1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ

১৬ জানুয়ারি ২০১২

বহুমুখী সংকটে থাকা পাকিস্তানের সরকার এবার বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে নতুন চাপের সম্মুখীন হলো৷ দেশটির সর্বোচ্চ আদালত সোমবার প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলেছে৷

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিছবি: AP

আদালত অবমাননার অভিযোগ

তালেবানের সন্ত্রাস ও অর্থনৈতিক সংকটের সাথে সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কার মধ্যে দিন পার করছে পাকিস্তানের বর্তমান সরকার৷ এর মধ্যেই সোমবার আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠেছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির বিরুদ্ধে৷ আর এই অভিযোগের বিষয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরতে গিলানিকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ আইনজ্ঞরা মনে করছেন, গিলানি যদি আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন তাহলে ছয় মাস পর্যন্ত তাঁর কারাদণ্ড হতে পারে৷ এছাড়া তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বহাল থাকার যোগ্যতা হারাবেন৷

আদালত অবমাননার অভিযোগের কারণ

সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক কায়ানিছবি: AP

ঘটনার শুরু বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির সেই নব্বইয়ের দশকের দুর্নীতি ও হত্যা মামলা থেকে৷ ঐ মামলা আমলে নিয়ে জারদারির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী গিলানি সেই নির্দেশ অনুসারে প্রেসিডেন্টের দুর্নীতি তদন্তে কোন পদক্ষেপ নেননি৷ তাই এই সংকটের মুহূর্তে নতুন করে গিলানির সরকারের বিরুদ্ধে যোগ হলো এবার বিচারিক লড়াই৷ সুপ্রিম কোর্টের সাত সদস্যের বিচারক পরিষদ নির্দেশনামায় বলেন, ‘‘প্রথম দফায় কারণ দর্শাও নোটিস জারি করা ছাড়া আমাদের সামনে আর কোন বিকল্প ব্যবস্থা নেই৷ প্রধানমন্ত্রীকে আগামী ১৯শে জানুয়ারি সশরীরে আদালতে হাজির হতে হবে৷''

প্রেসিডেন্টকে বাঁচাতে গিয়ে ফেঁসে যাচ্ছেন গিলানি

দেশটির ক্ষমতায় থাকা পাকিস্তান জনতা দল – পিপিপি নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দলের এক সাংসদের মন্তব্য, ‘‘ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে প্রেসিডেন্ট এবং সরকারকে বাঁচাতে যেন নিজেকেই ‘রাজনৈতিক বলি' হিসেবে উৎসর্গ করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী৷'' অবশ্য, সাবেক আইন মন্ত্রী খালিদ আনওয়ার বলছেন, বৃহস্পতিবার হয়তো আদালতে হাজির হবেন গিলানি৷ তবে অ্যাটর্নি জেনারেল এরপর যেন প্রধানমন্ত্রীকে আর সশরীরে আদালতে হাজির হতে না হয়, সেজন্য আবেদন জানাবেন৷ আর সেক্ষেত্রে আদালত তা অনুমোদন করবেন বলে আশা করা যায়৷

যাহোক, আদালতের নির্দেশের পাশাপাশি অপরাপর সংকটের হাত থেকে রক্ষা পেতে সংসদে আস্থা ভোটের বিষয়টি নিয়ে এগুচ্ছে ক্ষমতাসীন জোট৷ শরিক দলের এক সদস্যের তোলা আস্থা ভোটের প্রস্তাব নিয়ে সোমবার দেশটির সংসদে আলোচনা হয়েছে৷ আশা করা হচ্ছে শীঘ্রই আস্থা ভোটের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণের চেষ্টা করবে জারদারি-গিলানি সরকার৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ