1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানের নওয়াজের ৭ বছরের জেল

২৪ ডিসেম্বর ২০১৮

নতুন অভিযোগে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের আদালত৷ তবে এই রায়কে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বলে আখ্যা দিয়েছেন শরিফ৷

ছবি: picture-alliance/AP Photo/K. M. Chaudary

রাজধানী ইসলামাবাদের একটি দুর্নীতিবিরোধী আদালত সোমবার এই রায় দেয়৷

লন্ডনে ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগে উপযুক্ত প্রমাণ না পাওয়ায় তাঁকে খালাস দিলেও সৌদি আরবে একটি ইস্পাত কারখানার মালিকানায় আয়ের উৎস দেখাতে পারেননি নওয়াজ৷ এই আভিযোগে তাঁকে দেয়া হয়েছে সাত বছরের জেল৷

এর আগে ৬ জুলাই পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন)-এর নেতা নওয়াজ তাঁর মেয়ে মরিয়মের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করে পাকিস্তানের দুর্নীতিবিরোধী মামলার আদালত৷ দুর্নীতির দায়ে নওয়াজকে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৮৯ লাখ পাউন্ড জরিমানা করে আদালত৷ অন্যদিকে মরিয়মের বিরুদ্ধে দেয়া হয় ৮ বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ লক্ষ পাউন্ড জরিমানার আদেশ৷

১৩ জুলাই দণ্ড মাথায় নিয়ে দেশে ফেরার পর লাহোর বিমানবন্দর থেকে আটক হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তাঁর মেয়ে মরিয়ম৷ এ রায়ের ফলে ২৫ জুলাই নওয়াজের দল পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিলেও রুদ্ধ হয় তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বিতার পথ৷

রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে সেপ্টেম্বর মাসে জামিনে মুক্তি পান নওয়াজ৷ নওয়াজ শরিফ অবশ্য শুরু থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন৷ তাঁর দাবি, জাতীয় নির্বাচন ও রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে সেনাবাহিনীই এ ষড়যন্ত্র করেছে৷

২০১৬ সালে পানামা পেপার্সে নাম আসার পর থেকেই তদন্ত চলছে নওয়াজের বিরুদ্ধে৷

‘কালো রায়'

রায় ঘোষণার আগে নওয়াজের পাকিস্তান মুসলিম লিগের হাজার হাজার সমর্থক আদালতের বাইরে জড়ো হয়৷ এক পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষও হয় তাঁদের৷

নওয়াজের মেয়ে মরিয়ম এক টুইটে সরকার ‘নওয়াজ শরিফকে ভয় পায়' বলে উল্লেখ করেছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘একটা মানুষকে কতবার আক্রমণ করা যায়, কতবার তাঁকে আটক করে জেলে পাঠানো যায়!''

২০১৭ সালের আগস্ট থেকে ২০১৮ সালের মে মাস পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকা শহীদ খাকান আব্বাসি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এটি পাকিস্তানের ইতিহাসের আরেকটি কালো রায়৷''

ইসলামাবাদে ডয়চে ভেলের প্রতিনিধি হারুন জানজুয়াকে তিনি বলেন, ‘‘নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ বা সাক্ষী নেই৷ নওয়াজ যখন বিদেশে নির্বাসনে ছিলেন, তখন আল-আজিজিয়া ইস্পাত কারখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘পাকিস্তানের আদালত কিভাবে রায় দেয়, তা দেখে বিশ্ববাসী হাসছে৷ দরজা বন্ধ করে, বাইরে বন্দুকধারী নিরাপত্তাকর্মীদের দাঁড় করিয়ে রেখে রায় ঘোষণা করা হয়েছে৷ এটাই তথাকথিত গণতন্ত্র৷''

এডিকে/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ