1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিপাকিস্তান

পাকিস্তানের নতুন সাইবার ক্রাইম আইন কি বিরোধ বন্ধের হাতিয়ার?

২৬ মে ২০২৫

অনলাইনে ভুয়া খবরের সম্প্রচার বন্ধ করার জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করেছে পাকিস্তান।

ইসলামাবাদে সুপ্রিম কোর্ট থেকে লাইভ করছেন টিভি সাংবাদিকরা। ফাইল ছবি।
নতুন আইনে বলা হয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে ফেক নিউজ ছড়ালে তিন বছর পর্যন্ত জেল হবে। ছবি: Aamir Qureshi/AFP/Getty Images

মানবাধিকার এবং ডিজিটাল অধিকার কর্মীদের দাবি, নতুন এই আইনে খর্ব হচ্ছে দেশের সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা

গ্রেপ্তার হচ্ছেন সাংবাদিকরা 

আতঙ্ক বা অশান্তি ছড়াতে পারে এমন কোনোভুয়া খবর অনলাইনে প্রচার করা হলে তাকে অপরাধবলে গণ্য করবে সংশোধিত প্রিভেনশান অফ ইলেক্ট্রনিক ক্রাইমস অ্যাক্ট বা পেকা। এই আইনে ধরা পড়লে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর তিন বছর পর্যন্ত জেল এবং বিপুলব পরিমাণ জরিমানা হতে পারে।

গ্রেপ্তার একাধিক সাংবাদিক

চিন্তার বিষয় হল, পেকা চালু হওয়ার কয়েকমাসের মধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন একাধিক সাংবাদিক। সৌদির একটি উর্দু সংবাদ সংস্থার সাংবাদিক ওয়াহিদ মুরাদকে 'অনলাইনে মিথ্যা খবর প্রচারের' অপরাধে মাঝরাতে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তিনি জামিন পান। তিনি ডিডাব্লিউকে বলেছেন, "কেস ফাইল করার আগেই সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আমার ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে।"

রাফতার নামে অপর এক পাকিস্তানি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতা ফারহান মালিককেও গ্রেপ্তার করা হয়েঠে। পরে তিনিও জামিন পেয়েছেন।

এই দুই সাংবাদিকই পাকিস্তানের সামরিক শক্তি নিয়ে খবর করেছিলেন।

'কোনো আলোচনা ছাড়াই তৈরি করা হল এই আইন'

নতুন এই আইনের সমালোচনা করেছেন অনেকেই। আইনজীবি এবং সমাজকর্মী ইমান মাজারই বলেছেন, এই আইনের মাধ্যমে সাংবাদিক এবং ভিন্ন স্বর রোধ করা হচ্ছে।

সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞ ওসামা মালিক এই আইনকে 'ড্র্যাকোনিয়ান' আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, "সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার উপর এই আইন সরাসরি হস্তক্ষেপ করে।"

সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষাকারী সংস্থাগুলি অভিযোগ করেছে, তাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ না করেই এই আইন গৃহীত হয়েছে।

পাক আইন মন্ত্রী আজম নাজির তারার অবশ্য এই আইনকে সমর্থন করে জানিয়ে বলেছেন, পৃথিবীর সব দেশেই এরকম আইন আছে। তিনি ডিডাব্লিউকে বলেন, "পাকিস্তানের সংবিধানে বাকস্বাধীনতার উপর কিছু নিষেধাজ্ঞা আছে। সংসদ আইন তৈরি করে।  সেই আইন রক্ষা করার দায়িত্ব আধিকারিকদের।"     

সাংবাদিক, ইসলামাবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সচিব এবং সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষা কর্মী সেহরিশ কুরেশি বলেন, "সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে যাতে কেউ প্রশ্ন করতে না পারে, তার জন্য এই আইন তৈরি হয়েছে। সরকারকে প্রশ্ন করলে আপনার মুখও বন্ধ করে দেওয়া হবে। আপনি প্রতিবাদ করলে পুলিশ আপনাকে তুলে নিয়ে যাবে।"  

আইন বিশেষজ্ঞ ওসামা বলেন, "যে শক্তি আসলে পাকিস্তান পরিচালনা করছে তারাই এই আইন তৈরি করছে। ইউটিউবের মতো চ্যানেলের মাধ্যমে যে সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে তার উপর এদের নিয়ন্ত্রণ ছিল না। সেই কারণেই এই আইন।" তিনি আরো বলেন, এই আইনের ফলে পাকিস্তানের গণতন্ত্র সার্বিক ভাবে ধ্বংস হতে পারে।

আরএসএফ-এর প্রেস স্বাধীনতা সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে পাকিস্তান ১৫৮ তম স্থানে আছে।

হারুন জানজুয়া/এসসি/ডিডাব্লিউ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ