২০০৪ সালের পর ইউএসপিইডি-র বৈঠক ২০১৬ সালেই হয়েছিল।
বাইডেন প্রশাসন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা ফিলিস্তিনের এলাকাতেও দূতাবাস খুলবে। তবে তারা এ জন্য কোনো সময়সীমা দেয়নি।
ট্রাম্প ফিলিস্তিনকে সাহায্য দেয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বাইডেন এসে আবার শুরু করেছেন। তা সত্ত্বেও দুই তরফের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে উত্তেজনা আছে। অ্যামেরিকা অবশ্য জেরুসালেমে ফিলিস্তিন বিষয়ক অফিস খুলে রেখেছে।