সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে দারুণ সূচনা বাংলাদেশের৷ পুল বি-এর প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ১৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা৷
বিজ্ঞাপন
গোলকিপার বাদে বাকি ১০ খেলোয়াড়ের মধ্যে সাত জনই পেয়েছেন গোল৷
বাংলাদেশের জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শামসুন্নাহার, একাই করেছেন পাঁচ গোল৷ তহুরা খাতুন, সাজেদা খাতুন ও আনাই মোগিনি দু'টি করে গোল করেন৷ মনিকা চাকমা, মারিয়া মাণ্ডা ও আঁখি খাতুন করেন একটি করে গোল৷
এদিকে পুল এ-এর প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১২-০ গোলে হারিয়েছে ভারত৷
ভূটানে অনুষ্ঠিত এই চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিচ্ছে মোট ছয়টি দেশ৷ স্বাগতিক দেশ ছাড়াও বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল অংশ নিচ্ছে চ্যাম্পিয়নশিপে৷
এবার দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ৷ এবারই প্রথম এ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিচ্ছে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান৷
২০১৭ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথম চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ৷
এডিকে/ডিজি
সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে সফল যাঁরা
নানান বাধা সত্ত্বেও বাংলাদেশের নারী ক্রীড়াবিদরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশকে সাফল্য এনে দিয়েছেন৷ সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা সাফল্যটি এসেছে মেয়েদের হাত ধরেই৷
ছবি: Suhaimi Abdullah/Getty Images
নারী ক্রিকেট দল: বাংলাদেশের অহঙ্কার
এই খেলায় বাংলাদেশের সেরা সাফল্যটি এসেছে মেয়েদের হাত ধরেই৷ সম্প্রতি এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন ভারতকে ফাইনালে হারিয়ে দেন সালমা, জাহানারা আর রুমানারা৷ এর আগে ২০১০ সালে চীনের গুয়াংজুতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসের ক্রিকেটে রৌপ্যপদক জয় করেছিলেন বাংলাদেশের মেয়েরা৷
ছবি: Suhaimi Abdullah/Getty Images
ফুটবলেও এগিয়ে আসছে নারী
বয়সভিত্তিক ফুটবলে একের পর এক সাফল্য এসেছে৷ এপ্রিলে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৫-র এক টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ৷ এর আগে গত ডিসেম্বরে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে বাংলাদেশ সেরা হয়৷ তবে সাফল্যের শুরু ২০১৫ সালে৷ সেবার এএফসি কাপ অনূর্ধ্ব-১৪’র আঞ্চলিক পর্বে সেরা হয়েছিল তারা৷ পরের বারও তারা চ্যাম্পিয়ন হয়৷ এছাড়া ২০১৬ সালেই এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
দাবায় রানী হামিদ
তিনি দাবায় বাংলাদেশের প্রথম মহিলা আন্তর্জাতিক মাস্টার৷ জাতীয় মহিলা দাবায় ১৮ বার সেরা হয়েছেন রানী হামিদ৷ দাবার প্রসারেও ভূমিকা রেখেছেন ৭৩ বছর বয়সি এই দাবাড়ু৷ তাঁর লেখা ‘মজার খেলা দাবা’ বইটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে৷ রানী হামিদের সন্তান কায়সার হামিদ আশির দশকের তারকা ফুটবলার৷
ছবি: Khandakar Tarek
গিনেস বুকে নাম ওঠা লিনু
১৯৭৭ সালে মাত্র ১২ বছর বয়সে বড় বোন হেলেনকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন জোবেরা রহমান লিনু৷ এরপর ২০০১ সাল পর্যন্ত মোট ১৬ বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হন তিনি৷ ফলে ২০০৩ সালে গিনেস বুকে নাম ওঠে তাঁর৷
ছবি: Khandakar Tarek
শুটিংয়ের সাবরিনা
১৯৯৭ সালে কমনওয়েলথ গেমসের শ্যুটিংয়ে সোনা জেতেন সাবরিনা সুলতানা৷ এছাড়া সাফ গেমসে তিনটি ও সাফ শ্যুটিংয়ে দুটি সোনা জেতেন বাংলাদেশের শ্যুটিংয়ের এই অন্যতম তারকা৷ তাঁর স্বামী সাইফুল আলম রিংকিও সাফ গেমসে ব্যক্তিগত ও দলীয় মিলে পাঁচটি আর সাফ শ্যুাটিংয়ে ছয়টি সোনার পদক জেতেন৷
ছবি: Khandakar Tarek
ভারোত্তোলনের তারকা মাবিয়া
২০১৬ সালের দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে মেয়েদের ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণির ভারোত্তলনে স্বর্ণ জয় করেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত৷ সেই সময় পুরস্কার গ্রহণ অনুষ্ঠানে জাতীয় সংগীত বাজার সময় তাঁর কান্না কাঁদিয়েছিল অনেককে৷ এরপর চলতি বছর এপ্রিলে কমনওয়েলথ গেমসে নিজের ব্যক্তিগত রেকর্ড করে ষষ্ঠ হন তিনি৷
ছবি: Khandakar Tarek
সাঁতারের মাহফুজা খাতুন শিলা
২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান গেমসে দুটি স্বর্ণপদক জয় করেন মাহফুজা৷ ১০০ মিটার ও ৫০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোক – এই দুই ইভেন্টে সোনা জেতেন তিনি৷ ফলে দীর্ঘ ১০ বছর পর এসএ গেমসের সাঁতারে সোনা জিততে সমর্থ হয়েছিল বাংলাদেশ৷ ৫০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে গেমসের নতুন রেকর্ড গড়েছিলেন মাহফুজা৷ সময় নিয়েছিলেন ৩৪ দশমিক ৮৮ সেকেন্ড৷ এতে ভেঙে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কার রাহিম মাইয়ুমির করা ২০০৬ সালের রেকর্ড৷
ছবি: bdnews24.com
সফল ক্রীড়াবিদ ও সাহসী সংগঠক কামরুন নাহার ডানা
জাতীয় ব্যাডমিন্টনে তিন বার সেরা হন তিনি৷ ব্যাডমিন্টন খেলা ছাড়ার পর থেকে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন৷ ২০০৪ সালে মৌলবাদীদের আন্দোলনের ভয়ে যখন কেউ মহিলাদের ফুটবল মাঠে নামানোর সাহস পাচ্ছিলেন না, মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদিকার দায়িত্বে থাকা ডানা তখনই মেয়েদের প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল চালু করেন৷