1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানি উইকেটকিপার জুলকারনাইন হায়দারের যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা

১০ নভেম্বর ২০১০

পাকিস্তান ক্রিকেট দলের উইকেটকিপার জুলকারনাইন হায়দার যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন৷ প্রাণনাশের হুমকির ভয়ে সোমবার দুবাইয়ের হোটেল থেকে পালিয়ে লন্ডনে চলে যান তিনি৷

উইকেটকিপার জুলকারনাইন হায়দারছবি: AP

কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, ম্যাচ ফিক্সিং না করলে তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল৷

মঙ্গলবার লন্ডনে পৌঁছেই জুলকারনাইন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কথা জানিয়ে দেন৷ তবে শুধু অবসরের কথা জানিয়েই জুলকারনাইন ক্ষান্ত হননি৷ এদিনই তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করে বসেন৷ তিনি তাঁর এবং তাঁর পরিবারের জন্যে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন৷

দলের ৩ জন খেলোয়াড় বহিষ্কৃত হবার পরে, কাউকে কোন কিছু না জানিয়েই জুলকারনাইন দুবাইয়ের হোটেল ছেড়ে পালিয়ে যান৷ এরপরে লন্ডনে এসে তিনি বলেন, এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে দুবাইয়ে দলের হোটেল ছেড়ে পালিয়ে আসার পরে, পরিস্থিতিই আমাকে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করতে বাধ্য করেছে৷

লন্ডনে জিও নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে জুলকারনাইন বলেন, ‘‘আমি ইচ্ছা করে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্যে আবেদন করিনি৷ আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারও অনিশ্চিত৷ পাকিস্তানি ক্রিকেটার হিসেবে কোন ইস্যু ছাড়াই আমি এখানে এসে প্রচুর রোজগার করতে পারতাম৷''

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চতুর্থ এবং পঞ্চম একদিনের আন্তর্জাতিকে কেউ একজন এই উইকেটকিপারকে পাতানো খেলা খেলতে বলে৷ ২৪ বছর বয়স্ক জুলকারনাইন বলেন, ‘‘যিনি আমাকে পাতানো খেলা খেলতে বলেন, তিনিও এক হোটেলেই ছিলেন৷ আমি আমার সমস্যা নিয়ে দলের ব্যবস্থাপকদের কাছে যেতে পারিনি, কারণ আমি ভয় পাচ্ছিলাম, আমার এবং তাদের নিরাপত্তা নিয়ে৷ তখনই আমি লন্ডনে আসার সিদ্ধান্ত নিই৷ আমাকে এবং আমার পরিবারকে অব্যাহতভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, তাই আমি শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেই অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ এই পরিস্থিতিতে আমি খেলতে পারিনা৷ তবে আমি অভ্যন্তরীণ ক্রিকেটে খেলা অব্যাহত রাখতে চাই৷''

এদিকে যুক্তরাজ্যে নিয়োজিত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ওয়াজিদ শামসুল হাসান বলেছেন, পাকিস্তানি দলের এই খেলোয়াড় তাঁর কাছে কোন ধরণের সহযোগিতা চাননি৷ রাষ্ট্রদূত হাসান বলেন, ‘‘তাঁর ক্ষেত্রে কী ঘটেছে আমি জানি না৷ তবে আমি জানি যুক্তরাজ্যে কেউ রাজনৈতিক আশ্রয় পেতে চাইলে, তাকে তার সরকারের মাধ্যমে আসতে হয়৷ তিনি যদি আমাদের কাছে আসেন তাহলে আমরা তাঁকে পথ দেখাবো এবং সম্ভাব্য সবধরণের সহযোগিতা করবো৷''

প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ