1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে জঙ্গি হামলা

১৬ আগস্ট ২০১২

পাকিস্তানের একটি বিমান ঘাঁটিতে তালেবান জঙ্গিদের হামলা হয়েছে৷ এই সময় মোট নয় জন প্রাণ হারিয়েছে৷ বিমান ঘাঁটিতে পরমাণু অস্ত্র ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ যদিও পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ এর তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে৷

ছবি: dapd

এদিকে মানসেহরা জেলাতে বন্দুকধারীদের গুলিতে ২০ জন নিহত হয়েছে বৃহস্পতিবার৷ প্রতিবেদন - রিয়াজুল ইসলাম৷

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বুধবার ভোর রাতে, প্রায় দুটো নাগাদ, পাঞ্জাব প্রদেশের কামরা এলাকায় মিনহাস নামক বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা৷ রাতের অন্ধকারে তারা প্রায় নয় ফুট দেয়াল ও কাঁটাতার টপকে ভেতরে ঢুকে পড়ে৷ অনেকের পরণে ছিল সামরিক বাহিনীর পোশাক৷ আবার অনেকের গায়ে ছিল আত্মঘাতী বোমার ইউনিফর্ম৷ তাদের ঢুকতে দেখেই বিমান ঘাঁটিতে থাকা নিরাপত্তা কর্মিরা গুলি ছুড়তে শুরু করে৷ অন্যদিকে জঙ্গিরা বাইরে থেকে রকেট চালিত গ্রেনেড ছোড়ে বিমানগুলোকে লক্ষ্য করে৷ জঙ্গিদের লক্ষ্য হাঙ্গারে থাকা বিমানগুলো হলেও, সেগুলো আঘাত হানতে তারা তেমন সক্ষম হয়নি৷ তাদের হামলাতে মাত্র একটি বিমান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গেছে৷ সংঘর্ষে আট জঙ্গি আর এক সেনা নিহত হয়৷ বিমান ঘাটির কমান্ডার এয়ার কমোডর মুহাম্মদ আজম আহত হয়েছে এই হামলাতে৷

হামলার পর কড়া প্রহরায় নিরাপত্তা রক্ষীরাছবি: dapd

মিনহাস ঘাঁটি রাজধানি ইসলামাবাদ থেকে ৭৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত৷ পাকিস্তানের অন্যতম বিমান ঘাঁটি হিসেবে ধরা হয় এটিকে৷ এই ঘাঁটিতে পাকিস্তান বাহিনী চীনের সহায়তায় জেএফ সেভেন্টিন জঙ্গি বিমান তৈরি করে থাকে বলে জানা যায়৷ এর আগে ২০০৭ ও ২০০৯ সালে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়েছিল এই এলাকাতে৷ তবে ঘাঁটির নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে সেখানে হামলার ঘটনা এই প্রথম৷

ধারণা করা হতো যে এই ঘাঁটিতে পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র রয়েছে এবং জঙ্গিদের হামলার লক্ষ্য ছিল সেই অস্ত্রই কব্জা করা৷ তবে এমন খবর অস্বীকার করেছে পাকিস্তানি বিমান বাহিনী৷ তারা জানিয়েছে, কোনো ধরণের বিমান ঘাঁটিতেই পরমাণু অস্ত্র রাখা হয় না৷

এদিকে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের মানসেহরা জেলাতে বন্দুকধারীরা একটি বাসে হামলা চালিয়ে ২০ জনকে হত্যা করেছে৷ তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায় যে, নিহতের সংখ্যা ২২৷ বার্তা সংস্থা এএফপি স্থানীয় কর্মকর্তা খালিদ ওমরজাই’এর বরাত দিয়ে জানায়, ১০/১২ জন বন্দুকধারী বাবুসার টপ নামে জায়গাতে এই হামলা চালায়৷ তারা একটি বাস থামিয়ে এবং সেখান থেকে লোকজনকে নামিয়ে তাদের পরিচয় পত্র চেক করে৷ এরপর একেবারে কাছ থেকে তাদের গুলি করে হত্যা করে৷ নিহতরা সকলেই শিয়া সম্প্রদায়ের বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা খালিদ ওমরজাই৷

আরআই / ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ