পাকিস্তানে আবারও আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত ৫৬
৯ জুলাই ২০১০উপজাতি অধ্যুষিত ঐ এলাকাটির নাম মোহমান্দ৷ আর গ্রামের নাম ইয়াকাঘুন্দ৷ সেই গ্রামেই ছিল স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা রসুল খানের কার্যালয়৷ শুক্রবার সকালে, আফগান সীমান্তবর্তী পশতুন অঞ্চলে অবস্থিত ঐ সরকারি অফিসটির সামনেই চালানো হয় বোমা হামলা দুটি৷ প্রথম হামলাটি দুর্বল হলেও, দ্বিতীয় হামলাটি ছিল অত্যন্ত শক্তিশালী৷ জানা যায়, কার্যালয়ের সামনে বসা বাজারে বেশ কিছু মানুষ জড়ো হলে মোটরবাইক নিয়ে হামলা চালায় হামলাকারী৷ সরকারের দেওয়া হুইলচেয়ার পাওয়ার জন্যই জনতা এদিন সকাল থেকে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছিল৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বোমা হামলার ফলে সাঙ্ঘাতিক বড় এক বিস্ফোরণ ঘটে এবং আশপাশের সরকারি ভবন, দোকান-পাট ও অন্যান্য বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়৷ ক্ষতি হয় প্রায় ৩০টি গাড়িরও৷ তবে শুধু তাই নয়, সরকারি অফিসের লাগোয়া একটি কারাগারের বেশ কিছুটা অংশ ভেঙে পড়ে বিস্ফোরণের তীব্রতায়৷ যার ফলে, জেলখানার প্রায় ২৮ জন কয়েদি ফেরারি হতে সক্ষম হয়৷
উদ্ধারকার্য অবশ্য শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই৷ আর মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসক মাখসুদ আহমেদ৷ ২০০৭ সালের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় তিন হাজার সাধারণ মানুষ৷
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের এই উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাটিকেই বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক অঞ্চল বলে অভিহিত করেছে ওয়াশিংটন৷ আফগানিস্তানে যুদ্ধরত মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বাহিনীর ধারণা, আল-কায়েদা ও তালেবান গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতারা এই দুর্গম এলাকায় আত্মগোপন করে আছে৷ অর্থাৎ এ অঞ্চলেই রয়েছে একটি শক্তিশালী জঙ্গি ঘাঁটি৷ সেখানে বসেই জঙ্গি প্রশিক্ষণসহ হামলার নানা পরিকল্পনা চালানো হচ্ছে৷
প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক